ফেরৎ দেওয়া যায় না?
রিটার্ন পলিসি - বাংলাদেশে থাকতে কখনো শুনি নাই যে একবার বেইচা ফেললে সেই জিনিষ বিনা কারণে ফেরৎ নেওয়া হয়, কিন্তু আমেরিকা আইসা কত তামশা দেখলাম, তারমাঝে এইটা ছিল একটা। কিছু কিনেছেন, কোন কারনে ভালো লাগে নাই, কোন সমস্যা নাই, দোকানে নিয়ে যান, ফেরৎ দিয়ে দিন, প্যাকেট খুলে ফেলেছেন, কোন সমস্যা নাই, রসিদ হারিয়ে ফেলেছেন, তাতেও কোন সমস্যা নাই, সব সমস্যারই সমাধান আছে, পণ্যের ট্যাগ হারিয়ে ফেলেছেন, তাতেও সমস্যা নাই। সকল সমস্যার জন্যে ব্যবস্থা নেওয়া আছে। খালি দরকার লজ্জা কাটায়া জিনিষটা নিয়ে ফেরৎ যাওয়া, তারা নেওয়ার জন্যে হাঁ করে বসে আছে। আমি প্রথমবারে শুনে বলেছিলাম, কস্কী মমিন, এও সম্ভব নাকি? তাইলে আসেন বিস্তারিত কই আসলে সিনডা কি?
এখানে বেশির ভাগ দোকানের উদ্দেশ্য হইল, ক্রেতাকে পূর্ণাঙ্গরূপে সন্তুষ্ট করা, ফলে কেন জিনিষ পছন্দ হয় নাই, প্যাকেট খুলে ফেললেও কোন সমস্যা নেই, আর তাদেরই বা কি? নিয়ে তারা পাঠিয়ে দিবে তাদের ডিলারের কাছে, ফেরৎ কেন আসল, সেটা তাদের মাথা ব্যাথা না এক্কেবারের। এই একই শর্ত খাবারের ক্ষেত্রেও খাটে। অর্থাৎ এক প্যাকেট বিস্কুট কিনলেন, কিন্তু একটা খেয়ে আর ভালো লাগছে না? কি করবেন, গিয়ে দাড়ান কাস্টমার সার্ভিসে, বাকি দায়িত্ব তাদের, মূল্য তো ফেরৎ দিবেই, পারলে কোলে বসিয়ে মাথায় হাতও বুলিয়ে দিবে। এখন যদি বলেই, ট্যাগ নেই, তাহলে তারা ফেরৎ নিবে কিভাবে? দোকানের ভেতর থেকে একই জিনিষ আরেকটা এনে আপনাকে সেটার ট্যাগ স্ক্যান করে তারপর মূল্য ফেরত দিবে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হয়, সেটা হল রসিদ। কারণ সেখানে লেখা থাকে কবে কিনেছেন, কত দিয়ে কিনেছেন। কোন কোন দোকানে রসিদ হারিয়ে ফেললে আপনার কেনার সময় ব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ড থেকে তারা তথ্য বের করে মূল্য ফেরত দিতে পারে। আবার সেটাও যদি না থাকে, তাহলে সর্বনিম্ন মূল্য ধরে আপনাকে টাকা ফেরৎ দিবে। আর বেশির ভাগ দোকানে সেই সব ঝামেলায় না গিয়ে টাকাটা নগদে ফেরৎ না দিয়ে গিফট কার্ডে ফেরৎ দেয়। আর ইলেক্ট্রনিক্স বাদে বাকি জিনিষের ফেরত দেবার সময়কাল ৯০ দিন, আগে এমন ছিল না, কিন্তু এই সুযোগের এমন বদব্যবহার শুরু হল যে তারা বাধ্য হয়ে এই মেয়াদ কমিয়ে ৯০ দিনে আনতে বাধ্য হল।
আমার এক বন্ধুর ইউনিতে এক বড় ভাইয়া একবার এক শার্ট কিনে ওয়াল্মার্ট থেকে, তারপর সেটা ১ বছর পরার পরে এক বন্ধুকে দিয়ে দেন, তিনি আবার সেটা পরিধান করেন প্রায় ১ বছরের মত, তারপর আবার প্রথম বন্ধুকে ফেরৎ দিয়ে দেন। তারপর সার্ট ফেরৎ পেয়ে তিনি আবার গিয়ে সেটা ওয়ালমার্টে গিয়ে ফেরৎ দিয়ে আসেন। তাহলে বুঝেন অবস্থা, সাধে কি ব্যাটারা মেয়াদ কমায় ৯০ দিন করেছে। আর আরেকটা জিনিষ নিয়ে পোলাপাইন এই কাজ করত সেটা হইল সাইকেল। গ্রীষ্মকাল ছাড়া এদেশে সাইকেল চালানো যায় না, তাই ৩ মাসের জন্যে ১০০ টাকা জামানত দিয়ে সাইকেল চালিয়ে ৩ মাস পরে সেটা ফেরৎ দিয়ে দেয়। আর এর বেশি সময় চলে গেলে, গিয়ে বলে, রসিদ হারিয়ে গেছে, নগদ টাকা না পেলেও অন্তত গিফট কার্ড তো মিলে!
আমি ওয়ালমার্টে কাজ করেছি ৬ মাসের মত, তখন যেভাবে রিটার্ন পলিসির অপব্যবহার দেখেছি যে কি বলব! এক লোক একবার ৩২" টিভির বাক্সে ২০" মনিটর ঢুকিয়ে ফেরৎ দিয়ে গেল, আর কাউন্টারে কেউ চেক করেনা, আসলে কার ঠ্যাকা লেগেছে, ঘণ্টা গেলে বেতন মিলে, খামোখা ঝামেলা করার দরকার কি? আমি ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগেই কাজ করতাম। মাঝে নিয়ম করল যে, কেউ ইলেক্ট্রনিক্স কিছু ফেরৎ দিতে আসলে আমাদের ডাকা হবে, আমরা দেখে তারপর হ্যাঁ বললে ফেরৎ নিবে।
আমার এরকম ডাক পড়ল, আমি গিয়ে দেখি এক দেশি ভায়া এসেছে হার্ড-ডিস্ক ফেরৎ দিতে। তখন ২০০৭ সাল, আমি গিয়ে তার আনা বাক্স খুলে দেখি ভিতরে ম্যাক্সটর, অথচ বাক্সে লেখা ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল। আমি মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে আরো আবিষ্কার করলাম, বাক্সে লেখা ৩২০ গিগাবাইট আর ভেতরে ১৭ গিগার হার্ড-ডিস্ক। আমি তখন নতুন, তাই ঘাড় ত্যাড়া কইরা কইলাম, এইটা ফেরৎ নেওয়া যাবে না, ভেতরের জিনিষ আর বাক্সের সিরিয়াল নাম্বারতো মিলে নাই। চোরের মায়ের বড় গলা কারে কয়, সেই ব্যাটা কয়, আমি কি জানি বাক্সের ভেতরে কি ছিল? আমি কিনেছি এইখান থেকে আর ভেতরে এইটা ছিল, আমি এইটা চাইনা এখন আর! আমি আবারো ঘাড় বাঁকা করে বললাম, কিন্তু হার্ড-ডিস্কের গায়ে লেখা ম্যানুফ্যাকচার্ড ইন ১৯৯৮। তখন এইখানে ওয়ালমার্টো ছিল না, এই দোকান হইছে ২০০৩ এ, এই মাল আমরা পাবো কই? সে বলে, তার আমি কি জানি, আমি এইটা নিব না। আমি বললাম, তা কিনেছ প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে, আজকে চোখে পড়ল সেইটা?
কোন ভাবেই ব্যাটা স্বীকার করবে না, তখন আমি কাস্টমার সার্ভিসে (সি-এস) বললাম, আমি জানি না, তুমি ম্যানেজারকে ডাকো, এই ঘটনা সম্ভব না। আমাকে এখানে না জড়াইলে আমি খুব একচোট হাসতাম, কিন্তু যখন সি-এস বলবে, সাইফ ব্যাটা এই জিনিষ ফেরৎ নিয়েছে, নিশ্চয় এই ব্যাটা ওর খুড়তুতো নাহয় মাসতুতো ভাই লাগে। পরে ম্যানেজার এসে ঐ লোকের হামকি ধামকি শুনে বলে, ঠিকাছে তোমাকে টাকা ফেরৎ দিব না, কিন্তু একই জিনিষ আরেকটা দিব, বাক্স খুলে দেখিয়ে দিব ভিতরে আসল জিনিষ আছে। আমি মনে মনে বললাম, এই ব্যাটা তো আবার আসবে, পরের বার আরো বড় কিছু কিনবে, তারপর মাঝখান থেকে আমি না চিপা গলিতে আটকা পড়ি।
তবে সবচেয়ে বিরক্তিকর ঘটনা ছিল এক কালো মহিলার সাথে। সে এসেছে তার অন্তর্বাস ফেরৎ দিতে, আমিও গেছি সি-এস এর কাছ থেকে ফেরৎ আসা ইলেক্ট্রনিক্সগুলো ফেরৎ নিতে। দেখি কাউন্টারের মেয়েটা কেমন কুকড়ে দূরে সরে গিয়ে নাক কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছে। সিনেমা জমে উঠেছে মনে করে কাছে গিয়ে দেখি ইয়া মোটা এক মহিলা কাউন্টারে ব্যবহৃত অন্তর্বাস রেখে দিয়েছে। আর তার মাঝে কিছু লেগে আছে, আমি সেটা দূর থেকেও দেখতে পাচ্ছি, নিরাপদ দুরত্বে থাকায় খালি গন্ধ পাচ্ছি না, সি-এস মেয়েটা ঈঙ্গিতে ফেরৎদাত্রীকে বলে, এটা নিয়ে গারবেজ কর, এটার টাকা দিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু এটা আমাকে না দেখালেও চলবে।
আমরা বন্ধুতে আগে লিখিনি, তাই জানি না, এই লেখাটা চলবে আরো কয়েক পর্ব, যদি আপনারা শুনতে চান!





আমি ভীষণ দিলে চোট পাইলাম আপনার লেখায়।
মানে শেষ প্যারার ফুটনোট টাইপ কথায়। ঐ টাইপ কথা যদি সব লেখার শেষে লাগান তাইলে আপনের লেইগা আমরা বন্ধু না...
কয়েক পর্ব চলুক তারপর বাকী কমেন্ট করনের প্রত্যাশায়...
ভদ্রলোক বাস্তবিকই ভদ্রলোক ভদ্রতা কইরা ফুটনোট লিখসে ; মন থিকা লিখে নাই আশা করি
এইডা কি কৈলেন? শুরুতেই তারে ভদ্রলোক বানাইয়া দিলেন? উনি কি ভদ্রলোক হৈতে রাজী?
মাসুমভাই কৈ?
এনারে মাসুমভাইয়ের লেখা পড়ার সুযোগ দেন, তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন উনি কি ভদ্রলোক হৈতে রাজী কিনা?
http://amrabondhu.com/masum/584
হে হে হে, এক্কেবারে ঠিক কইছেন গো জেবীন আপা, আপনে আবার ভাই নাতো? আমাগো এক বড় ভাই কাম আদু ভাই আছিলো, আমর আকইতাম জেবীন স্যার, উনি সব কথা শুরু করতেন 'ছোট ভাই' দিয়ে আর কথা বলার সময় জিহবা কিছুটা বের হয়ে আসত। খুব বোকা সোকা সহজ সরল মানুষ, দুঃখজনক ভাবে হাইজ্যাকার একবার তাকে ধইরা কান নামায়া দিছিল, একটুর জন্যে জান এ বেচে গেছিলেন
ফারজানা কে জিজ্ঞেস কইরেন, বিস্তারিত বলবে আমাদের ফকিন্নি ওরফে বিলকিস ওরফে বিল্লু!
ঠিক ধরছেন টুটুল ভাই, যারা আমার আগের মন্তব্য বা লেখা পড়েন নাই, তাগো লাইগা আমার খারাপই লাগতাছে, "খারাপ কথা, খারাপ মানুষ" এগুলার বেঞ্চমার্ক করতে আমারে অনেক কামে লাগবো
হে হে হে! ভদ্রতা আর আমি হইলাম ২ সতীন, মুখ দেখাদেখি বন্ধ, যা কইছি, সেরাম মনে করেই বলেছি, ভদ্রতা, লজ্জা, ভালো মানুষি, ভালো কথা এগুলারে আমি চিনিনা, যারা চিনে, তাদের খুব একটা চিনি না, চিনলেও ভালু পাই না! সুশীল সমাজ দেখলে কেমন যেন পেটের মাঝে গুড়গুড় আওয়াজ হয়।
আহারে! চোট পাইছেন? কোন খানে, দেখায়া দেন, একটু আদর কইরা দেই! অবশ্য আমার কাছে আদর পাইতে মনে হয় না আপনে খুব একটা আগ্রহী! তয় লাইসেন্স দিতাছেন, বুইঝা দিতাছেন তো?
আমি কোন জিনিষ কেনার সময় চেষ্টা করি ভালোমত দেখে কিনতে; একবার কিনতে আসছি আবার ফেরত দিতে আসতে পারবো না; অত তৈল নাই।
আপনার কাহিনী শুনে খারাপ লাগলো; মানুষ এভাবে সুযোগের অপব্যাবহার করে বলেই কোম্পানিগুলো কে পলিসি চেন্জ করতে হয়।
বিশ্বের সর্বত্র অন্তর্বাস অফেরত যোগ্য পন্য ঘোষনা করা উচিৎ
আপনার নিকটা খুব ভালো লাগল। আর অপব্যবহার তো সবকিছুরই হবে, তবে এত করে অপ্রয়জনীয় জিনিষ কিনে আটকে যেতে হয় না। আর অন্তর্বাস ফেরৎ নিতে অসুবিধা কি? শুধু প্যাকেট খোলা হলে তা আর ফেরৎ নেওয়া হবে না, এমন হলেই ভালো হয়
কয়েক দিন থাকেন... দেখেন... তাইলেই আম্রা বন্ধু হৈয়া যাইবেন
সাথে কিছু ফটুকও এডাইয়েন... আম্রা যারা বৈদেশ যাই নাই... এবং যাইতার্মুও না ... তারা এক্টু নয়ন জুড়াই ...
আড়ংয়ে এই কামডা করে আমাদের কিছু অভিনেত্রী
স্বাগতম জানাইয়া গেলাম
ধন্যবাদ টুটুল ভাই, আপনার সাথে আগে পরিচিয় হয় নাই, তবে বন্ধু হব খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। ফটুক এডামু, কুনু চিন্তা নাই, আর যাইতে পারবেন না মানে? দেখবেন, একদিন আইসা পড়ছেন, তারপর আমার মত সুখে থাকতে ভূতে কিলায় মার্কা সিরিজ লেখা শুরু করছেন।
আমরা বন্ধুতে স্বাগতম বন্ধু। এইখানে অযথা বিনয় দেখাইয়া লাভ নাই...লিখতে থাক হাত পা খুইলা। আমরা সবাই বন্ধু আমাগো এই বন্ধুর রাজত্বে
লেখা মুচমুচে হয়েছে। পরের পর্ব ছাড় জলদি ...
বিগ বস, আপনার হাত ধইরাই আমার ব্লগিং শুরু, আর আপনার হাত ধরেই এখানে পদার্পন, তবে এর মাঝেই আমার দুর্গন্ধ দেখি গিয়ে আপনার নাকে লেগে গেছে
, ছাইড়া দিমু পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি। সেইটাই দেখতেছি যে, এইখানে সবাই বন্ধু, হুদাই ত্যানা পেচানি নাই, এইখানে অনেক আনন্দে কাটবে সময়!
বলেন্কি!! আর আমরাতো রসিদ আর ওয়ারেন্টি কার্ড সহ গেলেও শালারা নতুন বউয়ের মতো গাঁইগুই করতে থাকে। কদিন আগে দুজন মিলে দুটো হার্ডডিস্ক কিনেছিলাম একই দোকান থেকে কিন্তু একদিনের ব্যবধানে দুটোই অক্কা পায়(ইন্না ...) এরপর ফেরত দিতে যখন নিয়ে গিয়েছি তখন কেনার সময়কার সেলসম্যানদের সেই মিষ্টি মুখ আর মিষ্টি বাক্যগুলোতে কোন মশলার গুণে যে এমন তিক্ত স্বাদ চলে এল আল্লা মালুম। অনেক বাকবিতন্ডা, দরকষাকষির পর তারা দুটো হার্ডডিস্কের বদলে একটা ফেরত দিতে রাজি হইল, এইটাই নাকি বেস্ট আর শেষ অফার!! ঐরকম একটা প্রতিস্ঠিত কম্পুর দোকান তিকা অন্তত এইরকম ছোটলোকি প্রত্যাশা করি নাই। অবশ্য ক্রেতারাও যে কম ছোটলোকির দৌড়ে কম যান না সেইটা তো আপনের লেখাতেই বুঝা গেল।
ফুটনোটে আবার এইটা কি লিখলেন, অবশ্যই লিখবেন যে যা-ই বলুক। স্মৃতিকথা সবসময়ই দৌড়াবে, সেই সাথে মাঝে সাঝে গুয়েন্দা গল্প হলে ক্ষতি কি?
গোয়েন্দা গপ্পের নামে আবজাব একটা শুরু করছিলাম, সেইটার বদ গন্ধ দেখি আপনেরাও পাইয়া গেছেন। বিয়াফক নইজ্জা পাইতেছি এখন। যাউকগা, ঐটা যেহেতু আরেকব্লগে, তাই সেইটা নিয়া বেহসি কথা কইয়া আপনাগো কানের পোকা বাইর করুম না।
হাতে গোনা কিছু জায়গায় খুব পেইন দেয় জিনিষ ফেরৎ দিতে গেলে, তাদের অন্যতম হইল বেস্ট-বাই আর সার্কিট সিটি। তাই সার্কিটসিটির ব্যবসা যখন চাঙ্গে উঠল তখন খুব দাঁত কেলাইছিলাম। তবে বেশির ভাগ জায়গা এমন না, তাই আমি কেনার সময় দাম এবং সেই সাথে রিটার্ন পলিসি চেক কইরা নেই। নাহইলে সিরিকাস সমস্যা। তবে আপনে নষ্ট হার্ড-ডিস্কটা ম্যানুফ্যাকচারের কাছে পাঠাইতে পারেন।
ক্রেতারা কি আর সাধে ছোটলোকি করে? এগো লগে পাইরা উঠতে না পাইরাই অনেকে ২ লম্বরি করে। তবে বেশির ভাগ লোক কিন্তু লজ্জা কাটায়া উইঠা ফেরৎ দিবে, সেই লজ্জাই কাটায়া উঠতে পারে না। আপনে কোন দোকান থিকে কিনেছিলেন হার্ড-ডিস্ক? কইলে আমি ২ লম্বরি বুদ্ধি দিতাম পারি
কেম্নে কী!
এইরাম নিয়ম আমাগো দেশেও সত্বর করা হউক।
হ, আরো বস্তারিত কমু বস ধীরে ধীরে, তয় আমাগো দেশেও এমন হইলে ভালু হইত
লেখাটা কুড়মুড় করে খেলাম। হাত পা খুলে লিখতে থাকেন, আমরাবন্ধুতে স্বাগতম।
গুরু, আপনে কইতাছেন, তাইলে কইলাম ঠাঙ খুইল্লা দৌড় দিমু
ওয়ালমার্টরে বলেন বাংলাদেশে একটা শাখা খুলতে। তাইলেই বুঝবে কতো ধানে কতো চাল।
যাহোক, এবিতে স্বাগতম। ফুটনোটের দরকার নাই। লিখতে থাকেন মন খুলে।
গুরু, আসলেও আমাগো দেশে রিটার্ন পলিসি খুলনের কাম, তারপর সব কোম্পানি কোপানি খাইয়া লূঙ্গি হাতে যে দৌড় দিব, আর কি কমু, দৃশ্যটা চিন্তা কইরাই হাসতে হাসতে শেষ হইয়া গেলাম। আর আমারে তুমি/ তুই কইরা কন বস, এই বেহায়া মনেও লজ্জা লাগে আপনার কাছে 'আপনে' শুনলে।
লেখা পইড়া হাস্তে হাস্তে খুন!! মজার স্মৃতিকথা সবসময়ই ভাল্লাগে।
আরো লেখেন, পড়ি, আর মজা পাই।
এবি'তে স্বাগতম। ফুটনোটটা না দিলে ভালো হইত।

আমরা সবাই বন্ধু এইখানে।
সচলায়তনের অনেকেই দেখি এখানে আছেন, বাহ! খুব ভালো লাগল আপনাকে এখানে পেয়ে। তবে, আমার কাছে আমরাবন্ধু সবসময়ই খুব ভালো লাগে, লেখা পড়ি কদাচিৎ মন্তব্য করি, তবে আরো নিয়মিত হয়ে উঠব।
সর্বোচ্চ কয়ডা বিস্কুট খাইয়া ফেরৎ দিলেও পূর্ন টাকা ফেরৎ পাওয়া যাবে? মানে, প্যাকেট খুইলা আধা প্যাকেট খাওয়ার পর্যদি বুঝতে পারি, বিস্কট ভালো লাগতাছে না, তখন? হৈতেও তো পারে, অনেক সময় বুঝতে সময় লাগেনা?
কোন সমস্যা নাই, এই সিরিজ যখন চলবে, তখন অনেক মজার কাহিনীই জানতে পারবেন, বিস্কুট তো তুচ্ছ ব্যাপার।
ফুট নোটের জন্যে সত্যিই দু:খিত, আজব কারনে অফিস থেকে কারো মন্তব্যের জবাব দিতে পারছি না, এটুকু লিখলাম সচলে গিয়ে, তারপর এসে পেস্ট করলাম, রাতে বাসায় ফিরে জবাব দিব সবাইকে, লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ, মনে হচ্ছে এখানে খুব মজা হবে
শাওন দেখি আমার মনের কথাটা বলে দিছে!!... মানে ২৪টা বিস্কিটের ১৮/১৯টা খাওনের পর যদি উপলব্ধি ঘটে যে টেষ্ট ভালো না, মানসম্মত না... তখন ফেরত কি জায়েজ??...
অফটপিকঃ আপনি বিএমসি'র ডাঃ তাহসিন? ফারজানা'র কাছ থেকে শুনেছিলাম আপনার কথা...
কোন সমস্যা নাই, আসলে ভেতরে বিস্কুট আছে কিনা তা কেউ দেখবে না, তাই নিশ্চিন্তে ফেরৎ দিতে পারবেন। আর কোন যুক্তি লাগবে না, ফেরৎ দিলে সোনামুখ করে নিয়ে নিবে। আর হ্যাঁ, আমি সেই পাপী বান্দা সাইফ। দেখা যাইতেছে আমার দুর্নাম অনেকদূর ছড়ায় গেছে, আমরা বন্ধুতে আসার আগে আমার সুনাম জানে সবাই, এইটা রীতিমত আতঙ্কের ব্যাপার।
আমেরিকা একটা কামেল দেশ। ইউরোপের রিটার্ন পলিসি খুবই খাইষ্টা। অত্যন্ত বদ খাইষ্টা। আহা আমেরিকা থাকলে কতো জামা কাপড় পড়তে পারতাম। আফসুস আর আফসুস।
স্বাগতম ভাইডি।
এইবার তো আমার মনডাই খ্রাপ কইরা দিলেন গো তনু আফা! আইসা পড়েন আমার কাছে, ৩ মাস থাকবেন, দুলাল ভাই আপনে আর মেঘলা মামনি মিল্লা ধুমায়া শপিং করবেন, কাপড় পড়বেন, ফেরৎ যাওনের সময় সব ফেরৎ দিয়া যাইয়েন
মজা পেলাম।
এবিতে পোস্টানো লেখা ফেরত নেয়া যায় না, কাজেই আপনাকে পোস্ট দিয়েই যেতে হবে
নুশেরাপু, ফেরৎ নিব কেন? বরং জ্বালায় অন্যরা পালায় না গেলে হয়
, এসেছি যখন, ধুমায়া লিখতে থাকব।
আর আগেও বলেছিলাম, আবারো বলি, অনিকেতদা আমার ৮ বছরের বড়, তাই আমাকে তুমি বল্লেও সম্ভবত বেশি হয়ে যাবে। তুই কইরে বললে ভালো লাগবে।
saif !!!! tui eikhaneo !!!! tor wall e kichu likhle kono awaj dish na beta ..ar eikhane boisha boisha rochona likhish !!! c c c
ঐ পাজি, বাংলাইয় লিখিস না কেন? অভ্র লোডা, অন্য কেউ হইলে ইংরেজিতে জবাব দেবার জন্যে রামধোলাই দিতাম। তোর জন্যে সাত খুন মাফ করা যায়। আমি এখানে আছি অনেক আগে থেকেই, কিন্তু লিখি নাই, সচলায়তন দিয়েই শুরু করেছিলাম, পরে মামুন ভাই আর নজুদার টানে এইখানে আইসা আকাশ বাতাস গান্ধা করতেছি।
খোমাখাতায় যাই কয়েকদিন পরপর, তাই কারো জবাব দেওয়া হয় না।প্রচন্ড অলস আমি, লিখিস না কেন? ঝটপট তোর প্রিয় দোলন আর রতনকে নিয়ে একটা লেখা দে।
চলুক।
কিছু জিনিষ ফেরত দেওয়া বাকি আছে, ওগুলা দেওয়া হইলেই সেই গফ করব।
আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে আপনি হচ্ছেন আমার একজন প্রিয় শিল্পীর(ভাতিজি কইতে ইচ্ছা হয়,যদি অনুমতি দেন) বাবা।
সেই কবে লিখছেন পোস্ট।এরপরের পর্বগুলো কই???????
মন্তব্য করুন