তোমার জন্য মিছেমিছি কাব্য লিখি না
মাঝে মাঝে ভাবি তোমায় কিছু উপহার পাঠাবো
না দামি ব্র্যান্ডেড কোন শার্ট কিংবা ঘড়ি নয়
ফরাসি পারফিউম বা ট্র্যান্ডি সানগ্লাসও নয়
খুব সাধারণ কিছু, খুব সাধারণ
ধরো রোজ গায়ে মাখি যে সাবানটা তার কিছু অংশ
কিংবা কিছুটা টুথপেষ্ট, বডিলোশন বা শ্যাম্পু
তা নইলে রোজ যে জ্যাম জেলি খাই
বোয়াম থেকে তুলে দিবো তাদের কিছুটা বা
আমার প্রিয় চকোলেটের বাক্স থেকে একমুঠো চকোলেট।
আমি এখন আর জানি না তোমার প্রিয় রঙ কোনটা
জানি না কোন গান এখন উতলা করে তোমায়
কোন বইটা পড়ে অনেক ভাবো তুমি
যেমন তুমিও জানো না আমার প্রিয় কবি কে এখন
কোন সিনেমা দেখে আমি হাঁপুস নয়নে কেঁদেছি
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গিয়ে আর ঘুম না এলে
বুক ব্যাথা করলে কি কি সব ভাবি।
একদিন দুজনের সব জানার প্রতিজ্ঞা ছিলো
পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও আমরা দুজনে দুজনার
ছোট থেকে ছোট দুঃখ, সামান্য থেকে সামান্য আনন্দ
একসাথে ভাগ করে নিবো, পাশে থাকবো।
যারা আমাদের জীবনে ঠিক তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়তো নয়
এই ধরো তোমার অফিসে পিওন কিংবা আমার বাড়ির দারোয়ান
তারা জানে তুমি এখন কোন ব্র্যান্ডের সিগারেট খাও আর কোন
বেকারীর কেক এখন আমার ভালো লাগে, শুধু আমরা দুজন বাদে
যেখানে যেখানে গেলে তোমার আমার কখনো দেখা হয়ে যেতে পারে
সে সমস্ত জায়গাগুলো আমি খুব সন্তর্পনে এড়িয়ে যাই
আমি জানি তুমিও যাও তাই আমাদের আর কখনো দেখা হয় না
অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নাম জীবন
আমরা তাই রোজ জীবন নিয়ে সামনে এগোই।
তারপরো কেনো যেনো মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
দীর্ঘ এই নীরবতাকে ভেঙে দিয়ে কিছু উপহার পাঠাতে।
কেমন আছো জানতে আর জানাতে ইচ্ছে করে।
********************************
কি করেছো আমার লেখা চিঠিগুলো
সেই আবেগ কাঁপা হৃদয়ের রক্ত মাখা চিঠিগুলো
কোথায় সেগুলো? অফিসের ড্রয়ারে নাকি ব্যাঙ্কের লকারে
নাকি পুড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিত করেছো নিজেকে।
নীল রঙা চিঠিগুলোতে ছিল সাধারণ কিছু শব্দ
যেগুলোর মানে আমরা দুজন বাদে কেউ জানে না।
বারবার পড়তে পড়তে অনেক চিঠিই মুখস্ত ছিলো আমাদের
আজ যখন কাউকে চিঠি চালাচালি করতে দেখি
ভাবি কোথায় হারিয়ে গেলো সেই সুগন্ধি অমূল্য চিঠি গুলো।
*******************
কেমন আছো, কি করছো? গান শুনছো?
নাকি হাঁটতে বেড়িয়োছো বন্ধুদের সাথে
অকারণ আড্ডা আর সিগ্রেট ফোঁকা?
অফিস করছো? নেটে আড্ডা দিচ্ছো?
আকাশের দিকে তাকিয়ে একলা সন্ধ্যায়
তারাদের মাঝে আমাকেই কি খুঁজে যাচ্ছো
মন খারাপ করা বৃষ্টি ঝরা নির্জন পথে হেঁটে
যেতে যেতে আমার কথাই কি ভেবে যাচ্ছো?
নির্মলেন্দুর কবিতার মাঝে তুমি আমায় পাও
প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতগুলো তুমি আমার জন্য গাও
আমরা কোথাও নেই কিন্তু আমরা আছি
কখনো দূরে আবার নিঃশ্বাসের কাছাকাছি
তানবীরা
২৫.০১.২০১১
উৎসর্গঃ পৃথিবীর সব দেবদাস আর কৃষ্ণকলিদেরকে
কি লিখছেন বস্! মাথা তো পুরা আউলায় গেল। কি অসাধারণ!
' কি লিখছেন বস্! মাথা তো পুরা আউলায় গেল। কি অসাধারণ!' (কপিরাইট মীর)
আপনেরা দুইজন দেখি উত্তম কুমার, বারি খাইলেই মাথা আউলায়। আবার বারি দেন মগজ জায়গামতো এসে যাবে, খিকজ
গানের জন্য ব্যাপক ধইন্যা গো বইন( ধনেপাতার ইমু দিতে পারি না কেনু!)। আর লোপামুদ্রা গান ভালা পাই। শুভেচ্ছা থাকলো।
গানটা আমার মাথায় শোনা অব্ধি ২৪ ঘন্টা বাজতেছে বাতিদা। এটার একটা মেল ভার্সন আছে আনিন্দ্য'র গাওয়া। কিন্তু আমার এটা বেশি মনে ধরেছে।
ধন্যবাদ ধনেপাতার জন্য।
কবিতা পড়ে কোনদিন দেখা না হওয়া, প্রেমে না পড়া প্রেমিকার জন্য মনটা কেমন জানি উৎলিয়ে উঠল! নাহ, ছ্যাকা খাওয়াটাও দারুন ব্যাপার, উদাস হওয়ার একটা দারুন অজুহাত!
কবিতা খুবই ভাল হয়েছে, আমি কঠিন কবিতা বুঝিনা, এরকম ঝরঝরে-টাইপ কবিতাই পড়ে মজা পাই। থ্যাংকু!
দাদা, এটা কি প্রশংসা নাকি সুশীলভাবে বোকা বলা
বুঝিয়ে দেন
না, দিদি এটা অন্তরস্থল থেকে প্রশংসাবাণী। উত্তরাধুনিক কোবতে আছে না কিছু? ওসবের কোথায় শুরু কোথায় শেষ সেটা বুঝিনা। সেসবের সাথে তুলনা করে বলছি আর কি! তবে আপনার প্রশংসা ভাল না লাগলে ফেরৎ দেন, অন্য কাউরে প্রশংসা করব!
দিয়ে ফেরত নিতে হয় না দাদাভাই
আহ ক্যাপ্টেন!
হাই মেজর
ব্যাঙ্কের লকারে চিঠি রাখার আইডিয়াতো ইউনিক!
কবিতায় চরম লাইক।
একটা দিন আমার কথা ভেবে তুমি সিগ্রেট ছুড়ে ফেলতে পারো না?
-নাহ পারি না!
একটি দিন আমার কথা ভেবে তুমি সিগ্রেট সহ্য করে নিতে পারো না?
-নাহ পারি না!
.............................
ধুর তোমাদের দিয়ে নিঃশর্ত প্রেম হবে না!
প্রেম কখনো নিঃশর্ত হয় না। ইশ্বর প্রেম ও না
কি করেছো আমার লেখা চিঠিগুলো
সেই আবেগ কাঁপা হৃদয়ের রক্ত মাখা চিঠিগুলো
কোথায় সেগুলো? অফিসের ড্রয়ারে নাকি ব্যাঙ্কের লকারে
লাইনগুলা পৈড়া আমার অনেক আগে লেখা কিছু লাইনের কথা মনে আসলো।
তবুও
আমি থাকবোনা জানি একদিন এই স্থূল দেহে;
তখন সূক্ষ্ণ জ্যোতির্ময় অবয়বে
ঘুরবো কিনা এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে
তা আমার জানা নেই।
অথবা বিলীন হয়ে যাবো কিনা অনন্ত চেতনায়
তাও আমার জানা নেই।
তবে এইটুকু জানি,
আমার এই সব কবিতারা থাকবে।
হয়তো ধূলো জমবে কয়েক প্রস্থ পান্ডুলিপির ’পরে,
বহুদিনের স্যাঁতসেঁতে স্মৃতির মত পড়ে থাকবে নিঝুম ভাঁড়ার ঘরে।
অথবা কোন এক নারীর গোপন চিলেকোঠায়,
নিষিদ্ধ শব্দাবলীর মত
কিম্বা সযত্ন অবহেলায়।
মুকুল, তুমি এখন যে লিখো না, সেটা আমাদের সাথে তোমার প্রতারনা, স্রেফ প্রতারনা
মুকুলের কবিতা দেখে আমারও চিঠি বিষয়ক পুরনো কবিতা দিতে ইচ্ছে করলো
বলেছি, 'চিঠি লিখো'-জানলায় বসে
ঋদ্ধ হতে হতে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে
থাকা নয়
নির্ভেজাল বলেছি, 'অবশ্যই লিখবে চিঠি'।
মারাত্মক মধ্যরাতে নির্ঘুম রাতজাগা,
ছ'তলার উন্নাসিক বাতাসের সাথে যুদ্ধ করতে থাকা
কিঙবা টবের ঐতিহাসিক ক্রিসেনথিমামের সাথে
গল্প করতে করতে একটা লম্বা চিঠি।
অথবা সান্ধ্য আসরে তেপায়া টেবিল নিয়ে বসে
ফুরফুরে মেজাজে দিনের চৌত্রিশতম সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে
জনি ওয়াকারের গ্লাসের ঠিক মধ্যিখানে
বুদ্বুদ ওঠাতে ওঠাতে লিখে ফেলো একটা ফ্লোরাইড টুথপেস্টের মত
স্নিগ্ধ চিঠি।
তুমি বলেছ লিখবে। না লিখলে
বৃষ্টি হবে কেন, সাইবেরিয়া থেকে কেন
উড়ে আসবে অচেনা
বালিহাস। তুমি আমার গা ছুঁয়ে বলেছিলে লিখবে।
চিঠির প্রতিত্তরের ভাষাও পরিস্কার ঠিক করে রেখেছি
গতজীবনের কাছে চাওয়া ছিল অনেক
স্বপ্নের কাছে চাওয়া ছিল অনেক
প্রত্যাশার মেঘ রঙ মেলেছিল একআকাশ সমান লম্বা...............
অথচ আজ সময় আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গেছে
জজসাহেবের বাড়ি
হেরে যেতে যেতে সময়ের পাঁচিল ধরে ফেলতে ফেলতে চলে যাচ্ছে
প্রহরী সময়। দ্রুত হাতে রচনা করে যাচ্ছি
গত জীবনের কবিতাগুলো।
প্রায় অনেক দিন হয়ে গেল
অপেক্ষায় অপেক্ষায়
ধুসর থেকে ধুসরতর হয়ে গেছে আমার শরীর
এখনো ফুল ফোটে, পাখি ডাকে
পূবদিক ছিন্নভিন্ন করে সূর্য ওঠে প্রতিদিন
ভোরবেলা সবার অজান্তে টুপ করে ঝরে পড়ে শিউলি ফুলও।
তবু তোমার চিঠির অপেক্ষা করে করে যাই
যদি বাতাস বলে আছি
নীল আকাশ বলে আছি
পাহাড়ের ঘাস বলে আছি
বাগান মাঠ পৃথিবী বলে আমরা আছি
তাহলে আমি বিষণ্নতা ঝেড়ে ফেলে
অপেক্ষা করে যাব তোমার চিঠির।
জীবনে কেউ প্রেমের চিঠি দিলো না।
ফাটাফাটি হইছে লেখা।
মারাত্বক লাইনগুলো
লিখিনি তোমায় নিয়ে কবিতা কভু
রচিনি গানের কলি আঁকিনি ছবি,
হৃদয়ের একান্ত গোপন কোঠরে
যত কথা যত ব্যথা ঘুম পাড়িয়েছি ।
লিখিনি তোমায় নিয়ে কবিতা কভু
রচিনি গানের কলি আঁকিনি ছবি,
হৃদয়ের একান্ত গোপন কোঠরে
যত কথা যত ব্যথা ঘুম পাড়িয়েছি ।
পৃথিবীর সব দেবদাসদের জন্য! বাঁচলাম, আমি দেবদাস না! ফাটাবাস!
কবিতা পড়ে গভীর ভাবের ইমো দিতে চেয়েছিলাম , পাইলাম না ।
গভীর একটা ধন্যবাদ দিতে চাইলাম, পারলাম না
তারপরো কেনো যেনো মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
দীর্ঘ এই নীরবতাকে ভেঙে দিয়ে কিছু উপহার পাঠাতে।
কেমন আছো জানতে আর জানাতে ইচ্ছে করে।
--- কথা সত্য!!...
দারুন হইছে
থ্যাঙ্কু আপুমনি
তানবীরাপু বেশ কিছু লাইন ভাল লাগল। ধন্যবাদ
ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগলো ধন্যবাদ
তাতাপু রক্স।
তুমিও রক্স জয়িতা
বাহ্ বাহ্!
আহা, আহা!!
আদাব আর সে জী
হাফ সেঞ্চুরি আপ।
অসাধারণ একটা কবিতা। আজকাল ব্লগে সমৃদ্ধ সমৃদ্ধ অনেক লেখাই পাওয়া যায়। সাহিত্যচর্চার চমৎকার একটা মাধ্যম হয়ে উঠেছে এটা। হয়তো বই আজীবনই থাকবে, কেননা সেটা একটা চিরসবুজ বিষয়। কিন্তু পাশাপাশি ব্লগও একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেবে একদিন।
"আমি এখন আর জানি না তোমার প্রিয় রঙ কোনটা
জানি না কোন গান এখন উতলা করে তোমায়
কোন বইটা পড়ে অনেক ভাবো তুমি
যেমন তুমিও জানো না আমার প্রিয় কবি কে এখন
কোন সিনেমা দেখে আমি হাঁপুস নয়নে কেঁদেছি
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গিয়ে আর ঘুম না এলে
বুক ব্যাথা করলে কি কি সব ভাবি।"
খুব ভাল লাগল এই লাইন কয়টা
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও সম্মানিতবোধ করছি
' কি লিখছেন বস্! মাথা তো পুরা আউলায় গেল। কি অসাধারণ!' (কপিরাইট মীর)
' কি লিখছেন বস্! মাথা তো পুরা আউলায় গেল। কি অসাধারণ!' (কপিরাইট মীর)
চমৎকার ।
আগে কেন পড়িনি?
মন্তব্য করুন