আত্মকথাঃ পারিবারিক ছবি।
পারিবারিক ছবি তোলা সহজ নয়। এ থাকলে ও থাকে না। সবাইকে এক করা গেলেও দেখা গেল ক্যামেরায় ব্যাটারী নেই! এমনো হয়, সার্টার পড়ে না। আবার সবাই চলে গেলে ক্যামেরা ঠিক, অটোমেটিক! পরিবার একটু বড় হলে তো কথাই নেই - সাত মন ঘি যোগাড় করা সহজ, রাধা পাওয়া কঠিন।
আমাদের পরিবারের অবস্থাও তাই। আমার প্রচেষ্টায় দুইবার আমরা এক সাথে ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হতে পেরেছিলাম। একবার সাদা কালো যুগে (১৯৮৪) আর অন্যবার রঙ্গীন যুগে (১৯৯৮)।
১৯৮৪ সালে।
১৯৯৮ সালে।
এ জন্মে আর এমন ছবি তোলা আমার পক্ষে সম্বব নয়। বাবা চলে গেছেন অজানা দেশে। আর চার ভাই বোন চার শহরে। মা থাকেন আমাদের মাঝে, কয়দিন এ শহর, কয়দিন গ্রামে! এ শহরে ভাল না লাগলে অন্য শহরে। তিনি এখন আছেন - ইটালীতে, ছোট বোনের কাছে।
জীবন বড় রহস্যময়!
(ইদানিং ব্লগে অনেক লিখা লিখি। প্রায় প্রতিদিন ২/৩ টা তো হবেই। আমরা বন্ধু আমার প্রথম পছন্দ, কিন্তু এখানে একটা লিখা থাকি থাকে! হা হা ।। তাই এটা প্রথম পাতায় দেয়া হয় নাই। অন্য একটি ব্লগে প্রকাশ করে এখানে নিজ পাতায় রাখলাম। তবে এ দুটি ছবি আমার প্রিয় ছবি। এ দুটি ছবি নিয়ে আরো বড় কিছু লিখব।)
আপনার অল্প লেখা কিন্তু ছবি দুটো দেখে অনেকক্ষন লাগলো এটার পড়া শেষ করতে।
ঠিক বলেছেন "জীবন বড় রহস্যময়"। আর একটা রহস্যের গিঁট খুলতে গিয়ে আরেকটা রহস্যের আমদানী হয়।হয়তো একদিন কিছু রহস্যের কারন উদঘাটন করার আগেই চলে যেতে হবে অজানার দেশে।
অটঃ লেখাটা প্রথম পাতায় কেন দেন নি?
রাসেল আশরাফ কাকা, আপনার ব্লগ পড়া আমাকে আনন্দিত করে। আপনারা ব্লগ গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েন, যা আমরা সময়ের অভাবে পারি না। আপনার জন্য শুভ কামনা সব সময়।
হা, এমন ছবি তোলা সত্যি কষ্টকর। জীবনে এমন সুযোগ কমই আসে।
সত্যিই, জীবন বড় রহস্যময় !
হুদা ভাই, আপনার পরিবারের এমন একটা ছবি চাই।
মনে পড়ছে না এমন ছবি আছে কিনা । আর থাকলেও তা ব্লগে দিতে পারতাম না । জীবন শুধু রহস্যময়ই নয়, বিষাদময়ও ।
ওহ!
অসাধারণ মূহুর্ত। আমার পরিবারের এমন একটি ছবি এখানে। কেন্ডিট মোমোন্টটা দিলাম। সবাই গম্ভীর হয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে, সেটার তুলনায় কেন্ডিট শর্টটাই আমার ভাল লাগে।
বকলম ভাই, আপনার ছবি গুলো দেখে এলাম। সুন্দর। আপনার পরিবারের জন্য শভ কামনা রইল।
মন্তব্য করুন