পাখিদের দুঃখ সুখ
আচ্ছা, পাখিদের কি কোন সুখ দুঃখ আছে?
পাখিদের কি করে জীবন কাটে?
কোথায় পাখিরা রাত কাটায়,
পাখিদের সঙ্গী কি হারিয়ে যায়?
সামান্য মলিমালন্যে পাখিদের সঙ্গী কি কর্কশ হয়ে উঠে!
আমি সারাদিন আমাদের খোলা বারান্দায় বসে,
পাখিদের ঊড়ে যাওয়া দেখি, বিশেষ করে সকাল বিকাল সন্ধ্যায়,
সকালে পাখি গুলো উড়ে দক্ষিন থেকে উত্তরে যায়,
আবার গৌধুলীর আগে উত্তর থেকে দক্ষিনে,
পাখি গুলো কেন প্রতিদিন এমন করছে!
পাখিদের শৃঙ্খলিত জীবন আমাকে অবাক করে।
দুরের আকাশে কি করে এত নিয়ম মেনে একসাথে ঊড়ে
আজ পর্যন্ত পাখিতে পাখিতে আকাশে কোন সংঘর্ষের খবর পেয়েছেন!
না, আমি আমার পাখি দেখা বহু বছরেও এমন দেখি নাই
গতকাল বিকেলেও যে পাখি গুলো উত্তর থেকে দক্ষিনে যাচ্ছিলো
সেখানেও আমার চোখ পড়েছে!
প্রকারভেদে পাখি অনেক প্রকারের হলেও,
নিজ বর্ণে পাখিদের মাঝে তেমন কোন ফারাক নেই!
এরা একে অপরকে চিনে কি করে,
একই গোত্রে সংগী ঠিকানায় রাখে কি করে!
আহ, যদি পাখিদের সাথে কথা বলতে পারতাম!
এদের কার্য গুলো জেনে মানুষ্য সমাজে প্রকাশ করতে পারতাম!
পাখিদের যে বিষয় আমাকে সাহস যোগায় ভাবায়,
সেটা পাখিদের মায়াভরা তীক্ষ্ণ চোখ,
দেখুন ওই ঈগলটা কি করে এত উপর থেকে চোখে দেখে,
নিচে নেমে আসছে, কি নিখুঁত!
শালিকের চোখের রঙ দেখেছেন,
কি অসাধারন সৌন্দর্য মন্ডিত!
আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয়,
পাখিদের অবসর কাটে কি করে।
খাবারের যোগাড় হয়ে গেলে,
কেন বসে ঠোঁট দিয়ে শরীর চুল্কায়!
সারা রাত কি করে কাটায়,
ঝড় বৃষ্টিতে কোথায় পালিয়ে থাকে!
এমনি আরো কত কি, জানতে ইচ্ছা হয়!
আজকাল,
পাখিদের সুখ দুঃখ নিয়ে আমার খুব চিন্তা হয়!
(মালিবাগ, ১০ই আগষ্ট ২০২০ইং)
আমার মনে হয় পাখিদের সুখ-দু:খ আছে। একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-র লনে শুয়ে-বসে আলসেমি করতে করতে দুইটা চড়ুই পাখিকে খুব একজন-আরেকজনের সাথে ঝগড়া করতে দেখেছিলাম। একটা পাখি আরেকটা দিকে তাকিয়ে পাখা নাড়িয়ে নাড়িয়ে তারস্বরে চেঁচাচ্ছিল। আর অন্য পাখিটা উদাস নয়নে আকাশপানে তাকিয়ে বসে ছিল একটা কার্নিশের ওপর। মাঝে মাঝে আকাশ থেকে চোখ ফিরিয়ে নিজের পালকে ঠোঁট দিয়ে কি যেন কিছুক্ষণ খুঁটে খুঁটে আবার আকাশের দিকে তাকায়। দেখে আমার মনে হচ্ছিল-
বাজার থেকে কিছু একটা আনতে ভুলে যাওয়ার জন্য কোনো এক স্ত্রী-চড়ুই তার স্বামীকে খুব করে বকছে। আর স্বামী চিরাচরিত নিয়ম মেনে সেসবে খুব একটা গা করছে না।
হা হা হা, আপনার দেখার চোখ আছে।
মন্তব্য করুন