পুলিশের ‘ভালোবাসা’ এবং একজন গিয়াস আহমেদ
বলা হয়ে থাকে পুলিশ ‘জনগণের বন্ধু’। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটি আষাঢ়ে গল্পের মতো শুনায়। এদেশে পুলিশ যার বন্ধু তার আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না। পুলিশ এমন এক কথিত ‘বন্ধু’, যে বন্ধুকে কেউ বাসায় নিমন্ত্রণ করে না। কখনো অযাচিত ভাবে পুলিশ যদি কারো বাসায় ঢুকে পড়ে ; অমঙ্গল আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। প্রবাদ আছে, বাঘে ছুঁলে এক ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে আঠারো ঘা। বন্ধুর চেয়ে পুলিশকে মানুষ মূর্ত মান আতঙ্ক বলেই মনে করে। কোন অপরাধে কিংবা বিনা অপরাধেও এদেশে পুলিশ যে কোন সময় যে কাউকে ধরে নিয়ে যেতে পারে। আর একবার পুলিশের ‘হেফাজতে’ গেলে কেউ যে সুস্থ শরীরে ফিরে আসবে কিংবা আদৌ ফিরবে কিনা, এ নিশ্চয়তা অন্তত এদেশে নেই।
একজন গিয়াস আহমেদ। বিশিষ্ট সিনিয়র সাংবাদিক। মিডিয়া জগতে খুবই পরিচিত মুখ। ভোরের কাগজ, প্রথম আলো, যায় যায় দিন, একুশে টিভি হয়ে এখন তিনি দেশ টিভির নিউজ এডিটর। তিনি 'আমার বন্ধু' রও একজন নিবন্ধিত সদস্য। গিয়াস ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় এক যুগেরও বেশী। কর্মজীবনের শুরুতে (১৯৯৭) তিনি ছিলেন ভোরের কাগজে । তখন ভোরের কাগজের সংগে ‘মেলা’ নামের একটি সাপ্লিমেন্টারি বের হতো। মেলা সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন প্রয়াত: গায়ক-সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরী । মেলা’র জন্যই বাসায় ভোরের কাগজ রাখা শুরু করলাম। ভোরের কাগজে শুধু পাঠকদের জন্য একটি পাতা ছিল ‘পাঠক ফোরাম”। পাঠক ফোরামের দায়িত্বে ছিলেন গিয়াস আহমেদ। পাঠক ফোরাম বের হতো মঙ্গলবার। সে সময় সারা দেশ জুড়েই খুব জনপ্রিয় ছিল পাঠক ফোরাম।
আমার অনেক পুরোনো বন্ধু পাঠক ফোরামে লিখতেন । তাই আমিও পাঠক ফোরামের সদস্য হলাম। এভাবেই গিয়াস ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। আজকের অনেক স্বনামধন্য ব্লগার তখন পাঠক ফোরামে লিখতেন এবং ফোরামের কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। অন্য-ব্লগের নাম না বলি, এই ‘আমরা বন্ধু’তেই রয়েছেন পাঠক ফোরামের বন্ধু নুশেরা তাজরিন, লীনা দিলরুবা, মমিনুল ইসলাম লিটন, রশিদা আফরোজ, মাইনুল এইচ সিরাজী এবং মেসবাহ য়াযাদ। মেসবাহ য়াযাদের ভাই রেজা য়ারিফ এবং বোন সুলতানা শিপলুও পাঠক ফোরামে ছিলেন। তাছাড়া কালের কণ্ঠের আরিফ জেবতিক, জনপ্রিয় লেখক সুমন্ত আসলাম, পাপড়ি রহমান-পাঠক ফোরামের এই নাম গুলোকে এখন কে না চেনে !
গিয়াস ভাই ভোরের কাগজ ছেড়ে ১৯৯৮-এর নভেম্বরে এসে যোগ দেন প্রথম আলোতে। এখানে এসে তিনি নতুন একটি সংগঠন সৃষ্টি করেন, বন্ধুসভা। গিয়াস ভাইয়ের ব্যক্তিত্বের আকর্ষণে আমরাও পাঠক ফোরাম ছেড়ে চলে আসি বন্ধুসভায়। গিয়াস ভাইয়ের যোগ্য পরিচালনায় খুব অল্পদিনের মধ্যে বন্ধুসভাও একটি জনপ্রিয় সংগঠন হিসাবে দাঁড়িয়ে যায়। আজ গিয়াস ভাই বন্ধু সভায় নেই, কিন্তু তার প্রতিষ্ঠিত বন্ধুসভা এখনো আছে।
গিয়াস ভাইকে যারা চেনেন ,অত্যন্ত সজ্জন, বন্ধুবৎসল এই মানুষটি সম্পর্কে তাদেরকে নতুন করে বলার কিছু নেই। যারা চেনেন না তাদেরই শুধু বলছি, গিয়াস ভাই এমন একজন মানুষ যার ব্যক্তিত্বের আকর্ষণ এড়ানো খুব কঠিন। এই মানুষটির সান্নিধ্যে যেই যাবে, সেই বাধা পড়বে অদৃশ্য এক বন্ধনে। আড্ডাপ্রিয়, সদালাপী ব্যক্তিত্ব গিয়াস ভাইয়ের বন্ধু-সংখ্যা অপ্রতুল। সাংবাদিকতার জগত ছাড়াও পাঠক ফোরাম এবং বন্ধুসভার কল্যাণে দেশজুড়ে রয়েছে তার অসংখ্য বন্ধু এবং শুভানুধ্যায়ী। কিন্তু...তাঁর কোন শত্রু আছে কিনা আমার অন্তত জানা নেই। এই ধরনের নিরহংকার,সজ্জন মানুষেরা সাধারণত অজাতশত্রু ই হোন।
অত্যন্ত ভালো মানুষ এই গিয়াস ভাইকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রকাশ্য রাজপথে পুলিশ অত্যন্ত নির্মম ভাবে লাঠিপেটা করলো। তাঁর অপরাধ সার্ক ফোয়ারার কাছে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা যানজটে আঁটকে থাকার পর অধৈর্য হয়ে তিনি কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কাছে যানজটের কারণ জানতে চেয়েছিলেন। বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ সার্জেন্ট সহ তিন-চার জন ট্রাফিক পুলিশ এবং তাদের ‘তোলা’ উঠানো দালাল চক্র বিপুল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ে শান্ত নির্বিরোধী গিয়াস আহমেদের ওপর। গিয়াস ভাই তার পেশাগত পরিচয় দিয়েও রেহাই পায়নি; বরং সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর পুলিশ নাকি আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে । সেদিন আসলে কি ঘটেছিল, তাঁর নিজের জবানীতে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক গুলোতে ক্লিক করুন।
BANGLADESH: Police enjoy impunity for torturing a journalist — Asian Human Rights Commission http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=wyigt05luIo http://www.youtube.com/watch?v=wyigt05luIo&feature=related মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, 'সাংবাদিক পেটালে কিছু হয়না'?।http://jugantor.us/enews/issue/2011/02/19/news0397.php :: কালের কণ্ঠ :: মুক্তধারা :: পুলিশ বন্ধু না হোক, শত্রু যেন না হয়
www.kalerkantho.com
১৪ ফেব্রুয়ারি । দিনটি ছিল ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ ভালোবাসা দিবসে পুলিশের 'ভালোবাসা'র ছোঁয়ায় গুরুতর আহত হয়ে সেদিন গিয়াস আহমেদকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। পুলিশ শুধু তাকে নির্মমভাবে মেরেই ক্ষান্ত হয়নি, তেজগাঁও থানায় নিয়ে কয়েক ঘণ্টা হাজতে আটকে পর্যন্ত রেখেছিল। যদ্দুর জানি গিয়াস ভাইয়ের ওপর পুলিশের এই অমানবিক নির্যাতনের ঘটনার আজও কোন সুরাহা হয়নি। দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচার হবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সে সম্ভাবনাও কম। এই দেশে নাকি সাংবাদিক পেটালে কিছু হয়না (এটাও পুলিশেরই বক্তব্য)।
গিয়াস ভাইয়ের দুইটি ফুটফুটে কন্যা শিশু আছে। আমি ভাবছি সেই নিষ্পাপ কন্যাদ্বয়ের মানসিক অবস্থার কথা। সন্তানের কাছে সবচে কষ্টের ব্যাপার হলো তার পিতার অবমাননা প্রত্যক্ষ করা। পুলিশী নির্যাতনে মারাত্মকভাবে আহত গিয়াস ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত চেহারা ওদের কচি মনে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তা সহজে কাটিয়ে ওঠা মুশকিল। এই শিশু দ্বয় পুলিশের প্রতি যে প্রচণ্ড আতঙ্ক আর ঘৃণা নিয়ে বড় হবে, তা সারা জীবনেও দূর হবে কিনা কে জানে! পরিশেষে প্রার্থনা করি গিয়াস ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক ।
কিছুই বলার নাই।আজ গিয়াস ভাই মার খেয়েছেন কাল আমি আপনি যে কেও খেতে পারি বন্ধুর তরফ থেকে বন্ধুর জন্য উপহার।এই আর কি।
আমার জানা মতে গিয়াস ভাই এই ব্লগের একজন সদস্য।উনার প্রতি এইরকম আচরনে তীব্র প্রতিবাদ জানায় গেলাম।
হা রাসেল আশরাফ, গিয়াস ভাই এই ব্লগের একজন সদস্য-এই তথ্য আমিও জানতাম, খুব সম্ভবত তিনি এখানে 'বন্ধু' নিকে নিবন্ধিত, আমি ঠিক শিওর নই।
গিয়াস ভাইয়ের জন্য শুভকামনা।
পাঠক ফোরাম বের হতো মঙ্গলবারে। মেলা সোমবারে।
আপনি ঠিকই বলেছেন সিরাজী, স্মৃতি সব সময় আমার সঙ্গে প্রতারণা করে।
খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক ।
একজন গিয়াস আহমেদ নিরাপদ না, কোন মানুষই এদেশে নিরাপদ না ।
গিয়াস আহমেদ এর সঙ্গে আমার পরিচয় নেই । পাঠক ফোরাম কিংবা গিয়াস ভাই থাকাকালীন বন্ধুসভাতেও আমি লিখিনি । তবু, এই মানুষটার প্রতি আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আছে । সামু ব্লগের প্রথম দিকে আমি দেখেছি, বিভিন্ন পরিচিতজনদের ব্লগে তিনি কতো আন্তরিকতায় মন্তব্য দিতেন ।
নির্ভেজাল সরলতা যে মানুষগুলো ধারণ করেন, তাঁদের জন্য আমাদের কিছু করবার আছে । আমরাবন্ধুরও করবার আছে । আমরা কি একদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে নীরব প্রতিবাদ করতে পারি ? আমরা কি একটা মানববন্ধন করতে পারি ?
শিপন, আপনার প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যুক্তি সংগত। যেহেতু গিয়াস ভাই এই ব্লগের একজন সদস্য, তাই তাঁর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করাটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এ ব্যপারে আমি 'আমারা বন্ধু' কর্তৃপক্ষ এবং সিনিয়র ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সেই পাঠক ফোরাম থেকেই গিয়াস ভাইকে চিনি। তারপর বন্ধুসভা। অত্যন্ত আন্তরিক যে মানুষটি একদিন বন্ধুতা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলাদেশে তাঁর প্রতি পুলিশের এই অন্যায় আচরনের তীব্র নিন্দা জানাই। আব্দুর রাজ্জাক শিপনের সাথে আমিও একমত, এই অন্যায়ের প্রতিবাদে আমাদেরও কিছু করা উচিত।
তানিয়া, এবিতে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আশা করি আপনার নিয়মিত উপস্থিতি 'আমরা বন্ধু'কে আরো সমৃদ্ধ করবে।
ভোরের কাগজ আমলের শুরু থেকেই গিয়াস ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুতা... এতো চমৎকার একজন সাদামাটা নির্বিরোধী মানুষ তিনি, এই যুগে যা কল্পনা করাই মুশকিল।
সেদিনই ঘটনাটি শুনি, বাকরুদ্ধ হয়ে গেছিলাম। প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিলো। কিন্তু কিছুই করার নাই যেন, কেউ কিছু করতে পারলো না। প্রচণ্ড হতাশা কাজ করে
ধন্যবাদ পোস্টটা দেওয়ার জন্য
নজরুল ভাই, আপনারা যারা সিনিয়র ব্লগার আছেন , আব্দুর রাজ্জাক শিপনের প্রস্তাব সম্পর্কে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রত্যাশা করছি।
অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা।
গিয়াসভাইয়ের মতো চমৎকার মানুষ এযুগে বিরল। খুব কষ্ট হচ্ছে জেনে।
কালের কন্ঠে খবরটা পড়ে আমিও বেকুব বনে গিয়েছিলাম! পুলিশের সাথে আমি কথা বলি না প্রায় ৮/৯ বছর হয়ে যাবে। আশা করছি এ জনমে আর কথা না বলে পার পেয়ে যাব।
আমি বিদেশ থেকে এসে সবে মাত্র বেক্সিমকো'তে কাজ শুরু করেছি। একদিন সন্ধ্যায় মালিবাগের মোড় থেকে পুলিশ আমাকে আটক করে! অহেতুক জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আমাকে ২ ঘণ্টা আটকে রাখে। পুরা ঘটনা লিখলে একটা উপন্যাস হয়ে যাবে!
সেই দিনের 'তওবা' আজীবন ধরে রাখতে চাই।
উদরাজী, তুমি একটু কষ্ট কইরা 'উপন্যাসটা' লেখা শুরু কর এবং এবিতে পর্যায়ক্রমে দিতে থাক। পুলিশের কুকর্মের ফিরিস্তি জাইনা আমরা অন্তত সাবধান হ্ইতে পারুম। পুলিশ এবং জামাত থেইকা আমিও দূরে থাকার চেষ্টা করি।
কিছুই বলার নাই রে ভাই
...গিয়াস ভাই দ্রুত সেরে উঠুন, শুভকামনা।
মন্তব্যের জন্য....
প্রিয় গিয়াস ভাই পুলিশের নির্মম এবং কদর্য আক্রমণের শিকার হয়েছেন শুনে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের অনেকেরই গুরু গিয়াস ভাইর উপর যে অন্যায় হলো তার বিচার চাই।
ঈশান ভাই, গিয়াস ভাই প্রথম আলোর জন্মলগ্নেই এর সাথী ছিলেন, সেটি সম্ভবত ১৯৯৮ সাল।
লীনা, প্রথম আলো কি ৯৮ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে ? আমি ঠিক শিওর না।
হুম, ৯৮ তে।
Prothom Alo was founded on 4 November 1998. As at January 2009, it had an average circulation of 435,000.[1]
সূত্র: উইকি
http://en.wikipedia.org/wiki/Prothom_Alo
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ লীনা, আমি তারিখটা সংশোধন করে দিয়েছি।
ভালোবাসা দিবসের ভাল উপহার পুলিশী অনাচার! ঈশানকে অনেক ধন্যবাদ আবেগময় সুন্দর একটি সহমর্মিতাপূর্ণ পোস্টের জন্য। আবদুর রাজ্জাক শিপনের প্রস্তাবটি 'আমরা বন্ধু' গ্রহণ করলে একজন গিয়াস আহমেদ, একজন বিশিষ্ট সিনিয়র সাংবাদিক, একজন বন্ধু বৎসল মানুষের প্রতি কিছুটা দায়িত্ব পালন করা হবে বলে মনে করি।
নাজমুল ভাই, আপনার সংগে আমিও একমত।
আইজিপির কার্যালয়ে কর্মরত দুজন পরিচিতের মাধ্যমে বিষয়টি আইজি মহোদয়কে ব্যক্তিগতভাবে জানানোর চেষ্টা করলাম। জানি না এ পোড়া দেশে কোন ফল হবে কিনা।
বন্ধুরা, একটু বোধহয় সুখবর দিতে পারছি। ঘটনাটি তদন্ত করেছেন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক; সম্প্রতি বদলিও হয়ে গেছেন) জনাব সেলিম জাহাঙ্গীর। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং শুরু হয়েছে; শাস্তি প্রস্তাব করা হয়েছে বরখাস্তকরণ এবং দূরবর্তী প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি।
নুশেরাবুর দেয়া সংবাদটিতে খানিকটা স্বস্তি পাচ্ছি ।
আপডেট জানাবার অনুরোধ থাকলো ।
নুশেরা, আপনার কাছ থেকে একটি ইতিবাচক সংবাদ পেয়ে আশ্বস্ত হলাম। আমরা সবাই ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত এবং ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।
পুলিশ মানুষ হতে চায় না, হতে দেয়াও হয় না। ভালোবাসা পাবার বদলে ঘৃনাই পায়, অথচ ভালোবাসাই প্রাপ্য ছিলো।
পুলিশকে চালায় যে রাজনীতিবিদেরা ওরাই আসলে মানুষ না। কিছুদিন আগে আমি আমাদের এলাকার একটি অনুষ্ঠানের ব্যপারে পুলিশকে অবহিত করার জন্য থানায় যাই, গিয়ে দেখি আমাদের ওয়ার্ড পর্যায়ের কিছু ছ্যাঁচড়া রাজনীতিবিদ ওসির রুমে বসে আছে। আমার সঙ্গী এক বড় ভাই বললেন, ওরা থানায় বসে ওসিকে ডিকটেশন দেয়, কাকে ধরবে, কাকে ছাড়বে। নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে মাল পানি কামানোই ওদের ধান্ধা। পুলিশ এবং রাজনীতিবিদেরা একে অন্যের কুকর্মের সহযোগী হয়ে কাজ করছে এদেশে। 'পুলিশের ভালোবাসা প্রাপ্য ছিল'...সুমন, কথাটি আপনি কোন আঙ্গিক থেকে বললেন বুঝলাম না। সাধারন মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য পুলিশ করেছে, এমন একটি ভালো কাজের উদারহণ দিন প্লিজ। আপনাকে ধন্যবাদ।
পুলিশকে চালায় যে রাজনীতিবিদেরা ওরাই আসলে মানুষ না। কিছুদিন আগে আমি আমাদের এলাকার একটি অনুষ্ঠানের ব্যপারে পুলিশকে অবহিত করার জন্য থানায় যাই, গিয়ে দেখি আমাদের ওয়ার্ড পর্যায়ের কিছু ছ্যাঁচড়া রাজনীতিবিদ ওসির রুমে বসে আছে। আমার সঙ্গী এক বড় ভাই বললেন, ওরা থানায় বসে ওসিকে ডিকটেশন দেয়, কাকে ধরবে, কাকে ছাড়বে। নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে মাল পানি কামানোই ওদের ধান্ধা। পুলিশ এবং রাজনীতিবিদেরা একে অন্যের কুকর্মের সহযোগী হয়ে কাজ করছে এদেশে। 'পুলিশের ভালোবাসা প্রাপ্য ছিল'...সুমন, কথাটি আপনি কোন আঙ্গিক থেকে বললেন বুঝলাম না। সাধারন মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য পুলিশ করেছে, এমন একটি ভালো কাজের উদারহণ দিন প্লিজ। আপনাকে ধন্যবাদ।
কাউকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানাই
কাউকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানাই
কাউকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানা।
কাউকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানাই।
কাউকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানাই।
কাউকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানাই।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সুষ্ঠু বিচার হোক।শুভকামনা গিয়াস ভাই এর জন্য।
আপনাকে....
কিছুই বলার নাই।আজ গিয়াস ভাই মার খেয়েছেন কাল আমি আপনি যে কেও খেতে পারি বন্ধুর তরফ থেকে বন্ধুর জন্য উপহার।এই আর কি।
আমার জানা মতে গিয়াস ভাই এই ব্লগের একজন সদস্য।উনার প্রতি এইরকম আচরনে তীব্র প্রতিবাদ জানায় গেলাম।
আমি পাঠক ফোরাম বা বন্ধুসভা কোনটারই সদস্য ছিলাম না বা এখনো নেই
ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
আমরা দুঃখ গুলো বুঝি না, নিজেদের ব্যস্ততা আমাদের'কে তা বুঝতে দেয়না। বুঝি কেবল তখনি যখন তা নিজের উপর দিয়ে যায়। নিজেকে এমন পরিস্থিতে ভাবতেও গাঁ শিঊরে উঠছে।
আল্লাহ না করুক, এমন দিন যেন কারো জীবনে আর দেখতে না হয়।
গিয়াস ভাই এর জন্য শুভকামনা। সুষ্ঠ বিচার হোক।
মন্তব্য করুন