শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাঝে
শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাঝে ঝুলে আছে পৃথিবী। সব চাইতে বেশি এই শব্দটির ব্যবহার নারীদের পেছনেই হয়। নারীরাই সব অশ্লীলতার প্রতীক। যৌন আবেদন এর জন্য নারী, ভোগ্য পন্যের বিজ্ঞাপনে নারী, বোনের প্রতি ভালোবাসায় নারী, মমতাময়ী মা এর ভূমিকায় নারী। হয়তো অবাক হচ্ছেন অনেকেই, মা এর কথাটা এত পরে আনলাম কেন ? কারন মা আজ বিক্রি হচ্ছে পদে পদে। মা তার সংসার চালায়, মেয়ে তার বাবার সংসার চালায়। বউ তার নিজের সংসার চালায়। এই এত চালানোর মাঝে জীবন এগিয়ে গেছে। সমাজ এগিয়ে গেছে। বোরকা পরা নারীদের পাশে আজ চলছে বিশ্বব্যাপী নতুন ফ্যাশন । প্রতিদিন নতুন নতুন ড্রেস আসছে বিশ্ব বাজারে। যেগুলোর ফ্যাশন শো হয় আবার সেগুলো আমরা গনমাধ্যমে প্রকাশ করি। এর মাঝে প্রশ্ন আসে শ্লীলতার.. কোনটাকে শ্লীলতা বলে, কাপড়ের ধরন কে ? নাকি চোখের বা কামনার সংযম কে ? কথাগুলো খুব খারাপ ভাবে লেখা হচ্ছে । সেই জন্য অনেকেই আমাকে ভাবতে পারেন আমি তসলিমা নাসরিন এর উত্তরসূরী হতে যাচ্ছি কিনা ? না। আমি ফ্যাক্ট বলছি। একটা নারী কি পরবে ? বোরকা ? তাহলে পেছন থেকে কমেন্ট আসবে, “ওই দেখ দেখ নিনজা যায়” “বোরকার তলে শয়তান থাকে”। সেলোয়ার কামিজ পরলে কমেন্ট আসবে “ ওড়না টান দেন” আর একটু টাইট কামিজ পরলে শব্দ হবে, “ উফ্ কি সাইজ” শাড়ী পরলে কমেন্ট আসবে, “ ওই কোমরটা কত রে ?” “আহ পিঠ টা যা না …!” এবার আসি প্যান্ট শার্ট এ.. তাহলে তো কোন কথাই নাই “ উফ মাম্মা মালটা যা হট না !!!” “ সাইজ টা তো জোস” । আর কোন হিজড়া কে দেখে কিছু ছেলেরা যখন বলে “ আয় যাইবি নাকি ?” এই সব কমেন্ট শোনে নাই এমন নারী বর্তমানে কমই আছে বোধহয়। তাহলে কোথায় গেল সেই মা ? কোথায় গেল সেই ভালাবাসার বন্ধনের ছোট বোন ? এটাকে ইভ টিজিং বলা হয়। কিন্তু একবারও কি সেই পুরুষগুলো ভাবে, যদি হঠাৎ করে মেয়েরা তাদের মত হয়ে যায় ? মেয়েদেরও তো কামনা আছে । একটি ছেলে প্যান্টের ভেতরের অন্তর্বাস যখন অর্ধেকের বেশি বের করে হাটে, আর তখন যদি একটি মেয়ে কমেন্ট করে “ওই প্যান্ট ওঠা” তখন পুরুষের কেমন লাগবে ? আর কোন ভালো কাপড় পড়া ছেলেকে দেখে একটা মেয়ে যদি বলে ‘ আহ, কুউউল…..” তখন বার বার এই শব্দটি শুনতে কেমন লাগবে সেই পুরুষটির ? আর প্রাকৃতিক কাজের জন্য যখন ছেলেরা রাস্তাটাকে টয়লেট বানিয়ে দেয়, আর তখন যদি মেয়েটা এসে তাকে বলে বসে, “রাস্তা প্রস্রাব করার যায়গা ?” একটা ছেলে যখন শর্ট প্যান্ট অথবা স্যান্ডো গেন্জি অথবা খালি গায়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তখন কি একটি মেয়ের মনে হতে পারে না ছেলেটা শালীন কাপড় পরে নি । এবং মেয়েটা যদি চোখ দিয়ে তাকে কামনা করে অথবা যদি বলে “যাইবি নাকি”? তখন পুরুষ জাতীর কি শ্লীলতা হানি হবে ? কিন্তু নারীরা এই অশালীন বিষয় গুলো দেখেও কোন ধরনের কমেন্ট করে না, কারন জন্মগত ভাবেই তারা মায়ের জাতী। আর মেয়েদের কে যারা এভাবে প্রতিনিয়ত অশ্লীলতার প্রতীমা বানায় তারাও আমাদের পরম পূজারীয় পিতার জাতী। একটা পুরুষ যখন বুঝতে পারে নারী অশ্লীল তখন মনে প্রশ্ন জাগে, অশ্লীলতা কিভাবে বোঝা যায় ? তার মানে কি তিনি নারীর প্রতি কামনায় আসক্ত হয়েছেন ? একটা পুরুষের ভোগের জন্যই আজ নারীরা পতিতা। কিন্তু কতজন পুরূষ বেশ্যার কাছে প্রতি রাতে যায় একজন নারী ? জানি না এই প্রশ্নের উত্তর কোথায় । আমি নারী স্বাধীনতার কথা বলি না। আমি সমাজের তথাকথিত কিছু পুরুষদের মানষিক শ্লীলতা কামনা করি। অনুরোধ করি আপনাদের, একটু সংযমি হোন, নিজেদের আর কে অশ্লীল বানাবেন না।
যে সকল পুরুষেরা এমন কমেন্ট করে
তাদের কি আপনার কাছে কখনও মানুষ বলে মনে হয়? কিছু ফাউল মেন্টালিটির অসভ্য জানোয়ার দিয়ে সবার বিচার করাটা কি ঠিক?
তবে মেয়েরা এইসব কিছুই করে না তাও ঠিক না। সময় আর সুযোগের অভাবে সত্ থাকাটাই কি সততা?
স্থান কাল বিবেচনা করে পোষাক পড়লে এ বিতর্কের কোন অবকাশ থাকে না। আর ইভ টিজিংয়ের কথা বলছেন, সেটার সংখ্যা সমাজে খুবীই নগণ্য। আর মায়ের কথা আপনি আগে লেখেন বা পড়ে লিখনে তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। একজন মেয়েকে মা ডাক শুনতে হলে ৬টি বছর সীমাহীন কষ্ট করতে হয়। তাই মায়ের স্থান মায়ের জায়গাতেই।
সুনদর বলেছেন
এ বিতর্ক শুধু বাংলাদেশেই কেন হয় বলতে পারেন? বাংলাদেশিরা যখন বিদেশ থাকে তখন তাদের কোন সমস্যা হয় না!!!!
কোন সমাজে এটা খুবই নগণ্য, যেখানে মেয়েরা টপাটপ আতমহত্যা করছে!!!!
আমাদের সমাজে কিছু পুরুষ বেশ্যা আছে, তাদের জন্য এই দুর্দশা আমাদের। তাই আমাদের উচিৎ ওই সব পুরুষ বেশ্যাদের দেখামাত্র পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া। তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।
ভাল লিখেছেন
ধন্যবাদ..
মন্তব্য করুন