আমার যত সব বদমায়েসি।
তখন আমি ক্লাস থ্রি তে কি ফোরে পড়ি আমার বড় মামা আমাদের বাড়ী বেড়াতে এসেছেন। মামা কোনো একটা কিছু বলে আমাকে রাগাতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমি মামাকে সায়েস্তা করার জন্য হাতে শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নিয়ে যাই মামার চোখে ডলে দেয়ার জন্য। কিন্তু কখন যে আমি চোখ চুলকানোর জন্য চোখে হাত দিয়েছি আমি নিজেও জানি না। এবং য়থারিতী যা হবার তাই হলো। মামার বদলে আমার চোখ জ্বলতে শুরু করলো। পরে আমি ঘুমানোর আগ মামা আমাকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। বার বার চোখে ঠান্ডা পানি দিতে থাকেন।
এর বছর খানিক পরের ঘটনা। নানা আমাদের বাসায় আসেন ডাক্তার দেখাতে। তো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর নানার হার্টের প্রবলেম ধরা পড়ে। ডাক্তার নানাকে সিগারেট খাইতে মানা করেন। নানা বাসায় এসে বলে ডক্তার ব্যাটা কি যানে। ওই ব্যাটা নিজেই সিগারেট খায় আর আমারে মানা করে। তো নানা তার ধূম্র সলাকাপান চালিয়ে যেতে থাকেন। আমি একদিন নানার একটা সিগারেটের ভিতরে কিছুটা গুড়া মরিচ ঢুকিয়ে দেই। নানা ওই সিগারেট টা টানতে গিয়ে মরিচ বিপত্তিতে পড়েন। তবে এই কাজটা করার পরে নানা কিছুদিন সিগারেট খাওয়া বাদ দেন।
মুরগী চুরি করে পিকনিক করেন নি এমন লোক পাওয়া দূরহ। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল চলার সময় আমরা পাড়ার কয়েকজন মিলে ঠিক করি মুরগী চুরি করে রাতে পিকনিক করবো। সবাই চাল মসলা দিবে আর মুরগী চুরি করে রান্না করা হবে। সেদিন সকালে একটা আমি নাটোরে খালার বাসায় যাই। সন্ধ্যার সময় বাড়ী ফিরে আসার কথা ছিলো। কিন্তু ফিরতে ফিরতে রাত ৮ টা বেজে যায়। বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে মাঠে হাজির হয়ে যাই। সেখেনেই আমাদের রান্না হবে। গিয়ে দেখি সব কিছুই রেডি। আমি আর আমার এক বন্ধু রেজা রান্না শুরু করে দেই। যথারীতি রান্না শেষে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় চলে আসি। সকালে চাচীর চিল্লাচিল্লিতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তার চিল্লানোর কারন তার বড় মোরোগটা কাল থেকে সন্ধ্যা থেকে বাড়ী ফেরেনি। আর সব দোষ আমার ঘাড়ে এসে পড়ে। আমরা যানতাম না কার মুরগী কোরবানী দিয়েছি । পরে আম্মুর হাতে কি পরিমানে ধোলাই খেয়েছি তা আর বললাম না।
আজ এ পর্যন্তই। আপনাদের ভালো লাগলে আমার আরও বদমায়েসি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। হ্যাপি আড্ডাবাজি।
লেখা আড্ডাবাজির মতো হইছে; মানে ভালো হইছে। আমার প্রিয় বিষয় হলোঃ আড্ডা।

ছুডু পুলাপাইন মুরুব্বীদের সামনে হুক্কা খায়!

আমার বন্ধুতে স্বাগতম।

বিয়াপুক
একবার রাতের বেলা মুহসীন হলের এক্সটেনশনের ছাদে বসে আছি সবগুলা মিলে। যথারীতি মৌতাত চলতেসে পুরাদমে। হঠাৎ মাঠের দিক থেকে ভাইসা আসলো ম্যা-অ্যা-অ্যা। আরি ব্বাবা, এ কি শুনলাম? রাত আড়াইটার সময় মাঠের মধ্য থেকে খাসির ডাক? দুদ্দাড় সবগুলা পাঁচ মিনিটের মধ্যে নিচে। গিয়ে দেখি সত্যি আনাম একটা খাসি মাঠের মধ্যে চইড়া বেড়াইতেসে মনের সুখে।
ওইরাত্রে বেচারা শহীদ হওয়ার লিগা কেমনে মুহসীন হলের মাঠেই আইসা নাজিল হইসিলো পরে আর খোঁজ নেয়া হয় নাই। হলে বিরাট এক ফিস্টের আয়োজন করা হইলো। খালেকরে (কেন্টিন ম্যানেজার) বাড়ি থেকে ডাইকা আনলাম। ব্যটা তুমি একটা হলের কেন্টিন চালাও, থাকবা ২৪ ঘন্টা কেন্টিনে! তুমি গিয়া বাড়িত হুয়া থাকলে চলে?
আপনার পোস্ট পইড়া বিদিক মজা পাইসি দিখা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম জনাব গিটারিস্ট। মাইন্ডায়েন্না কিন্তুক। আপনারে এবি'তে
ছাগু খাইয়া ফেলছেন।
ছাগু খাওন ভালা।

সোয়াবের কাম।
আপনারটা তো আরও মজার।

এখানে ইমোগুলা চমতকার!!

মীর ভাই,
সুযোগ পেলে ছাগু শহীদ কইরা খান আর বাগে পেলে ছাগুদের গাইল্লান । এইটা কিরাম জোক্স ! তয় সেরাম অভি জ্ঞতা এ অভাগার ও আছে ভাইয়া । তা স্বীকারিলাম ।
কয়া ফালান।

@ ৬ টি তার-
মজার বইলেন না
পুলাপানরে ফ্রি খাসির মাংস খাওয়াইতে গিয়া সেদিন হইসিলো আরেক বিপদ। বন্ধু মিজ আইসা কয়- অই, মাংস খামু পানি কই? আমি পানি ছাড়া মাংস খাইয়া জুইত পাই না।
মিজ হইলো বন্ধুমানুষ। সে যদি একটা কাজ করে 'জুইত' না পায়, তাইলে আমরা যারা বন্ধু তাদের তো হলের চারতলা থেকে দুইতলার ছাদে লাফ দেয়া উচিত। না মরলেও যাতে দুই-একটা ঠ্যাং অন্তত ভাঙ্গে।
তার জুইতের খোঁজে আমি আর সার্জেন্ট মিল্যা বাইর হইলাম। বিশ্বাস করবেন না, রাইত তখন বাজে চারটা। ঢাকা ক্লাবের এক মামুরে ( মামুর নামটা এইখানে চাইপা গেলাম ) বিশ-পঁচিশবার ফোন দেয়ার পর সে ধরলো। যদিও ক্লাব মোটামুটি সারারাতই জমজমাট থাকে। কিন্তু আমাগো সোর্সের সেইদিন ছিলো অফডিউটি।
তারপর; ভোরবেলা বাইরে যখন আযান চলতেসে, আমাদের রুমে তখন চলতেসে স্মিনর্ফের বোতল। ছ্যাকাখোর একদল বন্ধুবান্ধব ছিলো আমার। সবগুলা মিলে পিসি'তে রিপিট দিয়া চালায় রাখলো, আমার রাতজাগা তারা, তোমার অন্যপাড়ায় বাড়ি...
এখানেও যদি শেষ হইতো, তো হইসিলোই। বেঁচে যেতাম। আবার এক ঝামেলা ক্রিয়েট হইলো পরের দিন। ঘটনার আদ্যোপান্ত রসালো বিবরণ শুনে গ্রুপের মেয়েগুলা সব ক্ষেপে বোম। শুধু বোম না, আর্জেস গ্রেনেড একেকটা। কিন্তু টেকনিক্যালি আমাদের তো দোষ নাই। যুক্তি দিলাম- রাত্রেবেলা তুমরা বাইরে আসতে পারলেও, আমাদের রুমে তো যাইতে পারতা না। কিন্তু বেটিগুলা এই যুক্তি মানে না!
এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে না পাইরা আবার দিলাম ওই ঢাকাক্লাবি মামুরে ফোন। আবার চইচই, হইহই রইরই! ক্যম্পাসের ওইসব দিনগুলান আছিলো আমার জীবনের সেরা সময়
তা ভাইজান গিটার বাজানো ছাড়া আপনে আর কি কি করেন বলেন তো শুনি।
এখন খাইদাই ঘুইরা বেড়াই আর আড্ডামারি।
্এ বি তে সুস্বাগতম।ব্যাপক মজার হইছে পুষ্ট। ভালা থাইকেন, সবসময় লেইখেন।
থেংকু.....
ব্যাপক মজার পোস্ট, তয় ছাগু খাওনের ইতিহাস আরও আছে !

প্রতি বছর ডিসেম্বরে গ্রামে বেড়াতে যাওয়া ছিল আমাদের নিয়ম বাঁধা। আমরা কাজিনরা চার পাঁচ জন আর গ্রামে আমাদের সমবয়সী এক মামা, সবগুলো বাঁদর এক হলে যা হয় আর কি ! এক বিকালে খালের পাড়ে বসে আছি, দেখি খালের ওপাড়ে এক নাদুস নুদুস খাসী বাবাজী মনের সুখে ছোলা ভোজন করছে, তো আমার মামুজানের চোখ যেহেতু ওটার উপর পড়েছে, আর কি রক্ষা আছে ! রাতে যথারীতি নদীর চরে ছাগুটির ভবলীলা সাঙ্গ করে স্কুল ঘরে সবাই মিলে ভুড়ি ভোজন সারলাম!
সকালে উঠে দেখি খালের ওপাড়ের হাওলাদার বাড়ির একটি দল আমার রাশভারী নানাজীর দরবারে হাজির ! আমার গুণধর মামু ঘটনা আচ করে তো পগার পাড়! পরে অবশ্য সেই খাসীর দাম পরিশোধ হয় নানাজীর গোলা থেকে চুরি করা ধানের মূল্য দিয়েই।
আর সেই হাওলাদারই এখন আমার মামুজীর শ্রদ্ধ্যেয় শ্বশুর!!
ভালো হইছে পুষ্ট। লেখা সাথে বদমায়েশী অব্যাহট থাকুক!
এখানে তো দেখি চরম আড্ডা চলতাছে!!

মজারু। লেখা চলুক।
এবি তে সুস্বাগত।
মজা পেয়েছি। আরো দ্যান
মন্তব্য করুন