স্বপ্ন
গত পরশু রাতের ঘট্না। আম্মা স্বপ্নে দেখলেন, আমার পিতা আসছেন দেখা করতে। উনি হজ্জ্বে যাবেন। আমাকেও সাথে নিতে চান। হজ্জ্ব করতে যাওয়া মুসলমানের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। স্বপ্নে আম্মার খুশি হওয়ারই কথা। কিন্তু আম্মা খুশি হন না।
স্বপ্নে যদিও জীবিত মানুষ হিসেবেই আসেন আব্বা। কিন্তু আম্মার অবচেতন মনে কু-ডাক ডেকে উঠে। মৃত মানুষ তাঁর সন্তানকে সাথে নিতে চাওয়া হয়তো কোন বিশেষ ইঙ্গিত বহন করে! তাঁর মন বাধা দেয়। "না, আমার ছোট ছেলেকে আপনার সাথে যেতে দিবো না। আপনি একাই যান।", আম্মা স্বপ্নে আব্বার উদ্দেশ্যে বলে উঠেন। আব্বা চলে যান।
স্বপ্নকে কুসংস্কার বলি আর যাই বলি না কেন, পোস্টটা পড়ে গায়ে কাঁটা দিলো। খালাম্মা কেমন আছেন?
নিরাপদে থাকো, ভালো থাকো।
আম্মা ভালৈ আছে। তবে আমি দূরে গেলে দূর্বল হয়ে যান। বান্দরবানে যে কয়েকদিন ছিলাম, উনি কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন। এখন ভালো।
স্বপ্নের কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই, তবে মায়ের অবচেতন মন সন্তানের জন্য সবসময় চিন্তিত থাকে। ছোট জনের জন্য তো আলাদা চিন্তা। বাড়ী ফিরে মাকে জড়িয়ে ধরে চিন্তামুক্ত রাখুন।
নিরাপদে থাকুন, ভালো থাকুন ।
চুপচাপ পড়ে গেলাম। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
স্বপ্নের সন্তোষজনক কোন ব্যাখ্যা কেউই দিতে পারেনি । স্বপ্ন - স্বপ্নই ! তবুও এমন স্বপ্নে আতঙ্কিত হয় সবাই, অহেতুক জেনেও । শুভ কামনা ।
অনেকদিন পরে লিখলা, তাও এরকম একটা লেখা ? দুর মিয়া, এইসব কথা শুইনা ডরাইও না। মা'র মনতো ! মাতো ডরাইবোই... মা'কে নিয়ে ভাল থেকো সবসময়
হুমম
মন্তব্য করার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি ডরাই নাই। আম্মা তো উনারে তাড়ায়া দিছে। এখন কোন ভয় নাই।
ছোট্ট লেখা কিন্তু তার ছুঁয়ে যাওয়ার বহর দেখে আভিভূত হলাম।
ঘটনা যাই হোক, আপনি তুলে এনেছেন দারুণভাবে।
এবার একটা বড় লেখা দেন মুকুল ভাই।
না বস। আমি বড় লেখা লিখতে পারি না। আমিতো আপনাদের মত লেখক না। কিছু পদ্য লিখছিলাম এক সময়। ওই টুকুই সম্বল।
রীতিমতো পদ্য লিখেছেন, অথচ বিনয় কাকুর মতো দাবি করছেন লেখক না
সে পদ্যগুলো এখন কোথাও কি অবস্থায় আছে? আর নতুন পদ্য দিলেও কিন্তু অধম কৃতজ্ঞ হয়।
ওইগুলা আমার "জাল ছেঁড়া নদী" কাব্যগ্রন্থে আছে। সামুর লিঙ্কে গেলে কমেন্টস সহ পড়া যাবে। আর আমার ব্যক্তিগত ব্লগেও আছে।
সামুর লিঙ্ক
ব্যক্তিগত ব্লগের লিঙ্ক
নতুন পদ্য আসে না। বই প্রকাশের পর লেখাও বন্ধ করে দিয়েছি। আর লিখবো ও না আশা করি।
বাহ্, দারুণ! বই কই পাওয়া যাবে জানান দেন।
বইমেলায় প্রকাশক ভাষাচিত্র এর স্টলে পাওয়া যাওয়ার কথা! খোঁজ করে দেখতে পারেন।
মুকুল অভিমান কইরা কবিতা লিখে না, এত এত কবিতা লিখলো একটা মাইয়াও আইসা কইলো না
আমার শরীরে একটা কবিতা লিখে দাও কবি,
আমি আগামি একজন্ম এ কবিতা মুছবো না।
একটা হাত নাইলে একটা টিস্যু আগায়া দিয়াও যদি কইতো একটা অটোগ্রাফীপ্লিজ, তাইলেই মুকুল কবিতা লিখে ফেলতো ১০ ১২টা,
শালার আইজকালের মাইয়াদের হৃদয় স্টিলের তৈরি,
আমার শরীরে একটা কবিতা লিখে দাও কবি,
আমি আগামি একজন্ম এ কবিতা মুছবো না।
ফাটাফাটি! আপনে মিয়া একটা জিনিস! কবিতা লিখেন না কেন? আপনার "বিনিময় করবো না স্মৃতি" আমার প্রিয় কবিতার তালিকায় আছে। পুরাই মুখস্ত। নতুন কবিতা ছাড়েন এবার।
শালার আইজকালের মাইয়াদের হৃদয় স্টিলের তৈরি,
হ। একমত।
ভালো থাকো মুকুল। স্বপ্ন নিয়ে ভেবো না। কবিতা লেখো তো!
স্বপ্ন নিয়া ভাবতেছি না তো! পরে যাতে ভুলে না যাই, তাই লিখা রাখছি।
মুকুল কয়দিন আগে আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। আমার ছোটবোন স্বপ্ন দেখে আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি, ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্যে। আমি জিজ্ঞেস করি, আমি কি মরে গেলাম স্বপ্নে, কিছু বলে না।
বাস্তব হলো স্বপ্ন দেখার পর এখন তিন মাস, আমি আছি এখনো, সো খালাম্মাকে বলো নো ওয়ারিজ এট অল, খারাপ মানুষরা এতো দ্রুত যায় না, সবার হাড় মাস কালি করে দিয়ে যায়
কীবোর্ড ঝাড়পোছ করছো দেখে ভাল লাগলো
খারাপ মানুষরা এতো দ্রুত যায় না, সবার হাড় মাস কালি করে দিয়ে যায়
কথা সত্য। সেটাই তো ভয়ের কারণ। আমিতো লোক বড় ভালো।
স্বপ্ন নিয়ে ভাববেন না। সব কিছু ভালো হোক। কবিতায় ফিরে আসুন
হু ম ম। ধন্যবাদ। আশা করি ভালো আছেন।
মন্তব্য করুন