Romantic কোবতে, কবিতা আর গবিতা।
একটা রোমান্টিক কোবতে লিখলাম। বাফড়া সেটার উরাধুরা বাংলা করছে, যেটাকে আমরা গবিতা বলি। আপনারা তার গবিতার রহস্য জানেন, সে কি বিরাট কামেল লোক সেইটাও জানেন। আমি আর না কই, তই তার গবিতা আমার আসল কোবতের চেয়ে অনেক বেশি ফাটাফাটি, এহন আমারটা পইড়া নিরামিশ মনে হচ্ছে।
আর জেব্রিল সেটার একটা কাব্যিক অনুবাদ করছে, সেটা তো পুরা ফিদা করে দেওয়ার মত! আমি যদি ইরাম কাব্যি বাংলায় করতে পারতাম, তাহলে পুরা দুনিয়ার বাংলাভাষী ললনারা আমার উপর তব্দা খাইত! আহা! কি সুস্বাদু, মনে হয় খালি পড়তেই থাকি।
প্রথমে আমারটা থাকবে, সেটা হইল গিয়া এপিটাইজার - এপিটাইজার খাইয়া কোবতের জন্য ক্ষিধে লাগলে আসল জিনিসে হাত দিবেন, সেইটা হল অন্ট্রে, জেব্রিলের লেখা। সবশেষে বাফড়ার ঝাকানাকা ডেজার্ট, ডেজার্ট খাইয়া ঢেকুর তুইলা আলহামদুলিল্লাহ কইয়া শান্ত হইয়া যাইবেন।
আমি কোবতের কোন নাম দিইনাই, কারন কবি (শেকসপিয়ার) কয়েছেন,
"What's in a name? That which we call a rose
By any other name would smell as sweet."
তো নেন, এপিটাইজার!
( "/" মানে লাইন শেষ। নতুন লাইন শুরু।)
Had literature been my realm, dear, /
I would have coined poetries of flawless grandeur and everlasting splendor,/
Each stanza a tribute to one of your ethereal qualities and timeless elegance;/
And each night I would have recited them to you, with loving bewilderment in my eyes!/
Had romance been my passion, dear,/
I would have reigned over your heart, defying time-space bound,/
Like the tragic Romeo, humming your praises by dawn, unto dusk and till death./
Million lives I would have laid down only to save yours./
Had music been my forte, sweetheart,/
Time and again I would have been born as Tansen,/
And for time immemorial, sung love-song to you, synching to your grace,/
Or if you would rather like, Beethoven and Mozart would have followed suit./
Had I but been an architect like Lahauri,/
Tajmahals would have mushroomed the world,/
Each dedicated to a moment of your pearl-like smile/
Or like Sinan, I would have built many a shrine to symbolize your youthful beauty./
My example would have been the supreme,/
My lovelorn heart would have been the epitome of passion,/
All damsels in the world would have lost sleep over me,/
But I would have been slave to your loving glance, even if once every eon!/
But, my Love, I am rather a mere earthling, sans artistic flair; /
For goodness’ sake, let my heart be connected to yours, let yours flow free towards mine,/
Like a river from the mountains; feel my love transcending Tansen’s music, /
or Romeo’s passion, for Romeo was a fiction, I am the reality! /
........---------------------------------------------------------
অন্ট্রে: জেব্রিলেরটা .....
হতাম যদি সাহিত্যের বাদশা-নামদার, প্রিয়ে,
পেশ করতাম নিটোল উজ্জলদীপ্তিময় কালজয়ী রুবাইয়াত তোমার তরে,
গাথাঁই হতো যার প্রতিটা পংক্তিমালা অপার্থিব গুনাত্বিতা তোমারি চিরন্তনী সৌন্দর্য্যের বুননে
আর অনুরাগাসিক্ত এ অধীর হৃদয়ের কম্পনে, আবৃত্তির তানে প্রতিটা রাতের নিস্তব্ধতা জুড়ে গুঞ্জরিত হতো সেসব!
প্রেমাচ্ছন্নই যদি হতাম, ওরে মোর মনপাখি,
স্থান-পাত্র-কালের তোয়াক্কা না করেই, তোর মন-মন্দিরে রাজত্ত্ব গড়তাম,
প্রেম পিয়াসী রোমিও’র মতোনই, করেই যেতাম তোর গুনবন্দনা আমৃত্যু
তোর সান্নিধ্যের তরে অযুত নিযুত জীবনের বলি ছাইপাশ মনে হতো!
হতাম যদি গানের পাখি, ও সুজনসখি,
সময়ের আবর্তনে জন্মাতাম তানসেন হয়ে
আর তোমারি জন্যে গাইতাম প্রেম-গীত আবহমানকাল ধরে,
কিবা চাও তো, বেটোভেন কিবা মোসার্টও মিলেমিশে যাবে অক্ষয়ে!
লাহুরী’র মতোন ভাস্কর যদি হতাম
দুনিয়া জুড়ে চলতো তাজমহল গড়ার খেলা যত্রতত্র সর্বত্র
প্রতিটা অনুরক্তিত হতো তোমার চকিতের সেই সাগর-সেচাঁ মুক্তমালার হাসির মোহে
নয়তো সিনানের মতোন, গড়তাম হরেক মন্দির তোমার প্রানোচ্ছল মোহনীয়তার বিমূর্ত একছত্র।
আমার তুলনা হতাম কেবল আমিই, সর্বেসর্বা
এই প্রেমাতাল হৃদয়ই অনুরাগের মুরতি
তাবৎ কুমারী হৃদয়ের ঠিকানাই হতো সেটা
কিন্তু আমি হতাম তোমার এক পলকের কাঙ্গাল, দাসানুদাস, হতোই বা তা যুগেযুগের একটিবারের স্মৃতি
হায়, মোর প্রিয়ে, এযে এক নিতান্তই নশ্বরের হৃদয়, যাতে নেই কোন শৈল্পিকতার ছোয়াঁ;
দোহাই লাগে, তোমার একটিবার চাও, তোমার মনের সাথে এই মনের মিল করাও,
পাহাড় থেকে উৎসরিত নদীর মতোন, তানসেনের অপার্থিব সুরের মূর্ছনাকে ছাপানো এই ভালোবাসাকে জড়াও নিজের করে
কিংবা আবেগাকুল রোমিও’কেই ভাবো, যদিও সে কল্পলোকের, কিন্তু এই আমি ভীষন অকল্পিত!
-------------------------
ডেজার্ট:
সাহিত্যিক ধুন্দুর-মুন্দুর যদি করতারতামরে, ময়না,
তাইলে তো ধাচানো ল্যংগুয়েজে, অনেক ক্যাওয়াজের লাইন লিইখ্যা বেড়াইতাম,
পরতে পরতে থাকতো তুমার ক্ল্যাসিক ক্যারিশমার বাখানিয়া...
আহা.. তুমার সেই ইশটাইল, সেই গরিমার প্রকাশ।
আর প্রতি রাইত্রে উছলেজিত চউক্ষে তুমার কানের কাছে আমার সুকুমার কোবতের ফিসফাস।
প্রেম যদি আমার প্রতিগ্যা হইতোরে যাদু,
টাইম-স্পেস কন্টিনামের বারোটা বাজায়া, তুমার রিদয়ে কেল্লা গাড়তাম,
আর কেল্লার নিচে খড়ায়া রোমিওর লাহান বিয়ান থিকা হাইন্জা তুমার প্রশংসার নহর ছুটায়া দিতাম; তুমার প্রাণের প্রয়োজনে আস্ত রিপাবলিকরেই কিবা সিটিএন দেখাইতাম।
সংগীতে পারদর্শী হইলেরে পুতলা,
তানসেন রে ভুমচক্করে ফেলায়া বিশবার জন্ম নিতাম, সুরের বিলাসে ফুটতো তুমার
''ক্লাসি বেইব'' ভাবচক্কেরের উপযুক্ত উপমা, তুমি বেশী পিক আপ নিলে বেটোভেন রেও
হয়তো ছাড়তাম না রে , মোতসার্ট রে নিয়া টান দিতাম যখন তখন।
আমি লাহুরীর মত মিস্ত্রি হইলে,
দেখতা গলিতে গলিতে তাজমহলের খেলা...ইধার তো উধার...
একেকটা যেনবা তুমার স্বর্গীয় হাসির একেক পার্থিব বয়ান।
আর নয়তো সিনানের পাহাড়ে আবাধে হাজারে মনদির তুমার তরুণ প্রাণের আবাস।
যাই করতাম , বেইব, শাহী স্টাইলেই করতাম...
এই পাগলা বিচ্ছু রিদয় হইত ইশকের আলটিমেট আস্তানার নাম,
চাইরদিকে শতেক জাটকা হয়ত আমারই দেবানা, মাগার কেমনে কি 'কঝ, বেইব,
তুমার ঐ কদাচ হানা প্রেমবানে আমার সকলই আটকা ।
কিন্তু, ময়না, এই পিন্জিরায় কোন শিল্পীর আবাস বা কোন শিল্পের ছোয়া নাই...
কিন্তু একবার ডার্লিং সারভারে একসেস দিয়া দেখ, একেক জিবি হার্ট বিটে একেকটা ইমো'র ফ্লো যেনবা
পাহাড় থেকে বহতা নদী... তারপর দেখ কেমনে তানসেনের মিউজিকরে দশহাত পিছে ফালাই,
আর কই যায় রোমিওর প্যাশন, 'কঝ হ্যাতে প্লেটোনিক, মুই রিয়েল
বাফড়া'র প্রথম এবং কিংবদন্তী গবিতা। পোলাডারে কইলাম তুমি এডগার এলেন পো'র কোবতে কয়েকটার গবিতা বানাও, সে রাজি হইলনা, আফসোস!
দুইটাই পর্ছি
... কিন্তু মূল কবিতা এখনো আসে না ক্যান? ওইডাই পড়ি নাই
নারু শুরু না করলে বাফড়ার গবিতা পয়দা হইতো না... সো নারুর উচিত নিয়মিত কবিতা লেখা
মূল কোবতে আংরেজিতে দিছি, পইড়া নেন!
বাফড়া হইল গিয়া জাত কুবি, তাই তারে অনেক সাধ-সাধ্য না করলে সে গবিতা লিখবনা, আপনারা সাধেন!
বাফুরেতো ছাই দিয়াও ধরন যায় না
আমার কিন্তু আংরেজী টা বেশ ভাল্লাগছে... নয়া নয়া প্রেমে পড়লে যেইটা থাকে সেই সফটনেস আছে... আর কথাবাার্তাও বেশ সফিসটিকেটেড... কবিতা থেকে পাওয়া কবির সাইকোলজি নিয়া কিছু স্বরচিত ফ্রয়ডিয়ান মতবাদ দিতে গিয়াও বিরত থাকলাম
ফ্রয়েডিয় মতবাদ দেও। কবি কি প্রেমে হাবুডুব খাচ্ছে? নাকি একাডেমিক ইম্টারেস্ট? নাকি কবির মধ্যে একটা হাহাকার আছে মাইয়ারা তারে পুছেনা বইলা? কবির সাবকনশাস মাইন্ডের কল্পনা কি খুবই জটিল নাকি সহজ-সরল সেক্স-ড্রিভেন? ফাটায়া কও।
জমে উঠুক, হেহে!
চাচাতো ভাইয়ের গবিতা বুঝেছি কিন্তু নারুদা'র কবিতাটা মানে বুঝতে পারি নাই। তয় আপনারা চালিয়ে যান জেবীন আপা'রটারও অপেক্ষায় রইলাম
হায় হায়, এইডা কিছুঘইল তাইলে? কোবতে না বুঝলে লিখে কি লাভ! আফসুস!
চলুক ....
কি অবস্থা তোমার?
আরো চলতে কও?
অবস্থা গতানুগতিক কামলা দিয়ে জীবনের সময়গুলা শেষ করছি
আরে জোরসে চলুক নো থামাথামি
ব্লগে কবিতা আর গবিতা পড়ে ব্যপক মজা পাইতেছি। নারুর কোমল হৃদয়ে কে যে হামলা করলো! আর হৃদয় ফুড়ে এমন মহামান্য কবিতা বের হচ্ছে। সেই কবিতা পড়ে বাফু পুরা উড়াধুরা ট্রাক্টর চালায় দিলো!জোশ জোশ!!!!
আহারে আহা! তোমার দু:খে চোক্ষে পানি চলে আসছে । তবে বাফূ কইলো তৃমার হৃদয় কমসিন
চলুক।
সাথে আছি।
ধনবাদ অনেক!
ব্লগে কবিতা আর গবিতা পড়ে ব্যপক মজা পাইতেছি। নরাধমের কোমল হৃদয়ে কে যে হামলা করলো! আর হৃদয় ফুড়ে এমন মহামান্য কবিতা বের হচ্ছে। সেই কবিতা পড়ে বাফরা পুরা উড়াধুরা ট্রাক্টর চালায় দিলো!জোশ জোশ!!!!
জোশ মানে, জোশের উপরে ডাবল জোশ!
সব কবিতাই কবিতা হয়ে উঠে না
সব গবিতারাই কিন্তু কোবতে হয় না
কি কইলা বাংলায় কও! কিরাম আছ তুমি?
সুন্দর কবিতা। আপ্নে কি ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি?
অনেক থ্যাংকস! আরে না ভাই, কি কন, সাহিত্যের ধারেকাছে যাইনা, কঠিন লাগে অনেক!
ভাবছিলাম ছেলে রুমি'র ভক্ত,
কিন্তু এদেখি রোমিও'র কাজেকামেই অনুরক্ত!!
আমার দাতঁ বান্ধানের টাকা পাঠায়ে দিও, ট্রান্সলেট করতে গিয়া তারা ভঙ্গুরপ্রায় হালে আছেন!
হেহে, যা ট্রান্সলেট করছ, মাশাআল্লাহ, আমি নির্বাক, ওয়ার্ডলেস!
তিনটাই জোস লাগছে...
মন্তব্য করুন