পরিনতি
এখানে পোকামাকড়েরা বাসা বাঁধে,
একসময়।
শরীরের
পরতে পরতে লেগে থাকা মার্সিডিজের
অহংকার। দ্বিতল বাড়ির
প্যাঁচানো সিঁড়িতে লুকায়িত
বৈভবের অমৃত। শান
বাঁধানো ঘাটে পড়ে থাকা ধূমায়িত
চায়ের আফিম। শত শত ঘামের বিন্দুর
গড়ে তোলা
সমুদ্রের উত্তরীয়। নামে না কখনও কাঁধ
বেয়ে একবিন্দুও।
ধবধবে সাদা সারসের বুকের উপর
চেপে থাকা
মানুষসকল হেঁটে যায়। বাতাসে তখন
পারফিউমের
গন্ধ। কেউ কেউ নাক চেপে ধরে, বিষাক্ত
রক্তের
বোটকা গন্ধ ভেসে আসে। কেউ কেউ
বুঝতে পারে, কেউ কেউ পারেনা।
একদিন সব মিলিয়ে যায়। দাম্ভিকতার
মুখোশ বাতাসে
ভেসে যায়।
খসে পড়ে রক্তে ভেজা অভিশপ্ত উত্তরীয়।
সাদা
কাফনে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে। কেউ কেউ
দেখে, কেউ কেউ দেখে না।
এখানে পোকামাকড়ের ঘর বসতি হয়,
একসময়।
মন্তব্য করুন