ইউজার লগইন

রন্টি চৌধুরী'এর ব্লগ

ব্লগর ব্লগর।

সকাল প্রায় সাড়ে ছটা বেজে গেল। এখনও মোটামোটি বিনা কারনেই কম্পিউটার স্ক্রীন সামনে নিয়ে জেগে বসে আছি। আজকে শনিবার। সকাল সকাল উঠার তাড়া নেই। তাই বেশী দেরী হয়ে গেল ঘুমাতে ঘুমাতে। এমনিতেও গত কসপ্তাহ ধরে সকাল ৫টার আগে ঘুমাতে পারছি না। এমন না যে আমি খুব তাড়াতাড়ি ঘুমাই। বরং রাত বারোটা আমার সন্ধা রাত একেবারে পিচ্চিকাল থেকে। কিন্তু ইদানিং জেগে থাকার সময়টা বাড়তে বাড়তে তিনটা থেকে পাচটায় চলে গেছে। গত বছরের শেষে বাড়তি কিছু টাকার লোভে প্রায় ছমাস সপ্তাহে দুরাত করে একটা রিটেইল ষ্টোরে কামলা দিতে গিয়ে এই অবস্থা। এখন সেটি আর করছি না, তবুও সকাল পাচটা বাজানোর অভ্যাসটা যাচ্ছে না আর। ভাবছি টোপাজ (যে স্টোরে কামলা দিয়েছিলাম) এর বিরুদ্ধে দুইতিন মিলিয়ন ডলার এর ক্ষতিপুরন মামলা করে দেব আমার ঘুমের বারোটা বাজানোর জন্যে।

ত্যানা পেচানো অথবা আজাইরা ছাইপাস।

আবার সেই মনের এলোমেলো ভাব। অপেক্ষা করে বসেছিলাম এইরকম ভাবটা আসার জন্যে। রীতিমত উপভোগ করছি এখন এটা। এটাকে এক্সাইটমেন্ট নাম দেয়া যায় কি না সে নিয়ে আমি শতভাগ নি:সন্দেহ নই। অনেকদিন পরে দেশে আসার আগের কঘন্টায় মনের আলোরিত অবস্থাটার নাম হিসেবে 'এলোমেলো'ই বেশী মানান সই। গতদুইতিনদিন রীতিমত মন খারাপ অবস্থা গেছে। আজব মনের আজব ব্যাপার স্যাপার।

এবার দীর্ঘদিনের বিরতীর পর দেশে আসা হচ্ছে আমার। চৌদ্দমাস পরে। এর দিন ধরে একটানা দেশে না এসে থাকিনি। সাত আট মাসে একবার আসা হয়েছে তাই এক প্রকার সহজ স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল, অনুভুতিগুলো পরিচিত ছিল। এবার একটুখানি অচেনা ঠেকছে।

একজন আর্জেন্টাইন সাপোর্টারের নার্ভাস কথাবার্তা।

১৯৯৪ বিশ্বকাপের সময় থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে পাগলামী শুরু করেছিলাম। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কথা মনে পড়ে। জীবনের শ্রেষ্ট কিছু সময় কেটেছিল তখন বিশ্বকাপ দেখা নিয়ে। বিশ্বকাপের প্রতি প্রেমের তখনই শুরু। আমি তখন পিচ্চি। আমার চেয়ে বয়সে ১৩ বছরের বড়, ভাইয়া রাত জেগে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো দেখত, বাসার আর সবাই ঘুমাতেন, আমি আর ভাইয়া খালি জেগে থাকতাম, কয়েকবার চা, মুড়ি, বিস্কুট খাওয়া চলত, মধ্য বিরতীতে চলত খেলার বিশ

শিরোনাম কি সেটা ভাবতে গিয়ে ৩০ মিনিট খরচ করলে আমার ঘুমের বারোটা বাজবে।

অনেককাল আগে আমরাবন্ধু ব্লগ আকারে আসার খবরে অনেকখানি খুশি হয়ে ভেবেছিলাম অনেক ব্লগাবো। কিন্তু আলসেমীর রেকর্ডটাকে নিজের করে রাখার চেষ্টায় সেটা আর করা হয় নি। মাঝে মাঝে পড়ে যেতাম এসে। তবে তাও খুব কম। ইদানিং ফেইসবুক ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া আসা হয় না। ফেইসবুকেও সীমিত আনাগোনা। হাতে সময় অফুরন্ত কিন্তু ওই যে রেকর্ডটা আমারই থাকতে হবে তো!