সোহাগ ভাল থাকুক
বন্ধুরা ভুল করে পোস্টটি মন্তব্যের ঘরে গেছে। তার জন্য আমি দুঃখিত।
গত দু'তিন ধরেই মনটা খারাপ। এতটাই খারাপ যে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার মন খারাপের বিষয়টিও আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করতে চাই। আর এই কারণেই তো আপনাদের কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের একটি স্কুল আছে। যা আমরা শুরু করেছিলাম ২০০৬ সালের ৭ জুলাই থেকে। দরিদ্র ও হতদরিত্র শিশুদের পাঠদানের জন্যেই এই স্কুলের যাত্রা। সেটি দুয়ারিপাড়া নামক একটি এলাকা এখনও চলছে। বর্তমানে শিক্ষক ৩ জন। স্কুলটির ব্সিতারিত গল্প পরে আরেকদিন শেয়ার করবো। শুরুতেই আমি আর সোহাগ ছিলাম। তার ভালো নাম সাইফুজ্জামান সোহাগ। আজ শুধু সোহাগের কথায় বলি। সোহাগ সে আমার সন্তান। যদিও আমি তাকে জন্ম দেইনি। কিন্তু পরিচয় থেকে শুরু করে আজও আমার মনের মনি কৌঠায় তার জন্য সন্তানতুল্য স্নেহ রয়ে গেছে। সোহাগের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে টিএসসিতে। একটি কবিতা সংগঠনে। সেই কবিতা সংগঠনটির নাম ছিল ক'জনা। জানিনা ক'জনা এখন কেমন আছে। কবিতা আবৃত্তি দখলে না আনতে পারলেও সেই সংগঠনটি আমাকে একটি সন্তান উপহার দিয়েছিল। যাকে দেখেছি কত কষ্ট ত্যাগ করে স্কুলটির মঙ্গলের জন্যে কাজ করেছে। নিজের মাসের খরচ বাঁচিয়ে হেঁটে স্কুলটিকে দেখদতে আসতো। আজ দু'বছরও বেশি সে আর আমার সঙ্গে নেই। সে এই পৃথিবীর কোথাও নেই। কোন জায়গাতে নেই। একটি টেলিফোন নম্বরও নেই যাকে আমি পোন করলেই চলে আসবে। সেই যে ১৩ ডিসম্বের ২০০৮ সালে গেল আর তো এলো না। সোহাগ এখন ইশ্বর দর্শনেই আছে। তার বোঝা উচিত যে ভার আমার কাঁধে দিয়ে গেছে সেতো আমি আর বইতে পারছিনা। খুব কষ্ট হচ্ছে। সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাবার বয়সে আমি তাকে দু'তিন বার স্বপ্নে দেখিছি। এবার দেখলাম। সে আমার খুব কাছে এলো। কিন্তু ছেলেটি আমার সঙ্গে কথা বলছে না। কি আশ্চর্য ও আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এও কি মানা যায়। তার রাগের কারণ কেন আমি স্বপ্নধরা পাঠশালা-কে ছেয়ে যেতে চাইছি। কিন্তু জীবন যে বড় নিষ্ঠুর জায়গায়। সেখানে একেবারেই অর্থছাড়া কিভাবে টিকে থাকা যায়। আমি যে হেরে গেছি অর্থ নামক বস্তুটার কাছে। জানিনা ব্নধুরা কি লিখলাম। কি বললাম। সকলে ভালো থাকবেন। আর আমার এই সন্তাটির জন্যে আর্শীরবাদ করবেন যেন সে খুব ভালো থাকে। আর আমি হতভাগ্য দিদিতো রইলামই তারজন্যই। এখন পৃথিবীর যে কোণেই থাকি। আর আমাদের দেখা সেই স্বপ্নের পূরণ হবেই এও আমার বিশ্বাস। হয়তো তার যাত্রাটা দীর্ঘ এই তো এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
আপনার ছোটভাইটির জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার সন্তানটির জন্য আর্শিবাদ রইলো।
দুয়ারীপারায় রনি নামের একজনের একটা পাঠশালা ছিল... চিনেন?
সাংঘাতিক রকমের একটি বাজে পরীক্ষা ছিল তাই উত্তর দিতে পারিনি; এজন্যে দুঃখিত। আশা করছি এখন লিখব। না চিনলাম না। তবে রনি নামের একটি ছেলে আসতো। তবে সেকি না বলতে পারব না। আমরাই একটি পাঠশালা খুলেছি। যারা নিজেদের উদ্যোগে চালাই। তবে এখন কেউ কেউ আমাদের ডোনেশন দিচ্ছে। ছয়বছর পর মনে হচ্ছে একটা কিছু হবে। আর স্বপ্নটা বোধহয় বিফলে যাবে না।
বিশ্বাস অটুট থাকুক সাথে মনোবল। ভাল থাকুন
মন্তব্য করুন