ইউজার লগইন

সাগরিকা দাস'এর ব্লগ

Now i am a mother

Dear all,

I hope every human being are very fine. I am extremely sorry for written in English Language. Because at present Bijoy front is not available. Really all, after 2 year, i am writing something, Now i am mother, have a daughter Joyeeta, she is eight month old. Thnaks to Amra bondhu.com for did not delete my account no. Take care everybody.

Shagorika Das

বাবা

আজ কিছুতেই ভলো নেই ত্রিনয়নী। কদিন ধরেই মেঘলা আকাশ। মাঝে মাঝে সূর্যটাকে রুদ্রমূর্তিতে দেখা গেলেও একটা সময় ঝিমিয়ে পড়ে। এটা হওয়াটাও স্বাভাবিক। ঝড়-বৃষ্টি হবে তা ঠিক আছে। কিন্তু তারপরেও এই সব যেন তার কখনও খুব ভালো লাগে না। আবার যে খুব একটা খারাপও লাগে তাও না। কিছু একটা করতে মন চাচ্ছে। ত্রির্শোব্ধ এই রমনীর কোন কিছুই ভালো লাগছে না। অনেক কিছুই মিলে। মন চাচ্ছে একটি ছায়া শীতল হাতের স্পর্শ পেতে। ছোটবেলায় যেমন করে মা আদর করে দিতো। তুলতুলে নরম হাতের স্পর্শে নিদ্রাদেবীর কোলে চলে যেত ত্রিনয়নী। কিন্তু আজ মায়ের হাতের স্পর্শ পেতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে বাবার আদর পেতে। বাবার আদর!

হে মেঘ কন্যা

মেঘ কন্যার মন বুঝি আজ খুব খারাপ
খুব খারাপ, খুব খারাপ
তাই চোখের জল আর বাধ মানে না।

আমিও তোমার মতো, আজ মন খারাপের দেশে
মন আমার অনেক দিন ধরেই ভালো নেই
মনের মধ্যে বড় শঙ্কা, বড় ভয়
কোথায় জানি হারিয়ে যাচ্ছি
আমার দেশ মা, বড় অস্থির হয়ে পড়েছে।
কি হবে জানিনা, বড় ভয়
আশার আলো নিভু নিভু করছে।

বুকের ভেতর বড় এক আশা বেঁধে ছিলাম
কচি কচি মুখগুলোকে নিয়ে ভালোই দিন কাটছিল
সেই প্রান্তিক মানুষগুলোর শিশুরা যখন অ আ পড়ে
তখন আমি এক অনাবিল আনন্দ খুঁজে পাই।
কিন্তু দেশের মানুষগুলো কি যেন পাবার আশায় ছুটছে।
এতো সহিংস, এতো ধ্বংস যজ্ঞ, প্রাণ শিহরে ওঠে!
দুচোখ ছল ছল করে উঠে
কি করবো ভেবে পাইনা
বড় ভয়, বড় শঙ্কা, বড় হতাশা।

হে মেঘ কন্যা, তুমি কেঁদে ফেললে ধরণীর উপর
আমি কি করি বলতো?
আমি আর স্বপ্নধরা এবং দেশমাতা
কাঁদবো তাওতো পারিনা।

জানি না কি হবে! কবে এই ধ্বংস যজ্ঞ শেষ হবে!

হে মেঘকণ্যা

তুমি ঠিক

মরমার আগে দাদু বলেছিলেন। তোকে দিয়ে কিছু হলোনা। এতো এতো পড়াশুনা করলি।

কেমন আছ মা?

মনটা আমার আজ সত্যি ভালো নেই। না শুধু আজ নয় । কিছুদিন ধরেই ভালো নেই। কতদিন মাকে দেখনিা। কেমন আছে আমার মা। ৯ এপ্রিল থেকে মায়ের মুখটি কমেন হয়েছে তাও জানিনা। এ বাড়িতে আসার কালই শরীরটা আমার খুব খারাপ হয়েছে। মনে হয় প্রেসারটা লো হয়ে গেছে। খুব মনে পড়ছিল গতকাল রাতে। যদিও আকাশ। মানে আমার ১২ বছর আগের ভালোবাসার মানুষ যে আমার এখন পতিদেবতা তার সমস্তটুকু ওজার করে সেবা করেছেন। তারপরও কেন মনে হয়েছে যদি মায়ের হাতখানি আমার কপালে রাখত। তবে মনে হয় আরো বেশি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠতে পারতাম।

বলতে কোন লজ্জা নেই। আমার জনম দু:খী মা চিরকালই কষ্টই পেয়েছে। আমরা সকলে মিলে দিয়েছি। কিন্ত কেনজানি তারপরও আমার বড় অভিমান হয়। পাহাড় সমান অভিমান হয়। কেন মা শেষ পর্যন্ত ১২ বছর পরেও মেনে নিতে পারেনি। নাকি আমার কোন বোঝার ভুল। মা ও মা আমিতো তোমারই জন্যে এই মানুষটিকে ১২ বছর আগে না করেছি। শুধু তোমাকে অপমান করেছিল। কিন্তু আকাশ তো করেনি।

আজ বৃষ্টি। মা তুমি কি করছো? মা তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছে করে। কেমন আছ মা? আমায় তুমি কি ভুলেই গেছ মা। তুমি আমায় ভুল বুঝোনা। মাগো তোমার হাতের রান্না খাইনা কতদিন। মা তোমার হাতের মজার মজার রান্না।

কেবলি ভাবায়

ভাবনার অন্তরালে আর একটি ভাবনার উদয় হয়।
ভাবনা আমারে ভাবায়, কাঁদায়, হাসায় ইত্যাদি।
অনেকবার ভাবি আর ভাববনা
ভেবে ভেবে নিজের অস্তিত্বটাকে বিলীন করা ঠিক নয়
কে কার কথা শুনে, ভাবনা ভাবাবেই এটাই তার কাজ
কে কারে ঠেকায়। আমি বলি না আর ভাবনা বলে ভাব।

রবী ঠাকুররে ভাষায়
‌‌‌কতবার ভেবেছিনু আপনার লাগিয়া;
কি লাভ হয়েছে বলুন, কোন লাভ হয়নি
না আসমানে উঠতে পারলাম
না নিজেকে সময়রে স্রোতে ভাসাতে পারলাম
সমাজ-সেবা এগুলো ফালতু
আর্থ-সামাজিক উন্নতি এসব দরকার
স্ট্যাটাস, স্ট্যাটাস খুব বেশি গুরুত্বপূণূ।
কেননা আমরা বাঙালি, এর মূল্য নাকি
আমরা দিতে জানি না।
আমি যে মূল্যের জন্যে ছুটিনা।
কোন কিছুর দরকার নেই।

কিন্ত আমার ভাবনা তবুও ভাবে
তাদের জন্যে, যারা এখনও দিনান্তে
মৌলিক চাহিদাগুলো মিটাতে পারেনা
কেন মন ভাবে, একি ভাবা অন্যায়
তাদের জন্যে কিছু করা কি অন্যায়

আজ কেবলি ভাবায়।

দোয়া করবে আমার বিয়ে হয়েছে

জীবনে মানুষের কত কিছু ঘটে । ভাবতে অবাক লাগে। আমি এখন আর একা নেই। শুনুন প্রিয় বন্ধুরা গত ৯ এপ্রিল আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ য়ে ছি। হিহিহি। আমি সত্যি নিয়মিত লিখব। বড় আফসোস হয়। কেন যে প্রাণী জগতের বিয়ে হয়না। খুব ভালো হতো জানেন। গাছপালা, নদীনালা ইত্যাদি ইত্যাদি। ভালো থাকবেন।

Baran

বরণ

আরও একটি বসন্ত, সামনে দন্ডায়মান
তাকে বরণ করার জন্য চারিদিকে
সবাই বাসন্তী হয়ে উঠছে। তবু!
এমন দিনে তোমার কি হলো?
নীল কোন বেদনা হৃদয় কোণে মেঘ করছে?
কিংবা কোন চাওয়া, যা পাওয়া হয়নি
নয়তো কারো প্রতীক্ষায় পথ গোণা?

হৃদয়ের আর কি দোষ বল--
হৃদয় মন্দিরে শঙ্খ বাজবে, ঘন্টা বাজবে
অচীন দেশে তরী বাইবে
পূর্ণিমা আমবশ্যা তো হবেই।
তাই বলে কি মনের মণি কৌঠায়
লালন করে যেতে হব।
ভুলে যেতে হবে সব কর্তব্য?
এর কোন অর্থ হয়
দেখ, যা গেছে তা ফিরিয়ে আনা
তোমার আমর পক্ষে অসম্ভব।

স্বপ্ন তো স্বপ্নই, কল্পনা তো কল্পনাই
তার সব কিছুর কি বাস্তব রূপ দেখা যায়।
মানুষ যা চায় তার সবটুকু কি পায়?
জানোই তো দুঃখ আছে বলে সুখরে এতো মূল্য?
অন্ধকার আছে বলেই আমার আলোর পেছনে
বাহ্যজ্হান হয়ে ছুটি
এটাইতো প্রকৃতির নিষ্ঠুর খেলা।

তাহলে বিষাদী, এবার উঠ বরণ কর
তোমার জীবনের বসন্তকে
মনের সব কালোকে ঝেড়ে ফেলে।

খুব শীগ্রই লিখবো

প্রিয় বন্ধুরা অনেকদিন পর বাসায় বসে লিখতে পারছি। কোন কিছুই যেন সহজে পাওয়া আমার জন্য নয়। জীবনের সাথে সবকিছু মিলিয়ে ঝিলিযে দেখেছি। ভাই প্রমাণিত। জানিনা কেমন করে যে কি হয়ে গেল। এখন বোধহয় প্রতিদিনই আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবো । বন্ধুরা মনে হচ্ছে খুশির চোটে ধিন ধিন করে নাচি। কি যে ভালো লাগছে। আহা! কি শান্তি।

ভালো আছেন এই মধ্যরাত্রিতে। আশা করি সকলে ভালোই আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা রইলো। খুব শীগ্রই লিখবো।

অসমাপ্ত এক কবিতা

আমি আমার মতো করে একটি পৃথিবী সাজাতে চাই
কিন্ত পারি না।
সেখানে অনিয়মের বেড়াজালে আটকে যেতে হয়।
স্বাধীন হয়েছি আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে।
তবুও কেন যেন নিজেকে বন্দি লাগে।
কেন জোর করে চিৎকার করতে পারি না।
গলা ছেড়ে গাইতে পারিনা।
অসমাপ্ত এক কবিতা

স্বপ্নধরার জন্মদিন

দেখতে দেখতে পাঁচ বছর হয়ে গেল স্বপ্নধরার। ২০০৬ ৭ জুলাই যাত্রা শুরু করে মাত্র ১৩ জন শিশু নিয়ে। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৭০জনে। স্বপ্ন ধরার এই সাত তরুণ মিলেই ছোট্ট একটি রুমে এখনও চালিয়ে যাচ্ছে । আগামী ৭ জুলাই ২০১১ এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিন। এই ব্লগের সব বন্ধুদের আমাদের এই ক্ষুদ্র পাঠশালায় আমন্ত্রণ। সবাই মিলে কেক কাটবো।

মেঘ বৃষ্টি আর আমি

মেঘ বৃষ্টি আর আমি

অনেক দিনপর মেঘ বৃষ্টি আর আমি
কতদিন পর--------------------
সে আজ আর মনেও নেই, এখন কেবলই স্মৃতি।

এতো দিন ছিলাম অন্য কারো
আর অন্য ভাবনায়, অন্য সময়ে
যেখানে স্বপ্রে জাল বুনা
তবে আবার ফিরে এলাম তোমার বুকে
শুধু তোমারই জন্যে
এখন থেকেই শুধু মেঘ, বৃষ্টি আর আমি।

তোমার কাছেই বেদনার আকুতি-মিনতি
তোমার সঙ্গে হাসির খেলা
আবার তোমার সঙ্গেই একসুরেই
কেঁদে কেটে ভাসাব সুখের ভেলা।

তাই আজ এই আষাঢ়ের এই ক্ষণে
চল ভাসি, মেঘ বৃষ্টি আর আমি।

আমার মনের যতো খামখেয়ালী

সোহাগ ভাল থাকুক

বন্ধুরা ভুল করে পোস্টটি মন্তব্যের ঘরে গেছে। তার জন্য আমি দুঃখিত।

উৎসর্গ

আমারও কষ্ট আছে,
অনুভূতি আছে, বুঝতে পারি
পৃথিবীর সমস্ত কার্যাবলী, কিন্তু
কেবল বলতে পারিনা, কারণ
আমার সে ক্ষমতা নেই, স্রষ্টা আমাকে
তা দান করেননি, তোমাদের মতো করে
কষ্ঠগুলো, অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করবার।

আমার তখন খুব কষ্ট হয়
যখন দেখি, তোমরা সভ্য বলে
দাবী কর, অথচ কাজ কর
অসভ্যের মতো করে, তারপরও দাবী
করো আমরা সভ্য !
আমার খুব লজ্জা হয়, যখন দেখি
সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েও জানোয়ারের মতো
জঘন্য আচরণ কর!
তোমাদের এ আচরণ জানোয়ারগণকে
হার মানায়‍!

আমি কারো
সন্তান, কারো পুত্র কিংবা কন্যা,
কারো জনক কিংবা জননী,
কারো না কারো স্বামী বা স্ত্রী,
কিংবা কারো প্রেমিক-প্রেমিকা।
তবুও স্রষ্টা আমাদের সৃষ্টি করেছেন,
তোমাদের খুশী করবার জন্য।
আমার এই প্রাণের বিনিময়ে হে
সভ্যতা সৃষ্টিকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ জীব
তোমার মনের পশুত্বকে যদি কবর দিতে পার,
তবেই আমার এই প্রাণকে উৎসর্গ করা, স্বার্থক হবে।