৪ টাকা = একটি ছেলের জীবন
চন্দ্রমুখী চলে গেলো। তার যাওয়ার সাথে সাথে জননীর আত্মহননের চেষ্টা―খুব মনোপীড়ায় কেটেছে কিছুদিন। কোনো কিছুই আজকাল আমার, আমাদের টনক নাড়ায় না। কিন্তু এ ঘটনায় স্বাভাবিক থাকতে পারিনি।
নাজনীন আখতার শুধু সাধারণ একজন মা নন, একজন সাংবাদিকও। সাংবাদিককে সবসময় 'কঠিন' হতে হয়। এই কঠিন মানুষই যখন চরম 'আবেগী'র মতো আচরণ করে বসেন, বুঝতে হয় ব্যথার গভীরতা আসলে কতটা।
এই ক্ষতের ভেতর দিয়ে আমার ভাবি চলে গেলেন বাড়িতে। ভাবি চলে গেলে শুধু ঢাকা শহরই ফাঁকা হয়ে যায় না, মনটাও ফাঁকা হয়ে যায়। চারদিকে কেমন এক শূন্যতা বিরাজ করে।
মন খারাপের মধ্যে গত পরশু আরেকটা বড় খবর। প্রথম আলোর অনলাইলে পড়া। (কেন যে তারা পরদিন মূল সংস্করণে খবরটা দেয়নি)।
কুষ্টিয়ায় এক বাবা তার ছেলেকে বাজারে পাঠালেন। ছেলে সওদা নিয়ে এলো। বাবা হিসাব চাইলে ছেলে অবশিষ্ট ৪ টাকা ফেরত দিলো না। বললো, 'চানাচুর কিনে খেয়েছি।'
দরিদ্র বাবা সইতে পারলেন না এ 'অপচয়'। রাগে থাপ্পড় দিলেন ছেলের গালে। এক থাপ্পড়েই মৃত্যু হলো ছেলের। হাসপাতালে নিয়েও কোনো লাভ হলো না।
৪ টাকা = একটি ছেলের জীবন। কী কঠিন সমীকরণ।
৪ টাকা... ৪ টাকার চানাচুর খাওয়ার 'অপরাধে' প্রাণ গেলো একটা বাচ্চার! মেনে নেয়া যায়! কীভাবে স্বাভাবিক থাকা যায়, এমন সংবাদে?
কত বাবা-মার অভিযোগ―তাদের সন্তান খায় না! সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য কত কসরতই না করতে হয়। সেখানে...।
এই বিদীর্ণ হৃদয় নিয়ে আমাকে হয়তো আরো খবরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে...। নতুন নতুন খবর এসে ভুলিয়ে দেবে পুরোনো খবরের শোক...।
হৃদয়বিদারক
এই দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেদে ফিরে গেল দুখে।।
জীবন মাঝে মাঝে ভীষণ ক্রূর।
মন্তব্য করুন