রূপকথা
-ধুর!
-কি?
-ভালো লাগতেছে না। প্রেমের কথা আর কত লিখা যায় বল! প্রেম একদম মাথায় উঠে গেছে।
কথাটা শুনে রূপকথা প্রচন্ডভাবে হেসে উঠল।
-সেকিরে! প্রেম মাথায় উঠে কীভাবে?
-কেন! গ্যাস্ট্রিক যেভাবে মাথায় উঠে!
-গ্যাস্ট্রিক মাথায় উঠে!!!!
কথাটা বলে রূপকথা আমার দিকে বড় বড় চোখ করে চেয়ে রইল। মায়াকাড়া চোখ। নিমিষেই প্রেমে পড়া যায়।
-একটা কথা কি জানিস। অন্য কিছু দিয়ে না হোক তোর এই চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে হাজার বার প্রেমে পড়া যায়।
-তাই!
-হুম।
-তুই কতবার পড়েছিস?
-এখানে বসে আছি কতক্ষণ?
-প্রায় ১ ঘন্টা।
-তাহলে প্রায় ৩৬০০ বার তোর প্রেমে পড়েছি
-কি?
-হ্যা। সেকেন্ডে ১ বার করে।
-প্রপোজ করলেই ত পারিস!
-তারপর ধরে তুই আমারে ট্যাঙ্গানি দে। প্রেম কারা করে জানিস?
-কারা?
-বোকারা। আমি যেহেতু বোকা না তাই প্রেমে পড়াও আমার দ্বারা হবে না।
-এই না বললি তুই আমার প্রেমে পড়েছিস
-আসলে তোকে দেখলে আমার মাঝেমধ্যে খুব বোকা হতে ইচ্ছে হয়। তুইও তো একটু বোকা হতে পারিস।
আকাশের দিকে চেয়ে বলে উঠলাম-
-“বস, এই মেয়েটাকে কেন বোকা বানালে না? তাইলে তো আমারে আর এত চিন্তা করতে হয়না”
ঠিক সেই মুহুর্তে পিঠে একটা কিলের অস্তিত্ব ঠের পাই।
-তুই আর মানুষ হলি না ‘শ’
-মানুষ করে নেনা।
-চল, বাসায় যেতে হবে। দেরি হলে আম্মু বকা দিবে।
তারপর দুইজন উঠে গেলাম। হাটতে লাগলাম পাশাপাশি।
-দোস্ত তোর হাতটা কি আমি ধরব?
রূপকথা আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকল।
-দেনা। খুব ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে।
আমি ঝুঁকে পড়ে রূপকথার হাতটা ধরলাম।
-আচ্ছা আমি যদি এই হাতটা কোনদিন ছেড়ে না দিই তবে কি তুই খুব বেশি রাগ করবি?
দেখি রূপকথা মাথা নাড়তেছে। তার চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু করল। আমি হাত দিয়ে মুখটা মুছে দিলাম।
-এই মুক্তগুলো কি মাঠিতে পড়তে পারে? তুই শুধু আমি মরে গেলে কাঁদবি। আমি তোরে জীবনে এই একটি বারই কাঁদাব। আর কোনদিনও কাঁদাব না। বুকে করে রাখব।
ভালো লাগলো প্রেমের গল্প। খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
মন্তব্য করুন