অহনার অজানা যাত্রা
বেশ হুড়মুড় করেই ধরতে গেলে অহনার বিয়েটা হয়ে গেলো অর্নর সাথে। পাত্র অর্ন বিদেশ থাকে, তার ছুটি ফুরিয়ে এসেছিলো প্রায় এই মেয়ে বাছাবাছি করতে করতেই, অবস্থা অনেকটা সে পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে বিয়ে না করেই অর্নকে আবার কর্মস্থলে ফিরে যেতে হবে, যদিও পাত্রপক্ষীয় প্রথানুযায়ী অর্ন ছুটিতে আসার আগে থেকেই অর্নের পরিবার মেয়ে বাছার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ঠিক যেনো মিলাতে পারছিলেন না। এই মেয়ের বাবা পছন্দ হয়তো ভাই না, সে মেয়ের ভাই পছন্দ হয়তো মেয়ে না। সেই অন্তিম মূহুর্তে একজন কমন বন্ধুর মারফত পাত্রপক্ষের পাত্রীপক্ষের যোগাযোগ হলো। তারপর মেয়ে দেখার সেই চিরন্তন পালা। তবে অহনাকে স্বীকার করতেই হবে সে ভাগ্যবতী বর্তমান সময়ে জন্মানোর কারণে। আজকের আধুনিক সমাজে পড়াশোনা জানা সোকলড আধুনিক শিক্ষিত লোকজনের ভিতরে যাইই থাকুক, সবার সামনে আর সেরকমভাবে মেয়ের হাতের আঙ্গুল, পায়ের গোড়ালির পরীক্ষা তারা নিতে পারেন না, সাজানো মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয়ে। সাধারণ মামুলী দু-চারটা কথাবার্তার মধ্যে দিয়েই তাদের ‘মেয়ে দেখা’ পর্বটি শেষ করতে হয়। তো সে ধরনের সহজিয়া পরীক্ষার মধ্য দিয়েই উতরে গেলো মোটামুটি মিষ্টি চেহারার, মাঝাড়ি গড়নের সদ্য কুড়িতে পা দেয়া অহনা। বিয়ের পিড়িতে বসার সৌভাগ্য ঘটলো তার।
বৃষ্টিভেজা এক সন্ধ্যায় মেহেদী রাঙ্গানো হাত নিয়ে ঝলমল করা আলোয় সাজানো বাড়িতে বউ সাজলো অহনা। তাড়াহুড়োর মধ্যে যতটা সম্ভব সেই আন্দাজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়েই ঘটে গেলো অহনার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। যদিও ছোট ভাই বোনেরা প্রায়ই তার বিয়ে নিয়ে নানারকম প্ল্যানিং করতো। বোনদের মধ্যে বড় হওয়ায় কারণে অকারনেই বাড়িতে অহনার বিয়ের পরিকল্পনা চলতে থাকতো দিনমান বছর ধরে। নূতন কোন হিন্দী ফিল্মের গান হিট হলে তখনই সেটা অহনার গায়ে হলুদের নাচের জন্য ঠিক হয়ে যেতো, কদিন পর সেই গানের তোড় যেয়ে অন্য গান এলে দেখা যেতো আগেরটা বাদ হয়ে নতুনটা সিলেক্ট হয়ে যেতো। নতুন কোন শাড়ি বের হলোতো সব কাজিনরা মিলে ঠিক করে ফেলল অহনা বাজির গায়ে হলুদে তারা এটাই পড়বে। মাঝে মাঝে ছোট ভাইবোনদের সাথে অহনা নিজেও তার বিয়ের পরিকল্পনা করতে বসে যেতো, কোন গানের ব্যান্ড আনলে সস্তা হবে, কোন কমিউনিটি সেন্টার ভালো, কোন বান্ধবীর বিয়েতে নতুন কি দেখে এসেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনাকারীদের লেভেলে অহনার বর বাদ দিয়ে আর সবই ঠিক করা ছিল বহুদিন ধরে। কিন্তু কাজের সময় দেখা গেলো মাত্র দশ দিনের নোটিসের বিয়েতে অনেক ঠিক করা জিনিসই বাদ পড়ে গেলো সময়ের অভাবে। ছোটরা তাদের পরিকল্পনায় বাধা পাওয়ায় প্রথমে বেশ বিমর্ষ হলেও সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর কিন্তু তারাও সবাই খুশী।
অন্য সবার সাথে অহনা নিজেও খুশী তার বিয়েতে, তবে তার খুশীর উৎস অন্য জায়গায়। আর পড়াশোনা করতে হবে না এইভেবে সে আনন্দিত। রোজ রোজের টিউটোরিয়াল, ভাইভা, লাইব্রেরী, পরীক্ষা, চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে নোট মুখস্থ করার হাত থেকে অবশেষে পরিত্রান পাওয়া গেলো। যদিও বিদেশে বিয়ে করা নিয়ে অহনার প্রথমে খুবই আপত্তি ছিল কারণ পড়াশোনা করতে ভালো না লাগলেও টি।এস। সির ক্যাফেটেরিয়ায় কিংবা মাঠে, পাবলিক লাইব্রেরীর সিড়িতে, কলাভবনের মাঠে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে অহনার কোনই আপত্তি ছিল না। ভাবত শুধু আড্ডা দিয়ে আর হৈ- হুল্লোড় করেই যদি জীবনটা কাটিয়ে দেয়া যেতো। এখন বিয়ে হয়ে হঠাৎ করে সব ত্যাগ দিতে অহনার মন কিছুতেই সায় দিচ্ছিল না। সকালে ডাসের কলিজা সিঙ্গারা কিংবা দুপুরে টি।এস।সির এক পিস মাংস দিয়ে দেয়া তেহারী মিস হয়ে যাবে, কেমন করে তা সম্ভব? কিন্তু পরে আত্মীয় স্বজনের অনেক বোঝানো সোঝানো আর বন্ধু বান্ধবের বিদেশ নামক বস্তুটা নিয়ে লোভনীয় অনেক গল্প শোনানোর পর অহনা অগত্যা রাজি হলো বিদেশী বিয়েতে।
এছাড়া অহনার সিক্স সেন্স এমনিতেও জানতো যে বেশী ট্যা - ফো করে কোন লাভ হবে না, বিয়ে তাকে বিদেশেই করতে হবে, পরিবারের মুরুব্বীরা কিছু অলিখিত কায়দা তৈরী করে ফেলেছেন। পরিবারের ছেলেরা বাপ - দাদার ব্যবসা বানিজ্য সামলাবে আর মেয়েদের বিদেশ পাঠিয়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যত নিশ্চিত রাখা হবে। এতে ডবল লাভ মেয়ে বিদেশে থাকে শুনতেও সামাজিকভাবে ভালো শোনায় সাথে মেয়েরা ভালো থাকলে বাবার সম্পত্তির পাওনাও আর দাবী করতে আসবে না। ঘরের মালকড়ি ঘরেই থেকে যাবে। যদি না জামাই ব্যাটা অনেক ছোটলোক হয়, তবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এম - এস, পি - এইচ - ডি করা ছেলেদের মনে যাইই থাকুক, বিদেশ ফেরতা হয়ে শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে দলাদলি করতে যাওয়াওতো তাদের পক্ষে আর সম্ভব না। সুতরাং বিদেশী পাত্রে, পাত্রী পক্ষের ডবল গ্যারান্টি, মেয়েও ভালো থাকবে সাথে বাবা - চাচারাও।
অহনার মাথা ভর্তি অনেক আইডিয়া কাজ করতো, পাকা আইডিয়া আর দুষ্টু বুদ্ধির জন্য অহনা অনেকটা পরিচিত মহলে বিখ্যাত ছিল। বিয়ে করার জন্য সেজে গুজে বসে তারপর শুরু করা কান্নাকাটি। কেনো বাবা আগে জানতে না বিয়ে করতে যাচ্ছো? এখনতো আর কেউ বালিকা বধূ না কিংবা ছ মাস ন মাসে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসার হাঙ্গামাও নেই নৌকো করে। ইচ্ছে হলেই বাপের বাড়ি। তাহলে এতো আলহাদের কান্নাকাটিটা কীসের শুনি? এজন্য অন্যরা অহনাকে আগেই শাসিয়ে রেখেছিল, দেখবো তোর বিয়ের সময় কি করিস। আজ সেই মহা দিন। সাধারনতঃ বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন এর সাইন দেখার জন্য এতো পিচকি পাচকী ঘরে আসে না। মুরুব্বীরাই থাকেন ঘরে কিন্তু অহনা যে সবার লেজে পা রেখে আছে। তাই যখন কাজী সাহেব তার খাতাপত্র মেলে ধরে বসলেন অহনার সামনে, মাথা নীচু করে রেখেও অহনা বুঝতে পারছিল জোড়া জোড়া চোখ তাকে পাহারা দিচ্ছে আর হাসছে, বাছাধন এখন কেমন, দেখি? অহনাও শক্ত হয়েছিল, এতো জনের কাছেতো আর সে হেরে যেতে পারে না, না কিছুতেই না। কাজী সাহেব তার গৎবাঁধা কবিতা শেষ করা মাত্রই অহনা ভাবলো বলে ফেলবো নাকি এখুনি? আবার ভাবলো আম্মি যদি বকা দেয়, ভাবতে ভাবতেই কাজী সাহেব বললেন আবার, বলেন মা বলেন। অহনা ভাবার আগেই কখন যেনো মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলো কবুল। বেশ স্পষ্ট আর জোরে। সবাই পরিস্কার শুনতে পেলো বলে কেউ হাসার সুযোগ পেলো না। শুধু অহনা তখনো অনুধাবন করেনি এখানে শুধু প্রতিপক্ষের লোকেরাই ছিল না, বর পক্ষও ছিল!
বিয়ের মাধ্যমে কতটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন অহনার জীবনে ঘটল সেটা অবশ্য তখনও সে আন্দাজ করতে পারেনি, তখনও সে নতুন শাড়ি, গয়না, বিয়ে বাড়ির হৈ-হুল্লোড় আর নাচ-গানের আমেজের মধ্যেই মশগুল ছিল। অর্নের ছুটি তখন প্রায় ছিল না বললেই হয়। বিয়ের পরে সপ্তাহেই নতুন বিয়ে আর তরতাজা নতুন বউকে রেখে, বিয়ের কাগজপত্র সব বগল দাবা করে ভারাক্রানত মন নিয়ে অর্নকে বেরসিক চাকরীস্থলে ফিরে আসতে হলো। আর তার প্রায় মাসখানেকের মধ্যেই অহনার ডাক পড়ল এ্যাম্বেসীতে। বিভিন্নজনের কাছ থেকে এ্যাম্বেসী নামক পদার্থটা নিয়ে অনেক রকম ভয়াবহ গল্প শোনার কারণে এই শব্দটাতে অহনার বিশেষ ভীতি ছিল, নাম না জানা ভীতি যাকে বলে। ইঞ্জেকশন শুনলেই যেমন অকারনে ভয় লাগতে থাকে অনেকটা সেই টাইপ। জীবনে অহনা বিদেশ নামক জিনিসটাই ভালো করে চোখে দেখেনি তায় এ্যাম্বেসী। যাওয়ার মধ্যে যাওয়া ঘরের কাছের ইন্ডিয়া তাও তার জন্য এ্যাম্বেসী চোখে দেখেনি অহনা। ঘটনাটা হলো এমন, একদিন সব ভাইবোনরা ভালো জামা কাপড় পড়ে বাবার সাথে বাড়ির পাশের স্টুডিওতে গেলো, আর স্টুডিওর লোক গম্ভীর মুখে অহনাদের সব ভাইবোনদের আলাদা আলাদা করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি তুলে দিলেন। স্টুডিওর লোকের গম্ভীর মুখ দেখে অহনারা কেউ কিছু বলার সাহস পেলো না শুধু অহনার বড় ভাই সাহস করে বলল, ‘ভাই একটু সুন্দর করে তুলে দিয়েন’, ভদ্রলোক ততোধিক গম্ভীর গলায় বললেন, ‘যেমন চেহারা তেমনই ছবি উঠবে, সুন্দর অসুন্দর নেই’। বড় ভাই এ কথা শুনে দমে গেলেন আর অহনাদেরতো ভয়ে মুখ দিয়ে রা’ই নেই। তো সেই ছবি বাবা নিয়ে গেলেন, কাকে যেনো দিলেন, সেই ভদ্রলোক পাসপোর্ট ভিসা সব করে বাড়ি এনে দিয়ে গেলেন, অহনাদের আর এ্যাম্বেসী যেতে হলো না, সোজা বাংলায় যাকে সবাই বলে ঝামেলা হলো না। তার কদিন পরে একদিন সবাই মিলে অহনারা তাজমহল দেখতে রওয়ানা দিল। জীবনের প্রথম সেই বিদেশে গিয়ে অহনার মানসিক অবস্থা ভয়াবহ হয়ে গেলো। বিদেশ মানে অহনার কল্পনায় টিভিতে দেখা চার্লিস এ্যাঞ্জেলস এর মতো ঝকঝকে চারিধার, দামী দামী সাই সাই গাড়ি আসছে আর যাচ্ছে। কিন্তু দিল্লী, আগ্রা, আজমীর, জয়পুর গিয়েতো অহনা হতভম্ব, তাজমহলে স্পঞ্জের স্যান্ডেল পড়া লোক ঘুরছে, রাস্তায় বোচা বোচা এ্যাম্বেসেডর গাড়ি চলছে, পুরনো দিনের সাদা - কালো ফিল্মের মতো তার পেছন দিকে দরজা খুলছে, বরং ঢাকায় এর চেয়ে ঢেড় ভালো। এই কাতর অবস্থা থেকে পাথর হলো অহনা যখন স্কুলে গেলো, স্কুলে গিয়েছিলো বড় খোশ মেজাজে বিদেশ ভ্রমনের এ্যালবাম বগলদাবা করে, হ্যা হ্যা এবার আমিও বিদেশ ফেরতা এই ভাব নিয়ে কিন্তু - - - অহনাকে দেখে বান্ধবীরা প্রায় আর্তনাদের সুরে বলে উঠল, ‘তুই বিদেশ ঘুরে এলি!!! দেখে মনে হচ্ছে তুই গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলি’। অহনা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, ‘কেনো’? বান্ধবীরা বলল,‘ গ্রামের থেকে বেরিয়ে এলে যেমন রোদে পোড়া কালসিটে চেহারা হয় তোর তো দেখি সেই অবস্থা’।
সেই থেকে বিদেশ নামক ব্যাপারটা নিয়ে অহনা নানা টেনশানেই থাকে। কদিন আগেও অহনা অবশ্য বাড়ির কাছের আর একটা ছোট বিদেশ থেকে ঘুরে এসেছে, তখন অহনা এ্যম্বেসীর গেট পর্যন্ত গিয়েছিল ভিতরে ঢুকতে হয়নি, অর্নই সব ম্যানেজ করেছে । এবার এ্যম্বেসীর চিঠি পাওয়ার পর অহনা অর্নকে ফোনে তার এ্যাম্বেসী ভীতির কথা জানিয়েছিলো, কিন্তু অর্ন বিরাট এক ধমক দিয়ে বলল,‘ এর মধ্যে ভয়ের কিছু নেই তোমার জন্য। কাগজ পত্র সমস্ত আছে, তুমি শুধু যেয়ে দেখা করবে আর যা জিজ্ঞেস করবে তার ঠিক ঠিক জবাব দেবে।’ তো এবার যখন আর কোন উপায় নেই, বাড়ির মুরুব্বীদের সালাম করে, সবার দোয়া মাথায় আর ভীরু ভীরু হূদয় নিয়ে আল্লাহর নাম জপতে জপতে অহনা এ্যাম্বেসীতে গেলো বাবার সাথে কিন্তু সেখানকার সিকিউরিটি বাবাকে গেটেই আটকে দিলো, আর অহনা বেচারিকে একাই ভিতরে ঢুকিয়ে এস এস সি পরীক্ষার হলের মতো উচু গেট আটকে দিলো দারোয়ান। নিরুপায় বাবা ওধার থেকে অভয় দিলেন, ‘তুই যা আমি তো আছি।’
(চলবে)
তানবীরা
১০- ০৪ - ২০০৭
বেশ হচ্ছে! চলুক । অর্নমিয়া কী এট্টু বেরসিক ধরনের নাকি বোনডি? সদ্য বিবাহ করা বউরে ' বিরাট ' করে ধমকায় কেনু ! 'অর্ন' শব্দের মানে কী গো বোইন? চলুক আমি জুটে গেলাম পাঠক হিসেবে । ভালো থাকা হোক ।
কাহিনীতো মাত্র শুরু হলো। রসিক বেরসিক এখুনি বললে কাহিনীর টুইষ্ট চলে যাবে না? অর্ন শব্দের মানে বোধহয় পানি। আমার এখন ঠিক ঠিক মনে পড়ছে না, অন্য কেউ সাহায্য করতে পারেন কি?
পাঠক জুটায় স্বস্তি বোধ করছি
টেনশানে ফেলে দিলেন অহনাকে নিয়ে।
টানা পড়ে ফেলেছি, পরের পর্ব কখন আসছে?
প্যারা গুলো ভাগ করে দিলে ভালো হতো।
প্যারা ভাগ করে দিলাম দাদা
ভালো লাগলো; ব্লগ ধারাবাহিক সেষ পর্যন্ত শেষ পর্বের আগেই শেষ হয়ে যায়; লেখকের আগ্রহ থাকে না এবং পাঠকের প্রতি কোন দায়বদ্ধতাও লেখক/পোস্টক বোধ করে না; আশা করি আপনার এই ধারাবাহিক এর শেষ পর্ব পড়তে পারবো।
কাঁকন পাঠকের আগ্রহও কিন্তু একটা বিরাট ব্যাপার। পাঠকের আগ্রহ না থাকলে লেখকের আগ্রহও মরে যায়।
আশা করি আমাকে ফলো করবেন না, শেষ করবেন ধারাবাহিক।
প্যারা গুলো ছোট করে দিলে চক্ষুর সুবিধা হয় একটু।
দিলাম ছোট করে সাঈদ
না চলল কৈলাম খপর আছে
ঝরঝরা লেখা
গড়গড়াইয়া পর্লাম
চললে বলেন, ঢাকা আসলে কি খাওয়াবেন?
মেসবাহ ভাইয়ের দোকানের ফুচকা খাওয়ামু ... এইটা কনফার্ম
মামার বাগানের শশা দিয়ে মেহমানদারী, খারাপ না
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
বিয়ে পরবর্তী শারীরিক , মানসিক অভিজ্ঞতা স্কিপ করে গেলেন যে?
সেগুলো নিয়ে আলাদা পোষ্ট হতে পারে। মাসুম দুলাভাইতো আছেনই
পরের পর্বের অপেক্ষায় আপু
পরেরটা কখন?
চলুক ।
বিয়ের সময় "বাছাবাছি" টা অনেক সময়ই চরম বাজে অবস্থায় চলে যায়, যেনো মাছের বাজার সবচাইতে মোটা তাজা - তেলতেলে ঈলিশ মাছ বাছা।
অহনার সাথে অর্নের বয়সের ফারাকটা বেশ সেটা বোঝা যাচ্ছে।
সুমন ভাই বুদ্ধিমান
করো সবে তার জয়গান
পড়ছি
চলুক
মাহবুব ভাইয়ের কথাটাই বলতে যাচ্ছিলাম... পুলায় বৈদেশে চাকরি করে এইদিকে মেয়ে সদ্য কুড়িতে পা দেয়া!!! ফান্ডা টা কি অর্ণ বাবাজির??!!!
আমার বাপে তো ক্লিয়ার কাট কয়া দিলো মেয়ের বয়েসের তফাত আমার বয়েস থিকা নেগেটিভ ৩ থেকে নেগেটিভ ৪ বছর হইব... আর অর্ণের তো নেগেটিভ ১০ এর কম মনে হইতাছেনা
... যাউগ্গা আমার কি আসে যায় 
হুমম তাইতো দেখছি। বয়সটা দেখি বিরাট ফান্ডা
শাতিল, মাসুম ভাই, মানিক, রুমন আর মানুষকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আপনার লেখার সাথে পরিচয় হলো কমাস আগে রোবোটাংকেলের কল্যানে। অ্যাভাটার নিয়ে লেখাটা সামুতে লিংকান তিনি। চমৎকার লেখার হাত আপনার।
ধন্যবাদ আপনাকে, একটু লজ্জাও পাচ্ছি সাথে
কালকে কমেন্ট করতে গিয়েও পারিনি... আর আজ হলো ভুল কমেন্ট!!!
আগ্রহ ভরে পড়লাম, অহনা-অর্ন' নামা'র সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, আশা করছি লেখকের আগ্রহের কমতি আসবে না...
এটা আমারো হয়, অর্ধেক মন্তব্য আসে আর অর্ধকে আসে না।
আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো।
চলুক
জলদি পরের পর্ব ছাড়ো।
নজরুল - পুতুল দম্পতিকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য
এইটা লাইক্মার্লাম ---এখন গিয়া পরের পর্ব পড়ি
হাস্তে হাস্তে গড়াগড়ি খাইলাম!!!
শুরু করলাম। মেগা সিরিয়ালের পঁচিশ পর্বকে মাত্র এক পর্বে ঠাসানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে পরের পর্বে গেলাম
আপনার ব্লগস্পটে লেখাটা ফলো করতেছিলাম, এখানে দিছেন জানতাম না। নতুন করে আর কি বলব, আপনার এই ধরনের লেখনির ব্যাপক ভক্ত আমি।
মন্তব্য করুন