ইউজার লগইন
উপন্যাস
আমি একটি বই লিখব
মেয়েটি তার ফোনের ওয়ালে ছেলেটির সাথে তোলা একটি হাসিমুখের সেলফি দিয়ে রাখে। ফোনটির হোম স্ক্রিনে যতবার সেই মুখটি চোখে পড়ে, ততবার একটি নি:শব্দ দীর্ঘশ্বাস পড়ে। বলতে পারেন এ এক নিরব ভালোবাসা। যতক্ষন বাসায় থাকে স্ক্রিনটি জুড়ে থাকে সেই ভালোবাসা। আর বাসা থেকে বের হলেই আস্তে করে পুরোনো একটি ছবি দিয়ে রাখে। পাছে লোকে কি বলবে । চলুন মেয়েটির একটি নাম দেয়া যাক। ধরে নিলাম মেয়েটির নাম অন্তরা। এই অন্তরা নামের অনেক মহত্ব লেখকের কাছে। আর ছেলেটির নাম সংকল্প।
বিষাদ গুচ্ছ টব (১)
বয়স তার ষোল, যদিও মায়ের হাত বাদামি পনেরোকে স্বচ্ছ তুতে রঙে ঢেকে নিয়ে আসে সকালের গোড়ায়, গভীরে সে আজও আকন্ঠ বাদামি। যে বাবা স্বপ্নে দেখেছিলো এক ফুটফুটে মেয়ের, স্বপ্ন দেখেই ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার দিনে, ট্রেনে উঠার আগে মুন্সী বাজার ঘুরতে ঘুরতে সেই বাবার মনে ধরে মিহি বাদামি যেন ফুটফুটে মেয়ের গায়ের রঙ।তখনো কমলালেবুর ন্যায় পৃথিবীটা জানেনি এই বাবার কোনদিন দেখা হবে না এক বাদাম রঙা মুখ, কোনদিন কেনা হবে না মেয়ের জন্য শখের মাটির পুতুল, বাদাম রঙা সেলোয়ার কামিজ, কলাপাতা রঙের চুড়ি, বড়োবেলার প্রথম শাড়ি।
কিছুটা ভাবনার খোড়াক...
সোবাহান সাহেব, তার স্ত্রী, দুই কন্যা, অবিবাহিত এক শ্যালক, ভাড়াটিয়া বিপত্নীক ভদ্রলোক এবং তার দুই সন্তান, আর ঘরের দুজন কাজের লোক নিয়ে একটি পাগলাটে পরিবার। যে সমাজে ঘরে বিবাহযোগ্যতো দূরের কথা, কন্যা সন্তান থাকলে সে পরিবারের পুত্র সন্তানের বয়স যাই হোক আগে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে তার পরেই ছেলের বিয়ে এবং কন্যা সন্তান মানেই যেন এক ধরণের দায়, এমন মতবাদের সমাজে বড় মেয়ে রেখে ছোট মেয়ের বিয়ে দেয়ার মত দৃষ্টান্ত স্থাপণ করে এই পরিবার তাও আবার নব্বইয়ের দশকে। এই সমাজে পুরুষদের যতই বয়স হোক না কেন বিয়ের বাজারে তারা সব সময়ই দামী। অপরদিকে মেয়েদের বয়স বিশ পার হলেই সমাজে তথা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শুরু হয় কানা ঘুষা। কিন্তু এই পরিবার ব্যতিক্রম, তারা এমনটি ভাবেন না।
বইমেলা ২০১৪ ---- একদিন অহনার অভিবাসন (মোড়ক উন্মোচন)
খুব সাধারণ একটা মেয়ের গল্প “দ্যা গার্ল নেক্সট ডোর”। এই গল্পে গল্প সুলভ কোন গল্প নেই, টুইষ্ট নেই, ক্ল্যাইমেক্স নেই, নেই কোন পরিনতি। সিনেমার নায়িকার মত কোন নায়িকাও নেই যার কোন অচেনা যুবকের সাথে দেখা হয়ে যাবে আর সব সমস্যা, দুঃখ একটা গানে অন্যদিকে পালটে বা ঘুচে যায়। তাহলে কী আছে? আছে রোজ দিনের যুদ্ধ, টানা-পোড়েন, কষ্ট, কান্না, অভিমান যেমন সাধারণ মানুষের জীবনে থাকে। বইটা যারা সংগ্রহ করবেন, আমার অগ্রীম ধন্যবাদ জানবেন, পড়ার পর মতামত জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাটাঃ-
আইচ্ছা, পিরে আসার্পর আবার্ফের চৈলাগেস্লাম। শাবাগে ডাক দিসিলো যেডি এরাইতে পারিনাই। হাজার্হৌক, দেশের্ডাক এরানি যায়না। পৈলা পৈলা পতিদিং গেসি, এক্সপ্তা পরেত্থে যাউয়া কোমাইয়া দিসি। প্যাটের্ধান্দায় থাক্তে হৈলে এট্টুহিসাব কর্তেই হৈ। যাউজ্ঞা এলা, যা কৈতেসিলাম- শাবাগের আন্দুলুন আমার্ভিত্রে জোশাইনা দিসিলো। কিন্তুক রিসেং কামকার্বারে হাল্কিশ ঝাস্পা হৈয়া যাইতেচি আর্কি। অবৈশ্য আমার্ঝাস্পা হোউয়ায় আস্লে কিছু যায়াসে না। ত্য হাচা কৈতেছি বেলুঙ্গের কতা হুনলেই কেরাম কন্ডম কন্ডম চিন্তা মাতায় হান্দায় যায়, কিকর্মু? মনৈ পাপ। আমি হ্লায় সুবিদাবাদির *ট, হেল্লিগা আমার্কতায় কান্দিয়েন্না। পোলাপাইনে কস্ট কর্তেছে অবৈশ্যৈ সফল হৈবো। যত দুয়া কালামজানি পর্তেছি সবার্সাফল্যের লাইগ্যা।
আইজারা আবার্ফের হাজির্হৈসি আরেআরেক্কান প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য হাতেরাঙ্গুলের ডঘায় লৈয়া। আপ্নেগোর খিদ্মতে প্যাশকর্তেচি এইবেলা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
আম্রার পুতলা আম্রারে কয় মেও
তুম্রার পুতলা কেম্মে চুম্মা দেও
তুমার চৌক্ষে যকন রাকি চৌক্ষ
পাংখা মেইল্ল্যা উইরা যায়গা দুক্ষ
২০১৩: বইমেলা!!! বইমেলা!!! বইমেলা!!!!
বাঙালির প্রাণের মাস ফেব্রুয়ারি... ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী... সেই ভাষাকে সম্মানিত করতে এই মাসে গোড়াপত্তন ঘটে বই মেলার... কালের বিবর্তনে এই বইমেলা ঢাকাবাসীকে ছাড়িয়ে সারা বিশ্বের বাঙালির প্রাণে দোলা দেয়ার একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। প্রতি বছর এই বই মেলাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি করে আমাদের মনে। ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পায় হয় হাজার হাজার বই এবং ব্লগারদের বই্ও। শুধু মাত্র এই এক মাসে যে পরিমাণ বই ছাপা হয় তার অর্ধেক বইও বাকি ১১ মাসে ছাপা হয় না।
যাক সেসব কথা। বই মেলাকে ঘিরে আমাদের ব্লগারদের কি কি বই প্রকাশ হয়েছে তার একটি ছোট্ট তালিকা তৈরি করতে চাই যাতে আমাদের ক্রয় তালিকায় থাকা প্রিয় মানুষদের বইয়ের কথা যেন ভুলে না যাই। সকল ব্লগারদেরও অনুরোধ জানাই যেন মন্তব্যের ঘরে প্রিয় ব্লগারদের বইয়ের বিস্তারিত জানিয়ে যান। সকল ব্লগারদের প্রকাশিত বইয়ের তালিকা আপনার হাতের মুঠোয় থাক।
এনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাঃ- শিলাজিতভাইয়ে কৈয়া গেসিলেং,
শুনো ঠিক শুরুরয়াগে ভুমিকাটা জমিয়ে বলি
যদিউ অনেক বলার্তবুও অনেক্কমিয়ে বলি............ ইত্যাদি ইত্যাদি লৈয়েই আমগোর আইজকার ইত্যাদি.........
তো যেইটা কইতেছিলাম, প্রাচীন যুগে এক্ষান ইয়ে লিক্সিলাম। ইয়ে মাইনে আসলে সেইযে, লুগজনে যেইটারে কবিতা কয় সেডিই লিক্সিলাম আর কি। মাইনশে এই কবিতা সেই কবিতা লেখে। আমি লিক্সিলাম উত্তরাদুনিকেরো পরের্ভার্সনের কাইব্য। নিজের পের্শংসা নিজেরে কর্তে না কৈরা গেসেন মুরুব্বারা। মাগার বাট লেকিন নিজের ঢুল আবার্ফের নিজেরেই বাজাইতে কইয়া গেসেন মুরুব্বারাই। তাই কি আর করা, আমার্সেই কাইব্য মাশাল্লা খুবেক্টা খ্রাপয়নাই। সেই দুর্দুর থিকা লুগজনে ফুন্দিয়া, চিডি দিয়া পের্সংসা কর্ছিলো। তাই যারে বলে ইন্সপিয়ার্ড হৈয়া আবারো কাইব্য জগতের্খাতাত নিজের নাম লিখাইতে চইলা আইলাম এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য লৈয়া। শুইনা কৈয়েঙ্গো, কেরাম হৈলো
এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ওওই দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ওওই যে ফেলাই ওভার
টেরাক ভৈরা গরু আইয়া বাড়াইয়া দিসে পেশার।
পেশার মামা পেশার মামা থাকো তুমি কৈ?
দ্বৈরথঃ'ওঙ্কার-বাঙলা' আহমদ ছফা ও শহীদুল ইসলাম খোকন
''বাংলাদেশের কোন উপন্যাস ক্ল্যাসিকের মর্যাদা পাবে বলে আপনি মনে করেন ? আহমদ ছফা’র ‘ওঙ্কার’'
শ্রীকান্ত (প্রথম পর্ব) [এক]
শরত্চন্দ্র চট্টপাধ্যায় এর বিখ্যাত উপন্যাস শ্রীকান্ত আমি এখানে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করব ।
শ্রীকান্ত
শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রথম পর্ব
[এক]
আমার এই ‘ভবঘুরে’ জীবনের অপরাহ্নবেলায় দাঁড়াইয়া ইহারই একটা অধ্যায় বলিতে বসিয়া আজ কত কথাই না মনে পড়িতেছে!
উপন্যাস : অচল পয়সার জবানবন্দি (৭)
এদের কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং জোন নাই। রাস্তার পাশেই সুন্দর ফুলের বাগানের মতো জায়গা। কিন্তু সেখানে কোনো ফুলগাছ নাই। অনেক সাইকেল পার্ক করে রাখা। সেদিকে এগুতেই সাইডওয়াকের ওপর দেখা হয়ে গেলো প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে। ফুটফুটে একটা শিশুকে নিয়ে রাতে হাঁটতে বের হয়েছে। ওকে দেখতে আকাশ থেকে নেমে আসা পরীদের মতো লাগছিলো।
উপন্যাস : অচল পয়সার জবানবন্দি (৬)
৬.
দ্রুত খান ভাইকে ধরে ফেললাম। আমাকে দেখে তিনিও বেশ অবাক! কি সমাচার জানতে চাইতেই, তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন, কই যান আপনি? বললাম গুলশানের দিকে। একটা বিশেষ কাজে।
তার প্রশ্নের পিঠে কেবলই প্রশ্ন। কাজটা কি বিশেষ জরুরি?
আমার মনে হলো তিনি বোধহয় আমাকে দেখে খুশি হয়েছেন। কিন্তু কারণটা বুঝতে পারছিলাম না। যদিও ঢাকা শহরের স্বাভাবিক নাগরিক নিয়ম হচ্ছে, রাস্তায় পরিচিত কাউকে দেখে মুখটা একটু বাড়তি গম্ভীরতার আড়ালে ঢেকে ফেলা। নাহলে আবার বিকাশমান কর্পোরেট সংস্কৃতি এবং তারও আড়ালে বিকাশমান স্বার্থবাদী মনস্তত্বের চর্চাটুকু বজায় থাকে না। মানুষে মানুষে যে একসময় সুসম্পর্ক ছিলো, তারা যে একে অপরকে দেখলে খুশি হতো; এখনকার মানুষের মেলামেশা দেখলে কে সেই কথা সত্য বলে মানবে?
উপন্যাস : অচল পয়সার জবানবন্দি (৫)
৫.
আসিফকে আগেই বিদায় দেয়া হয়েছে। তবে এই একটা বন্ধুকে আমার কখনোই ছাড়তে ইচ্ছে করে না। ও নিজেই মিরপুরে বোনের বাসায় হাজিরা দিতে চলে গেলো। আমি জানি রাত হতে হতে সে ফিরে আসবে। আমার ডেরা তার অপরিচিত নয়।
যুথীরা চলে যাবার পর ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে আমি আবারো একা হয়ে গেলাম। একটা বিষয় ভেবে আশ্চর্য লাগলো। কেন আজ কোথাও বেশিক্ষণ বসতে পারছি না?
উপন্যাস : অচল পয়সার জবানবন্দি (৪)
৪.
গ্যারাজ থেকে বের হয়ে কিছুদূর যেতেই দেখা হয়ে গেলো পুরোনো শত্রু যুথীর সঙ্গে। এই মেয়েটি প্রিয়দর্শিনীর ক্লাসমেট ছিলো। ছিলো প্রতিবেশিও। আমাদের বন্ধুমহলে ওর যাতায়াত ছিলো। কিন্তু কোনো এক অমোঘ অজানা কারণে সে প্রিয়দর্শিনীকে সহ্য করতে পারতো না। সবসময় ওকে নিয়ে ক্লাসে টিপ্পনী কাটতো। এমনকি মাঝে মাঝে আমার সামনেও। বন্ধু মানুষ বলে ব্যপারটা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতাম না আমরা। কিন্তু যুথী আমাদের নির্বিরোধী আচরণের সুযোগটা নিচ্ছিলো ভালোমতোই। একদিন বেশ বিরক্ত হয়েই মেয়েটিকে ধমকে দিলাম। বন্ধুচক্রে এহেন বিষাক্ত লোকজন থাকলে আসলে পুরো চক্রটাই গুবলেট হয়ে যায়।
উপন্যাস : অচল পয়সার জবানবন্দি (৩)
৩.
আমাদের গ্যারাজটা’কে আমার আজীবন অদ্ভুত লেগেছে। আজও লাগে। আমার ধারণা আমৃত্যূ তাই লাগবে। ৯১-৯২ সালের দিকে ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্রীক একটা খুন হয়ে যাওয়ার পর এই গ্যারাজটায় ছেলে-পিলে সব আসা বন্ধ করে দিয়েছিলো। প্রায় দশ বছর পর; আমার যখন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরঘুর করার এ্যমেচার লেভেল অতিক্রান্ত হয়েছে; তখন সুব্রত, তোয়াব আর আমি একদিন একটি নির্ভুল স্টিক হাতে ঢুকে পড়লাম সেখানে। বহুদিন পর বোধহয় গ্যারাজের বাতাসে গাঁজার ধোঁয়া উড়লো। সেই থেকে আখড়াটি চালু আছে। মান্না দে’র ‘একই সে বাগানে আজ এসেছে নুতন কুঁড়ি, শুধু সেই সেদিনের মালি নেই’ কথাটাকে সত্য করে দিয়ে টিকে আছে আজ বহু বছর ধরে।
উপন্যাস : অচল পয়সার জবানবন্দি (২)
২.
ক্যম্পাসে প্রায়ই একটা গান গাইতাম আমি আর প্রিয়দর্শিনী। অলি আর বকুল’কে যখনই আড়াল খোঁজার চেষ্টায় হাঁটাহাঁটি করতে দেখতাম তখনই। মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে ওদের দুজনের সামনে এ গানটা গাইলে অলি প্রায়শই নিস্ফল আক্রোশে ফেটে পড়তে চাইতো। কিন্তু আমাদের ডানপিটেপনার সঙ্গে সুপরিচিত থাকার সুবাদে কখনোই সে সাহস দেখাতে পারতো না। গানটা ছিলো-
অলিরো কথা শুনে বকুল হাসে,
কই তাহার মতো তুমি আমার কথা শুনে হাসো না তো।
‘হাসো না তো’র জায়গায় আমরা গাইতাম ‘কাশো না তো’। তারপরে দু’জনে উচ্চস্বরে খক খক করে কাশতাম। দু’একবার।