অহনার অজানা যাত্রা (সাত)
অহনা হল্যান্ডে আসার পর এক তরফাভাবে সবাই তার দোষ-গুন, জ্ঞান - বুদ্ধি আবিস্কার করে যাচ্ছিলো। নতুন পরিবেশের ধাক্কা সামলে একটু অভ্যস্ত হয়ে এখন সেও অন্যদের জ্ঞান বিজ্ঞান আবিস্কারে মনোনিবেশ করলো। প্রথম ছমাসের মধ্যে তার আবিস্কারের অর্জন হলো ডাচ লাইফ সমন্ধে অর্নের জ্ঞান। দেখা গেলো অর্নের সব জ্ঞানের ভান্ডার হলো তাদের অফিস সেক্রেটারী। শপিং, বেড়াতে যাওয়া, বাইরে কোথাও ডিনার করতে যাওয়া অথবা অফিসিয়াল কোন ব্যাপার মোটকথা নেদারল্যান্ডসের যেকোন সমস্যার সমাধান আসে সেখান থেকে। অর্ন নিজে এসব ব্যাপারে খুব একটা কিছু জানে না, অবশ্য তার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো অর্নের আগ্রহ একেবারেই নেই এসব ব্যাপারে। সে আছে তার অফিস, পড়াশোনা, কম্পিউটার, ছুটির দিনে সকালে দেরী করে ওঠা, ব্রেকফাষ্ট আর হয় না তখন হয় ব্রাঞ্চ, ব্রাঞ্চ খেয়ে আবার ঘুম, সন্ধ্যেয় ঘুম থেকে ওঠে টিভিতে ডিসকোভারী, ন্যাশনাল জিওগ্রাফ্রী চ্যানেল কিংবা সিএনএন দেখে আবার ঘুমানো এই তালে।
এদিকে এতোদিন হয়ে গেলো বিদেশ এলো একদিনও হিন্দী সিনেমার ষ্টাইলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হলো না, ছবি তুলে দেশে পাঠানো হলো না অহনারতো প্রায় মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা । অর্ন একদিন অহনার ঘ্যানঘ্যানানিতে বিরক্ত হয়ে ঠিক বাঙ্গালীদের মতো লন্ডন, প্যারিস, নিউ ইয়র্ক স্টাইলে তাকে নিয়ে আমষ্টার্ডাম, রোটারডাম আর ডেনহাগ ঘুরে এলো। অহনাতো চারপাশ দেখে মুগ্ধ, যা দেখে তারই ছবি তুলে। বুঝুক না বুঝুক ক্লিক, ক্লিক, ক্লিক। এই ক্লিক ক্লিক ক্লিক বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিলো। বেচারা অর্ন বউকে ভদ্রতায় কিছু বলতে পারে না যে এতো ক্লিক ক্লিকের দরকার আসলে নেই, বছর না ঘুরতে ঘুরতেই আজকের চমক ধমক অনেক সাধারণ হয়ে আসবে। অবশ্য সংসারের বহু কিছুতেই অহনার হুশ নেই। এটুকু অর্ন বুঝতো মাত্র বাড়ি ছেড়ে এসেছে সে, তার ধারনা নেই কিভাবে কি চলে। সেদিন শুধু আস্তে করে বললো, ছবি প্রিন্ট করতে আসলে অনেক টাকা যায়, বেছে বেছে তোল। এতেই অহনার মুখ লাল হয়ে গেলো। ক্যামেরা রেখে দিলো পাশে। যদিও অর্ন বহুভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলো এরপর যে ও শুধু এটুকুই বলেছে, একটু বেছে বেছে তুলতে আর কিছু না, কিন্তু অহনা আর ক্যামেরা হাতে নিলো না।
সংসারের আয় ব্যয়, বাড়িভাড়া, গাড়ির খরচ কিংবা হেলথ ইন্স্যুরেন্স কোন কিছু সমন্ধে যে অহনার কোন ধারনাই নেই তিন মাসের মাথায় সেটা অর্নের কাছে পরিস্কার হয়ে গিয়েছিলো। অহনা আসা মাত্র তাকে নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে একটি ব্যাঙ্ক পাশ বানিয়ে দিয়ে অর্ন এটিমে টাকা তোলা শিখিয়ে দিয়েছিলো বটে। আর ভালোবেসে বলেছিল যখন যা দরকার হবে ইচ্ছেমতো খরচ করো। প্রথমে প্রথমে অর্নের সাথেই কেনাকাটা করতো কিন্তু পরে নিজের ইচ্ছেমতোও কিনতে লাগলো। শুধু কোন ধারনা নেই কতো খরচ করছে। আর কোন কারেন্সী খরচ করছে। টাকা ভেবে যেটা খরচ করছে সেটা আসলে টাকা নয়, ইউরো। অর্ন ভদ্রতায় কিছু বলতে পারছে না বটে কিন্তু তার জমানো টাকার ভান্ডার প্রায় শূন্য। বহুভাবে অর্ন তাকে ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করছিলো। চলো একটা বাজেট বানাই। কতোটাকা তুমি এমনি শপিং করবে এটার একটা আইডিয়া রাখো মাথায়। কিন্তু যাহা আয় তাহাই ব্যায় মার্কা ব্যাবসায়ী পরিবারে বড় হওয়া অহনা বাজেট মার্কা কথা বইয়ে পড়েছে বটে কিন্তু নিজের জীবনে কোথাও তার প্রয়োগ দেখেওনি শোনেওনি। সে এক কানে স্বামীর বোরিং লেকচার শোনে অন্য কানে ভুলেও যায় সাথে সাথেই।
কারেন্সীর পার্থক্য বোঝার ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ধরনের ভুল বোঝাবোঝি মনে পুষে রাখতো অহনা। অর্ন ভদ্র সে বউকে দুঃখ দিতেও পারে না, মুখে বলতেও পারে না কিন্তু কি করে ম্যানেজ করবে সেটাও ভেবে পাচ্ছে না। অহনাকে একদিন অর্ন বললো চলো তোমাকে আমি একটা গিফট কিনে দেই। অহনা সারা মল খুঁজে খুঁজে একটা কার্ডিগান পছন্দ করলো, আড়াইশ ইউরো দাম। লজ্জার মাথা খেয়ে অর্নকে বলতে হলো, এখন এতো টাকা নেই, এখন একটা একটু সস্তায় পছন্দ করো, পরের মাসে বেতন পেয়ে তোমাকে এটা কিনে দিবো। তার সেটা খুবই প্রেষ্টিজে লেগে গেলো। বাবা তার একি সর্বনাশ করলেন। আড়াইশ টাকার কাপড় সে জীবনে হাত নিয়ে নেড়ে দেখেছে ঢাকা থাকতে? আর আজকে তাকে শুনতে হচ্ছে স্বামী আড়াইশ টাকার থেকেও সস্তা কাপড় পছন্দ করতে বলছে। এটা অনেক দাম! অহনা অনেক গম্ভীর হয়ে বললো, থাক পরেই কিনবো, এখন আর লাগবে না। অর্ন অনেক বুঝিয়ে অন্য একটা কাপড় কিনে দিলো তাকে। প্রমিস করলো যে সামনের মাসে অবশ্যই সেটা অহনাকে কিনে দিবে। পরদিন অর্ন অফিসে যাওয়া মাত্র বাবাকে ফোন করে তার ঝাড়ি। এরকম একটা কিপ্টে ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিলে, আড়াইশ টাকা যার কাছে এতো দাম লাগে? বাবা এতো দূর থেকে অহনাকে কারেন্সী নিয়ে লেকচার দিতে পারেন না। তিনি যা পারেন তাই বললেন, তোর কি কি লাগবে আমায় চিঠিতে লিখে দিস, আমি পোষ্টে পাঠিয়ে দিবো। এসব নিয়ে তুই অর্নের সাথে ঝগড়া করিস না। তাতে সে আরো রেগে গেলো, সে ঝগড়া করার মতো মেয়ে? ঠাস ফোন নীচে।
তবে বিদেশে ভালো ভালো অনেক ব্যাপারও আছে অহনা সেটাও স্বীকার করে। এক সময় যে ক্যাডবেরীর জন্য অহনা অস্থির থাকতো সেই ক্যাডবেরীর ডাব্বা এখন হাতের মুঠোয়। একান্নবর্তী পরিবারে যদি একদিন ৫০০ টাকার ক্যাডবেরী কেনা হতো দেখা গেলো ছোট ভাইবোন বাবা চাচা দাদী আত্মীয় আশ্রিত সব ঘুরে মাত্র এক বা দুখানা ক্যাডবেরী হাতে এসেছে যা মুখে দিয়ে স্বাদ বোঝার আগেই শেষ। আর এখন অফুরন্ত ভান্ডার। কিংবা বারো টাকায় একটা মিনি সাইজের চিপসের প্যাকেট কিনেছে মাত্র বসেছে সেটা নিয়ে এসে দাড়ালো ছোট চাচাতো ভাইটা, বড় বড় মায়াবী চোখ তুলে, তার মুখের দিকে তাকিয়ে চিপসের অনেকটাই হয়তো তাকে দিয়ে দিলো আর সেই চিপসের জাম্বো প্যাকেট এখন অহনার হাতে, আবদার করে, অহনা বাজি আর একটা, আর একটা করার এখন আর কেউ কাছে নেই। একটা চিপসের লোভ দিয়ে ছোট ভাইদেরকে দিয়ে কতো ছড়া বলানো, অন্যদেরকে খেপানো কতো কি করাতো তখন অহনা। এখন এতো আছে কিন্তু সেই ক্যাডবেরী বা চিপসের সেই স্বাদ যেনো আর নেই। মনে হয় বড় ভাই বোনদের চড় চাপড় খাওয়া, সেই কাড়াকাড়ি করে খাওয়া দিন গুলোই যেনো ভালো ছিলো।
আগে ডিম ভাজা খেতে এতো ভালোবাসতো, মা কতো বকতেন এই ডিম খাওয়া নিয়ে, অহনা তখন ভাবতো দাড়াও যাচ্ছিতো হল্যান্ড, রোজ দিন তিন বেলা ডিম ভেজে ভেজে খাবো, কেউ কিচ্ছু বলতে পারবে না। অথচ একদিনও এখন ইচ্ছে করে না ডিম ভেজে খেতে কি অদ্ভুদ মানুষের মন। এক সময় যে সমস্ত জিনিসের জন্য পাগল ছিল এখন সে সব কিছুর প্রতি আর কোন আগ্রহ জাগে না। যে স্বাধীনতার জন্য আগে তীব্র লালসা ছিল, সেই স্বাধীনতা পাওয়া হয়ে যাওয়া মাত্র স্বাধীনতার প্রতি সমগ্র আগ্রহ হারিয়ে গেলো। যতো রাত ইচ্ছে টিভি দেখো, কম্পিউটারে গেম খেলো কিংবা গল্পের বই পড়ো ডাক দেয়ার কেউ নেই। কারো পায়ের শব্দে এক মূহুর্তের মধ্যে সব লুকিয়ে ঘুমানোর ভান করার কিছু নেই তাই এখন আর রাত জাগার কোন আগ্রহও নেই। এগারোটা বাজলেই লেপ টেনে শুয়ে পরা। এখন থেকে থেকে মনে হয় আহা সে পরাধীন জীবনটা কতো মিষ্টি ছিল।
সামার শুরু হয়ে যাওয়ার পর ডাচ ক্লাশের ছুটি। আজকাল পড়াটরা নেই অহনা প্রায়ই তাই তার বাইক নিয়ে সিটি সেন্টারে চলে যায় আর অকারনেই দোকানে দোকানে ঘুরে উইন্ডো শপিং করে। ইউন্ডো শপিং করতে করতে বহু কিছু আবিস্কার করা শুরু করলো। প্রথম আবিস্কার করলো এক ঘন্টার ডেলিভারীর যে দোকানে থেকে তারা ছবি প্রিন্ট করায় সেটা থেকে ছবি প্রিন্ট করলে অনেক দাম নেয় বটে কিন্তু অনেক দোকানে আছে সুপারমার্কেটে যেখানে তিনদিন পর ছবি ডেলিভারী নিলে খুবই সস্তায় ছবি প্রিন্ট করানো যায়। এ আবিস্কারের আনন্দে কাঁপতে কাঁপতে সে বাসায় এলো। দ্বিতীয় আবিস্কার ছিলো ফ্ল্যাটের কাছের যে সুপারমার্কেটে তারা রোজকার গ্রোসারী করে সেটা বেশ দাম, একটু দূরে গেলেই এর অর্ধেক দামে অন্য সুপার মার্কেটে তাদের গ্রোসারী হয়। তৃতীয় আবিস্কার ছিল যে ফ্ল্যাটে তারা থাকে সেটি প্রাইভেট এজেন্সী থেকে ভাড়া নেয়া, সরকারী অফিস থেকে বাড়িভাড়া করলে এর অর্ধেক দামে ফ্ল্যাটের বদলে আস্ত বাগানসহ বাড়ি পাওয়া যাবে।
মাত্র ছ’মাসের মধ্যে অর্নের অনেক আবিস্কারকে ভুল প্রমানিত করে অহনা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠল। অর্ন থাকতো অফিসে কিন্তু অহনা রাস্তায় থেকে থেকে ডাচ জীবন আবিস্কারের নেশায় মস্ত হয়ে গেলো। এর থেকে এই ইনফর্মেশন যোগাড় করাতো তার কাছ থেকে সেটা। এক অফিসে কোন দরকারে গেলে অন্য দশদিকের দিক নির্দেশনা তারা দিয়ে দেয়। নতুন অভিবাসীদের সাহায্য করার মানসিকতাও তখনও তাদের মধ্যে ছিল। সরকারী অফিসে বাড়িভাড়ার বিরাট কিউ থাকে। সাধারনভাবে তিন বছর লাগে একজনের বাড়ি পেতে। অহনা অফিসে গেলো, ফর্ম তুললো এবং ডাচ ডিকশনারী হাতে করে ফর্ম ফিলাপ করতে বসে গেলো একা একাই। অর্ন আনন্দ পাচ্ছে, অহনার ব্যস্ততা দেখে। সে এসবে নাক গলালো না, যা ইচ্ছে করুক প্লাস কিছু পয়সা বেঁচে গেলে কার না ভালো লাগে। মাঝে মাঝে নিজের গোঁফে তেল দিয়ে অহনা বসে পড়তো অর্নের কাছে, বাড়িভাড়ার অর্ধকে টাকা বেঁচে গেলে ওরা প্রথমে কি প্যারিস যাবে না রোম না লন্ডন সেই আলোচনা করতে।
(চলবে)
তানবীরা
২৭.০৬.১০
ওহ তাতা'পা দারুণ হইতেছে!!!
ধন্যবাদ অদিতি, আপনার পরের সিরিজ কবে শুরু করছেন?
তাতাপু এক কথায় দারুন!!!!!!!!!!!
বাকী কমেন্ট পরে দিমু নে।
আমি অপেক্ষায় থাকলাম আপনার মন্তব্যের।
'এটিমে টাকা তোলা' কথাটা দারুণ লাগলো। লেখকেরা যুগে যুগে নতুন নতুন কথা আর শব্দ ভাষায় যোগ করেছেন। তাদের এ অবদান অস্বীকার করারও জো নেই।
আরেকটা লাইনও অদ্ভূত, 'রোজ দিন তিন বেলা ডিম ভেজে ভেজে খাবো'। এত চমৎকার করে লেখেন কিভাবে?
অর্নর চরিত্রটা আস্তে আস্তে ফুটে উঠছে। আমি বলবো এরকম আস্তে আস্তেই উঠুক। ফার্সী প্রবাদ আছে, দের আয়ে, দুরুস্ত আয়ে।
মুগ্ধ বিষ্ময়ে লেখা পড়ছি। বলা ঠিক হবে কি না, সৈয়দ মুজতবা আলী এরকম লিখতেন। অবশ্য তিনি প্রথম পুরুষে লিখতেন। আর আপনি তৃতীয় পুরুষে লিখছেন। এটাই যেনো মজা অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পুরুষ মানুষ পুরুষের জবানীতে লিখেছেন। নারীরা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক তাই সে তার জবানীতে লিখেছে।
ভালো আছেন?
ভালো হবে না কিন্তু, কোনোদিনো সে কথা বলি নি।
আছি। ধইন্যবাদ।
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব চাই।
জমে গেছে...
দারুণ লাগলো এই পর্বটা...
আহারে, অর্নদের দুঃখ কবে যে অহনারা বুঝতে চেষ্টা করবে [দীর্ঘশ্বাসের ইমো]
আমি দিলাম মন খারাপের ইমো
দারুন। এইটা কিন্তু দেরি করে দিছেন।
হেহ, তানবীরা আপু মাসুম ভাইরে বিয়ার খাইতে দিছে---
বিলাই কি আমার ভাতিজা না ছোট ভাই আগে সেটা পরিস্কার করো
মাই গড! এই সিরিজের সাত পর্ব চলে আসলো কবে? অনেকগুলা পেন্ডিং হয়ে গেলো!
আপ্নেতো আছেন ফুটবল নিয়ে, দ্বীন দুনিয়ার কোন খবর কি রাখেন?
হিন্দি সিনেমা স্টাইলে বেড়ানোর কথাটা দুর্দান্ত। মেলবোর্নে চিত্রায়িত সালাম নমস্তের সাথে ওখানকার ভারতীয় তরুণতরুণীদের জীবনযাপনের তুলনা করে দেখে আমরা খুব হাসতাম।
ক্যাডবেরীর ডাব্বা
...ডাক দেয়ার কেউ নেই
তানবীরার লেখায় এগুলো বড় উপভোগ করি।
ভাগ্যিস ডিজিটাল ক্যামেরা আসছে, অহনা মনের সুখে ছবি তুলতে পারে এখন
পরের পর্ব দিতে দেরী কোরো না যেন!
তোমার মন্তব্য পাওয়া সব সময় সৌভাগ্য। একজন সচেতন, রসিকা ও বন্ধুর মন্তব্য থাকে।
আমার লেখা পড়লে একজন সাহিত্যিকের সাহিত্য আর অসাহিত্যিকের অসাহিত্যের পার্থক্য বোঝা যায়। শব্দতো তার বড়ো প্রমান
সুনীল শেঠি, শিল্পা শেঠি আর অক্ষয় কুমারের "ধারকান" দেখো, পাঁচ বছরে লন্ডনে এসে কোটিপতি হওয়ার ইতিহাস @@ লল আর মানিক বলে একজনের পেপারব্যাক উপন্যাস পড়েছিলাম, মুমু আর মাশরুফ নামের দুই নায়ক নায়িকার লাভষ্টোরী, আই লাভ ইউ টাইপ নাম ছিলো বইটার সম্ভবত, তিন পর্বের। পাঁচ বছরে বিরাট কামেল হওয়ার গল্প
। সেই তুলনায় সালাম নমস্তেতো পান্তা
অনেকদিন পর দিলেন এই পর্বটা। এটা ঠিক না। পরের পর্ব জলদি দেন।
পড়তে খুব ভালো লাগে তাতাপু।
তোমারতো ভালো লাগে বুঝলাম। কিন্তু পাঠককে বোর করছি কিনা বুঝতে পারছি না। রেসপন্স অনেক কম। বন্ধ করে দিতেও পারি
(
পাংখার জন্য তাহলেতো কিছু করতেই হয়
মানুষের জীবনের চাহিদার হিসেবগুলো সব এই সুত্রে গাঁথা। পাওয়া হয়ে গেলেই শেষ। অতৃপ্তির মতো সুখ কি আছে।
পাওয়া হয়ে গেলেই শেষ। অতৃপ্তির মতো সুখ কি আছে।
এটা আজকাল আমি খুব মানি। কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছি। কিনে আলমারীতে ভরা মাত্র পরার আগ্রহ চলে যায়, বাজার করে ফ্রীজে রাখা মাত্র খাওয়ার আগ্রহ চলে যায়
অর্ন দুলাভাইতো দেখছি খুব ভালো মানুষ।
অহনার মানসিক পরিপক্কতা বৃদ্ধি লক্ষনীয়।
আপ্নে শিওর যে অহনা মানসিকভাবে পরিপক্ক হচ্ছে?
ইয়াপ
তোফা তোফা---তাতাফা!
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম
আমার তো অহনার জন্য একটু একটু দু:খ লাগা শুরু হৈয়া গেছিলো সত্য সত্য, পরে অহনা একলা অনেক কিছু ঘুইরা ফিরা আবিষ্কার কৈরা কনফিডেন্স আনতে পারাতে ভালো লাগছে, বিদেশে একবার কনফিডেন্স আইসা পড়লে বিশাল বাঁচোয়া মনে হয়...
কারেন্সীর বিষয়ডা বেচারা অর্ণ খুলাখুলি কৈলেই পারতো, লোকটা দেখি ভালোই..
হিন্দি সিনেমা স্টাইল বেড়ানো কুনটা? ব্রীজের উপরে উইঠা রোমান্টিক গান গাওয়া টাইপ?
পরে আবার কৈলেন, বাঙ্গালীদের মত বেড়ানো, সেডা আবার কিরাম কাকী?
আহ, এই সিরিজটা চরম, আই লাইক...
হিন্দী সিনেমার বেড়ানো হলো, সুখী সুখী বেড়ানো, টাকা পয়সা কোন ব্যাপার না, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ দেখো নাই কাহো না পেয়ার হ্যায় সিনেমায়।
আর সাধারন বেড়ানো হলো কতো দ্রুত কোন জায়গায় পা দিয়ে ছবি তোলা যায়। তারমধ্যে বাঙ্গালীদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় হলো লন্ডন, প্যারিস আর নিউইর্য়ক। এই তিন দেশ ঘোরা মানে ওয়ার্ল্ড ট্যুর হয়ে গেছে
এই পর্বটা অসাধারণ হইসে। পড়ছিলাম, ব্যস্ততায় কমেন্টাইতে পারি নাই- এখন জানায় গেলাম। আপনের লেখার বড় গুণ যে একদম শেষ পর্যন্ত টাইনা রাখে।
ভাল কথা, আজকে ব্রাজিলের লগে হল্যান্ড না জিতলে কইলাম খবর আছে!!
কমেন্ট করা না হইলেও... পড়তাছি কিন্তু সবগুলাই...
কাকী, এডা ভাতিজা, ছুডু ভাই না, এলা পরের পর্ব কি দেশ থেইকা ঘুইরা যাওয়ার পর দিবেন?
তাড়াহুড়া নাই, স্বাভাবিক ফ্লোতে চাই....
পরের পর্ব দিয়া যাওয়ার খুবই ইচ্ছে ছিলোরে ভাতিজা, কিন্তু অনেক কিছু নিয়ে মনটা এতো ডাউন ছিলো যে কিছুতেই লিখে ওঠতে পারলাম নারে। শরীর মন দুটাই অবসন্ন হয়ে ছিলো। আমিও বুঝতেছি অনেক দেরি হচ্ছে।
আবার গত পর্বের তেমন কোন রেসপন্স ছিলো না, যদিও ভেবেছি কেউ পড়ুক না পড়ুক আমি লিখেই যাবো
ভালো থেকো শাওন
আর কতো দিন অপেক্ষা করতে হবে? আট নম্বর পর্বের জন্য!!!...তাড়াতাড়ি করেন আপু..
জটিলুন জটিলুন
মন্তব্য করুন