ফাহমিদা নবীর সাথে কিছুক্ষণ
বাসুগের আয়োজনে তৃতীয় বারের মতো “বাংলাদেশ ডে” উদযাপিত হলো নেদারল্যান্ডসে। এবারের আয়োজনের মূল আর্কষন ছিলেন সুকন্ঠী গায়িকা “ফাহমিদা নবী”। বাসুগের পক্ষ থেকে তার সাথে করা কিছু একান্ত আলাপচারিতার অংশ বিশেষ পাঠকদের জন্য।
১. নেদারল্যান্ডসে এসে আমাদেরকে দেখে কেমন লাগছে?
এতোদূরে যদিও আপনারা অল্প সংখ্যক বাঙ্গালীই আছেন কিন্তু দেশের প্রতি, বাংলা ভাষার প্রতি, সংস্কৃতির প্রতি আপনাদের এতো টান, দেখে খুব ভালো লাগছে।
২. প্রবাসীরা অহরহ মাতৃভূমিকে ছেড়ে আসার যন্ত্রনায় পোড়ে, দেশের মানুষরা কি সেটা অনুভব করতে পারেন?
জ্বী বুঝতে পারেন। আপনারা অনেক কষ্ট করেন, তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভাবেন, এতোদূর থেকে তাদের সুখ সুবিধার কথা ভেবে টাকা পয়সা পাঠান, তারা সেটা অনুভব করেন।
৩. গানের হাতেখড়ি কি বাবার কাছেই?
না, ঠিক তা নয়। বাবা আমাদের জন্য ওস্তাদ রেখে দিয়েছিলেন, ওস্তাদ আমানউল্লাহ খান।
৪. কতো বছর বয়েস থেকে গান করছেন?
ঠিক মনে নেই। খুব ছোটবেলা থেকেই। জন্মের পর থেকেই বলতে পারেন
৫. কোন ধরনের গান গাইতে আপনি নিজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
মেলোডিয়াস। যাতে ভালো সুর আছে। হৈ চৈ গান আমার দ্বারা হয় না আর শ্রোতারা তা ঠিক গ্রহনও করেন না।
৭.বাবার প্রেরনাই কি গানকে পেশা হিসেবে নিতে উৎসাহিত করেছে?
না ঠিক তা নয়। আমার মাও ভালো গান করতেন। বাবার সম্মানটা আমার হয়ে কাজ করেছে। কিন্তু গানের প্রতি আমি নিজেই খুব টান অনুভব করতাম। ছোটবেলা থেকেই শাহনাজ রহমতুল্লাহ, আশা - লতার বাংলা গান শুনতাম। আমি নিজের মধ্যেই সুরের আনাগোনা টের পেতাম। সে জন্যই আমি গান করছি।
৮. বাবাকে খুব মনে পড়ে নিশ্চয়ই? বাবাকে নিয়ে মধুর একটি স্মৃতি আমাদের পাঠকদেরকে বলুন।
সব স্মৃতিই মধুর স্মৃতি। বাবা খুব মিষ্টি খেতে ভালোবাসতেন। স্বাস্থ্যগত কারনে মা বাধা দিতেন। প্রায়ই বাবা আমাদেরকে বলতেন, রুমা সুমা চল বাইরে থেকে হেটে আসি। তখন আমরা এ্যালিফ্যান্ট রোডে থাকি। বাসা থেকে কয়েক কদম হাটলেই সামনে মরণ চাঁদের মিষ্টির দোকান। বাবা আমাদের নিয়ে চলে যেতেন মিষ্টির দোকানে। বসে মিষ্টির অর্ডার দিতেন। নিজেও খেতেন আমাদেরকেও খেতে সাধতেন। আমরা যদি সবটা না খেতে পারতাম, জিজ্ঞেস করতেন, কিরে খেতে পারছিস না ? আমাদের প্লেটে যতোটুকু থাকতো তাও খেতে নিতেন। অনেক সময় হয়েছে, দোকানে বসে থাকা অবস্থায় পরিচিত কাউকে পেলেন কিংবা অপরিচিত কেউ এসে বললো আপনার গান আমার ভালো লাগে নবী ভাই। তিনি তাদেরকে ডেকেও মিষ্টি খাওয়াতেন। তারাও যদি সবটা না খেতে পারতো তাদের প্লেটের অবশিষ্টাংশও বাবা খেয়ে নিতেন।
আর বাবা ছিলেন খুবই ভুলো মনের মানুষ। সব ভুলে যেতেন। বাড়িতে হয়তো কোন মেহমান এসেছেন, মা বললেন যাও দোকান থেকে মিষ্টি নিয়ে এসো। বাবা মিষ্টি আনতে গিয়ে দেখা গেলো আর ফিরছেন না। সন্ধ্যায় মেহমান এসেছিলো হয়তো, মা তাদের রান্না বান্না করে খাইয়ে বিদায় করেছেন। রাত এগারোটায় বাবা বাইরে থেকে ভক্তদের সাথে আড্ডা মেরে, গান গেয়ে টেয়ে, মিষ্টি খেয়ে দেয়ে ফিরেছেন। বাড়ি ফিরে মেহমানদের কথা মনে পড়েছে তার আবার।
৯. একজন গায়িকাকে বাংলাদেশের সমাজ কি চোখে দেখেন?
আমি আমার কথাই বলছি। খুবই সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। আমি যদি কাউকে কিছু বলি তারা আমার অনুরোধ রাখেন, কথা শুনেন। কিন্তু সেই সম্মান, শ্রদ্ধার আসন আমি নিজে দিনে দিনে তৈরী করে নিয়েছি।
১০. গানকে পেশা হিসেবে নিতে মেয়ে হিসেবে কোন সামাজিক কিংবা ধর্মীয় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কি?
আসলে বাবা - মা গান করতেন বলে আমি এমন একটা পরিবেশে বড় হয়েছি যে আমি এগুলোর সম্মুখীন হইনি। আর নিজে গান গাওয়ার আজকের এইযে অবস্থান সেটা আমি তিলে তিলে নিজেই তৈরী করে নিয়েছি।
১১. সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের মেয়েদের আজকের অবস্থান ব্যাখা করুন।
আজকে মেয়েদের অবস্থান হয়তো আগের চেয়ে ভালো কিন্তু আশাপ্রদ হওয়ার মতো কিছু না। শহরে কিংবা উচ্চবিত্ত শ্রেনীর মেয়েরা হয়তো সুযোগ পাচ্ছেন কিন্তু গ্রামে গঞ্জের সাধারণ মেয়েরা আজো তাদের অনেক ধরনের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
১২. জঙ্গীবাদ কি বাঙ্গালী সংস্কৃতি চর্চার পক্ষে বাধাস্বরূপ? যেমন একুশে ফেব্রুয়ারী কিংবা পহেলা বৈশাখ?
অবশ্যই। ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার কিন্তু জাতীয়তাবাদের চেয়ে বেশি নয়। আজকে আমাদের পরিচয় কি বিশ্বে, আমরা বাঙ্গালী। আমাদের ভাষা আমাদের সংস্কৃতিইতো আমাদের পরিচয়।
১৩. গান নিয়ে আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কি?
বাবার গানের স্কুলটাকে আরো বড় করবো তাতে ভালো গান শেখানোর ব্যবস্থা করবো।
১৪. ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্বেও কবি “দাউদ হায়দার” ও “তাসলিমা নাসরিন” কেনো দেশে ফিরতে পারছেন না? আপনার অনুভব কি?
আমি এটাকে অত্যন্ত অমানবিক একটা ব্যাপার বলে মনে করি। কখনো কখনো ভাবি, আমরা কি এখনো আদিম যুগে পরে আছি যেখানে মানুষ চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতো? একটা মেয়েকে তার মা-বাবা, পরিজন থেকে দিনের পর দিন বিচ্ছিন্ন রাখা।
তাসলিমা ভুল বা অন্যায় কিছুতো বলে নাই যে তাকে নির্বাসন দিতে হবে। তাসলিমার বাবা মারা গেলেন একটি বারও মেয়েকে চোখের দেখা দেখতে পেলেন না, মায়ের অবস্থাও ভালো না। এটি অত্যন্ত অনৈতিক।
১৫. দেশের জাতীয় সমস্যাগুলোতে সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গের প্রতিবাদের কন্ঠস্বর সীমিত ও ক্ষীন থাকে, এর কারন কি?
এ কথাটা মোটেও ঠিক না তানবীরা। আমরা সমস্যাগুলো অনুভব করি এবং তার পাশেই থাকি। কিন্তু আমরা যখন এর একটা সমাধান করতে বা বলতে যাই, দেশের মানুষ সেটা নিতে চায় না। আমরা সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি বিধায় তারা ভাবেন আমরা অতি আধুনিক। আমাদের সমাধানের ধরনটাও হয়তো “অতি আধুনিক” চোখেই তারা দেখে থাকেন। তারা অনুভব করেন না, একজন শিল্পী একই সাথে মা, স্ত্রী, মেয়ে সবই। তারাও বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান হয়তো অন্যদের থেকে একটু আলাদা ভাবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ফাহমিদা।
তোমাকেও তানবীরা।
তানবীরা
১৪.১১.২০০৯
গুড জব হৈসে। ইন্টারভিউটা কি ব্লগের জন্যই নেয়া? তাইলে তো ব্লগের সদস্য হিসেবে গর্ব বোধ করছি। অসংখ্য ধইন্যাপাতা আপ্নারে।
"ইন্টারভিউ তুমি কার?" ইন্টারভিউ যে পড়ে তার
নিয়েছিলাম বাসুগের জন্য, কিন্তু কোথাও পাব্লিশ করি নাই
ধইন্যাপাতা রাখলাম, পরে ডালে দিবোনে
ভাল লাগলো সাক্ষাতকারটি। একেবারে পেশাদার রিপোটার্র যেন আমাদের তানবীরা। ছবি থাকলে আরো ভালো হতো।
ছবি দিতে ইচ্ছা করলো না তাই
আপনাকেও ধন্যবাদ
আপনিও দেখি আমাদের মীর সাহেবের মতো ফাকিঁবাজি শুরু করছেন।
নতুন লেখা বাদ দিয়ে গপস্প করে বেরাচ্ছেন।
চালনী বলে সূঁচকে তোর কটা ফুটো?
নিজেতো বোধহয় যুগ পার করছো লেখো নাই যে
খুবই আরামদায়ক একটা সাক্ষাৎকার উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ ।
টাইপিং-এ অগুরুত্বপূর্ণ কিছু ত্রুটি আছে, না-দেখলেও চলে ।(যেমনঃ আকর্ষন, সংসস্কৃতির, মিষ্টিত, খেতে নিতেন, ব্যাখা, পরে আছি, ব্যাক্তিবর্গের, ব্যাক্তি । এ ছাড়া নত্ব-সত্ব কিছুটা গরমিল আছে ।)
ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার কিন্তু জাতীয়তাবাদের চেয়ে বেশি নয়। আজকে আমাদের পরিচয় কি বিশ্বে, আমরা বাঙ্গালী। আমাদের ভাষা আমাদের সংস্কৃতিইতো আমাদের পরিচয়। সাক্ষাৎকারের এ অংশটুকু তথাকথিত ধার্মিকরা পছন্দ না-ও করতে পারে ।
কোন ভুলই অ-গুরুত্বপূর্ন নয় নাজমুল ভাই। আমি যেগুলো পেলাম ঠিক করে দিলাম, বাকিগুলো আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
ধার্মিকরা পছন্দ না করলেও, কথা সত্যি অন্তত আমি তাই বিশ্বাস করি
দ্রুত সংশোধনের চেষ্টা করেছেন এ জন্য ধন্যবাদ । সমস্যা কি জানেন, নিজের ভুল নিজে খুঁজে পাওয়া সহজ নয়, অথচ অন্য কেউ দেখিয়ে দিলে মেজাজ গরম হয়ে ওঠে । আমার স্বভাব আবার বেশি ভাল নয়, বেখাপ্পা কিছু দেখলে কেন যেন ভাল লাগে না । আমি নিজে যে ত্রুটিমুক্ত তাও নয় । এ জন্য ভোগান্তিও হয় - তবু স্বভাব বদলায় না । কি যে করি ?
ভুল অন্যে দেখিয়ে না দিলে, শুদ্ধ হওয়া যায় না। এ লেসনটা আমি আমার জীবন দিয়ে শিখেছি। শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম উপায় ভুলধরাকারীকে শ্রদ্ধা করা। আপনি নিশ্চিন্তে আমার ভুল ধরে দেন, আমি কথা দিলাম, মেজাজ গরম করবো না।
অশেষ শ্রদ্ধা আপনাকে আমার অন্তর থেকে।
ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার কিন্তু জাতীয়তাবাদের চেয়ে বেশি নয় ------আসলে এমন করে ভাবলেই বিপদ। কম বেশি করবার বিষয় নয় এ গুলো। শ্রদ্ধেয়া ফাহমিদা না বোঝেন ধর্মের গুরুত্ব না জানেন জাতীয়তাবাদের অহংকার, তাই কম বেশি করতে হয় তাদের।ধর্মের প্রশান্তি লাভে ব্যর্থ আর জাতীয়তাবাদের তলানিতে বাস করে এমন বলা তাদেরই সাজে।
অন্ততঃ শিরোনামের " কিছুক্ষন" বানানটি "কিছুক্ষণ" করে দিন ।
দিলাম
ধন্যবাদ ।
পুরা সাক্ষাতকারের মতন হইছে ইন্টারভিউ টা।
পুরা মন্তব্যের মতো হইছে কমেন্টটা
মন্তব্য এবং সাক্ষাতকার দুটোই কমেন্ট ও ইন্টারভিউর মতো সুন্দর হয়েছে
পূর্ব উত্তর সবই সুন্দরের মত সৌন্দর্য । মজা পেলাম ।
চমৎকার কাজ করেছেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
আর আপার গান ভালো পাই।
সকালকে ধন্যবাদ। সেদিন আবার আসিব ফিরে গানটি শুনলাম ওনার গলায়, চমৎকার লাগলো।
সকাল বিকেল হয়ে যাওয়ার আগে লেখা দিন একটা
তানবীরা, চমৎকার রিপোর্টিং। চালিয়ে যান....।
ধন্যবাদ ঈশান
ফাহমিদা নবীরে তো পাইলাম। অহনার কি হইলো? ফাহমিদা নবীর সাথে গপসপ করে?
না, জয়িতার সাথে গপসপ করে। তোমার শিরোনামহীন ২ কোথায়?
ফাহমিদার ছোট বোনের আমি পাঙ্খা। ইনার গানও মন্দ লাগে না। ইন্টারভিউ নেয়ার এই স্টাইলটা ভাল লাগলো, মনে হল আপনি পাঠকের কথা ভাবেন। লেখকের এইটাইতো কমিটম্যান্ট সে তার পাঠককে তার চোখ দিয়ে সব জানিয়ে-পড়িয়ে নেয়। গুড জব। কিপইটআপ।
লীনা, আমাকে লেখক বলা নিতান্তই সম্মান দেয়া। যাহোক, সে সময় যা মনে পরেছে, জিজ্ঞেস করেছি এই যা
ধইন্যাপাতা অর্ধেক। ছবি নাই বইল্যা। আগে তো তারানা হালিমের ছবি সুদ্ধা আপনের পেপসোডেন্টাল ইসমাইল সহ ছবি দিছিলেন।
হাহাহাহাহা। ছবি দিতে ইচ্ছে করলো না তাই ছবি এবার বাদ।
সুন্দর হয়েছে চালিয়ে যান।
ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার কিন্তু জাতীয়তাবাদের চেয়ে বেশি নয় ------আসলে এমন করে ভাবলেই বিপদ। কম বেশি করবার বিষয় নয় এ গুলো। শ্রদ্ধেয়া ফাহমিদা না বোঝেন ধর্মের গুরুত্ব না জানেন জাতীয়তাবাদের অহংকার, তাই কম বেশি করতে হয় তাদের।ধর্মের প্রশান্তি লাভে ব্যর্থ আর জাতীয়তাবাদের তলানিতে বাস করে এমন বলা তাদেরই সাজে।
আপনার বক্তব্য বুঝতে পারিনি। ব্যাখার অপেক্ষায় থাকলাম
আপনার বক্তব্য বুঝতে না পারার তো কিছু নাই। ম্যাডাম ফাহমিদার কথা আমার কাছে মনে হয়েছে ধর্ম জঙ্গীবাদ জন্ম দিচ্ছে আর উনি এটাকে জাতীয়তাবাদের মুখোমুখি এনে কম বেশির পাল্লায় মাপছেন। সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক সংকট, বিশ্বাস ভঙ্গের মতো বিষয় গুলোতে মানুষ জঙ্গী হয়ছে আর পরে ধর্ম নামের অন্তর বিশ্বাসের কাছে আশ্রয় নিয়েছে ।ম্যাডাম ফাহমিদার মতো ভাবলে ধর্ম- জাতীয়তাবাদের আলাদা আলাদা অনুসারী হবে মানে প্রভেদ শুরু হবে।
আর একটা কথা তসলিমা নাসরিন আমারো প্রিয় লেখিকা, রুদ্রকে লেখা তার চিঠি আজও আমার হৃদয় এফোঁড় ওফোঁড় করে, তার অধিকাংশ লেখা আমার পড়া।আমি তাকে এখন গ্লোবাল লেখক মনে করি। ম্যাডাম ফাহমিদারা পারেন না দেশে জোর দাবী তুলতে তসলিমা নাসরিন কে ফিরিয়ে দেশে নিতে আরও কি পারেন না যে একবার বলতে যে " তসলিমা, গুজরাট ইস্যু নিয়া একবার মানবতার পক্ষে একটা লাইন লিখ, তুমি তো ঘর হারা মানবতার লেখক।"
যা হোক ম্যাডাম ফাহমিদারা আমাকে আপনাকে খুশি করতে কথা বলেন য়ার যা বলেন তা ভুলে যান, জন প্রিয় হবার জন্য বাইরে তসলিমাদের জন্য আওয়াজ দেন আর ঐ জনপ্রিয়তার জন্যই দেশে ওদের ভুলে থাকেন।
আমি জানি আমার ব্যাখ্যা আপনার মন ভরাতে পারেনি। দুঃখিত ।
আমি আপনার বক্তব্য এখনো বুঝতে পারিনি। দুঃখিত।
তবে মতামতের ভিন্নতা নিয়ে অপরকে সম্মান করার নামই গনতন্ত্র, আমি সেটার চর্চা রাখতে চাই। ভালো থাকবেন।
আমি কি অসম্মান করে কিছু বলেছি ? হায় এক চোখা দানবদের অভিনয়ের দর্শক থাকতে হবে তাদের কোন সমালোচনা করা যাবে না !!
সরি মারজুক, আসলে আমার বক্তব্যটা হয়তো যথেষ্ঠ পরিস্কার ছিলো না। আমার বক্তব্য ছিলো আমি আর আপনি দুজন হয়তো ভিন্ন দৃষ্টি পোষন করতে পারি কোন ব্যাপারে। কিন্তু দুজনেই দুজনের ভিন্ন দৃষ্টি নিয়েও দুজনকে সম্মান করে একসাথে কাজ করতে পারি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করুন