ছোটমা’র জন্যে একরাশ ভালোবাসা
দেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম তখন এক আড্ডায় বান্ধবীরা একটু অনুযোগ করলো আমার কাছে, এতো গল্প লিখি কিন্তু স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি লাইফের কোন গল্প মানে বান্ধবীদের নিয়ে গল্প কেনো লিখিনি এখনো। কি দুর্দান্ত দিন ছিলো আমাদের। সবসময় পড়াশোনায় ভালো কিন্তু দুষ্টমীতে ওস্তাদ হিসেবে আমাদের বান্ধবীগ্রুপের নাম ছিল সব ইন্সটিটিউটে। আমিও ভাবলাম তাইতো কেনো লেখা হয়নি সেগুলো এখনো? আমাদেরকে রীতিমতো ভয় খেতো অন্য মেয়েরা। এমন কায়দায় পঁচাতাম অন্যদেরকে কিন্তু এখনো হয়নি লেখা সেই গল্পগুলো এটাই সত্য। আজ কদিন ধরে ভাবছি প্রিয় মানুষ’রা যারা আমাকে শুধু আমি বলেই ভালোবাসে, আমার কাছে কোন প্রত্যাশা না রেখে তাদের নিয়েও কোনদিন কিছু লিখিনি এমনকি আমার কোন লেখা কোনদিন তাদেরকে উৎসর্গও করিনি। অক্সিজেন সারাবেলা ঘিরে রাখে বলে, তাকে টেকেন ফর গ্রান্টেডে রেখে দিয়েছি, খুলে দেখিনি ঝাঁপি তার। ছোটমা’কে দিয়ে আজ শুরু করলাম। আমার সাথে তার বয়সের ব্যবধান এক যুগেরও বেশি। আমার অনেক পরে সে এই পৃথিবীর আলো বাতাস দেখেছে। কিন্তু ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধি, সহ্য, স্যাক্রিফাইস আর সবাইকে দেয়ার ক্ষমতায় সে অনেক অনেক অনেক আগেই আমাকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে।
এক হরতাল মুখর ভোরে তার জন্ম। পুরো নার্সিং হোমে খবর হয়েছিল ফুটফুটে এতো সুন্দর একটা বাচ্চা মেয়ে জন্মেছে। আমাদের কোলে আর কেউ দেয় না। অন্য রোগীদের আত্মীয় স্বজনের কোলে কোলে সে ঘুরছে। আমি আর ভাইয়া নিরুপায় এক কোনায় দাঁড়িয়ে। তখন আব্বু নার্সকে অনুরোধ করলেন আমাদেরকে যেনো দেয় দেখতে। নার্স এসে বিশাল হাসি দিয়ে ভাইয়ার কোলে তুলে দিলেন। বললেন, চারবোনের এক ভাই তুমি, তোমার বিশাল দায়িত্ব। এতো সুন্দর বোন সহসা হয় না কারো, দেখে রেখো। ভাইয়া নার্সের কথার মর্যাদা রেখেছেন। আমাদের সবাইকে ভাইয়া ভালোবাসেন কিন্তু ভাইয়ার নিঃশ্বাসের এক পাশে লেখা আছে “ছোটমা’র নাম। আর এ নাম আমি নির্দ্বিধায় বলবো, শুধুমাত্র সৌর্ন্দয দিয়ে ছোটমা পাননি। অনেক ত্যাগ দিয়ে পেয়েছেন, ওয়েল ডিজার্ভাড। কিন্তু ছোটমা’র আগমনে আমি মোটেও হ্যাপি ছিলাম না তখন। আগে আমি আর ভাইয়া, দুই ভাইবোন, দাদু আর বাবা মা, এই ছিল আমাদের সংসার। তখনো ঢাকার জমি এতো দামি ছিল না। আমাদের বাড়ির ঘাড়ে লাগিয়ে লাগিয়ে অন্যেরা বাড়ি তুলেননি। চার বেডরুমের সেই বাড়িতে আমরা অনেক আনন্দে ছিলাম। কিন্তু লিটিস পিটিস ভাইবোন আসাতে, রুম দখল হতে লাগল, সাথে টিভি, সাথে মা। আগে মধ্যবিত্ত বাড়িতে সাধারণত একটা টিভি থাকতো। মা আমাকে আর আগের মতো সময় দিতেন না, দিতে লাগলেন ওদের। সেই রাগে আমি ছোট দুটোকে ছুঁতেও চাইতাম না। এখনো আমি বলি, তোকে আমি কোলে নিতাম না জানিস, ছোটমা হাসতে হাসতে আমার গায়ে গড়িয়ে পরে আর বলে এখনতো নাও।
আমি আর ছোটমা কন্সট্যান্ট ঝগড়া করতাম। মা বলতেন এটা কি করে সম্ভব? এতো গ্যাপের দুজনের মধ্যে এতো ঝগড়া। আবার আমিই দুবেলা মুখে তুলে খাইয়ে দিতাম। বিকেলে সাজিয়ে ঘুরতে পাঠাতাম। বেড়াতে গেলে সাজিয়ে নিয়ে যেতাম সাথে করে। তার চুল কেঁটে আমি পার্লার পার্লার প্র্যাক্টিস করতাম। তিলের খাজা ছিল তখন তার প্রিয় খাদ্য। টিভিতে নাটকের সিরিয়ালের সবাই ছিল তার আত্মীয়। বহুব্রীহি নাটকের মিলি ছিল, মিলি আন্টি, সোবহান সাহেব দাদা। তিনি তার কমন সেন্স খাটিয়ে পোষাক আর বয়স দেখে তাদের সাথে তার সম্পর্ক ঠিক করে নিতেন। যেমন চাঁদনী ফিল্মের ঋষি কাপুর ছিলেন তার রোহিত আঙ্কেল আর শ্রীদেবী ছিলেন চাঁদনী আন্টি। আমাকে ছাড়া আর সবার সাথে তার ভাব ছিল। আব্বু বাড়ি এলে আমার নামে নালিশ দিতো। আব্বু হাসতো আর বলতো, তোর সাথে ঝগড়া করে, দাড়া ওকে বিয়ে দিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দিবো। তখন ওনিও নেচে নেচে আমাকে বলতেন, বিদেশে পাঠাবো বিয়ে দিয়ে, এই হবে আমার সাথে ঝগড়া করার তোমার উচিৎ শাস্তি। সুখের দিন ঝগড়াঝাটি আর মারামারিতে অনেক দ্রুত ফুরিয়ে গেলো। তখন বুঝিনি যে সেগুলো সুখের দিন ছিল। উচিৎ শাস্তি পেয়ে আমি আজ অনেক দূরে। আমার বিয়েতে সবাই এতো উত্তেজিত ছিল যে আমি, আব্বু আর ছোটমা ছাড়া কেউ আমার বিদায় বেলায় কাঁদেনি। কিন্তু সেই থেকে আমার প্রত্যেক বিদায়ে ছোটমা অশ্রুসজল হয়েছে। আমি প্লেনে ওঠার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যে আমার গায়ের ঘ্রানের জন্যে আকঁড়ে থাকে সে ছোটমা।
এক সময়ের সবার আলহাদের ছোটমা কখন যে সবার আশ্রয় হয়ে গেলো তা আমরা সজ্ঞানে টেরই পাইনি। আব্বুর হার্ট এ্যাটার্ক হলো, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আলোচনা থাক এখানে। তিনবার ঢাকার নামী হাসপাতালে ওপেন হার্ট করে শেষ পর্যন্ত ভারতের দ্বারস্থ হতেই হলো। তিনবার এই অপারেশনের মাঝের যে সময়টা প্রায় দেড় বছর, আব্বু রাতে ঘুমাতে পারে না। সারা রাত ব্যথায় কাতরায়। আমি মেয়ে নিয়ে জেরবার, ঘুম কাতুরে, জাগতে পারি না। ছোটমা কিচ্ছু করতে পারে না কিন্তু আব্বু কাতরালে সে কি করে ঘুমায়? সারারাত আব্বু সোফার পাশে বসে থাকতো সে আব্বুকে ধরে চুপ করে, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। যখনও সে শুতে আসতো, তখন হয়তো মেঘ জেগে গেলো ঘুম থেকে। এসব মিলিয়ে তার রেজাল্টকে কম্প্রোমাইজ করতে সে বাধ্য হল। ঢাকা ভার্সিটিতে তার মনমতো সাবজেক্ট সে পেলো না। অথচ তার মেধার কোন কমতি ছিল না আমরা সবাই জানি। তার শিক্ষরাও অবাক হলেন কি করে সে জিপিএ ফাইভ পেলো না। আমরা জানি কি করে পেলো না। কিন্তু আমরা কি করবো? আমাদের সবার তখন চাকরী আছে, সংসার আছে শুধু ছোটমা ছাড়া তাই সব স্যাক্রিফাইস তাকেই করতে হবে যে। তাই সে সাধের ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ার আশা বাদ দিয়ে বিদেশী ইউনিতে ভর্তি হলো।
মেঘকে কেউ জিজ্ঞেস যদি করে, কে তোমার মা? সে চোখ বন্ধ করে জবাব দেয় ছোটমা। প্রথমে ভাবা হয়েছিল ছোটমা’র পরে বাড়িতে মেঘ প্রথম। তাই বুঝি দুজনের এতো টান। কিন্তু না, আমাদের তিন বোনের তিন বাচ্চারই মা হলো ছোট’মা। আর এখনতো ভাইয়ের মেয়েটা স্কুল থেকে এসে প্রজাপতির মতো ওর গায়ে ঝাপিয়ে পড়ে। সব বাচ্চাদের আবদার কে মিটাবে, ছোটমা। স্বর্নের এতো দাম। কিন্তু ছোটমা সব ছেলেমেয়েদেরকে সোনার লকেট, দুল, আংটি গিফট দেন তাদের জন্মদিনে। অথচ আমরা এখনও নিজেকে বাদ দিয়ে অন্যের কথা ভাবতে পারি না। কিন্তু ছোটমা নিজের টাকাটা পুরোটাই সন্তানদের দিয়ে দেন। এতো ব্যস্ততার মাঝেও টিউশিনি করে। চাকরীও করতো, অফিসে এসি নেই, এই কষ্টে চাকরী ছেড়ে দিয়েছে। যদিও বস এসি লাগিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার বন্ধু বান্ধব প্রায় নেই বললেই চলে। বানিজ্য মেলায়, ক্রিকেট খেলায় যায় ভাইয়ার সাথে। কে।এফ।সি খায় বাচ্চাদের নিয়ে। মাদার্স ডেতে সিনেমা দেখতে যায় মা’কে নিয়ে। মার্কেটে ঘুরে বোনকে নিয়ে। ফ্রেন্ডরা অনেক উলটা পালটা মজা করে যা ওর ভালো লাগে না তাই ফেসবুকের মধ্যেই ফ্রেন্ডশীপ সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে হারমোনিয়ামের ধূলো ঝেড়ে কিন্নরী কন্ঠে যখন গায়,
“চৈতালী চাঁদিনী রাতে, নব মালতীর কুঁড়ি
মুকুলও নয়ন মেলি সাথী জাগে আমারি সাথে”
তখন গান বাজনা নিয়ে নাঁক সিটকানো লোকও তার পাশে বসতে বাধ্য হয়।
রাতে আমি, ছোটমা আর মেঘ একসাথে ঘুমাই বেশিরভাগ দিন। আসলে ঘুমাই না ছোটমা আর আমি রাত জেগে প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় কূটনামি, গালগল্প করি আর হি হি হি করি। অনেক সময় হিহিহি করতে করতে গড়াতে গড়াতে বিছানা থেকে নীচে পড়ে যাই। তখন ভয় লাগে নীচ তলার ভাড়াটে না কাল সকালে আব্বুকে কিংবা ভাইয়াকে নালিশ করে। রাত তিনটায় পঞ্চাশ কেজি ওজনের কি পড়ে তাদের মাথায়। আমাদের সে গালগল্পে পাশের বাসার নতুন ভাড়াটে ছেলে, যে নিজেকে আজকাল বেশ হিরো ভাবছে তার থেকে শুরু করে রোজ বাসায় যে মাছ দেয় সেও বিষয় হতে পারে। দেশে এলে জীহবা সামলাতে পারি না। রাস্তায় মাস্তায় যা দেখি খেয়ে ফেলি লোভে পড়ে। স্টমাক আপসেট কিংবা ফুড পয়জনিং টাইপ কিছু হবেই হবে দু একবার। ছোটমা হয়তো সারাদিন বোনের সাথে মার্কেট ঘুরে, বোনের বাচ্চাদের গোসল দিয়ে খাইয়ে, নিদারুন ক্লান্ত হয়ে একটু চোখ বুঝেছে। রাত তিনটায় আমি ওয়াক করা মাত্র সে, সেই গভীর রাত্রিতে সে ছুটবে বালতি আনতে, পানি আনতে। তাকে ঘুম থেকে ডাকতে হবে না, বলতে হবে না কিছু আর সময় লাগবে মাত্র এক সেকেন্ড। বমির তোড়ে যখন মনে হবে বেসিন ভেঙ্গে নিয়ে পড়ছি তখন এমন করে জড়িয়ে থাকবে যে পৃথিবী যাহয় হোক, সে আমাকে ছাড়বে না।
মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর সবার আশ্রয় এখন সেই ছোটমা। আমাদেরকে দেখে, মেঘের কি সালোয়ার কামিজ লাগবে, আমি কি বই খুঁজতে বললাম, ব্যাঙ্কের হিসাব সব ছোটমা। মা বাবাকে দেখে, তাদের ঔষধ, প্রেশার, ডাক্তার সব ছোটমা। আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে দেখে, তাদের স্কুলে থেকে আনতে হবে, রাখতে হবে, সিনেমায় নিতে হবে কে ছোটমা। ভাড়াটিয়ারা কমপ্লেইন করবে কার কাছে, তো তার কাছেইতো। কাজের লোকের ঝামেলা, তাও ছোটমা। সংসারে ছোট হয়ে জন্মেছেন তিনি, কিন্তু সব দায়িত্ব হাসিমুখে মেনে নিয়ে শুধু দুহাত উজাড় করে দিয়েই যাচ্ছেন। নিচ্ছেন না কিছুই।
ছোটমা আমরা অনেক স্বার্থপর বটে কিন্তু তোমায় নিঃস্বার্থ ভালোবাসি জেনে রেখো।
তানবীরা
১৯.০৫.২০১১





সে আসলেই এইরকম একটা কিছু ডিজার্ব করে।
হ

বাজি@ চাক্কু কাহিনীটা জানালেন না।
================================
ছোটমা রে সালাম।
সালাম পৌঁছে দিব
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গোলাপি তারার জন্য ভালোবাসা!

সুন্দর করে লেখার জন্য
ছোটমার জন্য আদর, ভালোবাসা। ছোটমা কি চাক্কু দিয়ে দৌড়ানী দিছিলো তাতাপু?
মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। অনেক মায়ায় ভরা।
অনেকদিন পর লিখলেন তাতাপু। এরম কইরেন না, পিলিজ লাজে। উই লাভ ইউ সুইটু।
সময় পাইনা লিখতে, বিষয়ও পাইনা তারওপরে শরীরও ভালো নাই
চোখটা ভিজে গেল।
'ছোটমা'র মত একটা ছোট বোন যদি আমার থাকতো
নাই বেঁচে গেছো। বোন থাকা মানেই মায়া লাগাইছে পীরিত লাগাইছে। বোনেরা কদিন একসাথে থাকে বলো, বাকী জীবন বোনেরা বোনদের জন্যে কাঁদে
আরে আমার বোন আছে তো! দুটি বড় বোন। ছোট নেই

আমরা তিন বোন এক জায়গায় থাকি। আমার লক্ষী বোন দুটি আমার মাথার উপর বিশাল দুটি ছাতা
বোন আছে জেনে ভালো লাগলো। ভালবাসার মতো মিস করার মতো কেউ থাকাও জরুরি
শুধু আপনার মেয়েই ডাকে নাকি আপনারা সবাইই ছোটমা ডাকেন?
এখন সবাই ডাকি
ছোট মারে সেলাম। ছোট মা তো ব্লগ লেখে না?
টাইম নাই তবে পড়ে ব্লগ
চামে জানাইয়া দিলেন যে, "আমি সিলিম"
ছোট মাকে ছালাম ...
পঞ্চাশ কেজি মানে কি সিলিম নাকি? ঝানতাম নাতো
ছোটমার জন্য ভালোবাসা।
তোমার জন্যেও ভালোবাসা রাশু
এতো দেখি ব্যাপক কাহিনী। বাহ্!
শুভকামনা রইলো দুই বোনের জন্যই।
তোমার জন্যেও শুভকামনা
ইস, ছোটমাটা যদি আমার হতো। সালাম থাকলো
ওয়ালাইকুম সালাম
হ! ক্যাপ্টেন ববি এইখানে নিজের হাল জানাইছেন, যে উনি এখনও ফুরিয়ে যান নাই সিলিম আছেন!
লেখাটা ভীষন পছন্দ হইছে
আরে পঞ্চাশ কেজি বলছি আর বিশ কেজি হাতে রাখছি
লেখা পছন্দ করার জন্যে ধনে আর পুদিনাপাতা। ভর্তা বানিয়ে খাও, ককটেল ভর্তার স্বাদই আলাদা
এইসব কি??
পুরাই ভুয়া কথা।
রুম, টিভি, মা দিয়ে শুরু...........................চলছেই। শেষ নাই
ছোটমাকে 
একজন মায়াবতী আপা, আপ্নারে দেখতে মন্চায়
আহা এমন বোন যদি থাকতো! বোনই নাই...শালা...
লিখা ব্যাপক হইছে...
মেঘকন্যা যে, আছো কেমন
লেখাটায় একটা প্রবল আবেগ আছে। ছোটমা'র জন্য শুভেচ্ছা আর আপনার জন্য হিংসা তানবীরাপু।
আমার লেখা মানেই প্রবল আবেগ। আমি আস্তে আস্তে মহিলা হুমায়ূন আহমেদ হয়ে যাচ্ছি। আবেগ না হলে লেখাই আসে না আজকাল আমার
আমার পক্ষ থেকেও একরাশ ভালোবাসা থাকলো ।
আচ্ছা, নেন
খান
! ছোটমারে আমারও দারুণ লাইখইসে! খুব সুন্দর লিখসো তাতাপু!
ধন্যবাদ আর সে। আছো কেমন ?
ছোটমারে ব্লগে নিয়া আসো। আমাদের মতো ভাল মানুষ ব্লগে বাড়ানো দরকার আছে

মাসুম ভাই শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলেন যে তিনি একজন ''ভালো মানুষ'' ??
@ মাসুম ভাই
ছোটমা তো অলরেডি ব্লগে আছেন
বাফড়া, ভাল মানুষ আর ভদ্রলুকের মধ্যে অনেক পার্থক্য
অনেকের থেকে দশটা যদি আমাদেরকে লিখে জানাতেন শখত মামা
আমিও দাবি জানাই।
ছোটমার জন্য ভালোবাসা রইলো।
নতুন মায়ের জন্যও রইলো ভালবাসা
একজন নিঃস্বার্থ মানুষকে জানতে পারলাম...
ছোটমাকে আমার ভালোবাসা দিও । আর তোমার মত বড় বোন পাওয়া কপালের ব্যাপার । লেখা খুব ভালো লাগলো ।
লিজা কই থাকো? ব্লগে ফেসবুকে কোথাও সাড়া নেই যে?
হুমম.... বেচারি একটু অসুস্থ
লেখা ভালো লাগছে
কিন্তু ক্যাপ্টেন ববির ব্যাপারটা বুঝলাম না
বেশি বুঝা বিপদ। যতো কম বুঝবেন ততোই ভাল থাকবেন
আহ! কী চমৎকার একটা লেখা! বোনকে নিয়ে এত অসাধারণভাবে লেখা যায়, ভেবেই দেখিনি কখনো!
হাসিমুখে সব দায়িত্ব যে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে তার জন্য অনেক শুভকামনা। মঙ্গলময় ও কল্যাণকর হোক তার এবং আপনাদের জীবন...
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনিও
খুব ছোটমা হতে ইচ্ছে হচ্ছে
যার মাথার উপরে এমন একটা বড় বোনের ভালবাসার ছায়া আছে সে নিশ্চই অনেক ভাগ্যবান
ভাল লাগল তানবীরা
ধন্যবাদ লীনা। ভাল থেকো।
বাজি কেরম নাম? তবে বাবাজি শুনছি
বাবাজির মাইয়া হলো বাজি
আরে, আমি ঐদিন লেখাটা পড়েই মন্তব্য দিলাম। এখন দেখি গায়েব! নেট বড় যন্ত্রণা করে।
উনিশ নম্বরে তুই ঝুলছিস, চশমা বদলা মাইয়া
কাল তিনবার খুঁজলাম, নিজেকে খুঁজে পাইনি, প্রোপিক বদলে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে মনে হচ্ছে।
আমি যতরকমের ভুল করি তারমধ্যে এটা অমি নগণ্য। সবচে বড়সড় জঘন্য ভুলটা শুনলে স্রেফ বমি করে দেবে। (তিন তিনবার তিন জায়গায় ভুলে অন্যের টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত...হিহিহি)
ছোটমা আগামী জীবনে সুখীমা হোক
অনেক দিন পর লেখাটা পড়লাম। খুব সুন্দর লেখা।
লেখাটা অসাধারন।
ভালোবাসার মানুষ গুলো কে কখনই মন খুলে এভাবে বলা হয়ে উঠেনা।
ছোটমা'রা বোধহয় সবকালেই এমনি হয়।
আমারো অসাধারন একটা বড়ভাই আছে,
কিন্তু এরকম একটা ছোটবোন না থাকার আক্ষেপ কখনই যাবেনা!
ভাল থাকুন,অনেক ভাল..সবসময়।।
মন্তব্য করুন