ছুঁয়েছে এ গান আমার কান্নার সাত সুর
If you love something, set it free; if it comes backs it's yours, if it doesn't, it never was. রিচার্ড বাক’এর এই উক্তিটিকে মন্ত্র করে তিতলি সারাক্ষণ মনে মনে আউরাতে থাকে। নিজেকে শক্তি দিতে চেষ্টা করে। দশ বারের মধ্যে আট বার সে হেরে যায় নিজের কাছে আবার দু’বার জিতেও যায়। সে অপেক্ষা করে থাকবে সায়ানের ফিরে আসার। সায়ানতো তার নিজের অংশ, পথ ভুলে যায় না লোকে? সায়ান পথ হারিয়ে ফেলেছে, পথ খুঁজে ফিরে এসে তার সায়ান তাকে খুঁজবে তিতলি জানে। তিতলি তার সমস্ত দরজা, জানালা, ঘুলঘুলি খুলে দিয়ে সায়ানের ফেরার অপেক্ষায় রইলো। কতদিন করবে অপেক্ষা? দশ বছর? বিশ বছর? পুরো জন্ম কিংবা জন্মান্তর? কিন্তু তাকে যে অপেক্ষা করতেই হবে। কোন একদিন সায়ান যখন খুব ক্লান্ত হবে তিতলির কথা তার নিশ্চয়ই মনে পড়বে। তখন তিতলির দরজায় এসে যেনো দরজা বন্ধ না পায় তারজন্যে সব খুলে রাখবে সে। ক্লান্ত সায়ানের মুখ মুছিয়ে দিবে নিজের ওড়না দিয়ে, চুলে হাত বুলিয়ে দিবে। মগ ভর্তি গরম কফি নিয়ে দুজনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে জোস্ন্যা দেখবে আর সায়ানের কানের কাছে মুখ নিয়ে প্রিয় কবিতার প্রিয় লাইনগুলো গুন গুন করবে। হাত নেড়ে নেড়ে অনেক গল্প করবে সেদিন তিতলি সায়ানের সাথে, অর্থহীন সব গল্প, যার আসলে কোন মানেই নেই। সায়ানের ভাল না লাগলেও সেসব শুনতে হবে। ওর কোন চয়েস থাকবে না তখন তিতলির কাছে। এটাই হবে তার শাস্তি। চুপ কর, বক বক শুনে মাথা ব্যাথা করছে বললেও তিতলি থামবে না। কাতুকুতু দিয়ে আরো খোঁচাবে সে সায়ানকে। সে অপেক্ষা করে আর স্বপ্নের জাল বুনে যায়, সায়ানের ফিরে আসা বা না আসা হলো তার নিয়তি। আবার এটাও ভাবে তার কাছেই সায়ানের ফিরে আসাটা বড় কথা নয়। সায়ান যেখানেই থাকুক, যার কাছে থাকুক আনন্দে থাকুক আর ভালো থাকুক সেটা বড় কথা। সে শুধুতো সায়ানের সুখ চায়।
যার জন্যে তিতলি জগত জুড়ে এতো চুরি করেছে, সে যখন চোর বানিয়ে তার হাত ছেড়ে দিল, মানসিকভাবে তিতলি একদম একা হয়ে গেলো। তার দিনরাতের সব কাজের বাইরে বাকি সময়টা জুড়ে শুধু সায়ান ছিল। এখন নিজের মনে সে একলা থাকে, ফাঁকা অবসর। কোথাও আর সেই প্রিয় মুখ সেই হাসি নিয়ে উঁকি দেয় না। সেই মায়াভরা চোখ নিয়ে কেউ তাকানোর নেই। সেই হাত আর তার ঠোঁট ছুঁয়ে দিবে না। কেউ আর তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে তার চুলের গন্ধ নিবে না ভাবলেই তার এক এক সময় কষ্টে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। কি করে লোকে সব ভুলে যেতে পারে? কিন্তু তিতলি কিছুতেই হেরে যাবে না, নিজের কাছে সে নিজে এই প্রতিজ্ঞা নিল। এই যুদ্ধে তাকে জয়ী হতেই হবে। যতোই অস্থির লাগুক, নিঃশ্বাস বন্ধ হোক, মন কেমন করে করুক, চোখের পানিতে গাল ভিজেতো ভিজুক সায়ানের কাছে আর নিজেকে সে ছোট করবে না। ভালবাসাতো বেঁধে রাখার জিনিস নয়। হাত ছেড়ে যে চলে গেছে ফিরে তাকেই আসতে হবে। পৃথিবীর কারো কাছেই সে দুর্বল হবে না, ভেঙ্গে পড়বে না। নিজের আগুনে সে নিজে জ্বলবে। এতো জ্বলবে যে চোখের পানিকে সে বাস্প করে আকাশে উড়িয়ে দিবে। যেটা মেঘ হয়ে উড়ে গিয়ে ঝরে পড়বে সায়ানের বুকে। শুধু সায়ান জানতে পারবে না এই উড়ো মেঘের নাম কি ছিল।
মুরগী কেঁটে ছেড়ে দিলে যেমন ছটফট করতে করতে একসময় নিথর হয়ে যায়। কাঁটা মুরগীর মতো ছটফট করে করে একদিন সেও নিথর হয়ে যাবে এটুকু তিতলি জেনে গেল। কষ্ট হলে লোকে কষ্ট পায়, কিন্তু মরে যায় না, এটাই নিদারুন সত্যি। যদিও মরে গেলেই হয়তো কষ্টের হাত থেকে বেঁচে যেতো। তারপরও মনে ক্ষীণ আশা খেলা করে তার, কখনও ক্লান্ত মুহূর্তে সায়ান যখন একা থাকে, আনমনে জানালা গলিয়ে তার দৃষ্টি বাইরে দেয়, হয়তো তখন তার মনের নীল আকাশেও ভেসে ওঠে তিতলির মুখ। তিতলির জীবনের কাছে চাওয়ার বেশি কিছু নেই। নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে ধরা যায় শুধু এমন দুখানি হাত ছাড়া। আজ মনে হয় আনকন্ডিশনাল আসলে পৃথিবীতে কিছু নেই। আনমনে বকে যাওয়ার মতো বন্ধুও কেউ হয় না এ পৃথিবীতে। এগুলো সব আসলে কথার কথা। শুধু কবিতার জন্যে এগুলো বলা হয়। ইদানীং আনমনে যখন বকতে ইচ্ছে করে, সায়ানের হাত ধরে যখন উড়ে যেতে ইচ্ছে করে, সায়ানের ঘাড়ে নাক ঘষে দিতে ইচ্ছে করে, তিতলি সায়ানের নামের উইন্ডো খুলে সেগুলো টপটপ লিখে ফেলে। কিন্তু সে চিঠি কখনো সে সেন্ড বাটনে চাপ দিয়ে সায়ান পর্যন্ত পাঠায় না। সায়ান কোনদিন জানতেও পারবে না তিতলির এই খেলার কথা।
শেষের দিকে যখন কথা হত, সায়ান তিতলির দোষ ছাড়া আর কিছুই বলতো না। আপন মনেই হাসে তিতলি। তার চারপাশের সবাই তাকে এতদিন ধরে সহ্য করছে,ছোটখাট সমস্যা হলেও সেটা কখনো তার সাথে লোকে থাকতে পারবে না, সে পর্যায়ের নয়। কিন্তু যে তার একান্ত আপন, তার সবচেয়ে ভালোবাসার লোক পৃথিবীতে তার স্বভাব মেনে নিতে পারলো না। হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেল। কোন এক দুর্বল মুহূর্তে তিতলি সায়ানকে ম্যাসেঞ্জারে গ্রীন দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না।
জিজ্ঞেস করে ফেললো, আমাকে কোন দোষে তুই ছেড়ে গেলি যদি একবার বলতি
সায়ান তার স্বভাবসুলভ ইগো নিয়ে বললো, তোর কোন কিছুই আমার মনের মতো নারে। তুই কখনো ইনফ্যাক্ট আমার মনের মতো হতেও পারবি না।
কি লাভ? তাই ............ আসলে কি জানিস তুই কখনো আমার মনের মতো ছিলিও না।
তুই ছিলি আমার মনের এক সময়ের ঘোর লাগা বিভ্রান্তি মাত্র।
আপন মনে হাসে তিতলি, তার মন মজেছে অন্য জায়গায় কিন্তু সে দূরে গেল তিতলির দোষ দেখিয়ে। কেন সায়ান তাকে বলতে পারলো না, তার অন্য কাউকে চাই এখন? এটুকু সৎ সাহস দেখালে সে তিতলির কাছে ছোট হত না। তিতলি কি টের পাচ্ছে না আসলে সায়ানের পৃথিবী কেনো দুলছে? সেদিনও দেখলো ফেসবুকে সায়ান অনেক ছবি আপলোড করেছে তার ডিপার্টমেন্ট এর আউটিং এর। এক ছবিতে মেরুন রঙের টপস পড়া এক স্বর্নকেশির খুব কাছে সায়ান দাঁড়ানো, দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসছে। সায়ানের এ হাসি যে তিতলির চিরচেনা। আগে এ হাসি শুধুমাত্র তার জন্যে হাসতো সায়ান। তিতলি অনুভব করতে পারে, অনেক দূর থেকে এতো কঠিন হওয়া আসলে সোজা। দুজন মানুষ যখন কাছে থাকে, একজনের দৃষ্টি অন্যজনকে ছুঁয়ে যায়, একজনের স্পর্শ আর অন্যজনের হৃদয় ভিজিয়ে দেয়। ঠোঁট ঠোঁটকে আবেশে চেপে ধরে তখন এতো কঠিন হওয়া যায় না একজনের প্রতি। তিতলিকে চাবুক দিয়ে কেউ আঘাত করলেও হয়তো সে এতোটা কষ্ট পেতো না। চোখের জল মুছে সে প্রতিজ্ঞা করলো, কারো মনের মতো হওয়ার চেষ্টা সে করবে না আর, যথেষ্ঠ করেছে। বরং যে তাকে পেতে চাইবে, তাকেই তিতলির মনের মতো হতে হবে। দুঃখকে সে আস্তে আস্তে শক্তিতে বদলে দিবে। একদিন অবাক হয়ে তিতলি লক্ষ্য করলো, সায়ানের ম্যাসেঞ্জার - ফেসবুক যেসব জায়গায় তিতলির অবাধ বিচরণ ছিল, সায়ান তাকে বিতারিত করে দিয়েছে অবলীলায়। সে হতবাক হয়ে গেলো সায়ানের এই ক্ষুদ্রতায়, সে সায়ানের জান হয়তো নয় আর কিন্তু বন্ধুও কি নয়? আর দশটা সাধারণ বন্ধুর মতো সে কি সায়ান কেমন আছে এটুকু জানতে পারে না? সে অধিকারও কেড়ে নিতে হলো তার কাছ থেকে? কিন্তু পরে সে সায়ানকে মনে মনে ধন্যবাদ দিতে লাগলো এজন্যে। অতীতকে মুছে সামনে যাওয়া এখন তিতলির জন্যেও সহজ হবে। যদিও জানে তিতলি তার চুলের গন্ধ পেলে, তার চোখের আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পেলে, তার আঙ্গুল সায়ানের ঠোঁট ছুঁয়ে দিলে এতো তাড়াতাড়ি সায়ান তাকে মুছতে পারতো না সবকিছু থেকে। তবুও তিতলি নিজেকে টেনে তুললো হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির ভঙ্গুর স্তুপ থেকে। ফিরে দাড়ালো কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে আজ থেকে গানের সাধনায়, ছবি আঁকায় আর পড়াশোনায় নিজেকে আকন্ঠ ডুবিয়ে দিবে সে। হাঁটবে একা, বাঁচবে একা, হারিয়ে যাবে না কিছুতেই।
তানবীরা
২০.০৫.২০১১
উৎসর্গঃ আমাদের সবার আদরের “ছোটমা’কে”
লুকিয়ে ভালবাসবো তারে জানতে দিব না





এইতো চাই! তিতলিরা সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুক।
কতদিন পর তিতলি-সায়ান সিরিজ এলো! এত লম্বা বিরতি যেন আর না পড়ে
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। নাও
খাও 
হুমমমম। এই তিতলি তাহলে 'মেঘ বলেছে যাবো যাবো' -র তিতলীর মত না। আমার কিন্তু মনে হয় সায়ানের ফেরা শতভাগ নিশ্চিত, তবে তিতলির জন্য সেটা খুব বেশি দেরি হয়ে যাবে। আর তিতলিকে না পাওয়াই হবে ওর জন্য সমুচিত শাস্তি।
তিতলি-সায়ানের সিরিজ আছে নাকি?
শাস্তি দিয়ে - পেয়ে কার কি লাভ হবে? সায়ানকে শাস্তি দিতে গেলে সে শাস্তিতো তিতলিও পাবে নাকি? জটিল যন্ত্রনা হলো জীবন। পেলেও কষ্ট না পেলেও কষ্ট
তিতলি-সায়ান সিরিজ লেখা নাকি? তাহলে আগের গুলো পড়া হয়নি। এটাই প্রথম পড়লাম, এবং ভালো লাগলো।...
ভাঙা-সম্পর্ক নিয়ে গল্প লেখা কঠিন কাজ। অনেক সময় বড়ো বড়ো কারণেও সম্পর্ক ভাঙে না, আবার কখনো আপাত-তুচ্ছ কারণেও সম্পর্ক ভেঙে যায়! 'আপাত তুচ্ছ' বলছি, কারণ এটাকে অন্য সবার কাছে তুচ্ছ মনে হতে পারে, এমনকি দুজনের মধ্যে যে কোনো একজনের কাছেও তুচ্ছ মনে হতে পারে, কিন্তু যার তরফ থেকে ভেঙেছে তার কাছে কারণটি হয়তো তুচ্ছ নয়! মানুষ অদ্ভুত প্রাণী, 'সামান্য' কোনো কথাও তার মন ভেঙে দিতে পারে!
আরেকটা কথাও মনে হলো, উপস্থিতি বা সান্নিধ্য বা শরীরের ভাষা বিনিময় সম্পর্ককে চলমান রাখতে অক্ষম। ওরকম মনে হয়, আসলে ওরকম নয়...
অনেক কথা বলে ফেললাম, ভালো লেগেছে বলেই। ভালো থাকুন...
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি অসম্ভব আনন্দিত।
আপনার কথা ঠিক শারীরিক উপস্থিতি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবার জন্য যথেষ্ঠ নয় সবসময়। যেমন সন্তান থাকলেই যে সংসার টিকবে তাও না। কিন্তু লং ডিসটেন্স রিলেশন যতো দ্রুত ভাঙ্গে, হয়তো পাশাপাশি থাকলে ততো দ্রুত ভাঙ্গে না। দেখবেন টেলিফোনে যত দ্রুত কাউকে আপনি কিছু অপ্রীতিকর কথা বলতে পারছেন, সামনে থাকলে চক্ষু লজ্জায় তা পারছেন না।
ভবিষ্যতেও আপনার থেকে মতামত পাওয়ার আশায় থাকবো।
কিছু কিছু লাইন কোট করতে শুরু করেছিলাম, এক সময় দেখলাম পুরো লেখাটাই কোট করে ফেলছি!
এইটুকুতে মনে পড়লো, - যে মেঘটা যাচ্ছে উড়ে, সেই মেঘেদের ফাকেঁ আমার দেখা স্বপ্নগুলো লুকিয়ে রাখা থাকে, বৃষ্টি হলে যেই ফোটাঁটা পড়বে তোমার গালে, সেটাই ছিলো আমার দেখা স্বপ্ন কোনকালে!
মীরের নতুন কবিতাটায় একটা অস্থিরতা আছে, তিতলির মাঝেও তাই দেখলাম, এই সায়ানকে মোটেই চাইছে না আর, যে কিনা অবহেলা করলো, বললো যে,
আবার তারে নিয়েই যত চিঠি লেখা!! সময়েই পাগলামি ঠিক হয়ে যাবে!
এটা কার লেখা?
হুমম ভাগ্যিস সময় অনেক কিছুতে পর্দা এনে দেয়। নইলে বাঁচাই দায় হতো।
পড়লাম আর বেশ ভাল লাগলো
জেনে ভালো লাগলো
এতটা ভণ্ডামী কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে? তার ওপর সেই মানুষটার সঙ্গে- যে তাকেই ভালোবাসে কেবল? এমন ব্যাপারগুলো সত্যিই কোনো মানুষের ভেতর থাকলে তারে মানুষ বলাটাও মনে হয় আত্ম-প্রতারণার সামিল।
আনকন্ডিশনাল আসলে পৃথিবীতে কিছু নেই।
এখানে আমার একটু আপত্তি আছে। এই যে তিতলি মেয়েটা কামনা করে যে, সেই সায়ান ভণ্ডটা যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক। এই চাওয়ায় তিতলি মাইয়াটার কী সাত রাজার ধন লাভ হইয়া গেল?
মাথা আর মন দুটো আলাদা জায়গায় থাকে। লাভ - লসের মধ্যে মানুষ সব সময় নিজেকে আটকে রাখতে পারে না। বাবা মা যেমন চরম দুষ্ট ছেলে মেয়েও সুখে থাকুক তাইই চান, তেমনি অনেকেই ভাবেন, যেখানেই থাকো ভাল থেকো
তিতলি দেখি আমার মতো!

হ
এহ শাবানা।
হুমমমম।
দারুণ লিখেছেন তাতাপু। এর আগে এক পর্বে বলেছিলাম, দুনিয়াতে এমন সায়ান দেখি নাই। এই পর্বে মনে হলো সায়ানরা এমনই হয়।
জয়িতা কি কাউরে শাবানা কইলা নাকি!!
কি মজা নিয়া নিয়া, হা-হুতাশ করে বলছিলা না একদিন যে, আহা, যদি পাইতাম সায়ানের মতো কাউরে! মীরের লেখা তিতলি-সায়ান এর কোন পার্টটা পড়ে বলছিলা মনে হয় ..
শাবানা কেন? সায়ান খারাপ থাকলে তিতলির কি লাভ হবে?
শাবানার সব সিনেমায় দেখতাম শাবানা এমন মহৎ হয়। নাইলে যে বেটা এত্ত ভালোবাসা ভুলে যাবে তার ভালো থাকার রাইট নাই। গুল্লি করন দরকার।
এত হুক্কা খাইয়েন না। কাশি হপে তো।
আমারও তাই কথা, তিতলির লগে নাই তো কি, সায়ান তো ভালো আছে, ওর ভালো লাগাটার জন্যেই তো এতো কিছু! ...
কাটা মুরগী ছাড়া আর কোন উপমা পেলেন না ???
আপনার কি মুরগীতে এ্যালার্জি? তাহলে কাঁটা গরু কিংবা জ্যান্ত কৈ করে দিব লেখাটাকে?
আরে হাসো ক্যান? জ্বালা দেখি
প্রথমেই এই ধরনের নারীবাদী লেখার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
সারাজীবন কি সায়ানরাই তিতলীদের ধোঁকা দিয়ে যায় হাত ছেড়ে দিয়ে যায়? কোন সময় তিতলীরা ছাড়ে না???ছাড়ে হয়তো কিন্তু সেগুলো গল্প উপন্যাসে আসে না।আসলেও হয়তো এত মানুষ হা-হুতাশ করে না।
=====================================
তবে লেখাটা ভালো হয়ছে।আর এই সিরিজটা শুরুর সময় কথা ছিলো এটা একটা পুতুপুতু প্রেম কাহিনী হবে কিন্তু সেটা না করে এইগুলো কি শুরু করলেন??
========================
মীরের কাছে অনুরোধ সায়ানের পার্টটা ভালো মতো লিখে।
প্রথমেই নিন্দা জানানোর নিন্দা জানাচ্ছি।
আপনারে কে বলছে মেয়েরা ধোঁকা দিলে সেগুলো গল্প উপন্যাসে আসে না? তুষার আবদুল্লাহতো রোজ লিখে যাচ্ছেন কিছু
কাহিনীতে টুইষ্ট লাগবে না? পুতুপুতু প্রেমের সাথে হুটোহুটি ঝগড়া
আমারও অনুরোধ মীরের কাছে
রাসেলের এতো লাগলো ক্যা? নিজেরে সায়ান ভাবতাছিলি নাকি? খেক খেক খেক...
ভাবলেই ক্ষতি কি চাচাতো ভাই??

আমিও তাই কই
অনেকদিন পর বাজি। এবার আর এরকম দেরি কইরো না।
হাঁটবে একা, বাঁচবে একা, হারিয়ে যাবে না কিছুতেই।
হারিয়ে যাবো না এইতো জরুরী খবর
আকাঙ্খা আর হতাশায় হারিয়ে যাবার কোন মানে নেই
পায়ে পায়ে পথ চলি গোটা শহর
রিচার্ড বাক কি এটার প্র্যাকটিক্যাল ইমপ্লিমেন্টেশন করেছিলেন?
আমি সায়ান -তিতলীর আগের কোন সিরিজ পড়িনি। এটা দিয়ে শুরু....ভাল লেগেছে।
ঐ সময় জন্মালে ওনাকে জিজ্ঞাইতে পারতাম
জন্মাতে হলো দেরী
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আনকন্ডিশনাল লাভ বইলা দুনিয়ায় কিছু নাই.
..মাগার হেট্রেড কিন্তু বিন্দাস আনকন্ডিশনাল... আমরা কোন কন্ডিশন ছাড়াই মানুষরে নিরন্তর ঘৃণা কইরা যাইতে পারি..।
মা-বাবা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, দাদু - নানু এরা কিন্তু আনকন্ডিশনাল ভালোবাসে
এই পর্বটা বেশি দারুণ হয়েছে!
চলুক। বন্ধ যেন না হয়।
বাই দ্যা ওয়ে ছিলে কোথায়?
সেটাই
যদি সত্যি এমনটি করে দেখানো সম্ভব হয়, তাহলে এর চেয়ে সুন্দর প্রতিজ্ঞা হয়না!
সেদিনও ভাবছিলাম, তাতাপু না একটা সিরিজ লিখছিলো, সেই সিরিজ কি আমার অগচরে হঠাৎ শেষ হয়ে গেল নাকি? পরে আপনার লেখা গুলো ঘেটে দেখেছি যে, না শেষ হয়নি। বরং আপনি অনেক দিন এই সিরিজ আর লেখেননি। এত দীর্ঘ বিরতি কাম্য নয়। তবু, ক্ষমা করে দিলাম
কারন, এই পর্বটা দারুন হয়েছে।
ক্ষমা পেয়ে আনন্দিত, পড়েছো বলে আরো বেশি
ভালো লাগলো
মেঘকন্যাকে অনেক ভালোবাসা
একা হলো কোথায়? তিতলী তুমি এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে।
অন্যরকম,
দারুন লাগলো..।
এই সিরিজের আগের লেখাগুলো কোথায়?
মন্তব্য করুন