বইমেলা কড়চা – (এক) দুধের স্বাদ ঘোলে
বইমেলায় যেতে পারি না। কতো প্রিয়জনের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়, আনন্দিত, গর্বিত মুখখানা ছবিতে দেখি, সামনে থেকে দেখতে পারি না। আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি না, বার্গার, হালিম খেতে পারি না। রোজ পত্রিকা পড়ে, ব্লগ পড়ে, ফেসবুকের স্ট্যাটাস আর নোট পড়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই। পত্রিকার মারফত জানলাম বিশিষ্ট সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার ওপর একটি বই লিখছেন। হঠাৎ তিনি মিসির আলি আর হিমুকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর কেন পড়ে গেলেন ভাবতে যেয়ে মনে হল, নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার ফুল পেয়ে তিনি হয়তো বিগলিত হয়েছেন। এর প্রতিদান স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর হত্যার ওপর একটি উপন্যাস লিখবেন। হয়তো তারপর শেখ হাসিনা কিংবা তার পরিবারকে উৎসর্গ করলেও করতে পারেন।
কিন্তু এতো কঠিন বিষয় নিয়ে তিনি লিখবেন উপন্যাস!!! চাইলেই কি তিনি পারবেন? তারওতো আমার মতো সবকিছু সরলীকরন করে ফেলার বদভ্যাস আছে। একবার শুনলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বৎসরের ছুটি নিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর পাঁচশ পৃষ্ঠার উপন্যাস লিখছেন। চারদিকে ঢাক ঢোল। এটি নাকি মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি “মাষ্টারপীস” হবে। “জোস্ন্যা ও জননীর গল্প” পড়ে আমি যারপর নাই হতাশ হয়েছিলাম। একজন লেখক লেখার আগেই কি করে বুঝে ফেলেন তার বই কতো পৃষ্ঠা হবে তাও আশ্চর্য। মনের আনন্দে লিখার পর গুনা যায় কতো পৃষ্ঠা হলো। তাই ভাবছিলাম বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে লেখা উপন্যাস “দেয়াল” কি রকম হতে পারে? কিছু এরকম হয়তো?
টেলিফোনে বঙ্গবন্ধু তার বিশ্বস্ত সেনা সদস্যের সাথে কথা বললেন। তাঁর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠলো। গভীর খারাপ ব্যাপার না হলে এধরনের ভাঁজ তাঁর কপালে দেখা যায় না। তিনি খক খক করে তিন বার কাশলেন। দেশের সার্বিক অশান্তি ভাবতে ভাবতে তাঁর ভীষন চায়ের তেষ্টা পেয়ে গেল। তিনি তার স্ত্রীকে বললেন, চা করে আনতে। বেগম ফজিলাতুন্নেসা রান্নাঘরে গেলেন। স্বামীর কাজের জন্য গৃহভৃত্যদের আর ডাকলেন না। কিন্তু চা বানাতে গিয়ে কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না। শেষে তরকারীর চামচটা উলটা করে ধরে তার ডাটা দিয়ে চিনি নাড়তে নাড়তে বঙ্গবন্ধুর হাতে চায়ের কাপটা দিলেন। চা মুখে দিয়েই বঙ্গবন্ধু মুখটা বিকৃত করে ফেললেন। কঠিন গলায় বললেন, এটা কি বানাইছো? চা না শরবত? এতো বছর হয়ে গেলো এখনো চা বানাইতে শিখো নাই? যাও আর এক কাপ নিয়ে আসো চিনি ছাড়া সাথে মুখের মিষ্টি কাটানোর জন্য জর্দা দেয়া একটা পানও নিয়ে এসো।
স্বামীর কথা শুনে মুখ কালো করে ফেললেন বেগম ফজিলাতুন্নেসা। বঙ্গবন্ধু সেটা খেয়াল করলেন না। তিনি গভীর ভাবনায় নিমগ্ন। বেগম ফজিলাতুন্নেসার খুব ইচ্ছে করছিল স্বামীর কপালে একটু হাত রাখতে। কিন্তু রাখলেন না, তাঁর স্বামী কাজের সময় এগুলো পছন্দ করেন না। মানুষটি বড় ভাল। তিনি অসম্ভব ভালবাসেন তাঁর স্বামীকে। কিন্তু তিনি কখনো স্বামীকে তা জানতে দেন না। বঙ্গবন্ধু তিক্ত গলায় বললেন, সামনে দাঁড়ায় আছ কেন, নিজের কাজে যাও। তিনি দীর্ঘশ্বাস গোপন করে আস্তে আস্তে সামনে থেকে সরে গেলেন।
নীচে বাইরের বারান্দায় মেজর ডালিম পায়চারী করছেন। তিনি থু থু করে কয়েক দলা থু থু ফেললেন লনের ঘাসে। খুব সিগারেটের তেষ্টা পেয়েছে। পকেটে হাত দিয়ে দেখেন মাত্র দুটো ময়লা পাঁচ টাকার নোট যার মধ্যে একটি আবার মাঝখানে ছিড়া। আর দুটো গোল্ডলীফ সিগারেট আছে। সিগারেট ঠোঁটে ঝুলিয়ে দেখেন, লাইটার আনতে ভুলে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর গৃহভৃত্যকে বললেন, লাইটার দিতে,
ভৃত্য বললো, মাশাল্লাহ, আমি দিবো লাইটার!!!
এখন থেকে সিগারেট খাইলে লাইটার রশি দিয়ে গলার সাথে ঝুলায় রাখবেন মিয়া ভাই
মেজর ডালিম শীতল চোখে গৃহভৃত্যের দিকে তাকালেন। ভাবলেন যখন বাগে পাবো ...।। মনে মনে তিনবার গাল দিলেন, শালা, শালা, শালা। তিনবার গালি দিলে রাগ অনেক কমে যায়। তিন একটা ম্যাজিক সংখ্যা। পৃথিবীর মহান জিনিসের সবই তিন। আকাশ-পাতাল-পৃথিবী তিন। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত তিন। ছোটকাল-মধ্যকাল-বুড়াকাল তিন। পতি-পত্নী আর ও তিন।
মেজর ডালিমের বউ রুপবতী খুবই রুপবতী। কিন্তু মেয়েটি সাথে অসম্ভব বুদ্ধিমতী। রুপবতী মেয়েরা সাধারণতঃ বুদ্ধিমতী হয় না কিন্তু এ মেয়েটি তার ব্যাতিক্রম। প্রকৃতি মাঝে মাঝে অদ্ভূদ কিছু কাজ করে, যার ব্যাখা খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে। সে নিজেও রহস্যময়। প্রকৃতি নিজেও চায় না মানুষ তার সব রহস্য ভেদ করুক।
শেখ কামাল ছেলেটি এমনিতে দারুন করিতকর্মা আর স্মার্ট। কিন্তু এ মেয়েটির সামনে এলে সব কেমন যেন তার গুলিয়ে যায়। মায়াবতী এ মেয়েটিকে দেখার পর শেখ কামালের বুকটা কেমন যেন করে উঠল। হড়বড় করে অনেক কথা বলে ফেলেন যার আসলে কোন মানে হয় না। মেয়েটি যখন তার ডাগর কাজল চোখ দুটো তুলে তাকায়, তার সারা পৃথিবী তখন দুলতে থাকে। আজকাল তার মনে হতে লাগল, এই অসাধারণ মেয়েটিকে ছাড়া তার বেঁচে থাকা বৃথা... বারে বারে ঘুরে ফিরে মেয়েটিকে মনে পড়ে। নানা উছিলায় সে ঐ বাড়িতে ফোন করে, কখনো শুধু মেয়েটির কিন্নরী কন্ঠস্বর শুনে ফোন ছেড়ে দেয়, নিজে কোন কথা না বলে। মেয়েটি হ্যালো হ্যালো বলে জানতে চায় কে আছে ওপাশে, তারপর অবাক হয়ে ফোন ছেড়ে দেয়।
এই রাতটি যেন কেমন। দূরে অমঙ্গল আশঙ্কা করে কোথায় যেন দুটো বিড়াল কেঁদে উঠল। ভ্যাপসা গরম, প্রকৃতি নিস্তব্ধ। এমন সময় আততায়ীর রাইফেল গর্জে উঠলো ঠা ঠা ঠা। কেউ বাঁচাতে এলো না বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। প্রকৃতি কি এই নিঠুরতা ক্ষমা করবে? প্রকৃতি কখনো তার হিসাব অপূর্ন রাখে না।
***** পরিশেষে যে “দেয়াল” কিনবেন, পড়া হয়ে গেলে আমাকে দিয়েন, একটু মিলায়ে দেখবো আমার এই লেখাটার সাথে।*****
শুভরাত্রি
তানবীরা
০৭/০২/২০১২
তোমার তিন মাস জেল আর সাত দিনের ফাঁসি ঘোষনা হইলো বইলা।
তোমার ওপর হুমায়ুন আহমেদের প্রেতাত্মা ভর করেছে। তাই তোমার সব সাজা মওকুফের জোর প্রস্তাবনা রাখছি।
তুমি হুমায়ুন আহমেদের চাইতেও ভাল লিখছো।
খিকজ
আপনারা আমার প্রিয় লেখকরে নিয়ে এমন হাসি তামাশা করেন এইটা ঠিক না।মনে দুঃখ পাই।
ক্লাস ফোরে পড়ার সময় বড় মামার সাথে রাজশাহীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বইমেলাতে গিয়ে ছিলাম।মামা তিনটা বই কিনে দিয়েছিলো তার মধ্যে ''পিপলী বেগম'' আর ''আমার ছেলেবেলা'' ছিলো সেই থেকে বই পড়া শুরু। এখনো তার বই পড়ি সাবওয়েতে বা ট্রেনে অলস সময় কাটানোর জন্য।
===========
এই ব্লগে একবার মাসুম ভাই বলেছিলো একজন জনপ্রিয় লেখকের পরবর্তী প্রজেক্ট তাকে না জানিয়ে প্রকাশ করার দায়ে ঐ প্রতিবেদকের চাকরী খাওয়ার সুপারিশ করেছিলো।আপনার এই পোস্ট কোনমতে হূ আ যদি দেখে তাইলে কিন্তু আপনারে ব্যান বা তিনমাস ফাঁসি আর সাতদিন জেল দিতে পারে।তাই সাবধান করে দিলাম।পরে আবার বইলেন না আমরা কিছু আপনারে জানাইনি।
প্রখর জ্বর আর জার্নিতে হুমায়ূন অপ্রতিদ্বদন্দ্বী, আই এগ্রী
খেক খেক
আপ্নের তিন্মাসের জেলার সাদ্দিনের ফাসি কম শাস্তি হয়া গেলোগা 
দুধের স্বাদ ঘোলে
? দুধের থেকি আমার কাছে ঘোল বেশি মজা লাগে, আর এই লেখায় ও মনে হলও ঘোল বেশি মজজজজজজা 

আর ফাঁসি--- দেখো এখন সময়, অন্যপ্রকাশ সবাই মহিলা হু আ-র কাছে রাত দিন ফুন দিবে, নেখা দাও!
আমিতো কবে থেকেই মহিলা হু আ। কেউ বুঝলো না। বইমেলায় কতো লোকের বই বের হয়, আমাকে কেউ জিজ্ঞায়? তাই এখন থেকে হুমায়ূন আহমদেই হয়ে যাবো ভেবেছি
(
জটিল লিখেছেন আপু!
সবাই আপনারে সাতদিনের ফাঁসি দেয়! আমি হাই কোর্টে আপিল করে ফাঁসিটা চারদিনের করে দিবো!
আমি প্রিয় আপুটির এতবার ফাঁসি সহ্য করতে পারবো না!
হায় রে তানবীরা করছ কি!
উপরের প্যারা আর ব্লগ আই ডি বাদ দিলে কেউ বুঝব না এই লেখাডা তুমি লিখছ
জনপ্রিয় এই লেখক কি তোমার এফ বি ফ্রেন্ড নাকি!
মনে হইতেছে উনি লেখাটা তোমারে পাঠাইছে পড়নের লিগা
কামডা ভালা করলানা
সে তোমাকে বিশ্বাস করে লেখাটা পড়তে দিল আর তুমি ব্লগে দিয়া দিলা নিজের নামে 
তুইতো আরো গভীর গল্প জানোস, তার বউ না তোর ফ্রেন্ড
এখন জানলাতো কে কাকে কপি-পেষ্ট করে? হুহ
বাহ্ ।
যেন দুধের স্বাদ পাউডার দুধে মিটালাম মনে হইলো।
লেখা ভালো হইছে। নিজের গদ্যের চাইতে হুমায়ুন আহমেদ টাইপ গদ্যটাই দেখি আপনে ভালো লিখেন...
জ্বী, সরলীকরণে আমি উনার থেকেও বড় ওস্তাদ
লেখাটা আর একটু বড় হইলে হুমায়ুন আহমেদ নিজের নামেই ঝাইরাদিতার্তো
চমৎকার হইছে এইটা বলার অপেক্ষা রাখে না...
মুগ্ধ
আমি সম্মানিত গলিত বিগলিত
হেপ্পি জেল মুবারক !
তবে লেখা পড়তে গিয়া আমার হু. আ. এর নাটের ছিন ছিনারি ভাইসা উঠলো চোখের সামনে।
তাই বুঝি?
কাউকে ঘণ্টা প্রতি মাসোহারা দিলে সে হাতে ওয়েব ক্যাম সহ ল্যাপটপ আর কানে স্কাইপি লাগিয়ে আপনারে মেলার স্টলে স্টলে লাইভ ট্যুর করাবে।
আর আপনি হু.আ.'র কাছ থেকে তার হয়ে লেখার জন্য এর চেয়ে অনেক বেশি কামিয়ে নিতে পারবেন
~
ভাল আইডিয়া দিছেন! ম্যুরাল এর মোড়ক উম্নোচন তোমারে দেখামু তাতা
লিনা'পু, প্লীজ ট্রাই করেন, আমাদের অনেকেই তো সাথে ল্যাপ্টপ নিয়াওই ঘুরে, ঐদিন দেখেন না চেষ্টা করে।
আর লাল্ভাই না একটা মোড়ক উন্মোচনের ভিডিও করছিলো একবার! উনারেও ডাক দিয়েন।
আমার বাংলালায়ন মডেম আর ল্যাপটপ নিয়া যামু, কারো কাছে অন্য মডেম থাকলে নিয়া যাইয়েন। বাংলালায়ন সমস্যা করলে যেনো অন্যটা দিয়া কাজ চালাইতে পারি।
আইডিয়া কিন্তু রয়্যালিটি সাপেক্ষে দেয়া হইয়াছে
~
আইডিয়া ছিন্তাই হৈছে
কবে আসবে সেদিন
তুমি পারবা আপু , তুমি নিশ্চই কমপ্লান খাও
। নইলে কেম্নে এক্কেরে হু আ স্টাইলে লিখলা 

যাই হোক, লেখাটা কিন্তু জটিল হইছে । শুধু গল্পের কিছু লাইন দিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলে, সে এইটা হু আ'র লেখাই বলবে, সন্দেহ নাই
আমিতো মহিলা হু আ। ১০০০ পৃষ্ঠ লিখবো, তারপর পড়া শেষ হলে ভাবতে হবে বক্তব্য কি ছিল বইয়ের
আপনার জন্য আমি হুমায়ুন আহমেদের কাছ থেকে সাব-কন্ট্রাক্ট অর্ডার নিতে পারি আগামী বইমেলার জন্য। রাজী থাকলে বলেন ফিফটি ফিফটি ডীল
আপনি ৭৫ রাখেন, ২৫ আমাকে দিলেই হবে

মনের দু:খে একটা কথা বলি হুমায়ুন আহমেদের লেখার মান কয়েকবছর ধরেই নেমে গেছে। তাই এই দেয়াল নিয়ে কিছু বললাম না আর কেনারও আগ্রহ নাই। তার চেয়ে আমাদের ব্লগারদের বই কেনা অনেক ভাল। ব্লগাররাতো আর ব্যবসায়ী নয় তারা নতুন লেখক।
ভাল থাকুন।
সত্যি কথা বলেছেন কিন্তু
আপনিও ভাল থাকুন বিষন্নময়ী। কিন্তু আপনি কেন বিষন্নময়ী?
সব্বোনাষ ক্যাপ্টেন, মেজর আর কর্ণেলরা তোমার বারোটা বাজাইয়া দিব কৈলাম
আপনি থাকতে কি আমি ডরাই কাউকে
পুরাই হুনুমানীয় মানে হুমানীয়....।
মন্তব্য পুরাই রাফিও
আরে, সর্বনাশ! নেদারল্যান্ড থেকে আমেরিকার চিন্তাভাবনা ট্যালিপ্যাথি করে পাইলেন নাকি! পাওয়ার তো মারাত্তক ক্লিয়ার ছিলো! হু আ'র সাথে দেখি তা তা'র ডিরেক্ট কানেকশন হয়ে গেছে!
লেখাটা অন্নেক দারুন হইছে
কোন বইয়ে কোন কথাটা নতুন থাকে? সব গরুইতো শেষ পর্যন্ত কুমীরে খায়।
বাজি, হুমায়ূন আহমেদের লেখা যত খারাপ হইতাছে, তোমারটা তত ভাল হইছ। মুগ্ধ
লজ্জা পাওয়ার ইমো হবে
দারুন!!!
আররে! ব্যাপক! এই লেখাটা পড়ে তো দেয়াল বইটা কেনার আগ্রহ বেড়ে গেলো।পান্ডুলিপিটা পাইছিলেন আপনি?
আমার মাথাভর্তি পান্ডুলিপি, তোমার কোনটা কোনটা চাই বলো ?
হুমায়ুন আহমেদ আনপ্লাগড দারুণ হইছে...
তোমাদের উৎসাহ পেয়ে আরো কিছু আনপ্লাগড করার কথা ভাবছি
বিস্মিত হলাম! আপনি এত নিখুঁতভাবে হুমায়ূন আহমেদকে কপি করলেন কি করে?!?
আমি ছোটবেলা থেকে মানুষকে কপি করার বিরল প্রতিভা নিয়ে জন্মেছি
এখন অবস্থা এমন যে, ভাল কথা বললেও মানুষভাবে ভ্যাঙ্গাচ্ছি। ঘরে নিত্য অশান্তি হয় এ নিয়ে।
বিশ্বাস হয় না? এবার অটোগ্রাফসহ আপনার পাঁচটা বই দিয়েন, আপনাকেও কপি করে দেখাবো

আপনে মেলায় কবে আসতেছেন? পাঁচ কপি রেডি থাকবে। (মেলার পরে আসলে আর পাইবেন না)। আমি মইরা গেলেও অন্তত আমার একটা কার্বনকপি রাইখা যাওয়ার এই বিরল সুযোগ হাতছাড়া করবো না!

এটা কি বললেন? আপনেতো জানেন আমি কবে আসবো। বই দিতে না চাইলে সরাসরি না করেন, ঘুরাইয়া না করার কি দরকার?
( 
বইমেলা নিয়ে কথা হচ্ছিল তাই মেলার কথা বললাম, রাগলেন ক্যান?
খালি ঘুরায়া কথা বলাটাই দেখলেন, বইমেলায় আপ্নেরে মিস করতেছি - সেই সুরটা বুঝলেন না!
পাষাণ নারীজাতি!

তাতা'পু, কালামভাই কিন্তু এখনো স্বীকার যায় নাই যে বই দিবে অটোগ্রাফ সহ!
জেবীন, কামাল ভাই হলো সেই প্রজাতি যে নিজে কিছুই স্বীকার করবে না। অন্যকে দিয়ে স্বীকার করানোর চেষ্টা করবে। “শব্দ” নিয়ে খেলেনতো
পিচলায়েন্না কামাল্ভাই
পিচলাইলাম কই?
বইমেলায় তানবীরা আসামাত্র পাঁচকপি দেয়া হৈব। তারে আসতে কন রায়হান ভাই। 
তাতা'পুর প্রতিনিধি থাকবে মেলায়
যে জিনিসের অস্তিত্ব নেই তারে আপনি মিস করছেন? আপনি দেখি হু আ’র থেকেও এককাঠি সরেস। নেন একটা গান শুনেন মিঞাভাই
হুমায়ুন আঙ্কেল ফেইল!
সত্যি?
কোন পক্ষ দিলে আপনার সুবিধা হয়

হায় হায়! করছেন কি?
এখন তো আফনের ফাসী হপে!
(
হুমায়নের নবসংস্করণ মহিলা হু আ ।
হু আ এর লেখার মান কমলেও মহিলা হু আ এর মান যাতে ভালোই হইতে থাকে।
লেখাটা ভালো লেগেছে।
দুরদৃষ্টির চরম বহিঃপ্রকাশ
আমি যেতে চাই বই মেলায়
আপ্নে অনেক দুষ্টু আছেন!
আপনার দন্ডাদেশ মওকুফের সুপারিশ করছি
অছাম ছালা....

আমি সিরিয়াসলি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম তুমি হু আ র বই থেকে টুকে দিয়েছো!
মন্তব্য করুন