কাঁঠালঃ আমাদের জাতীয় ফল।
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কে বা কারা কাঁঠালকে জাতীয় ফল হিসাবে আমাদের জাতির উপর ঘোষনা ও নির্বাচন করেছিলেন, আমি ওনাদের নাম গুলো জানতে চাই। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা তাদের জানাতে চাই। আমি মনে করি, ওনাদের নির্বাচন ছিল মেধাবী, সঠিক এবং অত্যন্ত তাতপর্য পুর্ন।
(কাঁঠালের ছবি দেখুন, ইন্টারনেট থেকে নামানো। কাঁঠাল লিখে গুগুল ইমেজ চার্চ করুন, ছবি দেখে প্রান ভরে যাবে)
কাঁঠাল আমাদের দেশের যে কেন অঞ্চলে ফলে। বাড়ী আঙ্গিনা সহ যে কোন জায়গাতে কাঁঠাল চারা লাগালেই এক সময় বিরাট গাছে পরিনত হয়। কাঁঠাল গাছের প্রতিটি অংশই কাজে লাগে। কাঁঠালের পাতা ছাগলের জনপ্রিয় খাদ্য, কাঁঠাল পাতা মুখের সামনে ঝুলিয়ে কোরবানী'র সময় আমরা ছাগলকে অনেক দূর নিয়ে যাই। কাঁঠালের কাঠ সহজে শুকায় এবং ওজনে হালকা ও দেখতে সুন্দর। জালানী হিসাবেও ভাল চলে। কাঁঠালের গাছ, ফলের নানা দিক নিয়ে কথা বললে সাগরের পানি যদি কালি হয় তবু আমার মনে হয় শেষ করা যাবে না তাই আজকে আমার আলোচনা শুধু মাত্র কাঁঠাল ফল নিয়ে!
প্রথমে একটা ছোট গল্প বলি। আমার এক দুস্ট মিষ্ট বন্ধু দিলু রোড়ের বাসিন্দা জাকারিয়া জিতু। একদিন বেইলী রোডে আড্ডা মারছি - আড্ডার ফাকে আমাদের বলে, বলতো - খেজুর, হুজুর আর কাঁঠালের মাঝে কি পার্থক্য? আমরা বার/চোদ্দ জন কনো উত্তর দিতে পারিনি। পরে ও আমাদের জানালো - খেজুরের এক বিছি, হুজুরের দুই বিছি আর কাঁঠালের বহু বিছি! কাঁঠালের অবস্থান সবার উপরে! দয়া করে হাসবেন না!
কাঁঠাল কিনে নাই এমন পুরুষ বাংলাদেশে আছেন কিনা জানি না। আর তিনি যদি বিবাহের পর কাঁঠাল কিনে থাকেন তবে কাঁঠাল কিনে ওয়াইফের কাছে বকা শুনেন নাই এমন বিবাহিতও বিরল বলে আমি মনে করি। মনের আনন্দে কাঁঠাল কিনে ঘরে ফিরে এক বকা, কাঁঠাল ভংতে ভংতে এক বকা, কাঁঠালের খোসা ফেলতে ফেলতে বকা। শুধু বকা আর বকা! মাঝে মাঝে চোদ্দ গুষ্টিকেও বকা শুনাতে হয়! আমি দেখেছি, আমার দাদী আমার দাদাকে বকেছেন, আমার মা আমার বাবাকে বকেছেন আর আমার ওয়াইফ!! কাঁঠালের নাম শুনলে আতকে উঠেন! তোমার কাঁঠাল তুমি খাও! কে এত কস্ট করবে! মাঝে মাঝে মনে হয়, মেয়েরা কাঁঠালের উপর এত রাগ করে ক্যান! মাঝে মাঝে থিসিস করে বের করতে ইচ্ছে হয়!
আমাদের মহল্লার আমার মাসুম মামার কথা শুনেন। মাসুম মামা পেশায় সাংবাদিক। সেদিন সাবগলি দিয়ে মেইন রাস্তায় বের হতে দেখি মাসুম মামা হাতে সিগারেট নিয়ে দাডিয়ে! মনটা মনে হয় ভাল যাচ্ছে না। এগিয়ে যাই - মামা, খবর কি, মনটা ভাল মনে হচ্ছে না? মাসুম মামা আমাদের পরিচিত, আত্তীয় নয়। সন্মান করি, মহল্লায় অনেকে মামা ডাকে আমিও ডাকি। তবে আমার সাথে একটা বিশেষ ভাব আছে। একটা সিগারেট আমারা দুইজনে টানি, মহল্লার মেয়েদের নিয়ে মাঝে মাঝে কথা বলি, অবশ্য নিজদের ওয়াইফদের নিয়েও কথা বলি! মনের দুঃখ শেয়ার করি। আমাকে বলেন - তোর খবর কি! আমি বলি আপনি বলেন। মামা বলেন আর বলিস না, তোর মামির কাছে বকা শুনে এলাম! কাঁঠাল কিনে বাসায় নিয়েছিলেন! বাস একথা দুইকথা! মামী নাকি রেগে শেষ পর্যন্ত তুই তুই শুরু করেছিলেন! মামা আর না পেরে কিছুক্ষন আগে এসে দাডিয়েছেন। বুঝন কাঁঠালের অবস্থা!
কিন্তু কাঁঠালের আঠা নিয়ে না বললে নয়! কাঁঠালের আঠা নিয়ে বাংলা ছিনেমাতে গানও আছে। পিরিতি নাকি অনেকটা কাঁঠালের আঠার মত! লাগলে ছুটে না! কিছুদিন আগে গ্রামের বাডীতে গিয়েছিলাম। আমার এক চাচিমার সাথে উঠনে কথা বলছিলাম, কথা হচ্ছিল - আমার এক চাচাত ভাই নিয়ে, একাদশের ছাত্র! আমার চাচিমার ভাষায় ওর প্রেম নাকি কাঁঠালের আঠার মত লেগেছে! আমাকে বলেন - 'বাবা, অরে নিয়া আর পারছি না, অর প্রেম এমন লাগা লাগছে, মনে হয় কাঁঠালের আঠা!' আমার হাসিতে জান শেষ!
কাঁঠালের আঠা বিষয়ক আর একটা শুনা গল্প না বলে পারছি না। আমার দাদুর কাছে শুনা। এক দেশে এক রাজা দেখলেন তার রাজ্যসভার মন্ত্রি পরিষদে বড় মোছওয়ালা লোকজন বেশী হয়ে পড়ছে। উল্লেখ্য যে, রাজার মোছ ছিলো না। রাজা মনে মনে ভাবলেন, এদের সবার মোছ কাটতে হবে। কিন্তু কিভাবে। রাতে রাজা তার স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করেন। রানী তাকে বলেন এ আর কি। সহজ কাজ! ওদের কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে দিন! যে কথা সে কাজ। পরদিন রাজ্যসভায় প্রতেককে একটি করে কাঁঠাল দেয়া হ্ল। রাজ্যসভার সবাই মহা খুশি! ফলাফল আশা করি আর বলার কি আছে! রাজার হাসি, মন্ত্রিদের কান্না!
কাঁঠাল নিয়ে আমার মনে অনেক কথা জমে আছে। কোনটা আগে লিখি। কাঁঠাল সবাই কিনে কিন্তু চেনে ক'জন! আমি কাঁঠাল ভালবাসি কিন্তু কিনতে পারি না। আমি কাঁঠাল কিনলে হয় বিছি ছোট নয় বেশী নরম নতুবা বেশী কাচা। নানা কাহিনী! আমি একটা ব্যাপার লক্ষ করেছি কাঁঠাল কিনতে পারে সিকিউরিটি গার্ড ধরনের লোকজন। আপনি যদি এদের দিয়ে কাঁঠাল কিনতে পারেন তবে ভাল কাঁঠাল পাবেন। আমি নিশ্চিন্ত। আমি আমাদের কেয়ার টেকার "হাসির বাপ"কে দিয়ে অনেক বার কিনিয়েছি। প্রতিবারই আমার আম্মা বলেন - জাক্কাস কিনেছিস! অনেক বছর বলি নাই। তবে অন্যায় করেছি আমি। হাসির বাপকে দিয়ে কিনানো কাঁঠাল আমার নামে চালানো উচিত হয় নাই। কাঁঠালের দিন আসলেই আমাদের হাসি বাপ আমাকে বিশেষ সালাম দেয়। আমার কারনে হাসির বাপের দিন এখন রমরমা। আমি হাসির বাপের কথা আমাদের এপার্মেন্টে বলেছি, এখন সবাই তাকে দিয়ে কাঁঠাল কিনান আর হাসির বাপের ও কিছু কামাই হচ্ছে। আমার আনন্দ হয়। মনে হয় জীবনে কিছু করতে পারলাম।
আমি আর একটা ব্যাপার লক্ষ করেছি, মেয়েদের মত আমাদের সমাজে ধনী লোকেরাও কাঁঠাল পশ্চন্দ করে না। কাঁঠাল দেখলে কেমন করে উঠে। আমি যতদুর বুঝতে পারছি, আমাদের দিন দুনিয়ার মহান মালিক আমাদের আল্লাহ রাবুল আলামিন যা করেন ভালোর জন্যই করেন। ধনী লোকেরা কাঁঠাল খেলে নানাবিধ সমস্যায় পড়ে। যেমন পেটফুলা, কষা, আমাসা, বমিবমি ভাব ইত্যাদি। সমাজে ধনী লোকেরা যদি কাঁঠাল হজম করতে পারত তবে গরীব লোকেদের জন্য আর কোন ফলই থাকতো না। কাঁঠাল পরিশ্রমি মানুষের জন্য, পুকুরপারে এক বসায় আমি নিজে কয়েক জনকে কিছু সময়ে বিরাট কাঁঠাল খেতে দেখেছি। শ্রীমংলের নতুন বাজারে, আখাউড়া রেলজংশনে, সোনাগাজী চরাঞ্চলে, কুতুব্দিয়া ঘাটে, আরিচার ফেরিতে, সেন্টমাটিনের বীচে আমি বহুবার এমন দেখেছি। ফল খাবার আনন্দ কাকে বলে!
প্রচিন কাল থেকে কাঁঠাল নিয়ে কিছু প্রবাদ চালু আছে। কথা গুলো শুনলে আমার ভীষন খারাপ লাগে। এত উত্তম ফল নিয়ে এত কথা! লোকে বলে 'পরের মাথায় কাঁঠাল ভাংগিস না'। আপনারা বলুন মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গা সহজ কাজ! দুস্টরা আরো বলে 'কিলিয়ে কাঁঠাল পাকাস না'। কাঁঠাল কিলালে হাতের অবস্থা কি হবে আপনারা বলুন! কাঁঠালে একটা ঘুসি মেরে দেখুন, কেমন লাগে!
আমার খুব ইচ্ছে আছে, একদিন আপনাদের দাওয়াত দিয়ে কাঁঠাল খাওয়াবো। সাথে বরিশালের হাতে ভাজা মুড়ী থাকবে। ফাটাফাট কোপাবেন! কি পারবেন তো?
(কাঁঠাল নিয়ে আরো লিখার ইচ্ছা আছে, যদি আপনারা সায় দেন! আমার কেন জানি মনে হয় কাঁঠালই আমাকে একজন 'প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় ব্লগ লেখক' বানিয়ে দিতে পারে। কাঁঠাল বিষয়ক লেখার কপিরাইট আমাকে নিতে হবেই, আরামবাগে যোগাযোগ করে কপিরাইট আইন জেনে নিতে হবে।)
ভালইতো ছিলেন জরিনা বানুরে নিয়া, জরিনা সুলভ পোস্ট নামান ভ্রাত।
সিস্টার লীনা দিলরুবা, মড়ারেটরদের ভয়ে আছি! আমার লেখা ভাল চোখে দেখা হয় না! তাই ভিন্ন ভাবনা। ভালো থাকুন। বললেন না তো, কাঁঠাল কেমন লাগে?
'কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল' এ জাতিয় লেখা আপনাদের ভাল লাগবে কিনা জানি না। আপনারা তো এখান 'ব্রাজিলীয় জাব্বুরা' আর 'আরজেন্টাইন তরমুজ' নিয়ে ব্যস্ত আছেন! ফাঁকে আমাদের কাঁঠালকে ভূলবেন না। এখন কাঁঠালের দিন, কাঁঠাল কিনুন। খেলা দেখার ফাঁকে ফাঁকে মূখে চালান দিন। মজা নিন বন্ধুরা।
উদরাজী ভাই দুর্দিনে বড় চমৎকার পোস্ট দিয়েছেন। কাঁঠাল, কাঁঠালের বিচি, মাসুম মামা সব মিলে হা হা চে ছে উ দা
ভাই মীর, 'চন্দ্রবিন্দু' টাইপ শিক্ষতে কাঁঠাল কে নিয়েছি। আপনি ও সুন্দর লিখছেন আজকাল।
কাঁঠালে আমার তীব্র অপছন্দ। একবার খাইলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত গন্ধ থাকে। বাড়িতে কাঁঠাল আনলে তিন মাইল দূর থেকে গন্ধ পাওয়া যায়। যদিও আমি কাঁঠালের দেশের লোক। আমাদের নিজেদেরই কাঁঠালের বাগান ছিলো গ্রামে।
তাই তো বলি, দেশে এত ছাগু কেন?
বোনের কাছে জানতে চাই!
নজু ভাই, আপনার 'কাঁঠালে আমার তীব্র অপছন্দ' কথায় আমি মনে তীব্র কষ্ট পাইছি!!
ভাতিজা রাসেল আশরাফ, হাসছ ক্যান!
কাঠাল খুব একটা খাইনা তবে কচকচা হলে খাই।
কাঠালের বিচি অনেক পছন্দ করি। কাঠালের বিচি দিয়ে অনেক রান্নাও জানি।
কাঠালের বিচির ভর্তা, লাল মরিচ দিয়ে!
ঝাক্কাস রম্য
কাঠাল গাছে জ্বিনের বাদশা! সামনে গল্প লিখতে হবে। জম্বে মনে হয়!
জাতীয় ফল বিষয়ক গবেষণার নিমিত্তে অতিসত্ত্বর আমরা বন্ধুর পক্ষ থেকে আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হৌক। এই প্রস্তাব করছি!!!
ভাই মুক্ত বয়ান, ইতি পুর্বে আমাকে "আমরা বন্ধু"র রাজকবি(!) করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। 'আমরা বন্ধু'র পক্ষ শুনে নাই! কাঁঠাল নিয়ে শুনবে বলে মনে হয় না! বাংলাদেশের ফলাদি নিয়ে গর্ব করা যায়।
উদরাজী ভাই
আমি গিয়াস আমি "আমরা বন্ধু"তে লিখতে চেয়েছিলাম। রেজিস্ট্রেশন ফর্মও পূরণ করেছিলাম। রেফারি করেছিলাম মেসবাহ য়াযাদকে। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ আর পাই নাই। তাই এখানে লেখার সুযোগ পাচ্ছি না। কী করি বলেন তো!
গিয়াস ভাই,
আপনি আমাদের 'প্রিয় গিয়াস আহমেদ', দেশ টিভি'র জনপ্রিয় মাটি ও মানুষের 'দেশ আমার' অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এবং 'বন্ধুসভা'র হেড ছিলেন। আমি ও বুঝতে পারছি না।
আশা করি আমরা বন্ধু মডারেটর ভাইরা আপনার জবাব দিবেন।
'রেফারি করেছিলাম মেসবাহ য়াযাদকে'- ওকে চিনে না এমন তো কেহ নাই!
'কাঁঠালবিদ' হিসাবে যদি একবার টিভিতে মুখ দেখতে পারতাম! ওয়াইফের কাছে মান বেড়ে যেত!!
শুভেচ্ছা থাকলো।
গিয়াসভাই, গুরু আপনিই তো? এখনও অ্যাকসেস পাননি?!?!?!?!
মেসবাহভাই ও মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ও আমার প্রিয় মডু ভাই এবং বইনেরা, গিয়াস আহমেদের বিষয়টা দেখার জন্য আপনাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ এবং গিয়াস আহমেদের পক্ষে জোরালো তদবীর করা হইলো...
কাঁঠাল উপাদেয়, লেখা জটিল আর উদরাজী ইম্পসিবল...
আরে, গিয়াস ভাই!
তদবিরের বন্যা ভাসায়া দিলাম...
মডুরা গেলো কই?
বলেন কি, গিয়াস ভাই?
এখ্খুনি গিয়াস ভাইরে এক্সেস না দিলে একটা আন্দোলনের ডাক দিব নাকি চিন্তা করতেছি।
মডু সাবধান। হরতাল দিয়ে দিতে পারি কিন্তু।
এনিওয়ে, গিয়াস ভাই শুভেচ্ছা স্বাগতম।
ভাই রন্টি, আমিও আজ সকাল থেকে ভাবছি। কারে ফোন দিমু। গিয়াস ভাইকে কি করে হেল্প করা যায়।
হা হা হা, পোষ্ট তো দেখি কাঠালের রসে আঁঠালো হৈয়া গেছে.......খিক....... খিক
শাওন৩৫০৪ ভাই, শুভেচ্ছা। কাঁঠালকে হা বলুন।
অনেক টাইপো। টাইপো না থাকলে আরাম করে পড়া যেতো।
কাঠালের থেকে মুঁচি বেশি প্রিয়
মুঁচি - লাল মরিচের গুড়া আর লবন। জিবে জল এলো বুঝি!
আমি নতুন টাইপিষ্ট!
দারুণ লেখা, কাঁঠাল নিয়ে আপনার অবজারভেশনের সাথে একমত, একমাত্র আমার মা ছাড়া আর কোন মহিলা দেখি নাই যিনি কাঁঠাল পছন্দ করেন, লেখা পইড়া হাসতে হাসতে মারা গেছিরে ভাই। আপনারে উৎসর্গ কইরা আমিও একটা পর্ব লিখুম, অবশ্য আপনার মত মজা হইব না
ভাই সাইফ তাহসিন, আপনের কথা শুনে প্রান জুড়ালো।
গান গাইতে ইচ্ছে হচ্ছে!
ভাল থাকুন।
কাঠালঃ Artocarpus heterophyllus
family: Anacardiaceae
ভাই রাফি,
পাটের মত ডঃ আলম স্যারকে দিয়ে 'কাঁঠালের জিনতত্ত্ব' বের করতে হবে! আমাদের বড় বড় কাঁঠাল বানাতে হবে। আমি ভাবছি এ বিষয়ে স্যার কে লিখব। আপনি ও আসুন না।
কি বলেন!
জীবনের অনেকগুলা বছর পার করে দেবার পরেও আমি ঠিক করে জানতাম না আমার প্রিয় ফল কোনটি। বিদেশে এসে থাকতে শুরু করার পরে হঠাত একদিন বুঝতে পেরেছি সবচাইতে প্রিয় ফল হচ্ছে কাঠাল। কোন সন্দেহ নাই যে আমি এটাই সবচাইতে বেশী পছন্দ করি। রীতিমত প্রেমের পর্যায়ে পড়ে তা।
এমনিতে আমও পছন্দ করি বেশ, পছন্দ করি জামরুল, কলা, জাম। কিন্তু এসবই হালকা পাতলা প্রেম, যেভাবে মানুষ ক্যাটরিনা কাইফ বা ক্যাথরিন জেটা জোন্সের প্রেমে পড়ে। কিন্তু কাঠালের প্রতি আমার প্রেম হচ্ছে ট্রুলাভ
ভাই রন্টি চৌধুরী, মনে ভীষন আনন্দ হচ্ছে। আমার ছেয়েও আপনাকে 'কাঁঠাল প্রেমিক' মনে হচ্ছে। আসুন না ।
তবে যেমনই হোক অবশেষে আমরা বন্ধু ব্লগেও কাঠাল: আমাদের জাতীয় ফল শিরোনামের পোষ্ট এসেই গেল
ভাই রন্টি, আপনি কোন দেশে থাকেন। নানা দেশে নানা ধরনের কাঁঠাল পাওয়া যায়। ব্রাজিলের জংগলের কাঁঠাল যদি খেতে পারতাম!
খুবই ঘ্রানযুক্ত হইছে লেখা .........
ধন্যবাদ।
যতোদিন বাজারে কাঠাল পাওয়া যাইবো ততোদিন এই লেখা স্টিকি করা হোক...
কাঁঠালের আঠা দিয়া স্টিকি করা হোক
কাঠাল আর কাঠালের আঠা দিয়া একটা সুন্দর ব্যানার দেখতে চাই আমরা বন্ধুতে...
ভাস্কর দা, কি যে কন! ব্যানার! হ খাশি লাগতো।
বোন নুশেরা, আমাদের দেশী ফলের কদর করতে হবে। ধন্যবাদ।
খুবই ঘ্রানযুক্ত হইছে লেখা ...আসলেই!
রন, কোথায় আছ। অনেকদিন দেখা নাই।
বিবাহ হয়েছে!
দাওয়াত দিও।
সাহাদাত ভাইয়ের কাঁঠাল-পূরাণ পড়ে আমার দাঁত বের হয়ে আসলো। তবে যেই দেশে থাকি এখানকার কাঁঠাল দেখলেই ভয় লাগে, দেশি কাঠালের চাইতে বহুগুণে ধারালো সজারুর কাঁটা বিছানো উপরে। শাহাদাত বরণ করার ভয়ে সেই কাঁঠালে হাত দেয়ার সাহসও হয় নাই কোনোদিন।
মামুন হক ভাই, হাসালেন। আমরা দাত থাকতে দাতের মর্ম বুঝি না!
কাঁঠাল খাইতে মজাই। তবে প্রসেসিং এর ডরে কেনা হয় না।
মুকুল ভাই,
আমরা বন্ধু'র কিছু কিছু সিনিয়র ব্লগাররা এখন ও কিছু লিখছে না! আমার জানতে ইচ্ছে হয় - ওনারা কি কাঁঠাল চোখে দেখেন না! কাঁঠালের কি কোন কদর নাই!
আপনার জন্য শুভ কামনা।
বিবাহের আগে যত পারেন, কাঁঠাল খেয়ে নিন!
কাঠাল কবে কিনছি মনে নাই। বোধহয় ছোটবেলায় কিনছিলাম, নতুবা জীবনেও কিনি নাই। যাই হোক জাতীয় ফল কাঁঠালও আমার পছন্দের তালিকায় নাই জাতীয় মাছ ইলিশের মতো। কিন্তু কাঠালের বিচি বরাবর পছন্দ এবং কাঠালের কচকচে কোয়া হলে খেতে আরাম পাই। উদারজীর সাথে একমত যে বিবাহিত লোকমাত্রেই কাঁঠাল কিনে বিড়ম্বিত।(আমি না কিনেও বিড়ম্বিত, যদি কখনো কিনি, আগাম হুমকি আছে, আমাকেই কাটতে হবে)।
আমি জাতীয় ফল হিসেবে বরং আমকে বেশী প্রাধান্য দেব। সম্ভব হলে কাঠালের বদলে আমকে জাতীয় ফল করা হোক।
ভাই নীড় সন্ধানী,
আপনার "(আমি না কিনেও বিড়ম্বিত, যদি কখনো কিনি, আগাম হুমকি আছে, আমাকেই কাটতে হবে)" এ কথাটা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি প্রেমে মজে আছেন এবং ইতিমধ্যে আপনি আপনার প্রেমিকার সাথে আলাপ সেরে ফেলেছেন! আপনার প্রেমিকা ও বুদ্দিমতী আছেন। আগেই আপনাকে রাজী করিয়ে নিয়েছেন!
জাতীয় কথাটা একটা বিরাট ব্যাপার - আমের জাতীয় হবার গুন নাই! প্রচুর ভাবনা করুন, কাঠাল ছাড়া গতি নাই!
ইলিশের ব্যাপারেও বলি - ইলিশ মাছ তুলনাহীন! ইলিশই জাতীয়! ইলিশ নির্বাচকদেরও সালাম। কিন্তু ইলিশের পুকুরে নিয়ে আসাটা আমি ভাল পাচ্ছি না। ইলিশ নিয়েও লিখবো। হা হা.।
ভাল থাকুন।
কেন যেন, এই জীবনে আমি কাঁঠাল খাই নি! খেতে ইচ্ছেই করে না। তবে মানুষজনের খাওয়া দেখে ভালোই লাগে।
ভাই গৌতম, কাঁঠালের কোয়াতে মুড়ী মাখিয়ে খেয়ে দেখুন।
আপনার এই লেখা দেখে ৩০-তম বিসিএস প্রশ্ন এসেছে এদেশের জাতীয় ফল কী?
খুশি হলাম জেনে। কাঁঠালকে ভালবাসতেই হবে।
কাঁঠালকে সন্মান করলে আমাদের উন্নতি হবে।
খেজুর, হুজুর আর কাঁঠালের মাঝে কি পার্থক্য? আমরা বার/চোদ্দ জন কনো উত্তর দিতে পারিনি। পরে ও আমাদের জানালো - খেজুরের এক বিছি, হুজুরের দুই বিছি আর কাঁঠালের বহু বিছি!
প্রশ্নকারী ব্যক্তির কি বিচি একটা? নাকি নাইই?
রাগ করেন ক্যান। ফান হিসাবে নিন!
(সরি দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য)
মন্তব্য করুন