আত্মকথাঃ মিশরের পিরামিড।
গতকাল রাতে স্বপ্নে আমার মনে হল মিশরের পিরামিড ভ্রমনে বেড়িয়েছি! কায়রো শহরের এ মাথা থেকে ওই মাথা ঘুরে বেড়িয়েছি। কত আনন্দ, কত গান, কত আড্ডা! নানা কাহিনী, নানা কথা। কিন্তু লিখে কি আপনাদের বুঝাতে পারব! আপনারা তো আবার ছবি প্রমান চান। আমাদের মুসা ভাইকে আপনারা কত কি বললেন। তিনিই যদি মুর্ত্তি ধরে একটা ছবি তুলতে পারতেন! আমি কিন্তু সে ভুল করিনি। ধাপে ধাপে ছবি তুলেছি! কিন্তু একটা আফসোস যদি পিরামিডের চূড়ায় উঠতে পারতাম! আমি আবার কাজ বেশী করি - চলুন দেখি।
১। ইয়া হাবিবী! ইয়া হাবিবী!
২। পিরামিড।
-
-
-
৪ - ৫। সারা দিনের জন্য একটা ঘোড়া ভাড়া করেছিলাম, আমার পাগলামী! উট হলে আরও ভাল হত কিন্তু ভাড়া বেশী।
৬। সন্ধ্যায় রাস্তায় নাচ গান, বন্ধু বানানো সহজ কাজ।
৭। কাকা, যাই কই!
৮। কঠিন ব্যালেড্যান্স (!) এর পর জানলাম তিনি পুরা মেয়ে নন, গত দুই বছর আগে পুরুষ থেকে নারী হয়েছেন!
৯। গ্রামের বালিকাদের কার্পেট বানানোর কোশল।
১০। আমার যথারীতি আড্ডা! আড্ডাবাজরা সব যায়গাতে আছে। কারো ভাষা কেহ বুঝি না তাতে কি!
১১। একজন ইজিপ্টসিয়ান সুন্দরী। যিনি আমাকে খুব পছন্দ করেছিলেন। যার বোনের বিয়েতে আমাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আমি বিবাহে যোগ দিয়েছিলাম। সারারাতের অনুষ্ঠান ছিল। তার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল একটা 'হুক্কা সেন্টারে' (!), তিনি সেখানে কাজ করতেন।
পাদটীকা -
ছবি গুলো ১৯৯৫ সালের তোলা। ১৯৯৫ সালে আমি প্রায় মাস খানেক কায়রো ও তার আশে পাশে সময় কাটিয়ে ছিলাম। নীলনদের পানিতে সাঁতার কেটেছিলাম অনেক বার। পকেটের পুরা টাকা শেষ করে বাড়ি ফিরে ছিলাম শুন্য হাতে (এ ব্যাপারে একটা পুরা ব্লগ হতে পারে, টাকা শেষ হলে!)! দাহরান এয়ারপোর্টে নেমে এক বাঙ্গালী ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নিয়ে দাম্মাম গিয়েছিলাম! কী জীবন ছিল। কি সাহস!
কি সাহস ! শুধু সাহসে কি আর হয় ? উদ্যোগ ও উদ্যম ছাড়া কি এগুতে পারে কেউ ? বর্ণনা একটু বিস্তারিত হলে ভ্রমণের স্বাদ পেত সবাই ভালভাবে । ভাল লেগেছে ।
হুদা ভাই, অনলাইনে আমি আর আপনি আছি। 'রন' আছে। কিন্তু কমেন্ট করা ওর কাজ নয়! বসে বসে আমি আপনার কমেন্ট আশা করছিলাম। আসলে মানুষ যা আশা করে তাই হয়।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ - শুভ কামনা। আপনার কথা সত্য। বিস্তারিত লিখা যেতে পারে। কিন্তু সময় কই পাই। চাকুরী করে ব্লগে টিকে থাকার একটা উছিলা খুঁজি মাত্র। তা ছাড়া, আমার মনে হয় আমার সময় পার হয়ে গেছে - এক ঠ্যাং কবরে অবস্থা চলছে।
দেহ ঘড়ি কখন থামে কে জানে!
এত তাড়াতাড়ি যেতে চান কেন ? আরও অনেক কিছু দিতে বাকি, নিতে বাকি অনেক কিছু । দেওয়া-নেওয়ার পালা না ফুরালে তা ভাই যেতে দেব না !
ভালো লাগল।আরও বিস্তারিত হলে ভাল হত।যাই হোক ভবিষ্যতে
বিস্তারিত লিখবেন এ কামনা করছি।
সিষ্টার, অনেক ঘটনা আর মনে নাই। আর আমি তো লেখক নই। তবে লিখতে পারলে ভাল হত। আপনার জন্য শুভ কামনা।
ইয়া হাবিবী....তুমি মাত্র দুইটাকা পকেটে নিয়া ঢাকা থেকে চিটাগং পরবাসী হইছিলা...তুমিতো সেই উদরাজী,তোমার মতো আরেকজন সাহসী পর্য়টক ছিল ফজলুল বারী বদরুল(এখন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী)।সেতো' 'খালি পকেটে' প্রায় সারা বাংলাদেশ ঘুইরা বেড়াইছে।আসলে বিশ্ব সাহসীদের পদতলে।তোমারে ঈর্ষা হইতাছে...।
বন্ধু ঈশান, তোমার তুলনা তুমিই! হা আজ আর আমার সেই সাহস নেই। তবে এখন জায়গায় বসে অনেক সার্ভিস দিয়ে দিতে পারব, যা এখনো অনেকে কল্পনা করতে পারবে না! হা হা হা.।
(ইয়া হাবিবী, তোমার বাংলা টাইপিং হচ্ছে। চালিয়ে যাও। কিন্তু দাঁড়ি, কমা, () ইত্যাদির পর স্পেস দাও, আগে নয়। লেখায় প্যারা ভাগ করো। পড়তে আরো ভাল লাগবে।)
শুভ কামনা। নুতন প্রেমের কবিতা চাই।
সার্ট টা সেই রকম। ফুলফল আর্ট করা

থিও ভাই, লিখছেন না কেন। এটি আপনার ৭ তম কমেন্ট! আপনাকে স্বাগতম।
হা, এ সার্টটা কায়রো থেকে কিনেছিলাম। মারাত্বক গরম ছিল তখন। কম টাকায় এর ছেয়ে আর ভাল পাই নাই!
থিও?
একমাসও হয়নি থিও নামের একজনকে চিনি, থিওতোনিয়াস গোমেজ...
দ্বিধান্বিত।
নাহ নামের কুথাও গোমেজ নাই কা। ওডা অন্য লুক
সেই রকম শার্ট উদরাজী ব্রাদার, একদম সেই রকম।
বিয়ের দাওয়ার নিয়ে একটা ডিটেলস পোষ্ট দেন, এটা একটা রিকোয়েষ্ট ব্রাদার, প্লীজ
হা বোন, ওদের বিয়েটা একটা মজার অনুষ্ঠান। অনেক ছবি আছে। লিখা যেতে পারে।
সাহাদাত ভাইয়ের কাছ থেকে একটা লম্বা হার্ড হিটিং ইনিংস চাচ্ছি।
এই পোস্টটা সিম্পলি জট্টিল।
মীর ভাই, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ইয়া হাবিবী, আমি এখন নিশ্চিত হইলাম যে, আপনি আসলেই প্লেবয় ছিলেন।
মুকুল ভায়া, কি যে বলেন!
ভাল লাগলো অনেক। প্রিয়তে রাখলাম
স্বদেশ ভাই, কেমন আছেন। আপনার কবিতা পড়ে বুঝার চেষ্টা করি। অনেক ভাল লিখছেন।
তানবীরা আপুর সাথে একমত। বিয়ে বিষয়ক বিস্তারিত পোস্ট চাই।
ভাই, শুনেছি আপনি নাকি অভ্রপ্রেমিক। আমি অভ্রতে লিখি। কিন্তু ব্লগে লিখতে সমস্যা হচ্ছে।
আপনি সাহায্য করতে পারেন?
সাজ্জাদ ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ। ওই দেখা বিয়ের একটা ছবি খুজে বের করেছি। দেখুন। হা আপনি ঠিক শুনেছেন। আই লাভ অভ্র! অভ্র না থাকলে আজ আমি আপনাদের মাঝে থাকতে পারতাম না। আপনার জন্য জান কোরবান। আসুন আমার অফিসে একদিন অথবা কোথায় দেখা হবে বলুন। আমার ফোন নং দেয়া আছে, প্রোফাইলে। আমরা বন্ধুতে যোগ দিন।

সময় পেলে লিখবো। তবে এরা বিবাহে অনেক মজা করে। গান, নাচ তো আছেই। গাড়িতে চড়ে নানা স্থানে গিয়ে ছবি তোলা এদের বিবাহের একটা পর্ব।
ভাল থাকুন।
এরকম একটা জীবনের জন্য বড় লোভ হয়। কিন্তু হায় সময়টা বোধহয় পেড়িয়ে এসেছি। এমন সময়, সুযোগ আর সাহস সবার থাকে না। আপনাকে ঈর্ষা হচ্ছে। একটা যাযাবর জীবনের বড় লোভ হয়।
বকলম ভাই, আমার মনে হয় 'সাহস'। সাহস থাকলে পারা যায়। আমার সব ভ্রমন ও ঘুরাঘুরি সাহসের জন্য হয়েছে। অর্থ কোন বিষয় ছিল না। এখন আর সেই সাহস নেই। তবুও ঘুরি 'স্ত্রী'র চোখ ফাঁকি দিয়ে! হা হা হা। আগামী ২/১১/২০১০ ইং ২য় বার ইন্ডিয়া যাচ্ছি বন্ধুদের সাথে। পুরা যাযাবর হতে পারলাম কই!
আপনি তো দেখা যায় বাঘ ছিলেন
তানিম ভাই, এখন পুরা ছাগলাবস্থায় আছি।
ফটো দিলেন কেন যদি বিবরণ না দেবেন।
আপনার সঙ্গে আড়ি আমার যান।
ভাইয়া, বিস্তারিত লিখুন।
প্রিয় ছোট বোন (আমার ছোট বোনের নামও রশীদা),
আপনার জন্য শুভ কামনা। লেখালেখি সহজ কাজ নয়। লিখতে পারলে নিজেও খুশি হতাম।
ইয়া দোস্ত,
এই জীবনে তোমার মতো কেন যে, হইতে পারলাম না। তোমাকে সালাম বন্ধু। ভ্রমন আমার কপালে নাই। বাসে উঠলেই বমি আসে। হাঃ হাঃ..
লিটু, যা বলেছ। কুমিল্লায় (আমার শশুর বাড়ী) তো ছিলে অনেকদিন - ময়নামতি গিয়েছ, তিতাসের পাড়ে বসে বাদাম ভেঙ্গেছ!!
মারহাবা , ইয়া হাবিবি। কাইফা হালুকা...
জনাব য়াযাদ ভাই, ইস কত দিন দেখা নাই। এই কুলে আমি আর ওই কুলে .।.। ছবি ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে আপনার বিয়ের একটা ছবি পেলাম। আপনার ব্লগে ছেপে দিলাম।
সাহাদাত ভাই, আপনার জন্য একটা ছবি।
মীর ভাই, ও ছবি দুটো আমার প্রিয় ছবি।
আপনি একটা জিনিয়াস প্লেবয় ।
সাইড ভাই, ভাল হবে না বলে দিচ্ছি!!!! আই এম এ গুডবয়!!!!
আপনে তো দেখি ছুপা রুস্তম। এইজন্যই গুলনাহার আপনার প্রেমে পড়ছিলো্
হায় ইবনে বতুতা...........।
কালে কালে আপ্নে জিনিস আছিলেন-বুঝা গেল!
আসলে মিশরীয়দের একটা অত্যন্ত চমৎকার গুণ হল ওরা খুবই মিশুক। সামান্য কয়েক মিনিটের কথাবার্তায় ওরা মানুষকে আপন করে নিতে পারে। ধন্যবাদ।
ইসমাইল একেবি ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ এবং স্বাগতম। আমরা বন্ধুও একটি ভাল ব্লগ। আপনি এখানেও লিখতে পারেন। আপনার মিশরের অভিজ্ঞতা আমরা জানতে চাই।
আমরা বন্ধুতে যোগ দিন।
আপনি তো তখন খুব শুকনা ছিলেন। :প
যা হোক পুরনো এক ভ্রমণ ব্লগ পড়ে ভালো লাগলো।
মন্তব্য করুন