প্রিয় বন্ধুরা, আজকের এ আড্ডা তোমাদেরকে উৎসর্গ করলাম...
গতরাতে ছোট বোন সুলতানা শিপলু জানালো- চিটাগাং থেকে আমাদের পুরোনো দুই বন্ধু ঢাকায় এসেছে। স্যরি, ভুল বললাম। এক জন এসেছে, অন্য জন দীর্ঘদিন থেকে ঢাকাতেই থাকে- আমাদের কারো সাথে যোগাযোগ করে না। সেটা তিনি না করতেই পারেন। তিনি আবার ডাক্তারও বটে। সে যাই হোক, এক সময় আমরা সবাই ভোরের কাগজের পাঠক ফোরাম আর প্রথম আলোর বন্ধুসভা নামক পাতা দুটো মাতিয়ে রাখতাম। সেই আমাদের কেউ কেউ আজ সংসারে ব্যস্ত। কেউ মোটামুটি লেখাজোকায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। কেউ কেউ সাংবাদিকতা করে। কেউ এক্কেবারে লেখা ছেড়ে দিয়েছে। কেউ আবার ব্লগে লেখে। ছোট বোনের কথা মত ওরা আমাকে ফোন করতে পারে। শুক্রবার বিকেলে আড্ডা মারার জন্য।
তো, শুক্রবার সকাল গেল, দুপুর গেল। আমার মুঠোফোনে অনেক ফোন এল। চিটাগাংয়ের বালিকাদের ফোন আর এল না। দুপুরে একটা ছোট খাট ভাত ঘুম দিলাম। আর ফোনটা এল তখনই। তবে সেটা কোনো বালিকার নয়, ছোট বোনের সোয়ামীর। ইনিয়ে বিনিয়ে বললো- ভাই ভুল হয়ে গেছে... চিটাগাং থেকে অমুক অমুক এসেছে। বিকালে ওরা টিএসসিতে আসবে। আপনি ফ্রি থাকলে চলে আসেন। মুখে অনেকগুলো খারাপ বাংলা কথা এসেছিলো। বলিনি। দুটো কারনে- ১. ছোট বোনের সোয়ামী ২. বাসায় আমার ছেলে, ছেলের খালা আর আমার একমাত্র স্ত্রী ছিল। যাই হোক, বিকেল ৫ টা নাগাদ টিএসসিতে গেলাম। দেখি, দুই বালিকা বসে আছে। ওদের কাছে গিয়ে বসলাম।
একজন আফরিন আহমেদ, অন্যজন সুমীমা ইয়াসমিন সুমি। যদ্দুর মনে পড়ে, আফরিন সেই নূহ নবীর আমলে চিটাগাং মেডিকেল থেকে ডাক্তারি পাশ করেছে । এরপর থেকে লাপাত্বা...। মাসখানেক আগে খবর পেলাম আফরিন ঢাকায় আছে অনেকদিন থেকে। কারো সাথেই তেমন যোগাযোগ করেনা। সুমি চিটাগাংএ আছে। চবিতে পড়াশুনা করে এখন কাজ করছে চিটাগাংয়ের দৈনিক আজাদী পত্রিকায়। চুপি চুপি বলে রাখি, সুমি হচ্ছে এবির বন্ধু নীড় সন্ধানীর ছোট বোন। তো, আমরা ৩ জন বসে আছি...। একটুক্ষণ পর এল লীনা দিলরুবা। তারো কিছুক্ষণ পর পুরো পরিবারশুদ্ধ এল সুলতানা শিপলু, আমার ছোট বোন। এর পর আরিফ জেবতিক, পান্থ, ঈশান মাহমুদ, আহাদ , বৌ আর মেয়ে নিয়ে এল মমিনুল ইসলাম লিটন। রশিদা আফরোজ বিশেষ পারিবারিক কাজে আটকে যাওয়াতে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছে। সিলেট থেকে এল নজমুল আলবাব অপু। আমরা চুটিয়ে কিছু সময় আড্ডা দিলাম। তারপর সবাই মিলে টিএসসির বাইরে বেরিয়ে এলাম, চা ইত্যাদি খেতে।
আমাদের আড্ডায় ঘুরে ফিরে যাদের কথা এল, তার হচ্ছে- ঢাকার ইয়াকুব রানা, ফারুখ আহমেদ, শেখ ইসমত, রেজা য়ারিফ, শাহাদাত উদরাজী, ফেরদৌসি ইয়াসমিন তনু, হাফিজ ভাই, পাপড়ি রহমান, সিলেটের হাসান মোরশেদ, রানা, অর্ণা, গৌরিশ, আসিফ মনি, চন্দন, টুকুদা, তাজীন, চিটাগাংয়ের আসফিয়া, ঝর্ণা, মাইনুল এইচ সিরাজী, নুশেরা এদের কথা। কী সব দিন ছিল আমাদের ! লেখালেখি নিয়ে সেকী তুমুল প্রতিযোগিতা...। এ সপ্তাহে সিলেটের লেখা বেশিতো পরের সপ্তাহে ঢাকা। তার পরের সপ্তাহে চিটাগাং... ।
হিসেব করে দেখলাম, রানা ভাই দেশ বিদেশে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। অভিমানী ফারুখ আহমেদ পুরোনো ঢাকাতে পৈত্রিক ব্যবসা দেখেছেন। ইসমত ইসলাম গ্রুপে চাকরী করছে। রেজা য়ারিফ নিজের ব্যবসায় ব্যস্ত। উদরাজী ল্যাবএইডে। তনু শ্যামলীর বাসা ছেড়ে মিরপুরের দিকে থাকে। পাপড়ি আর হাফিজ ভাই মিরপুরে। হাসান মোর্শেদ, রানা, গৌরিশ ইংল্যান্ডে। চন্দন আর টুকুদা সিলেটে, পুরো ব্যবসায়ী। আসিফ মনী চিটাগাংএ। তাজীন জামাই নিয়ে প্রবাসী। আসফিয়া ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত চিটাগাংএ। সিরাজী মাস্টারি করে কাপ্তাই। নুশেরা বৈদেশ ঘুরে আবার চিটাগাংএ আপাতত থিতু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন এখনও লেখালেখির মাঝে আছেন (হোক না সেটা ব্লগে)। অনেকে লেখালেখিটা একদম ছেড়ে দিয়েছে... । কারো কারো অনিয়মিত হলেও বই বেরোয় বই মেলায়... ।কারো কারো সাথে যোগাযোগটা শুধু ফেসবুকে বা মুঠো ফোনে। হঠাৎ উদাসী হয়ে যাই... । আর এক দিন পর বন্ধু দিবস। প্রিয় বন্ধুরা আমাদের আজকের এ আড্ডা তোমাদেরকে উৎসর্গ করলাম... যে যেখানে আছো, ভালো থেকো, অনেক ভালো ।
তাও ভালো, এখন ফেসবুক আর মুঠোফোনের কল্যাণে যেখানেই থাকুক- বন্ধুদের খবর পাওয়া যায়...
বন্ধুত্ব বেঁচে থাক
বিরাট আড্ডা হলো দেখি...........
হ, বস !
হুমম
হহহ
ভাবতাছি!! কি বিচিত্র উপায়ে মানুষের কত কিছু মনে পড়ে--
রেজা আরিফ, তাজীন, পাপড়ি রহমান....হুমম....পান্থ, সূমীমা ইসলাম সুমী------
এককালে পাফোস আর পরে বন্ধু সভার লেখার জন্যই পত্রিকা পড়তাম, আড্ডার গল্প পড়লেই আড্ডাইতে মন্চাইতো, মনয় নিজে নিজেই আড্ডাইয়ালতাম...
পরে বড় হৈয়া গেছিলাম আর বন্ধুসভা শুধু সাংগঠনিক খবর দেয়া শুরু করলো বেশি, আস্তে আস্তে শেষ হৈলো পড়ার মজা..
এই কারনে পোষ্টের প্রায় বেশিরভাগ নামই পরিচিত....
বলেন আহা!!
বাহ বিলাই, তুমি বুঝি আমগো লেখা পড়তা ? শুইনা ভালো লাগতেছে...
যেহেতু পাঠক ফোরাম এ বন্ধুসভার বেন্ধুদের কথা উঠেছে সে অর্থে পা ফো বা বন্ধুসভার অনেক উল্লেখযোগ্য ২-১ টা নামই নাই। সেটা কি আপনার লেখার সময় মনে ছিলো না?
বিষয়টা তা নয়। আড্ডাটা ছিলো আমরা যারা ভোরের কাগজ আর প্রথম আলোতে লিখতাম -তাদের। এর মধ্যে সময় স্বল্পতার জন্য অনেকের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি। অনেকের প্রসঙ্গ আড্ডাতে আসেনি। অনেকের নাম এসেছে। শুধু যে নামগুলো নিয়ে কথা হয়েছে-আমি সেগুলো উল্লেখ করেছি। এছাড়াও অনেকে রয়েছেন, যাদের নাম আমি আমার লেখায় উল্লেখ করিনি। না, ভুলে যাইনি। প্রাসঙ্গিক কারনে।
ভাইয়া, কাল বিকেল থেকে মনে হচ্ছিল মিস করেছি, মিস করেছি...এখন রীতিমত ডাক ছেড়ে কান্না করতে ইচ্ছা করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পপির কথা যে লিখেন নাই, এতে প্রমাণিত হয় আপনি বেশ সাহসী (স্যালুট আপনাকে!), মুগদায় যাওয়ার আগে দোয়া ইউনুস তিনবার পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে নিয়েন।
বন্ধু, তোমার এ লেখাটা আমি সামুতে গিয়ে মাঝে মাঝে পড়ি। আমাদের বন্ধুত্ব অমর হউক।
=====================================================
পেলাম যাদের বন্ধুতা।। মেসবাহ য়াযাদ
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৯
ক
সোহেল কাদের। এক সময়ের তুখোড় আড্ডাবাজ ছেলে। চিটাগাং শহর দাবড়িয়ে বেড়াতাম আমরা ৩ জন। সোহেল তার চাচার কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। সেটা ছিলো জিইসি’র মোড়ে। কম্পিউটার হোম। আমি তখোন চিটাগাং চাকুরী করি। একদিন ঢাকা থেকে বন্ধু শাহাদাত উদরাজী গিয়ে আমার অফিসে হাজির। ফেনীর ছেলে। বাসা থেকে রাগ করে বেরিয়ে পড়েছে। কম্পিউটার খুব ভালো জানে। ওর একটা চাকুরী প্রয়োজন। ব্যাগ থেকে ২/৩ টি বায়োডাটাসহ আমরা দুজন বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমেই কম্পিউটার হোম-এ। সেখানে পরিচয় সোহেলের সাথে। উদরাজীর চাকুরী হয়ে গেলো কম্পিউটার হোম-এ, প্রশিক্ষক হিসেবে। সেই থেকে আমাদের ৩ জনের বন্ধুত্ব।
খ
আমরা ৩ জনই তখোন দু’হাত খুলে লিখতাম, বিভিন্ন পত্রিকায়। বছর খানেক বাদে আমরা দুজন চলে এলাম ঢাকায়। সোহেল রয়ে গেলো চিটাগাং। তারও বছর তিনেক পর উদরাজী চলে গেলো বিদেশে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। সোহেলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো। সোহেল বিয়ে করলো। ওর বৌ নাসরিন। ডাক্তার। ২০০০ সালে সোহেল পরিবারশুদ্ধ চলে গেলো আমেরিকাতে। এক দুই বছর যোগাযোগ ছিলো। তারপর...! মাস ছয়েক আগে সোহেলকে আবিষ্কার করলাম, ফেসবুকে। জুলাইতে দেশে এলো সোহেল। এক সপ্তাহের জন্য। তার মায়ের অবস্থা খুব খারাপ। শেষ দেখা দেখে গেলো। ওর সাথে দেখা হলোনা আমার। মোবাইলে কথা হলো- দীর্ঘ সময় ধরে। একবারও মনে হয়নি ৯ বছর বাদে ওর সাথে কথা বলছি। কোথাও সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। দু ছেলের বাপ সোহেল। সুখেই আছে।
গ
৯৬ সালের শেষের দিকে আমার বিয়েতে হাজির উদরাজী। ওকে দেখে ভয়াবহ খুশি হই। আমার গায়ে হলুদ থেকে বৌ ভাত পর্যন্ত সব অনুষ্ঠানেই ওর সরব উপস্থিতি আমাদের পরিবারের অন্যদের মুগ্ধ করেছে। কীভাবে খবর পেলো ? আমরা ফার্মগেটে যেখানে দীর্ঘদিন আড্ডা দিতাম সেখানে গিয়ে জেনেছে- আমার বিয়ে। সোজা চলে এসেছে কুমিল্লাতে। উদরাজী এখন বেক্সিমকোতে। ঢাকায়। এক ছেলের বাবা। রামপুরাতে থাকে। একরত্তি বদলায়নি সে। কথা হয়, দেখা হয় নিয়মিত।
ঘ
আমার বালবন্ধু মনু’র জীবনে একটাই স্বপ্ন ছিলো- জাপান যাবে। ৯১ সালে চলেও গেলো। প্রথম বছর খানেক চিঠি লেখালেখি হতো। তারপর ম্যালাদিন আর দেখা নেই। আমার বিয়ের সময় আমার জন্য একটা নাইকন ক্যামেরা পাঠিয়েছিলো। যার কাছে দিয়েছে, সে ক্যামেরাটা মেরে দিয়েছে। গত বছর ফিরে এসেছে দেশে। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে এসেই আমাকে ফোন করেছিলো। দু বন্ধু কোলাকুলি করে হৃদয়ের উত্তাপটা নিলাম। কে বলবে, আমাদের দেখা হয়েছে ১৭ বছর পর। ফোনে বিয়ে করে বৌ নিয়ে গেছে জাপানে। তারপর, ৪/৫ বছর পর তার বৌ ফিরে এসেছে দেশে। সাথে ওদের মেয়ে মোহনা। স¤প্রতি মনু আরেকটি কইন্যা সন্তানের বাবা হয়েছে। ২/১ দিন পর পরই ওর সাথে কথা হয় ফোনে। ও থাকে ঢাকার বাইরে।
ঙ
আমার স্কুল জীবনের আরেক বন্ধু বাসু। আমি গ্রামের বাড়িতে গেলে ওর বাসাতেই উঠি। চাকুরী করে। জেলা অডিট অফিসে। অডিটর। আমার সকল সুখ আর সামান্য ছিটেফোটা দুঃখগুলো ওর সাথে শেয়ার করি। বাসুও তাই করে। বাসুর দুই মেয়ে। ইতু আর যুথি। বৌকে নিয়ে বেশ সমস্যায় আছে বেচারা। সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন হচ্ছে তার বৌ। তার সারাদিনের কর্মসূচি হচ্ছে- সকালে ঘুম থেকে উঠে এক থালা ভাত খাবে। তারপর টিভি ছেড়ে দিয়ে একটার পর একটা হিন্দি সিরিয়াল দেখতে থাকবে। মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে দেবে বুয়াকে দিয়ে। ঘরের সকল কাজ বুয়া করে দেবে। মেয়েরা ফিরলে একসাথে দুপুরের খাবার খাবে। আবার খাটে শুয়ে টিভি দেখবে। খাট থেকে সে নামেই না। ভুল বললাম, নামে... শুধু বাথরুম করার জন্য। স¤প্রতি তার ওজন কমেছে। এখন ৯২ কেজি। আগে ছিলো ৯৪ কেজি...
চ
মিলনের দুই বোন ছিলো আমার ক্লাসমেট। ইয়াসমিন আর মাজু। ওদের সাথে যতোটা বন্ধুত্ব হয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি মিলনের সাথে। সেটা ৮৩ সালের ঘটনা। তারপর সময় আগায়। আমাদের বন্ধুত্বও পাকে। স্কয়ারের আমার এ কলিগের ছোট বোনের সাথে মিলনের বিয়ে হয়। সে বিয়ের উকিল বাপ ছিলাম। তার বৌ রুমা। মিলনের সাথে দারুন জুটি ছিলো। বিয়ের ক’বছরের মাথায় সংসারের একমাত্র ছেলে মিলনকে তার বৌ আলাদা করে ফেললো। ওরা ঢাকাতেই আছে। একা মিলনের মা থাকেন গ্রামের বাড়িতে। বছরে এক দু’বার মিলন মায়ের খোঁজ নেয়। না নেবার মতো। ওর দুই মেয়ে। প্রাপ্তী আর প্রকৃতি। রামপুরায় থাকে মিলন। টাকা-পয়সা-সংসার সবই আছে ওর, শূধূ সুখ নেই। বেচারা মিলন, ওর জন্য বড় মায়া হয় আমার !
ছ
মুজিবের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয় ঢাকাতে। আমি আর ও তখোন একই ডিপার্টমেন্টে পড়ি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে তেমন কিছু না বুঝলেও দু’জন দু’জনকে বুঝে ফেলি তাড়াতাড়ি। তারপর কতো শতো ঘন্টা আমরা একসাথে কাটিয়েছি, তার ইয়ত্তা নাই। এখনও সুযোগ পেলে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেই। সর্বশেষ তার বাসায় গিয়েছিলাম গেলো বৈশাখের প্রথম দিন। ওর সাথে দেখা হলে মনে হয় কালইতো দেখা হয়েছে...। মুজিবের সাথে আমার চমৎকার বোঝাপড়া। চাকুরী করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে। দুই পুত্রের জনক।
জ
শিল্পী বিপুল শাহ আর রাশেদের সাথে সম্পর্ক ৯৭/৯৮ সালে। জাহিদ রেজা নুরের সাথে সখ্যতা হয় প্রথম আলোতে। ২০০২ সালে। ভারী চমৎকার মানুষ। গত ২ বছরে ধরে সম্পর্ক চ্যানেল আইয়ের শান্তনুর সাথে। ওকে আমি যতোটা পছন্দ করি, ঠিক ততোটাই অপছন্দ করি। শান্তনুর সাথে আমার সম্পর্কটা অমিমাংশিত। গিয়াসের সাথে পরিচয় সেই ভোরের কাগজ থেকে। তারপর ভোরের কাগজ ছেড়ে প্রথম আলো। আমাদের কতো শতো দিন একসাথে পথচলা। চা- আড্ডা- বিড়ি খাওয়া- সারা দেশময় ঘুরে বেড়ানো...। বন্ধু থেকে ছোট বোনের স্বামী। গিয়াস এখন দেশ টিভিতে। ওর মতো সৎ সাংবাদিক আমি খুব কম দেখেছি। ভোরের কাগজ > প্রথম আলো > যায়যায়দিন > ইটিভি ছেড়ে ও এখোন দেশ টিভিতে। স¤প্রতি আরো দু’একটি মিডিয়া হাউজের সাথে ওর কথা হচ্ছে। সহসাই হয়তো দেশ টিভিও ছেড়ে দেবে। এ ছাড়া বিশ্বময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমার কিছু বন্ধু....।
সেই সাতজন নেই
আজ টেবিলটা শুধু আছে
সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই।
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি
শুধু সেই সেদিনের মালী নেই।
স্মৃতিবিভোর পোস্ট। এরকম লেখা খুব ভালো পাই। মেসবাহ ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
সাহাদাত ভাইয়ের সৌজন্যে মেসবাহ ভাইয়ের আরো একটা চমৎকার লেখা পড়তে পারলাম। সেজন্য তাকেও ধইন্যাপাতা।
পাফো- বন্ধুসভা- গিয়াস ভাই এই তিন ছিল একসুতোয় গাঁথা। আজ গিয়াস ভাই অন্যবৃত্তে তাই পাফোও নাই বন্ধুসভাও নাই- আমার জীবনে!
তুমি পাফো পাতায় ফেনীর কাজী দিলরুবা আকতার লীনা না?
পাফোর পরে বন্ধুসভা হয়েছে, এসেছে আরো অনেক পাঠক সংগঠন; কিন্তু পাফোর মতো সপ্রাণ উচ্ছাময়তার দিন আর কেউ দিতে পেরেছে বলে মনে হয় না। মেসবাহভাইকে বিশাল ধন্যবাদ পোস্টটার জন্য।
আমি '৯৭-এর পর আর দেখিনি সেভাবে, তারপরও অনেক নামই চেনা-চেনা। সিলেটের তানভীর, সিলেট মেডিকেলের শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস, রানা মেহের, ঢাকার তাপু, ভোলানাথ পোদ্দার, ময়মনসিংহের রাজু, আখাউড়ার সালমা রুহী, মৌলভীবাজারের সুমন সুপান্থ, বরিশালের স্মৃতিকণা... আরও কতো নাম! সুমন্ত আসলাম তো এখন স্টার লেখক। আফরিন আর শর্মিষ্ঠা লেখালেখি থামিয়ে অপরাধ করেছে; নিজের স্কুলকলেজের বন্ধু বলে বাড়িয়ে বলছি না একরত্তি, অসাধারণ সায়েন্স ফিকশন আর কবিতার (যথাক্রমে) হাত ছিলো তাদের দু'জনের। এখন এবিতেও আছে যে রশীদা আফরোজ, ভালো লিখিয়ের পাশাপাশি আমার একান্ত কাছের মানুষ, পাফো না থাকলে ওর খোঁজ পেতাম কোথায়! সেই সময়ে নিকে লিখতেন কয়েকজন; পাফোর পরবাসী কিন্তু বিশাল ক্রেজ ছিলেন পাঠকদের মধ্যে। তিনি ছেলে না মেয়ে এটা এখনও কেউ কেউ জানতে চায় আমার কাছে
এতো বকবক করার চেয়ে আমার একটা লেখার লিঙ্ক দিই- নিজের সাইটে প্রথম লেখাটাই ছিলো পাফো নিয়ে!
http://www.nushera.com/node/11
হুম নুশেরা। স্মৃতিময় দিনগুলো ভোলা যায়না।
নির্ঘাত শিপলু; সঙ্গে অন্যতমা আর বর্ণমালা। সুমন্ত আর শিপলুকে একবার মিস্টার অ্যান্ড মিস পাফো নির্বাচিত করা হয়েছিলো। তখন থেকে দেশজুড়ে কতোজনের জল্পনা-কল্পনা শিপলুকে নিয়ে। একবার এর সাথে তো আরেকবার ওর সাথে জুড়ে দেয়। শেষমেষ খোদ বি.স'র (এইখানে মডু লিখে ফেলছিলাম
) গলায় মালা দিলো শিপলু 
সবই কোপাল। বিবাহ আল্লাহ পাক নিজে কলম দিয়ে লিখেন। কারো জানার সাধ্য নাই।
গিয়াস ভাই একটা স্মৃতিচারণমূলক গল্প বললেন, বন্ধুসভার এক মেয়ে সদস্য গিয়াস ভাইর বিয়ের পরে ওনাকে বকা দিয়েছিলেন এই বলে যে, তুমি যদি পাফোর কোন মেয়েকেই বিয়ে করবে তবে আমাকে নয় কেন???!!!
গিয়াস ভাই শিপলুকে বিয়ে করার পর অনেক নারীর মন ভেঙে খান খান হয়ে গেছল
হা হা হা হা, গিয়াসভাই চামে চাপাও মারতে পারেন

শিপলু বান্ধবীদের নিয়ে বিবাহেচ্ছু কুমারী সংঘ না কী যেন একটা করেছিলো, ওর বিয়ের পর বোধহয় ভাইসভার্সা কিছু ঘটেছিলো
রাতে সুমী আপার ফোন। কালকে টিএসসিতে আসো। পাফোর পুরোনোরা বসছি। বললাম কে কে- গিয়াস আহমেদ, আফরিন আহমেদ, লীনা দিলরুবা, আরিফ জেবতিক, রশিদা আফরোজ, মেসবাহ য়াযাদ, সুলতানা শিপলু, নজমুল আলবাব, ফারুক আহমেদসহ আরও কেউ কেউ আসবে। কতগুলো মায়া জাগানিয়া নাম। এক সময় যাদের লেখার গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকা। আমার তখন স্কুলপড়ুয়া যুগ। তারপর নিজেই একদিন লেখা শুরু করলাম। পাফো হয়ে বন্ধুসভা। তারপর একদিন সবকিছু থেকে দূরে সরে যাওয়া।
গিয়াস ভাইয়ের দুই পিচ্চি বাদ দিলে আড্ডায় আমিই ছিলাম সবচেয়ে জুনিয়র। আড্ডায় কত কথা হলো। কত স্মৃতিময় নামগুলো চলে এলো। জানা গেল কারো কারো বতর্মান ঠিকুজির হদিস। সুন্দর কিছু মুহূত যার বদৌদতে পাওয়া সেই সুমিমা ইয়াসমীন সুমী আপুকে ধন্যবাদ। মেজবাহ ভাইকেও ধন্যবাদ সেদিনের সুখস্মৃতির জাবর কেটে একটা ডকুমেন্টেশন রাখার জন্য।
মেসবাহ ভাই, আমার নাম নাই কেন ? ল্যাব এইডে আইসা চেকআপ করাইনা বইলা ?
জাকির জাহামজেদ
লেখালেখির এই ধারাটার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না কখনো। থাকলে এইসব মানুষদের মতো ভালো লেখা শিখতে পারতাম
কে জানি কয়,
হে যদি ইট্টু শিখাইতো কেম্নে লিখে
এইটা তো চাকরির লেখা।
চাক্রির লেখা শিখতাম্চাই।
আসেন। অফিসে বইসা বইসা প্রেস রিলিজ লিখবেন
লীনার ছবি আবারো ঠিক কইরা দিলুম।
এইখানে একটা টিউটরিয়াল দেই।
বড় ছবি দিবেন কিরুপে:
ছবি দেওয়ার পর প্রকাশ করুন বাটন টিপ দেয়ার আগে দেখেন একটা কোড আসছে। যেমন :
img src="http://www.amrabondhu.com/sites/default/files/users/leena/Picture%20048.jpg"" width="1234" height="444" alt="dd"
এখন আপনে করবেন কি, কোডে width= কত সেইটা খেয়াল করবেন। যদি 550 বা তার নীচে থাকে তাইলে আপনারে কিছু করতে হইবনা। প্রকাশ বাটনে ক্লিক কইরা ফেলেন। আর যদি 550 এর বেশি হয় তাইলে width="550" কইরা দেন এবং হাইট ও হাইটের ভেলু পুরাটা মুইছা দেন, যেমন এইখানে height="444" মুইছা দেন।
থ্যাঙ্কু বস, বহুদ্দিন বাদে আফরিন আর সুমীকে দেখলাম। লীনার বেসাইজ ছবি দেখে পয়লা ভাবছিলাম টিএসসিতে মিলাদ হয় ক্যান
ধন্যবাদ রায়হান ভাই, ছবি সাইজ করা জানতাম না। শিখিয়ে দেবার জন্য অনেক থ্যাঙ্কস।
ফোর ফাইভে পড়ার সময় পাফো পড়তাম , পরে পত্রিকা চেঞ্জ করা হয়েছিল বাসায় --- তবে বরিশাল বলেই হয়ত স্মৃতিকণা নাম টা এখোনো মনে আছে । কোনো এক গুরু ( হিন্দুদের পীর টাইপ) নিয়ে ওনার একটা লেখা ছিলো মনে হয় ----
এর বেশ পর প্রথম আলো রাখা শুরু করার সময় প্রথমদিকে বন্ধুসভার লেখাও ভালো লাগত । এখন পুরোই আজাইরা কিসিমের হয়ে গেছে , ছুটির দিনের অবস্থাও বেগতিক লাগে ।
আমি অবশ্য ভোরের কাগজের যে পাতাটার ভক্ত ছিলাম তার নাম যদ্দুর মনে পড়ে ইষ্টিকুটুম
পাঠক সংগঠনকে দিয়ে মার্কেটিঙের কাজ করানোর উদ্দেশ্য থাকলে কোয়ালিটি ফল করতে বাধ্য। আমার কাছে ৯৬-৯৭এর তিনচারটা পাফো সংখ্যা আছে, মান দেখে আশ্চর্য হই এখনও।
স্মৃতিকণা বিশ্বাসকে আসলে তার লেখার জন্য মনে রাখিনি। সে ছিলো আমাদের প্রজন্মের সৎসাহসের প্রতিশব্দ। সময়টা এরকম, ধর্ষণের মামলা নিয়ে সংসদে কথা উঠলে মন্ত্রীএমপি বলে বসছেন, "অমুক জায়গার মেয়েদের এতো ফার্টিলিটি আগে জানলে সেখানে বিয়ে করতাম"। পত্রিকার পাতায় ধর্ষণের শিকার মেয়েদের নাম প্রকাশের বিরোধিতার প্রতিক্রিয়ায় দোর্দণ্ড দাপটে চলা জনকষ্ঠ প্রথম পাতায় সাধু সাবধান কলামে লিখছে, "এই দাবী অর্থহীন। নাম প্রকাশ না করলে কিসের আকর্ষণে মানুষ পত্রিকা পড়বে?" তো, সেইরকম একটা সময়ে সবরকম হয়রানির মুখে স্মৃতিকণার ভূমিকা রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছিলো। পাফোর পাতায় তার সামাজিক হি্উমিলিয়েশনের কথা যেমন পড়েছি তেমনি নতুন জীবনের প্রেরণার কথাও।
হ্যাঁ , উল্লেখ করতে চাইনি ভিন্ন কারণে ।
আপু আমি নিজে তখন মাত্র বরিশাল ছেড়ে ঢাকায় স্কুলে এসেছি আর ---- সদ্য যৌন নির্যাতন কি জিনিস জানছি --- তার আগে "কেন করে" ধরণের প্রশ্ন মাথায় নিয়ে ঘুরতে হোতো , মা'কে প্রশ্ন করলে কেবল গন্ডী কমেছে আমার নিজেরই ! এরকম বয়সে ওনার লেখা , ওনার প্রকাশ করার দ্বিধাহীন ব্যক্তিত্ব তুমুলভাবে আকর্ষণ করেছিলো , মনে হয় কালিবাড়ি রোডে থাকতেন । যে লেখার কথা উপরে উল্লেখ করলাম , সেটা ছিলো এক তথাকথিত গুরুদেবের লালসা নিয়েই ।
পরে বড় হয়ে ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর লেখা পড়েছি । জেনেছি সমাজে বাঁচতে হলে বাবার বন্ধু , দুলাভাই , চাচা মামা কাকাদের চোখ হাতকে ভয় করে সরে দাঁড়ায় মেরুদন্ডহীনেরা !
-----------------------------------------------
ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন করার পথে আমরা জা.বি.-এর ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক কিছু দেখছি। গতোকাল বন্ধু দিবস গেছে, তার লগে গেছে আমাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের দ্বাদশ বার্ষিকী। এই দিনে প্রথম আন্দোলনের সূত্রপাত হইছিলো বইলা ধরা যায়। কিন্তু সেই আন্দোলনের মিছিলে ধর্ষণকারীগো বিচার চাওনের শ্লোগান নিয়া অনেক মধ্যবিত্ত ইন্টেলেকচ্যূয়ালরেও বিব্রত হইতে দেখছি। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মতোন জ্ঞানী-মূক্তমনারেও পত্রিকায় আর্টিকেল লেইখা শ্লোগানে ধর্ষণ শব্দ ব্যবহার করা ঠিক কি বেঠিক সেইটা নিয়া আলোচনা করতে দেখছি। আর তাই আমাগো দেশের টাকাওয়ালা এমপি-মন্ত্রীগো এইরম উচ্চারণে খুব বেশি অবাক হইনাই কখনোই।
এপু'র মন্তব্যে মেরুদন্ডহীন নারী বিষয়ে যেই ইঙ্গিত দেওয়া হইছে সেইটা নিয়া আমার ভিন্ন উপলব্ধি আছে...পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন নারী যতোই মেরুদন্ড টান টান কইরা দাঁড়াক, তাতেই মুক্তির স্বপ্ন ধরা দেয় না। প্রয়োজন টান টান প্রতিরোধের...দুর্নীতি বিরোধী এতো প্রচারের পরেও কি সমাজ থেইকা দুর্নীতি কইমা যাওনের সম্ভাবনাও দেখা দিছে!?
এই পুঁজিবাদী-পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থারে না পাল্টাইলে এইরম ঘটনা ঘটতেই থাকবো...এমপিরা ফার্টাইল নারী খুঁজবো এলাকা ভিত্তিতে, মানিক'রা ধর্ষণের লেইগা স্বাধীনচেতা নারী খুঁজবো ফ্যাকাল্টিতে-ডিপার্টমেন্টে। পুলিশ নামের ভক্ষকরা রাস্তায় রাস্তায় সীমা চৌধুরী-ইয়াসমিনগো খুঁজবো...
ধর্ষণ শব্দটায় উদ্ভট অ্যালার্জি থেকে এটাকে সম্ভ্রমহানি/লুট, ইজ্জতহানি/লুট, শ্লীলতাহানি এইসব দিয়ে রিপ্লেইস করার প্র্যাকটিসটা আমার বিশ্রি লাগে। সম্ভ্রম, ইজ্জত এগুলা কি লুণ্ঠনযোগ্য কোন পণ্য! আরেকটা কথা ভালো লাগে না: ধর্ষিতা। যেন স্বেচ্ছাকৃত অর্জনের(!) একটা তকমা। ধর্ষণ একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবযুক্ত জঘণ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন; ভিকটিমকে ধর্ষণের শিকার বলাটাই যুক্তিযুক্ত।
মেরুদণ্ডহীনতা নিয়ে এপুর মন্তব্যের সাথে একমত না। মানুষ আরশোলা টিকটিকির মতো নিরীহ ক্ষুদ্র জীবের ফোবিয়াতেও ভোগে। দুর্বৃত্তের থাবার আকস্মিক শকের প্রতিক্রিয়া বিচিত্ররকমের হতে পারে। ছোটবেলা থেকে পারিবারিক বা একাডেমিক শিক্ষার কোন পর্যায়ে এমন অবস্থা মোকাবেলার উপায় শেখানো হয় না (এখন আছে কি?)। যারা চেপে যায়, তাদের মধ্যে "মুখ খুললে হি্উমিলিয়েশনের আশঙ্কা আছে"-- এমন জেনেবুঝে চুপ থাকে আর ক'জন!
মেসবাহভাই, আলাপটা অন্যপ্রসঙ্গে গড়িয়ে নেয়ার জন্য দুঃখিত
না, ঠিকাছে।
অফটপিক : বন্ধু নামের ব্লগারটি কে, জানেন ?
পড়তে পড়তে আমি ইমোশনাল হয়ে পড়েছি খুব। লিখতেই পারছি না আর কিছু...
কী ভাই, ভালো আঝেন কেমন ? এবিতে এইটাই কি আপনার প্রথম মন্তব্য ? ওয়েলকাম টু আমরা বন্ধু...
লেখালেখি আমার কম্ম নয় বলে কখনোই লিখিনি, আগ্রাসী পাঠকই ছিলাম কেবল।.................নামগুলো দেখে পাফোর সবচেয়ে প্রাচীন নীরব পাঠক হিসেবে মনে পড়ে গেল, এদের লেখা পড়ার জন্য সপ্তাহে একদিন কি দারুণ প্রতীক্ষা ছিল.....ওরা কেউ জানেও না আমি ওদের কত চিনি.........সাহিত্য সাময়িকীর চেয়েও বেশী প্রিয় ছিল যেই পাতা.......সেই পাতার অপমৃত্যু হলো প্রথম আলোতে এসে। ..........ছোট ছোট মিষ্টি লেখাগুলোর বদলে পাতা ভরতে শুরু করলো সংগঠন সংবাদে.......কেউ লেখে না আর, সবাই সংগঠনে যোগ দিয়েছে। তারপর ওই পাতাটা উল্টানো বন্ধ করে দিলাম চিরতরে। মেলা একবার ভেঙ্গে গেলে আর জোড়া লাগে না.........এখন সবাই নতুন নতুন ভিন্ন ভিন্ন মেলার যাত্রী।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য থ্যাংকু বস
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলো ...
সুমী মেয়েটা কী সংসার করছে? সুমী মেয়েটা কী সংসার করছে?
এ তো 'বন্ধু সমাবেশ'!
পাঠক ফোরাম আর বন্ধুসভার উজ্জ্বল নক্ষত্রদের একসাথে পেয়ে ভালো লাগলো...।
এরকম 'হৃৎকলম' অনেকদিন পড়া হয় না...। ধন্যবাদ মেসবাহ ভাই।
মন্তব্য করুন