থাপড়াইতে চাই...
আমগো মহল্লায় নানান জাতের মানুষ থাকে। আগে ছিল খালি বাড়িওয়ালা আর পরিবারশুদ্ধ ভাড়াটিয়া। গত ২/৩ বছর থেইকা বিভিন্ন রকমের মানুষ বসবাস শুরু করছে পাড়ায়। ব্যাচেলার পোলাগো লাইগা মেস বাড়ি আছে। ব্যাচেলার মাইয়াগো লাইগা মহিলা হোস্টেল আছে। পাড়ায় ৩/৪ টা দোকান হৈছে। গত ৩/৪ দিন আগে দেখলাম পাড়ার এক বাড়িওয়ালা তার নিচতলার গ্যারেজের জায়গা কমাইয়া একটা দোকান খুলছে। সেইটারে নাকি বিউটি পার্লার বানাইবো। আজব সব কাজ-কাম।
মহল্লায় মহিলা হোস্টেল আর পোলাগো মেস থাকার কারনে সারা মহল্লা জুড়ে দিন রাইত ডি-জুস পোলা-মাইয়ারা খালি আড্ডা দেয়। সকালে বাইরে যাওনের সময় তাগোরে দেখি জোড়ায় জোড়ায়। রাইতে ফিরনের সময়ও দেখি...। ওগোরে এইভাবে দেখতে দেখতে একটা পুরানো গপ মনে পইড়া গেল।
ভার্সিটিতে পড়া পোলারে দেখতে গ্রাম থেইকা পোলার বাপে আইছে শহরে। ২/৩ দিন পোলার লগে তার হলে থাকলো বাপে। পোলা বিকালবেলা বাপেরে তার ক্যাম্পাস ঘুরাইয়া দেখাইলো। পরদিন সকালে বাপে গ্রামে চইলা যাইবো। রাইতে বাপের ব্যাগ গুছাইতে গুছাইতে জিগাইলো-
বাজান, কেমন দেখলা আমার ইউনিভার্সিটি ?
সব ঠিক আছেরে বাজান, তয় পাড়াটা বেশি কাছে হৈয়া গেছে- বাপের উত্তর...
তো মহল্লায় নানান কিসিমের লোক থাকার কারনে মহল্লার সব দেয়ালে দেখি বিভিন্ন রকমের এ-ফোর সাইজের কাগজ আটকানো থাকে। কোথাও লেখা- টিউশনি চাই। কোথাও গান শিখাইতে চাই। আবার কোথাও লেখা-৩ সিটের রুমে ১ জন মেস মেম্বার আবশ্যক। থাকা-খাওয়ার সুবিধাসহ মহিলা হোস্টেলের রুম/সিট ভাড়ার বিজ্ঞাপণও চোখে পড়ে। গতকাইল একটা কাগজ চোখে পড়লো। এইটা আবার রঙ্গীন। এতে লেখা-
পড়াইতে চাই
১ম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত দুষ্ট ছেলেমেয়েদের
বাসায় গিয়ে গ্যারান্টি সহকারে পড়াইতে চাই।
যোগাযোগ....
ঘটনা এইখানেই শেষ নয়। আইজকা বাসায় ফিরনের সময় দেখলাম, মহল্লার কোনো এক শয়তান পোলাপাইন কাগজের ২ জায়গায় ২ বার সামান্য রদবদল কৈরা দিছে। এখন লেখাটা দাঁড়াইছে-
থাপড়াইতে চাই
১ম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত দুষ্ট ছেলেমেয়েদের
বাসায় গিয়ে গ্যারান্টি সহকারে থাপড়াইতে চাই।
যোগাযোগ....
হা হা হা জটিল।
ধইন্যবাদ, জনাব
কমেন্ট দিলাম ফেব্রুয়ারী ১, ২০১১ এ রিপ্লাই পাইলাম ফেব্রুয়ারী ২, ২০১১ । কপাল আমার!
তাতে জাতীর কী এমন ক্ষতি বৃদ্ধি হয়েছে, জনাব ! আপনেরে বুঝতে হবে, আমি ব্যস্ত মানুষ...
সামনে ম্যালা পথ... যদি লক্ষ্য থাকে অটুট
দাদাভাই, আমিও আছি কলাম আপনার সাথে।
নো প্রব বস
অনেকদিন পর দাদাভাইরে দেইখা ভাল্লাগতেছে
আপনেরে দেইখাও ভাল লাগছে মি: পাতিল
মজার
এরকম শয়তানদের কিছু না কিছু কার্যকলাপ সব জায়গায় দেখা যায়, যেমন:
ফুল ছিঁড়িবেন না। = ফুল ছিঁড়িবেন । ('না' টা মুছে দেয়া হয়)
এখানে প্রস্রাব করিবেন না, করিলে জরিমানা করা হইবে। এটা (,) কমা'র কারসাজিতে হয় 'এখানে প্রস্রাব করিবেন, না করিলে জরিমানা করা হইবে।
আগে লাল রঙের ট্রেনের টয়লেটের কাচে লেখা থাকত "সরকারি সম্পত্তি, জনগণের সম্পত্তি এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনার"। সেই আয়নাটি কেউ খুলে নিয়ে আয়নায় লিখে রেখে গেছে "আমার সম্পত্তি আমি লইয়া গেলাম"।
আপনের পরিবারে ইরাম দুষ্ট পোলাপাইন আছে ? থাকলে আওয়াজ দিয়েন। বাসায় গিয়া গ্যারান্টি সহকারে থাপড়াইয়া আইবো
মজার

কী ?
ভাই খবরাখবর কি?
খবরাখবর উত্তম। আপনে আছেন কিরাম ?
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট...
আমার খবর ভালো। লক্ষ্য অটুট। আপনার সঙ্গেই আছি।
অতি অল্প হৈলো
অল্পতেই খুশি থাকন ভালো।
অ: ট:
গত বইমেলায়তো যারে দেখছেন তারেই ভাল লাগছিলো...
এইবার কোন আপডেট আছে ?
আছে মানে? এক্কেরে প্রেম আর পরকীয়ায় ভর্তি ৬৪ পৃষ্ঠার উপন্যাস 'প্রেম পৃথিবীর পাঁচালি' এসেছে এবার। আপনি পড়ে মজা পাবেন মনে হয়। পড়তে সময়ও কম লাগবে। বইটা পাওয়া যাচ্ছে ইতি প্রকাশনের (১০৭-১০৮)স্টলে।
পরিচিত কারো বই মেলায় প্রকাশিত হলে তা কিনতে এবং পড়তে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সেই বইটা পড়া শেষে লেখককে ফোন করে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইলে তিনি যখন ফোন ধরেন না, তখন আর বিষয়টা আমার ভাল লাগে না। গতবারের অভিজ্ঞতা আমার তাই...
মেসবাহ ভাই, কথাটা যদিও আমারে কন নাই, তবু সবাই মনে করতে পারে আমি বুঝি আপনার ফোন ধরি নাই। ভাইসব, মেসবাহ ভাই গত ২ বছরেও আমাকে ফোন করেন নাই। ৩ বছর আগে একবার ফোন করে কাপ্তাই আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু ইচ্ছাটা তাঁর সফল হয়নি।
একটুসখানি ভুল বললেন জনাব। আপনেরেই কৈছি। উপন্যাসটা শেষ কৈরা একাধিকবার ফোন করছি। ধরেন নাই বা ধরতে পারেন নাই। নো প্রব ! হয়ত ফোন নং আপনের কাছে সেভ করা নাই... এইবার আশা করি ধরবেন

এটা হৈতে পারে। তখন কাপ্তাইয়ে আমরা বাঁশের আগায় এন্টেনা ফিট করে মোবাইল ইউজ করতাম। এক রাতে এন্টেনার তার টেনে চোর মশাই মোবাইলটা নিয়ে গেল। সব নম্বর গেল, আপনারটাও।
দাদাভাই বহুত ব্যাকে চলেন দেখি। এইটা দেশে থাইকা আপনে এতোদিনে দেখলেন? কপাল আমার
অনেক দেরিতে হৈলেও দেখলাম আমি, কপাল আপনের !!
বুঝলাম না, যদি এট্টু বুঝাইয়া দিতেন পরবাসী বইন
দাদাভাই যদি এমনে চোখ বন্ধ কইরা চলে তাহলেতো উষ্টা খাইপে, পিকনিকের জায়গা খুঁজতে পারবে না,
আমার কপাল না তাইলে?
পড়ে মজা পাওয়া গেল । হাসলাম । এমন আরও চাই।
হাসি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
মেসোবাহ ভাই আমি সবচেয়ে সেরাটা দেখছি আইইউবির পাশের কোনো একটা দেয়ালে। ওখানে কেউ একজন নিজের নাম লিখেছিলো
মামুন সেক, নীচে তার মোবাইল নাম্বার সম্ভবত
সেখানে কেউ ইটের টুকরো দিয়ে জোড়া দিয়ে লিখেছে
মামুন সেক্সবোম্ব
আমি পুরা পাঙ্খা হয়ে গেলাম।
খ্যাক খ্যাক
মুকুল ভাই কী হাসলা না ক্ষেপলা ?
বাই দ্য ওয়ে, তুমি কি এখনও অবিবাহিত ??
আমাদের ওদিকে এক বাসায় সাইনবোর্ড টাঙাইছে "পাঠান মন্জিল"। এক রাতে কোন বদমাইশে জানি ঘইষা পাঠানের ন মুইছা দিয়া গেছে।
জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা জরুরী হয়ে পড়ছে।
হ, একদম ঠিক কথা।

তার নমুনাতো গুরু-শিষ্যরে দেইখাই বুঝতেছি
আমরাই খাঁটি দেশ প্রেমিক!
দেশ প্রেমিক ? তাও আবার খাঁটি ?
মানুষগুলান গুরু শিষ্য...
বি-বাড়িয়ার মানুষ চোখেরে কয় চুখ আর গরুরে...
থাউক, কইয়া আর কারু শত্রু না হই!
ব্যাপার কি, পুরান কৈতক কপিপেষ্ট দিয়া ফাঁকি মারতেছেন?
হ বস, জানেন না- পুরান চাইল ভাতে বাড়ে
"গেইটে তাল লাগিয়ে খুন" ।
তালার আ-কার আর রাখুন-এর রা মুছে এই কম্ম করেছে অকম্মার দল ।
কি নবাবী কপাল আপনার!
মন্তব্য করুন