শ্রাবন্তীর মায়েরে সেলাম
নির্দিষ্ট করে টেলিভিশন দেখা হয়না প্রায়ই। ঈদ বা বিশেষ দিনগুলোর কথা আলাদা।
সম্প্রতি তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে পারলে আইপিএলের খেলাগুলো দেখার চেষ্টা করি।
এর মধ্যে আমাদের সাকিবতো মাশাল্লাহ খুবই ভাল খেলছে। প্রথম খেলাতে ২, দ্বিতীয়টায়ও
২ এবং গতরাতে ৩ উইকেট নিয়েছে। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী করে !
গত ৪/৫ দিন আগে টেলিভিশনের রিমোর্ট ঘুরাতে গিয়ে দেখলাম, ভারতীয় চ্যানেল
জি বাংলাতে ছোটদের গানের অনুষ্ঠান সারেগামা লিটল চ্যাম্প হচ্ছে। একটু থামলাম
এই চ্যানেলে। বেশ ভালোই গাইছে বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েরা। ২/৩ জনের গান শুনলাম।
এরপর চ্যানেল ঘুরাতে যেয়ে উপস্থাপকের কথায় থমকে গেলাম। এরপর যে গাইতে আসছে-
সে বাংলাদেশের মেয়ে শ্রাবন্তী। আগ্রহ নিয়ে নড়েচড়ে বসলাম। এতটুকুন ছোট একটা মেয়ে।
ছোট করে চুল ছাঁটা। মাথায় একটা ক্লিপ লাগানো। বয়স মাত্র ৬ বছর। বেচারি হাতে
যে মাইক্রোফোন নিয়ে গাইতে এল সেটার আয়তন তার হাতের চেয়ে বড়। গাইতে
শুরু করলো আমাদের শ্রাবন্তী...
শ্রাবন্তী তার সুমিষ্ঠ কন্ঠে, দুই হাতে মাইক্রোফোন আঁকড়ে ধরে, মাথা ডানে বামে দুলিয়ে
গাইলো পুরো একটি গান। কোথাও এতটুকুন ছন্দপতন ঘটেনি। অন্তত আমার কাছে
তা মনে হয়নি। বাজিয়েদের সাথে কী চমৎকারভাবে ৪/৫ মিনিট তাল মিলিয়ে গাইলো
শ্রাবন্তী। গান শেষে বিচারক তার বেশ প্রশংসা করলেন। কে গান শিখিয়েছে- জানতে
চাইলেন শ্রাবন্তীর কাছে। মা, জানালো শ্রাবন্তী। এত বড় একটা গান ঠিক ঠাক মুখস্থ করে
তা সুর মিলিয়ে গাওয়ার জন্য শ্রাবন্তীর পাশাপাশি তার মাকে সেলাম জানালেন বিচারক।
এবং বিচারকের এই সেলাম জানানোটা কেনো জানি আমার কানে খটকা লাগলো।
কারনটাও ধরতে পারলাম মূহুর্ত্যে। অনুষ্ঠানটি প্রচার হচ্ছে- জি বাংলায়। সব প্রতিযোগী
ছেলে মেয়েরা গাইলো বাংলা গান। অথচ আমাদের শ্রাবন্তী বাংলাদেশ থেকে কলকাতাতে
যেয়ে গেয়ে আসলো হিন্দি গান... তার মা তাকে অনেক যত্ন করে একটি পুরো
হিন্দি গান শেখালেন তাল লয় ঠিক রেখে ! বেচারি মা, সারাদিন হিন্দি সিরিয়াল দেখতে
দেখতে বাংলা ভুলেই গেছেন হয়ত। মেয়ে কলকাতায় গানের প্রতিযোিগতায় যাবে- এই সুখে
মেয়েকেও শিখিয়ে দিলেন হিন্দি গান ? যেখানে অন্যরা সবাই গাইলো বাংলা গান ! ছিঃ !!
সেই বিচারকের সুক্ষ খোঁচাত্মক সেলামের সাথে তাল মিলিয়ে আমিও সেদিন বলেছিলাম-
শ্রাবন্তীর মা, আপনারে সেলাম...
সেলাম না দিয়া চ বর্গীয় একটা গালী দিলাম শ্রাবন্তির মাকে
তাতেও যদি শ্রাবন্তীর মাদের আক্কেল হতো ?
খারাপ কি করছে বুঝলাম না? সারাদিন মনে প্রানে শয়নে স্বপনে যা করতে চায় তাই করেছে।তারে একটা সেলাম দেয়ায় যায়।
=================================
এদিকে কিন্তু মেসবাহ য়াযাদ এবং হাসান রায়হানের পোস্ট ছোড়াঁছুড়ি ভালোই জমে উঠেছে।যদিও এই পর্যন্ত রায়হান সাহেব ৪-৩ এ এগিয়ে আছেন কিন্তু মেসবাহ য়াযাদ সাহেব ওস্তাদ লোক কখন শেষ রাইতের মাইর দিয়ে বের হয়ে যাবে কেও টেরই পাবে না।
------------------------
সেইদিন টুটুল নাজের ছেলের দাঁত উঠা বিষয়ক পাবলিক লাইব্রেরিতে খাওয়া আর আড্ডার অনুষ্ঠানে রায়হান ভাই কৈছিলেন, এপ্রিল মাসে আমার আর তার মধ্যে যার পোস্ট কম হৈবো, সে খাওয়াইবো।
অনেকে স্বাক্ষী। আমি হেরে ইজ্জত করি। ইচ্ছা করলে অনেক পোস্ট দিতে পারি। িকন্তু তাতে
রায়হান ভাইয়ের হার হৈবো। আমি তারে হারাতে চাইনা। কী বুঝলা ভাইস্তা !!
আমি কম পোস্ট দিয়া সবতেরে খাওয়াইতে চাই, মাগার বড় ভাইরে হারাইতে চাই না....
রাসেল, অন্তবর্তীকালীন ফলাফল দেন, খাওযা দাওয়া করি।
হাসান রায়হান: ৪
মেসবাহ য়াযাদঃ ৩
আমার ভাগেরটা মেসবাহ ভাইরে খেতে দিয়েন।
দারুন কোবতে!
শ্রাবন্তীর মায়েরে সেলাম, নমস্তে!
ওই মিয়া আপনে কোবতে পাইলেন কৈ ?
বাক্যগুলো সব লাইনে লাইনে বসিয়ে দিয়েছেন, দেখে তো কোবতের মতই মনে হচ্ছে! আমি তো ব্রাদার এভাবেই কবিতা চিনি!
হাহাহা, আমিও প্রথমে দেইখা কবিতা ভাবছিলাম।
দেখলেন য়াজাদভাই, আমি একা না। আপনি তো নামী কুবি হয়ে গেলেন!
সেলাম...
ওয়ালাইকুম সেলাম
সেলাম
ওয়ালাইকুম সেলাম
আসলেই দুঃখজনক
গণ সচেতনা মূলক পোস্ট।
প্রতিযোগিতা বানান ঠিক করেন দাদাভাই।
প্রতিযোগিতা বানান ঠিক করলাম ,
আপনে প্রথম লাইনটা ঠিক করেন
এতো কষ্ট করে প্রতিযোগিতায় নিয়ে কিনা হিন্দি শিখনোর কষ্টটুকুও করছে মা জননী... তারে সেলাম না ঠুকে উপায় আছে!!...
কে কোন ক্যাটাগরিতে পোষট দিতেছে, এইটাও কি গন্য হবে নাকি?... ... ফলাফলের অপেক্ষায় রইলাম...
কিসের ফলাফল ?
তুমি কি ইন্টার পরীক্ষা দিতাছো এইবার ?
হ সেলাম
ওয়ালাইকুম
কষে......মারা উচিত।
থ্যাংক বেয়াই চমৎকার পোস্টটার জন্য।
মারতে পারলেতো ভালই লাগত বেয়াই।
মারলেও লাভ নাই, এই রকম মাইনষের শিক্ষা সহজে হৈবো না।
এটা এখানে অহরহ হয়। হিন্দী সিনেমার গানের সাথে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা নাচে আর বাবা মায়েরা গর্বে ফুলে ফুলে উড়তে থাকেন।
মন্তব্য করুন