আজতো অন্য জায়গায় চলে এসেছি ভাইয়া... কাল না হয় ফোন করবেন...
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। কোনো এক শুক্রবার। বিকালের দিকে ছবির হাটে গেলাম। তারপর বন্ধুরা মিলে ম্যালা সময় ধরে আড্ডা দিলাম। চা- পিঁয়াজু- মাশরুম- বিড়ি এই সব খেলাম। রাত দশটার দিকে আমাদের আড্ডা শেষ হল্। যে যার মত বাসায় ফেরার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। ছবির হাটের সামনে মেইন রোডে আমার মোটর সাইকেল রাখা। বরাবরই সেখানে রাখি।
তো, মোটর সাইকেল স্টার্ট করতে যেয়ে দেখলাম- চাবি লাগানোর যায়গাতে একটা ছোট কাগজ ভাঁজ করে রাখা আছে। কাগজটা হাতে নিয়ে খুললাম। তাতে দুটো লাইন লেখা আছে। একটা নাম আর একটা মোবাইল নং। নামটা সুন্দর। হাতের লেখাও মুন্দর। কাগজটা হাতে নিয়ে কয়েক মিনিট ভাবলাম- ছোঁয়া নামের কাউকে কি আমি চিনি !
একটা বিড়ি টানা পর্যন্ত ভাবলাম।
তারপর আল্লার নাম নিয়ে কাগজের ফোন নাম্বারটিতে কল করলাম।
রিং হচ্ছে ওপাশে। কী একটা গান যেনো বাজছে। গানতো না, চিল্লাচিল্লি। কোনো টিন এজ শিল্পী হবে ! ইদানীংতো আবার ঢাকা শহরে কাক, কবি এবং কন্ঠ শিল্পীর সংখ্যা প্রায় সমান। ওপাশ থেকে বাংলিশ ভাষায় বললো-
হ্যাল্লো, কে বলছেন প্লিজ ?
আপনি কি ছোঁয়া ?
ইয়েস । বাট আপনি ?
না মানে আপনাকে ঠিক চিনতে পারছিনা। আমার মোটর সাইকেলে একটা কাগজ পেলামতো...। তাতে আপনার নাম্বারটা লেখা ছিল... সেজন্যই কল করলাম।
কোথা থেকে বলছেন ?
শাহবাগ থেকে।
কয়েক সেকেন্ড ভেবে মেয়েটা যা বললো-
ও মনে পড়েছে... স্যরি ব্রাদার। কাগজতো রেখেছিলাম সেই বিকাল ৬ টায়। আর আপনি ফোন করলেন রাত দশটায়... আজতো অন্য জায়গায় চলে এসেছি ভাইয়া... কাল না হয় ফোন করবেন....
উৎসর্গঃ মাসুম ভাই
ভাইয়াও ডাকে আবার কাল ফোনও করতে বলে? শালার যত্তসব!
এটাও জীবন, তবে অন্যরকম জীবন হয়ত...
এত হাসির কী হৈলো কন দেহি ?
নাউজিবিল্লাহ মিন জালেক।

কী হৈলো ভাইস্তা ... এইডার নাম ঢাকা শহর...
হুম অন্যরকম জীবন ।
এভাবে আজ-কাল ছিনতাই-লুটপাটও হচ্ছে শুনলাম।
বাই দ্য ওয়ে, আপনিতো ওই সব এলাকায় বেশ যান-টান। আপনার আবার মোটর সাইকেলও আছে। তো, আপনি এরকম কোনো পরিস্থিতিতে পড়েননিতো !
nope
আমার জিনিসপাতি সঙ্গে থাকে সবসময়। অবহেলা করি না।
ওই!!!!!!!!! জিগাইছি না কেমন আছেন!!
আপনারে আমি কয়টা কুশ্চেন জিগায় রাখছি এ পর্যন্ত?
কি কি কুশ্চেন? আমি তো পাই নাই। যাই হোক, আপনার কথা বলেন। অনেকদিন দেখা সাক্ষাৎ, গল্প-গুজব নাই। দিন কেমন যায়, কেমন আছেন সব বলেন।
আসলেই, দেখা সাক্ষাৎ নাই ভাল্লাগতেসে না। দিন দ্রুত যায়। ফুপা সেদিন একটা কবিতা দিলো ফোন করে। আপনের খবরাখবর কি?
হুমমমমম
................... বেষ্ট ডায়ালগ
আপনার মোটর সাইকেলর উপর নজর পরছে....
সাবধান ছিনতাই হইতে পারে আপনার মোটর সাইকেল ।
ঢাকা শহরে কাক, কবি এবং কন্ঠ শিল্পীর সংখ্যা প্রায় সমান।
এই লাইন জন্য এক কাপ চা আর একখান আস্থা বিড়ি পাওনা রইলেন....
আপনে আকর্ষনীয় আপনার মোটর সাইকেলেরই মতো
এদের আজকাল আর তৃতীয় পক্ষ লাগে না
৩য় পক্ষ বাদ যাওয়াতে আপনে কান্দেন ক্যান? আপনের কি ক্ষতি হইলো?
কান্দি, এখন যে সরাসরি আপনের/আমার উর্পে আছর করলো ?
কেউ জিজ্ঞেস করছেনা কেন য়াজাদ ভাইকেই চুজ করল?
কাহিনীর ভিতর কাহিনী আছে মনু!
পরের দিনের কথাটা ঝাইড়া কাশেন!
খাইছেরে। তারপর?
যে ডায়লগ দিলেন! কবিরা আপনের মাথা ফাটাবে।
ব্লগের বেবাক কবিগো
পরের দিন করছিলেন?
এরাম কতা কেমতে কৈলেন
পরের দিনের কতাতো আপনার ভাল জানার কতা। ফো নং নিলেন, তারপর কী হৈলো কিছুইতো জানাইলেন্না...
সম্ভবতঃ হলুদ রঙের মোটরবাইক দেইখা ভাবছে তরুণ যুবক কিসিমের কেউ হইবো...এইটা যে মেসবাহ ভাইয়ের মতোন বৃদ্ধলোকের পসন্দ হইতে পারে সেইটা ভাবনের মতোন কল্পণা শক্তি বাংলিশে কথা বলা কিশোরীর হয়তো নাই...
আপনে কেম্নে জানেন, আমি বৃদ্ধ আর বাংলিশে কথা বলা মেয়েটা কিশোরী ? @ ভাস্কর
আপনে কি নিজেরে তরুণ যুবক দাবী করতেছেন নাকি? আর বাংলিশ কালচারটা যখন চালু হইছে তখন যদি এই নারী জন্মায় তাইলে সেতো এখন কিশোরী অথবা সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণই হওয়ার কথা...
ভাস্করদা' রক্স। বিয়াপুক পরিমাণে রক্স।
আহারে আমারে যদি এমন চিঠি কেউ দিত।
গাড়ীর রং তো আর হলুদ করতে পারুমনা , পাবলিক ট্যাক্সি ভাব্বো কিন্তু কিছু একটা উপায় বের করতেই হবে ।
এই জন্যই বারবার ছবির হাটে যান আপনে? যদি লাইগা যায়?
মন্তব্য করুন