বই মেলা কড়চা- ১৬
সকাল থেকেই আকাশ কেমন জানি বিষন্ন। মুখ গোমরা করে রেখেছে। সকালে যথারীতি ৭ টায় উঠতে হল। এমন দিনে এত্ত সকালে উঠার চেয়ে কষ্টকর আর কী হতে পারে। উপায় নেই, গোলাম হোসেন। ছেলের স্কুল বলে কথা। মাঝে মধ্যে সকালে উঠার আলস্যে ছেলের মা'কে বলি-
কী হবে একদিন ছেলে স্কুলে না গেলে... ?
তিনি বুঝতে পারেন সব। ছেলেকে দাবড়ানি দিয়ে ততক্ষণে উঠিয়ে তৈরি করে দিয়েছেন। গোশসা করে বলেন-
ঠিক আছে, তুমি ঘুমাও। আমি ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি...
এরপর আর ঘুমিয়ে থাকতে পারিনা। বিবেক বলেওতো একটা জিনিস আছে ! আজও ঘুম থেকে উঠে মুখে সামান্য পানি ছিটিয়ে ছেলেকে নিয়ে বেরুই। ওকে দিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে আবার ফিরে আসি। এসেই কোনো কথা না বলে আবার শুয়ে পড়ি। এবং আমার ধারণা, ৫ মিনিটের মাথায় ঘুমিয়ে পড়ি। ইদানীং প্রায়ই আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বাইক চালাই। যাতে গভীর ঘুমটা না ভেঙ্গে যায়। গত ১৫ দিন যাবৎ রাত জেগে প্রতিদিন 'কী সব ছাইপাশ' লেখি। এবং ঘুমাতে যাই রাত ২ টার পরে। ঘুম আসতে আসতে ৩ টা। আবার উঠি ৭ টায়। তো, ঘুম আমার আসবে নাতো কি আপনার আসবে ?
সকালেই ঘুম ঘুম ভাবের মধ্যেও মনে হল- বাইকের কোথাও একটা বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে। এমনিতেই আমি ২ হাজার কিলো চালানোর পরে বাইক সার্ভিসিং করি। আর ৬০০ কিলো চলার পরে মবিল পাল্টাই। এটা আমার ওস্তাদ বলে দিয়েছেন। নিয়মিত এভাবে পরিচর্যা করলে নাকী বাইকের আয়ু বেশি হবে। মাঝে মাঝে আমাকে যত্ন নিয়ে বাইক পরিস্কার করতে দেখে আমার স্ত্রী বলেন- এত যত্ন করে যদি ঘরের জিনিসপত্রগুলো (টিভি, কম্পু, বইয়ের তাক...) মুছতা...। আমি কিছু বলিনা। অন্যমনস্কভাবে একটা সিনেমার গান গাইতে থাকি বা হাসি। এতে কাজ হয়। তিনি আর বিশেষ কিছু বলেন না। গজ গজ করতে করতে নিজের কাজে চলে যান। আমিও বেঁচে যাই।
বলছিলাম, বাইকের সমস্যার কথা। বাসায় এসেতো ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমের মধ্যেই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ করে দিল আমাকে। লাফ দিয়ে উঠলাম। মোবাইলে সময় দেখলাম- বেলা ১১ টা বাজে। মনে হল ঘন্টাখানেক মাত্র ঘুমিয়েছি। তাড়াতাড়ি নাস্তা সেরে পাড়ার মেকার শাহজাহান ভাইয়ের দোকানে গেলাম। বিকাল ৫ টার মধ্যে বাইক ঠিক না করলে মেলায় যাব কী করে ? শাহজাহান ভাইয়ের দোকানের কর্মচারী রাজনের কাছে বাইক হস্তান্তর করলাম। এমনিতেই সার্ভিসিংয়ের সময় হয়ে গেছে বাইকের। রাজন বাইকটা একটু চালিয়েই বলল- সামনের এবং পেছনের ২ চাকারই বেয়ারিং গেছে বলে তার ধারণা। বাইকটা কেনার পর থেকে রাজনের হাতেই আমার বাইকের সব কাজ করানো হয়। ও বাইকের নাড়ি-নক্ষত্র সব জানে। ওকে বললাম-
বাপ তোর যা ঠিক করার কর...।
অনুমান করে রাজন বলল- চারটা নতুন বেয়ারিং লাগানো , সার্ভিসিং করা এবং মবিল পাল্টানো বাবদ কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৪শ টাকা লাগবে। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। বলে কী হারামজাদা ! আমি ইদানীং ফ্রি- ল্যান্স বেকার। এই মূহুর্ত্যে প্রায় দেড় হাজার টাকা...। রাজনরে বললাম-
আল্লা ভরসা। কাজ শুরু করে দাও...।
৫০০ টাকা আগাম দিয়ে আসলাম। ও বলল-
বস, আমি চেষ্টা করুম ৫ টার মধ্যে দিতে। তয় সিওর না...
আমি জানি, ও হার্টলিই চেষ্টা করবে। ছেলেটা ভাল। কাজও ভাল বুঝে। ওকে বাইক আর চাবী দিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।
বিকাল ৫ টার কিছু আগে রাজনের গ্যারেজে গিয়ে দেখলাম- বাইক খুলেছে ও। বিভিন্ন পার্টস এদিক সেদিক ছড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে হাসলো। বলল-
বস, রাইতের আগে হইব না।
কী আর করা। রিকশা নিয়েই মেলায় যাবার চিন্তা করলাম। ফার্মগেট টু টিএসসি...। রিকশা ভাড়া চাইলো ৫০ টাকা। অনেক কষ্টে মেজাজ ঠিক রাখলাম। আসলে বাইক থাকাতে সচরাচর রিকশা - বাসে উঠা হয়না। ভাড়া সম্পর্কেও ধারণা নেই বললেই চলে আমার। আরো কয়েকটা রিকশার কাছে জানতে চাইলাম। ৫০, ৪৫, ৪০...। এর নিচে কেউ যাবেনা। কী করবো আর। যে ব্যাটা ৪০ টাকা চেয়েছে- তার রিকশাতেই উঠে বসলাম। মেজাজ ঠিক রাখতে একটা বিড়ি ধরালাম। জ্যাম- ট্যাম পেরিয়ে বই মেলায় যখন পৌঁছলাম- ততক্ষণে মাসুম ভাই, টুটুল, ভাস্কর, জয়িতা, রায়হান ভাই, শুভ, মাহমুদসহ অনেকেই এসে গেছে। যদিও ৬ টা বাজতে তখনও ১০ মিনিটের মত বাকী। এরপর এল- লীনা দিলরুবা, মামুন, অদিতি, কামাল ভাই, রিয়াদ (স্বপ্নের ফেরিওয়ালা), টুম্পা, শেরিফ, স্বপন, শাহেদ, মনু...। আসেনি কেবল- বিমা, রাসেল, গৌতম, লীনা ফেরদৌস, মৌসুম এরা...। আল্লার নাম নিয়ে ৬ টা ২৫ মিনিটে ম্যুরালের মোড়ক উন্মোচন করা হল। এই শুভ কাজটি করলেন- আমাদের মুরুব্বী রায়হান ভাই আর কামাল ভাই। মাসুম ভাইকে কোনো ভাবেই এই খোলাখুলিতে নিতে পারলাম না। উনি মুরুব্বী সাজতে রাজি হলেন না। যদিও জয়িতা ৩ কপি ম্যুরালকেই বিশেষ সাজে সজ্জিত করেছিল। এর মধ্যে এল দেশ টিভির ক্যামেরা। ক্যামেরার সামনে কিছু বলার জন্য বলা হল। একে একে সবাইকে তোষামোদ করা হল। কেউ বলল না। একেক জনের কী লাজুক চেহারা। কারো আবার মুড...। আমাকেই বলির পাঠা বানান হল। বললাম- লিটল ম্যাগ চত্তর আর আমাদের ম্যুরালের কথা। দেশ টিভির ক্যামেরাকে স্বাক্ষী রেখে ম্যুরালের বস্ত্র হরণ করা হল। শুভ আর টুটুল ছবি তুলল। আনুষ্ঠানিকতা শেষ। এবার ? জ্বী পাঠক, ঠিকই ধরেছেন। এত এত ব্লগার। অথচ মুরগা ধরা হবেনা, তাই কি হয় ? স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, মাসুম ভাই আর কামাল ভাইকে মুরগা বানানোর প্রানান্তকর চেষ্টা করা হল। ফেল মারলো- লীনা আর জয়িতা। শেষে আর কী করা, সবার কাজ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়া শুরু করলাম। আজ সবাই মুরগা আমাদেরই বই মেলাতে...। কম হয়নি। দেড় হাজার ১ শত টাকার মত যোগাড় হয়ে গেল মাত্র ৫ মিনিটে। সবাই মিলে খেতে চললাম- বাংলা একাডেমী কেন্টিনের দিকে...
সেখানে যেয়ে মহা হুলুস্থুল কান্ড। ইনি এটা খাবেন তো, তিনি সেটা খাবেন...। মর জ্বালা! বিপদে পড়লাম আমি। টাকাতো আমার কাছে। শেষতক আর কী করা, স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি যাকে যা খাওয়াবো- তাই খেতে হবে। সবাই তাতেই রাজি। তখনো আমি বুঝতে পারিনি ওদের ফন্দিটা...। সবাই মিলে যা খেল, তা এরকম-
শর্মা
চিকেন পেটিস
হট ডগ
বার্গার
পানি
কোক
চটপটি
আইসক্রিম
ভাবুন একবার ! টাকা মাত্র ১৬০০। মানুষ ১৫ জন। এতগুলো খাবার খাওয়ার পর ও কারো কারো মধ্যে অতৃপ্তি রয়েই গেল। আজ একজন কাউকে মুরগা বানালে খবর ছিল তার...। খাবারের মাঝে ফোন করলেন লীনা ফেরদৌস। বললাম, চলে আসুন...। সবাই খাচ্ছে। তিনি এলন কিন্তু খেলেন না কিছুই। আমাকে 'কানে-মুখে' বললেন, আজকাল ডায়েট কন্ট্রোল করছেন। আল্লার কাছে শুকরিয়া...। লীনার মত অনেকেই কেন যে ডায়েট কন্ট্রোল করেনা...? আবার সবাই মিলে লিটল ম্যাগ চত্তরের দিকে।
মাসুম ভাইয়ের তাড়া ছিল। চলে গেলেন তিনি। আড্ডাখানায় গিয়ে পেলাম- রাসেল আর শামীম কে। শামীমতো এত্ত এত্ত খাবারের কথা শুনে হৈ হৈ করে উঠল। ওকে কোক খেতে দেয়া হল। এরপর এক ঝলক দেখলাম- নূপুরকে। বেচারি নূপুর আর নজরুল মেলায় এসেছে কন্যা নিধিকে নিয়ে। শুনলাম- নিধিকে ছেড়ে দেবার পরে মা-বাবা দুজনে ওর পেছন পেছন সারা মেলা ছুটছে...। আহারে আমাদের ঢাকার বাচ্চারা। এত বড় জায়গাতো ওরা সচরাচর দেখে না...মেলায় এসে বেচারি তাই প্রাণ ভরে দৌড়াচ্ছে... পেছনে নূপুর আর নজরুল। এক ঝলক দেখলাম- দুষ্টু বালিকা মানে দিশাকে। আড্ডা চলতে থাকল, চলতেই থাকল। রায়হান ভাই আর ভাস্কর খাওয়া শেষ হতেই চলে গেল। বাসায় ফিরতে দেরি হলে নাকী ইদানীং মিসেস রায়হান মানে রিমঝিমের মা রায়হান ভাইয়ের দিকে তেড়ে আসেন... এসব শোনা কথা... আর জানেন তো, শোনা কথায় কান দিতে নেই...। রাত বাড়তে থাকে। মেলার লোকজনও কমতে থাকে। আজ কেন জানি এমনিতেই মেলায় লোকজন বেশ কম দেখা গেছে। তাছাড়া আকাশের অবস্থাও ভাল না। দু'এক ফোটা করে বৃষ্টিও পড়ছে। সময়ের আগেই দেখলাম, সবাই দোকান গোছাতে ব্যস্ত। আমরাও বেরিয়ে এলাম মেলা থেকে। চমৎকার একটি সন্ধ্যা উপহার দেবার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ না জানালেই নয়...
এমন বর্ণনামূলক লেখা পড়তে অনেকসময়েই মনে হয় খবরের কাগজ পড়তেছি। আনিসুল হক লিখছেন কোনো একটা দিনের কথা। কিন্তু মেসবাহ ভাই, আজকের লেখার এমন সরল ন্যারেটিভেও কেমন আবেগ ছুঁইয়া ফেলছেন...অসাধারণ লেখা!
ধন্যবাদ জনাব
খুব ভালো লাগে এই সিরিজ টা, বইমেলা থেকে অনেক দূরে থেকেও আমেজটা অনুভব করা যায়
তাহলেই হলো। রাত জেগে প্রতিদিন লেখা সার্থক... ধন্যবাদ আপনাকে
ছবি ছাড়া আসলে এই পোস্টটা মেনে নেয়া যায় না। যার কাছে ছবি তারে বলেন আপনারে সেগুলো পাঠায় দিতে। তারপরে আপনে ছবি দ্যান। আর নাহয় ছবিওয়ালারে আরেকটা পোস্ট দিতে বলেন।
আপনের লেখার কথা কি আর বলবো? অসাধারণ! কড়চাগুলো একটার চেয়ে আরেকটা ভালো হচ্ছে বেশি। একটাই অনুরোধ, এই গতিতে লেখালেখিটা চালায়ে যান শুধু।
ছবি কৃতজ্ঞতা : শুভ
জয়িতারে ধইন্যা ছবিটা দেয়ার জন্য
এই কড়চা টা বেশী ভালো হয়েছে।
আমি আইসক্রীম খাই নাই কিন্তু কড়চাটা পড়ে সেই দুঃখ ভুলে গেছি।
আইসক্রিম খাইওনা। তাইলে কৈলাম সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন হৈয়া যাইবা ...
কালকে যেটা হইছেঃ
...আমরা সবাই মুর্গা আমাদেরই মুর্গার রাজত্বে, নইলে মোদের মুর্গার সাথে মিলবে কি সর্তে...
~
হ, ঠিক কৈছেন ফেরিওয়ালা ভাই। তয় একখান কতা, আপনে এত চুপচাপ কেন কনতো ?
এইটারে মুর্গা হিসাবে পছন্দ হৈছিলো, সবাই সায় দিলে ইনি রাজিও হতেন, আফসুস কেউ খপ কইরা ধরলোনা।
হাহা... ছোড বেলায় একটা কোবতে পড়ছিলাম... এক যে ছিল..........দেয়ালে.....
~
জয়িতা'পুরে মাইকে ধন্যবাদ। কিপটা লুকজন ছবি দিতে চায় না। তিনি অন্তত একটা ছবি দিয়ে অধমের মনোবাঞ্ছা পূরণ কর্সেন।
মেসবাহ ভাই, আজকের কড়চা কই? আপনের কড়চার সৌজন্যে আজ পর্যন্ত বইমেলায় যাওয়ার দরকার পরে নাই।
সত্যি বইমেলায় যান নাই? সত্যি? কিভাবে সম্ভব? ম্যুরাল আসছে মেলায়, তাও যান নাই?
আরে মেলার সময় আমি পড়ে থাকি ভাটারা ইউনিয়নে। কেমনে যামু কন? জীবনটা ফালাফালা হয়ে গেলো।
তবে আপনের উপর আমার অগাধ ভরসা। আপনে নিশ্চই আমার জন্য এক কপি কিনে রাখবেন।
বই কিনতে থাকেন। আমার একটা বিরাট লিস্ট আছে কিন্তু।
ভাটারা ইউনিয়নে কি? শ্বশুর বাড়ী? বউ ফালাফালা করে ফেলছে? মাশাল্লাহ।
বই কিনতে টাকা পামু কই? তাও লিস্ট দিয়েন।
ইশ কি খুশি! মিয়া বউ ফালাফালা করলে কি আক্ষেপ করতাম?
লিস্টে ম্যুরাল নিয়ে দুইটা নাম যোগ হইসে।
কড়চা লেখতে লেখতে আমার দেখি আস্তে আস্তে রাইত জাগনের অভ্যাস হৈয়া যাইতেছে। বই মেলা শেষ হৈলে কী করুম...
তখন অন্য কিছু লিখবেন।
নারে ভাই, সবাইরে দিয়া সব হয়না
কত কত লেখার প্লট আমার মাথার মধ্যে কিটকিট করে...
কিন্তু লেকতে বসলে আর শব্দ বাইর হয়না...
এ এক যন্ত্রণা
কথাটা ভুল। মানুষের চেষ্টায় সব হয়। আপনে সুযোগ পাইলে এই মুভিটা দেইখা নিয়েন। তাইলে আপনের ভুল ধারণা ভাঙতেও পারে।
আর; আপনের লেখা পড়ে তো মনে হয় না, আপনে ভোকাবুলারি সমস্যায় ভুগেন। তাও যদি জোর করেই ঐ দাবিটা করতে চান, তাইলে বলবো- রোদ্দুরের ব্যকরণ বইটা মাঝে-সাঝে একটু নাড়াচাড়া করলে সমস্যা কাইটা যাবে।
শুধু দরকার ইচ্ছাটা ম্যান। তাইলেই হবে।
সাহস পাইলাম
আসলে হয়েছে কী, ৭৯/৮০ সালে প্রথম পত্রিকার পাতায় নিজের লেখা (সেটা চিত্রালীতে, লেখার সাহিত্য মূল্য তাক বা না থাক...) দেখার পর থেকে সময়তো আর কম হল না। এই দেখেন বস, আজ পর্যন্ত মেলায় একটা বই বের করতে পারলাম না। বাদ দেন বইয়ের কথা, এই যে, ই-সংকলন বেরোয় তাতেও কি কখনো আমার লেখা গেছে বলে আপনার মনে পড়ে ?
নিজেকে নিজে লেখক ভাবিনি কোনদিন। মনের টানে দু-চার লাইন লিখি...
এই আর কী
কড়চা মানেই উমদা লেখা... এইটাও
আমার কিন্তু তা মনে হয়না... তাই আজকের কড়চা বাদ
এইভাবে কী-বোর্ডের এক খোঁচায় কড়চা বাদ দেয়া ঠিক হয় নাই।
হাহাহাহাহাহাহা
এইটা হলো আজকের কড়চার পাঞ্চ লাইন
নজু ভাই আর নুইপ্পার দঁৌড়ােনার সিকোয়েন্স ছিল এরকম:
নিধি দঁৌড়ােচ্ছ বই খুঁজতে (সে কোন এক স্টলে মিনা বই দেখেছ সেটাই নিধি কিনবে) ..
রিটন ভাই পিছনে দঁৌড়াচ্ছেন তাকে বই কিনে দিতে..
তার পিছনে নজরুল ভাই, যাতে কন্যা দৃষ্টির অন্তরালে না যায়..
কন্যার পিতার পিছনে নুপুর, যাতে এনারা কেউ না হারায়
এবং নুপুরের পিছনে থুক্কু পাশে দৌঁড়াচ্ছে আমাদের দিশা (সায়কা) ..
(আচ্ছা ভাই আপনি কি টুম্পা বলতে আমারেই বুঝাইলেন?)
ওই একই কথা... যাহা ৬১ তাহাই ৯৯
যে টুম্পা সেই আসলে রুম্পা
মন্তব্য করুন