ইউজার লগইন

সেদিনের সেই মেয়েটি

২০০১ সালে আমি উত্তরাতে একটা সাইবার ক্যাফে চালাতাম। তখন ঢাকা শহরে সাইবার ক্যাফে ছিল হাতে গোনা কয়েকটি। সেসব সাইবার ক্যাফেতে লোকজন ঘন্টা হিসাবে নেট ব্যবহার করত। প্রথমে আমরা শুরু করেছিলাম- ঘন্টা ৬০ টাকা হিসাবে। তবে যে কাউকেই ৩০ মিনিট কমপক্ষে ব্যবহার করতে হত। বা বলা চলে সর্বনিম্ন ব্যবহারকারীকে ৩০ টাকা দিতে হত। তারপর খুব দ্রুতই ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে সাইবার ক্যাফেতে। সর্বশেষ ২০০২ সালে আমি যখন সাইবার ক্যাফে ছেড়ে দেই তখন ঘন্টা প্রতি ব্যবহার কারীকে দিতে হত ১৫ থেকে ২০ টাকা। সে সময়কার একদিনের ঘটনা মনে পড়ল আজ...

সাইবার ক্যাফেটি ছিল উত্তরা ২ নং সেক্টরে। মেইন রোডের উপরেই বলা চলে। লোকজন বিশেষ করে তরুন তরুনীরা উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর থেকে এসে নেট ব্যবহার করত। এই সব ছেলেমেয়েদের অনেকেই ঠিকভাবে বাংলা বলতে পারত না। বাংলিশ ভাষায় কথা বলত এরা। এদের বেশির ভাগের পোশাক আশাক আর চালচলনের মধ্যে একটা পশ্চিমা আবহ ছিল। ডেমকেয়ার একটা ভাব ছিল। আমার মনে হত এদের লাজ শরম একটু কমই ছিল। ছেলে/মেয়ে বন্ধুদের সাথে ওপেন যেভাবে মাখামাখি করত- তা দেখে আমার নিজের লজ্জা লাগত। অনভ্যস্ততাই হয়ত এর মুল কারন ছিল। মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্টও বলা যেতে পারে একে। কারন- ২০০১ সালে ঢাকার বিশেষ ২/১ টা এলাকার ছেলে মেয়েরা ছাড়া পুরো রাজধানীর ছেলে মেয়েরা এতটা আধুনিক হয়ে উঠনি তখনও। আর ওই বিশেষ ২/১ টি এলাকার জীবনযাত্রার সাথে আমার তেমন উঠা বসা ছিলনা বলেই বিষয়গুলো আমার দৃষ্টিতে বাজে লাগত। তবে আস্তে আস্তে এসব দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে উঠছিলাম।

একদিন দুপুর বেলা বিখ্যাত এক স্কুলের ড্রেস পরে একটি মেয়ে আসল ক্যাফেতে। বয়স ১৪/১৫ বেশি হবে বলে মনে হল না। বলল, সে দুই ঘন্টা ব্রাউজ করবে। ক্যাফেতে ১০ টা পিসি থাকলেও সেই ভরদুপুরে মাত্র ১ জন ইউজার ছিল। তিনি যাওয়া পর্যন্ত মেয়েটি অপেক্ষা করল। এর মধ্যে সে একটা কোকের অর্ডার করল। এসির ঠান্ডা বাতাসে বসে আয়েশ করে কোকের বোতলে চুমুক দিচ্ছিল। আর একটু পর পর ঘড়ি দেখছিল। এর মধ্যে ক্যাফে খালি হয়ে গেল। মেয়েটি বলল- সে আরো কিছু বেশি সময় থাকতে পারে। যত সময় থাকবে- সে হিসাবে পেমেন্ট করবে। আমি বললাম- ঠিক আছে। মেয়েটির আচরন আমার কাছে বেশ রহস্যময় মনে হল। ক্যাফেতে ঢুকার পর প্রায় ৪০ মিনিট পার হয়ে গেলেও মেয়েটি তখনও পিসি অন করেনি। আরো মিনিট দশেক পরে প্রায় দৌড়েই একটি ১৭/১৮ বছরের ছেলে ঢুকল ক্যাফেতে। মেয়েটির চেহারায় আনন্দ ঝিলিক দিয়ে উঠলেও মুখে সেটা প্রকাশ না করে ছেলেটিকে ঝাড়ি মারা শুরু করল। ছেলেটি বারবার স্যরি বলছে তার দেরি হবার জন্য। অবশেষে ছেলেটি পিসি অন করল। মেয়েটি তার পাশে চেয়ার টেনে বসল। তারপর তারা দুজনে যত রকমের অ্যাডাল্ট সাইট আছে প্রায় সব কটাতেই বিচরন করল। নিজেরাও আন সেন্সরড কার্যকলাপ শুরু করল। এক পর্যায়ে বিষয়টা আরো বাড়াবাড়ির দিকে যাওয়ার আগেই আমি ক্যাফের ছেলেটাকে পাঠালাম। আর আমি বেরিয়ে গেলাম ক্যাফে থেকে। বাইরে এসে বিড়ি ধরালাম। ক্যাফের ছেলেটা কীভাবে কী বলেছে জানিনা (আমি তার কাছে সেটা জানতে চাইনি), মিনিট পনের পরে ওরা দুজন বেরিয়ে গেল ক্যাফে থেকে...। বাইরে বেরিয়ে আমাকে দেখে এমনভাবে আমার দিকে তাকাল- আমি রীতিমত ওদের দৃষ্টির অণলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেলাম। এরপর আর কোনোদিন সেই মেয়েটি বা সেই ছেলেটি আমাদের ক্যাফেতে আসেনি।

আজ সন্ধ্যার পরে ভাগিনা আদদ্বীনকে নিয়ে গেলাম ধানমন্ডিতে। আলমাস সুপার শপের ৫ তলায় একটা ল্যাবে। ওর গলায় ছোট একটা ফুলা আছে। এতদিন সেটা নিয়ে কারো তেমন মাথাব্যথা ছিল না। তারও কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। সম্প্রতি ভাগিনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সেখানে তার মেডিকেল বোর্ড থেকে বলে দিয়েছে- ভর্তির আগে যেন সেই ফুলাটা অপারেশন করে ফেলে। ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার বললেন- অপারেশনের আগে এফএনএসি করতে হবে। সেকারণেই যাওয়া। তো কাজ সেরে লিফটে নামছি। আমরা দুজন ছাড়াও আরো ৩ জন। এর মধ্যে দুটো মেয়ে। এর মধ্যে একটি মেয়ে লিফটে বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছিল। আমারও কেমন চেনা চেনা লাগছিল। মনে করতে পারছিলাম না। লিফট থেকে নেমে বাইকে ঊঠব। মেয়েটি তখনও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু কি বলবে...? আমি বাইক স্টার্ট করার জন্য তৈরি। মেয়েটি সব সংকোচ ঝেড়ে বলল-
কিছু মনে করবেন না, আমি কি আপনাকে চিনি ?
আমি বললাম-
আমারও আপনাকে চেনা মনে হচ্ছে। কিন্তু ঠিক মনে করতে পারছিনা...
আপনার বাসা কি উত্তরায় ?
বললাম- না, ফার্মগেট।
আপনি কি কখনো উত্তরায় ছিলেন ? আবার বলল মেয়েটি।
আমিও বললাম- না।
এবার মরিয়া হয়ে শেষ চেষ্টা করল মেয়েটি-
কিন্তু আপনার সাথে আমার উত্তরায় দেখা হয়েছে এবং কথাও হয়েছে। সেটা ২০০১ সালের দিকে...
ভাল করে মেয়েটির দিকে তাকালাম আমি। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মত মনে পড়ল আমার-
আরে এতো সেই মেয়েটি, যে তার বয়ফ্রেন্ডসহ সাইবার ক্যাফেতে গিয়েছিল এবং আমি তাকে আমার অফিসের লোক দিয়ে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেছিলাম...।
মেয়েটিকে শুধু বললাম-
জ্বী, এইবার মনে পড়েছে। আমি ২০০১ সালে উত্তরাতে ছিলাম এবং আমার একটা সাইবার ক্যাফে ছিল। সেখানে আপনার সাথে আমার দেখা হয়েছিল...
তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বাইক স্টার্ট করে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম...

পোস্টটি ১৫ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

মীর's picture


সেই মেয়েটি হয়তো আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাচ্ছিলো। কারণ সেই ছেলেটা হয়তো পরবর্তীতে আর দশটা ছেলের মতোই প্রতারণা করেছিলো তার সঙ্গে। হয় তো, হয় না? Smile

(একটা বড় অফটপিক: এবি'র একটা দোষ খুঁজে পাইলাম। এখানে মাঝে মাঝে "৪৪/৪৫ বার পঠিত, শূন্যটি মন্তব্য" নামক একটা বিরক্তিকর দৃশ্য দেখা যায়। ব্লগারদের কমেন্ট করতে এত অনীহা কেন বুঝি না Sad )

মেসবাহ য়াযাদ's picture


হয়ত মেয়েটি ধন্যবাদই দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি মেয়েটিকে চেনার পর আর সেখানে দাঁড়াতে পারিনি। আমারই সংকোচ হচ্ছিল...

অফটপিকের ব্যাপারে কী বলব ? আমিও একজন লেখক, তার আবার লেখা ! তবুও দয়া করে আমার লেখা ছাইপাশ যে ৪৪/৪৫ বার পঠিত হয় সেজন্য পাঠকদের কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে অবাক বিস্ময়ে দেখি, ১০/১২ জন অফলাইনে থাকার সময় অনলাইনে ২/১ জন। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। যার যার অভিরুচি... ভাবছি গত সেপ্টেম্বর থেকে এবছরের মধ্য জানুয়ারির মত আবার ব্লগে ডুব দেব। এব্যাপারে আপনার মতামত কী বস !!

মীর's picture


আমার মতামত হচ্ছে ডুব দেয়াটা ঠিক হবে না। তবে ডুব দেয়াটা দরকার।

মেসবাহ য়াযাদ's picture


অবশ্য আরো দুইটা কাজ করতে পারি,
১. সবসময় অফলাইনে থাকলাম। প্রয়োজনে চেহারা (নাম) প্রদর্শন...
২. এক্কেবারে অন্য অনেকের মত সুশীল হয়ে যাওয়া...
কোনটা ভাল মনে হয় ওস্তাদ ? এট্টু গিয়ান দিবেন ?

মাহবুব সুমন's picture


পড়াশোনা শেষ করে বনানীর একটা সাইবার ক্যাফের ল্যান সেট আপ আর আশে পাশের কিছু কর্পোরেট গ্রাহকদের সংযোগ দেবার ছুটা কাজ করেছিলাম কিছু সময়ের জন্য। যে রুমে বসতাম তার আধেক অংশে ঝাপসা গ্লাস দিয়ে দুটা ছোট কামরা বানানো হয়েছিলো বিশেষ কিছু গ্রাহকের জন্য। মাঝে সাজেই কিছু দৃশ্য Love নৃত্য চোখে পড়তো যা বর্ননা করতে পারবো না মাসুমীয় স্টাইলে Cool । একদিন বসে আছি, আর ওপাশে কি হচ্ছে তা আবছা বোঝা যাচ্ছে। আমি রুম থেকে বেরুচ্ছি আর সে খান থেকে দুজনও বেরুচ্ছে। মেয়েটির সাথে চোখে চোখ পড়লো। মাঝে সাজে মনে হয় যদি আবার দেখা হতো সেই মেয়েটির সাথে তাহলে কেমন লাগবে !

মেসবাহ য়াযাদ's picture


তখনকার অবস্থা আসলেই বাজে ছিল বস। এখনতো ছেলে-মেয়েরা অনেক ফ্রি আর ডেসপারেট। যখন-তখন-যার-তার সামনে এবং যেখানে সেখানে যা-তা...

কামরুল হাসান রাজন's picture


মীর ভাইয়ের দুইটা কথার সাথেই কঠিন সহমত। আপনার ভাগনে কে অভিনন্দন। কোন কলেজে চান্স পেয়েছে? শুভকামনা রইল Smile

মীর's picture


আরে ভাইজান আর বলেন কেন? অন্যান্য ব্লগে মানুষ মানুষের পিঠ চাপড়াইতে চাপড়াইতে পারলে ভেঙ্গে ফেলে। হুদাই। কোনো কারণ ছাড়াই। কেউ হয়তো খালি 'আসেন আড্ডাই' লিখে পোস্ট দিলো, আর ঝটপট পড়ে গেল দুইশ-চারশ কমেন্ট। জীবনে একবার লগিন হয়ে 'আইসা পড়লাম' লিখে পোস্ট করে ঘুম দিসে যেই ব্লগার, তার নাকি বই ছাপা হইসে; তাই নিয়ে কি গলাফাটানি চিল্লান একেকজনের! আগে ব্লগাইতো, এখন অন্যত্র ব্লগায়, সেই ব্লগারের গত বছরের বই পাওয়া যাইতেসে মেলায়, কোন স্টলে সে বই পাওয়া যাবে তাই নিয়ে পোস্ট দিয়ে নিজেদের প্রথম পাতা ভরায় রাখছে একেকটা ব্লগ।
আর আমাদের মুনি-ঋষিদের ধ্যান চলছেই। এমনকি ব্লগের বইটা নিয়েও একটা লেখা নাই প্রথম পাতায়। নাই অন্য ব্লগারদের কি বই কই পাওয়া যাবে তার বৃত্তান্ত। তবে একটা জিনিস কিন্তু আছে। ২৪/২৫ জন অফলাইন ভিজিটর। অলওয়েজ। আমি এই ব্লগের নতুন নাম প্রস্তাব করতে চাই, আমরা মুনি।

মেসবাহ য়াযাদ's picture


আপনার কথাগুলোর সাথে অনেকটাই একমত। তবে অন্য ব্লগের মত এত বাজে ভাবে না হলেও এবির সদস্যদের উচিৎ অন্য ব্লগের কর্মকান্ডের সাথে ক্ষাণিকটা তাল মিলিয়ে নিজেদের একটিবিটিজ আরো বাড়ানো। আমার মনে হয় এবিতে সুশীল ব্লগারের সংখ্যা বেড়ে গেছে... কে জানে, কর্তৃপক্ষ/মডুরা হয়ত তাই চায়। সেখানে আমি/আপনিতো ম্যাংগো পিপল... @মীর

ভাইবার সময় যায়নি বলে আমার ভাগিনার স্পেশাল ভাইবা নেয়া হয়েছে গত ১৬ তারিখে। সেখানকার এক লেঃ কর্ণেল ফোন করে আপাকে জানালো- ও টিকেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো রেজাল্ট দেয়নি। তাই কলেজের নামও জানা যায়নি। তবে ফর্মে ও কোনো চয়েজ দেয়নি। আপনাকে জানাব... @রাজন

১০

মীর's picture


অন্য ব্লগের মত এত বাজে ভাবে না হলেও এবির সদস্যদের উচিৎ অন্য ব্লগের কর্মকান্ডের সাথে ক্ষাণিকটা তাল মিলিয়ে নিজেদের একটিবিটিজ আরো বাড়ানো

১০০ ভাগ সহমত।

১১

জ্যোতি's picture


আমিও সহমত।

১২

মীর's picture


+ এইসব তবলাবাদক ব্লগারদের বেশ কয়েকজন আমাদের এখান থেকেই ব্লগিং শিখেছেন!!

১৩

জ্যোতি's picture


ডুব দিয়েন না। কড়চা লিখেন, মেসবাহ ভাই। মিস করি। আপনি দেখি অভিমানী ছেলে!

১৪

মেসবাহ য়াযাদ's picture


বই মেলা কড়চা প্রসঙ্গে একটা পরিসংখ্যান দেবার লোভ সামলাতে পারছিনা:

পঠিত মন্তব্য
কড়চা ১ ১৬৪ ১৪
কড়চা ২ ১৮৮ ২২
কড়চা ৩ ১৯৯ ১৭
কড়চা ৪ ২৯৫ ৪৫
কড়চা ৫ ৩২৪ ৫৫
কড়চা ৬ ২২০ ৩২
কড়চা ৭ ১৮১ ১৭
কড়চা ৮ ২৫৬ ৩৭
কড়চা ৯ ২২১ ৩১
কড়চা ১০ ১৫২ ৫
কড়চা ১১ ১৪২ ৭
কড়চা ১২ ১৪৩ ১০
কড়চা ১৩ ১২২ ১৩
কড়চা ১৪ ২৩০ ৫২
কড়চা ১৫ ১৫৩ ১৬
কড়চা ১৬ ২০৭ ২৭
কড়চা ১৭ ১৭৫ ২৮

১৫

জ্যোতি's picture


Smile নতুন পোস্ট দেন। বাকী কয়দিনের কড়চা লিখেন।

১৬

মেসবাহ য়াযাদ's picture


আমি কাউরে 'না' বলতে পারিনা। এইটা মিথ্যা প্রমান করার প্রাথমিক কাজ হিসাবে কড়চা লেখা বন্ধ করলাম... স্যরি

১৭

জ্যোতি's picture


কি দরকার মিথ্যা প্রমাণ করার? জোর করে কিছু প্রমাণ করতে নেই, মেসবাহ ভাই।

১৮

শওকত মাসুম's picture


কড়চা কই?

১৯

ফাহমিদা's picture


প্রতিদিন সকালে কড়চা পড়ার আশায় আমরা বন্ধু তে এসে দেখি কড়চা নেই, মনটাই খারাপ হয়ে যায় Sad( ।
ভাইয়া বিড়ালের সাথে রাগ করে কেউ কি মাছ খাওয়া বন্ধ করে নাকি Puzzled ?

২০

মেসবাহ য়াযাদ's picture


Shock Stare Sad Puzzled

২১

রাসেল আশরাফ's picture


আলোচনায় ছিলো সেই মেয়েটি। কিন্তু এখানে দেখি ব্লগ নিয়ে গুরুগম্ভীর টক শো চলছে....গুড চালায় যান। Big smile Big smile
===========
তবে পয়লা ''না'' যে বইমেলার কড়চার উপর দিয়ে করলেন দেখে কষ্ট পাইলাম। Sad

২২

শওগাত আলী সাগর's picture


ভালো একটা বিষয় টাচ করলেন মেজবাহ ভাই। ১৪/১৫ বছরের একটা মেয়ে সাইবরা ক্যাফে তে গিয়ে নিষিদ্ধ জিনিস দেখতে চাইলো কেন তার মনস্তাত্তিক দিকটা আলোচনার দাবি রাখে। সেটা যে কেবলি বখাটেপনা - তা কিন্তু নয়। নিরন্তর কৌতূহল আর সেই সেই কৌতূহল মেটানোর গ্রহনযোগ্য পথ কিন্তু তাদের সামনে খোলা নেই। আমাদের বাবা মারা শরীর বিষয়ক কোনো আলোচনা আমাদের সামনে করেন নি, এখনকার বাবা মাদের অনেকেই মনে করেন এটা সন্তানদের সামনে আলোচনা করা যায় না। কিন্তু সন্তানরা কি কোনো কিছু না জেনে থাকে? ঘরে আলোচনার সুযোগ থাকলে হয়তো পরিস্থিতি আরো একটু অন্যরকম হতো কি না সেটাও আলোচনার দাবি রাখে।
আমার ৪ বছরের কন্যা যদি এসে আমাকে বলে ক্যান আই সি ইউর নেংটু? তাহলে আমার কি করা উচিত? আমার কি ধমক দেওয়া উচিত? না কি তার কৌতূহল মেটানো উচিত?
মেসবাহ ভাইকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। ।

২৩

মেসবাহ য়াযাদ's picture


শারীরিক বিষয় নিয়ে আমরা আমাদের সন্তানদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করিনা। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম কোনোটাই আমাদেরকে সাপোর্ট করেনা। অথচ কত সহজ হতো বিষয়টা- যদি পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ব্যাপারটা নিয়ে ওদের বোঝানো হতো... Sad
আপনাকেও ধন্যবাদ সাগর ভাই।

২৪

শওগাত আলী সাগর's picture


বাচ্চারা তাদের যে কোনো কৌতূহল নিয়ে যদি ঘরে প্রশ্ন করার সুযোগ পায় তাহলে তারা মিস গাউডেড হবে না, আর ঘরে কৌতূহল নিয়ে কথা বলার পরিবেশ পেলে হয়তো সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ফুচকি মারতে হতো না। ঘরে আলোচনার সুযোগ হলেই যে সব কিছু ১০০ ভাগ ঠিক হয়ে যাবে তা নয়, কিন্তু অনেকটাই হবে বলে আমার ধারনা।

২৫

লাবণী's picture


আপনার মেমোরী অনেক শার্প! এত বছর আগের একটা ফেস দেরীতে হলেও মনে পড়েছে! আমি তো সারাদিন মাথা ঝাঁকালেও কিছু মনে পড়তো না! Laughing out loud
=================================
কেমন আছেন মেসবাহ ভাই? Smile

২৬

তানবীরা's picture


তবে অন্য ব্লগের মত এত বাজে ভাবে না হলেও এবির সদস্যদের উচিৎ অন্য ব্লগের কর্মকান্ডের সাথে ক্ষাণিকটা তাল মিলিয়ে নিজেদের একটিবিটিজ আরো বাড়ানো। আমার মনে হয় এবিতে সুশীল ব্লগারের সংখ্যা বেড়ে গেছে...

একমত, সহমত সব মত।

আপনার বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনের কথা পড়ে একটি বাক্যই মনে পড়ল

"বজ্রপাত ছাড়া আপনার মৃত্যু নাই ভাইজান"

কড়চা বন্ধের তেব্র নিন্দা গিয়াপন কইরা গেলাম

২৭

নিউট্রন আইসিটি's picture


মেজবাহ ভাইকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

মেসবাহ য়াযাদ's picture

নিজের সম্পর্কে

মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকার সম্ভাবনা আছে জেনেও
আমি মানুষকে বিশ্বাস করি এবং ঠকি। গড় অনুপাতে
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি।
কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কন্যা রাশির জাতক। আমার ভুমিষ্ঠ দিন হচ্ছে
১৬ সেপ্টেম্বর। নারীদের সাথে আমার সখ্যতা
বেশি। এতে অনেকেই হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরে।
মরুকগে। আমার কিসস্যু যায় আসে না।
দেশটাকে ভালবাসি আমি। ভালবাসি, স্ত্রী
আর দুই রাজপুত্রকে। আর সবচেয়ে বেশি
ভালবাসি নিজেকে।