বন্ধুবেশী শত্রু
নিজেকে গরু গরু মনে হচ্ছে সাঈদের।গরু বলাটা ভুল হবে। গরু বললে গরুকেও অপমান করা হয়। গরুরাও এত বড় ভুল করে না। হাসানের দাঁত বের করা হাসি দেখে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল। চিবিয়ে চিবিয়ে সাঈদ বলল, "বাছা, ঘুঘু দেখেছে, কিন্তু ফাঁদ দেখ নাই।এই কথা কাউকে বলা যাবে না? মান সম্মান ধুলোতে মেশালে তাও বলা যেত, মান সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে,হাসানের মত একটা ছাত্র আমাকে সবার সামনে বলল যে ও আমার গ্রুপে কাজ করবেনা ,আর সবাই তখন হেসে দিল ।আমাকে সবার সামনে কমেডিয়ান বনাল । এর প্রতিশোধ সুদে আসলে উসুল করা হবে।" হাসান দাঁত বের করেই জবাব দিল, "মোল্লার দৌড় জানা আছে।" শুনে মেজাজটা আরও
বিগড়ে গেল সাঈদের । কোন ক্লাসেই মন বসাতে পারছে না সাঈদ।" যে করেই হোক শোধ তুলতে হবে" ভাবছে সাঈদ ,"সুমনার সাথে প্যাচ লাগাইয়া দিবে নাকি?"
সুমনা হলো হাসানের কাছে অনেক ইম্পর্টেন্ট পার্সন।হাসান ওকে নিয়ে আগে প্রতিদিনই একটা করে কবিতা লিখত। কিন্তু সাহসের অভাবে সেই কবিতা সুমনার কাছে না পৌছে ওর বন্ধুদের আড্ডায় পৌছতো।বন্ধুদের লম্ফ ঝম্প দৌড় ঝাপআর লাফালাফির ক্লান্তি হাসানের একটা কবিতাই দুর করে দেয়। সেই সব কবিতার অনেক গুলোই সাঈদের সংগ্রহে আছে।ব্যাগ থেকে একটা কবিতা বের করল সাঈদ।
কবিতাটা পড়ে আর একবার হাসল সাঈদ। কি দারুণ ছন্দ। সাঈদ মনেমনে বলল"আমি এমন কবিতা মরে গেলেও লিখতে পারব না। দিয়ে দেব নাকি সুমনার ব্যাগে চালান করে? সুমনা হাসানের প্রেমে পড়লে ভালই হত। হাসানের এর চেয়ে বড় ক্ষতি করা সম্ভব নয়। কিন্তু, সুমনাকে দেখে খুশি হতে পারি না আমি। হাসানকে মনে হয় সে কমেডিয়ান মনে করে। মেয়েরা যাই করুক, কমেডিয়ানের প্রেমে পড়বেনা। আমার আর হাসানের উপর প্রতিশোধ নেয়া হবে না মনে হচ্ছে।"
ছুটির সময় হয়ে গেছে। সবাই যার যার মত ক্লাস থেকে বের হতে শুরু করল।হাসানের দিকে এগিয়ে গিয়ে সাঈদ বলল,"দোস্ত, যা হবার হইছে। আস কোলাকুলি করি।" হাসান সন্দেহ নিয়ে সাঈদের দিকে তাকিয়ে রইল। সে বিশ্বাস করতে পারছেনা। তবুও এগিয়ে এসে সাঈদের সাথে কোলাকুলি করল। সাঈদের মনটাও খুশিতে নেচে উঠল।কারন সাঈদের কাজ হয়েগেছে। এবার অপেক্ষার পালা। সাঈদের নিজেকে বিশ্ব বেইমান মনে হতে লাগল। আহারে! "ছেলেটা কত বিশ্বাস করে আমার বুকে বুক মেলাল আর আমি কিনা তার পিঠে "Kick Me" লেখা স্টিকার সেটে দিলাম! "
ক্লাস শেষ হলে বাসে উঠার ধুম পড়ে যায় । হাসান আগে গিয়ে বাসে সিট রাখবে সাঈদের জন্য ভেবে যেই বাসে উঠতে যাবে এমন সময় সবুজের লাথি খেয়ে হাসান ছিটকে পড়ল আরেকটি মেয়ের উপর । মেয়ে টি চিৎকার করে উঠল।সবকিছু থমকে গেল কিছু সময়ের জন্য । সাঈদ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাসানকে বেকায়দা ভাবে গাড়ীর নিচে পড়ে থাকতে দেখাগেল। ভাল মানুষ ভাব দেখাইয়া সবুজ কে ধমক লাগাল সাঈদ, "ঐ শালা, এইটা কি করলি?" সবুজ মিনমিন করে জবাব দিল, "আমি কি করব? ওর পিছনে লেখা ছিল 'কিক মি'। আমি সেটাই করছি।"
শালা আহাম্মক বলে গালি দেয় সাঈদ ,কিন্তু মনে মনে অনেক খুশি হয় ।।সাইদ হাসানকে টেনে তুলে, হাত ছুলে গেছে । আর বলে "দেখেশুনে চলবি,তোর পিছনে এই পোস্টার লাগিয়েছে কে?"
হাসান বলে " জানিনা" ।
চল বাসে উঠে সব কথা হবে ।হাসান কোন কিছু বুঝতে না পেবে বেঈমান সাঈদের সাথে চলে যায় ,আর সাঈদ মনে মনে আনন্দে ফেটে পড়ে ।
.
.
.
.
.
.
.
.
বন্ধুবেশী এইরূপ শত্রুদের নিকট থেকে সাবধান ।
ইয়ে মানে এইটা কোন সাঈদ?

ইনি কি ডিজিটাল আনারকলির সাঈদ?
ভয় পাবেন না কেউ ।আপনারা যা ভাবছেন তা নয় ।এ আমার বন্ধু "সাঈদুর রহমান সাঈদ" ।
আমাকে নিয়ে কি সব লিকা হচ্ছে ????
একটা ছোট্ট গল্প লিখলাম ভাই ।কেমন হয়ছে ।
ত নাম কি আর আছিলো না দুনিয়ায় ???????
ঠাকুর ঘড়ে কে রে?
হিহিহিহি!!
আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম আমাদের সাঈদ ভাইয়ের এইধরনের কাম কাজে অভ্যাস আছে। আজ প্রমাণ হয়ে গেলো।

===================
এটা কি আপনার নিজের জীবনের কাহিনী? এই ধরণের আকাম আমরাও প্রচুর করতাম স্কুল আর কলেজে।
এটা আমার জীবন কাহানী না হলেও হয়তো বা অন্য কারো ।
সাঈদ ভাই তাহলে বন্ধুবেশী শত্রু ।
লেখা পড়ে পুরান বান্ধুদের কথা মনে পইড়া গেলো। আহা ! কি আনন্দে কাটছে স্কুল জীবন
আপনাদের মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগছে ।
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
মন্তব্য করুন