পলকবিহীন
যখন তুমি দাঁড়াও এসে বারান্দায়
সামনে তোমার টলোমলো দীঘির জল
গালেতে হাত দিয়ে ভাব আনমনে
তখন আমার বুকে শুধু ছলাৎ ছল্।
কেউ জানে না আমার মনে কী তখন
জানে আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।
মাঝে মাঝে দাঁড়াও তুমি অনেকক্ষণ
মাঝে মাঝে একটু থেকেই যাও চলে
ঠান্ডা বাতাস ঝিরি ঝিরি যায় বয়ে
বলতে থাকে তোমার কথাই সারাক্ষণ।
খুঁজতে থাকি কোথায় থামে তোমার মন
অবুঝ আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।
যখন তুমি হাঁটছ ছাদে আলতো পায়
সূর্য তখন ক্লান্ত হয়ে পশ্চিমে
সাঁঝের মায়া মাখিয়ে দিয়ে তোমার গায়
যায় হারিয়ে স্বপ্নমাখা দিগন্তে
কেউ জানে না ভাবি আমি কী তখন
জানে আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।
রাতে তোমার ঘরের ভারি পর্দাটা
অসাবধানী হাতের ছোঁয়ায় যায় সরে
আলোর ফালি ভেদ করে যায় অন্ধকার
তোমার মুখের হঠাৎ আভাস তারপরে
কেউ জানে না ইচ্ছে আমার কী তখন
জানে আমার পলকবিহীন দুই নয়ন।
জানি জানি, আম্রা জানি কিছুটা
কেনু তোমার পলকহীন চোখ
ছাড়ছে না ও মেয়ের পিছুটা
দখিনহাওয়া যায় বলে যায়
সেই কিচ্ছাটা.....
কামনা করি পূরণহোক তোমার ইচ্ছাটা
'শোনো গো দখিনহাওয়া' পেমে পড়ছেন বুলবুল ভাই!
হাহাহা...এট্টু মজা করলাম ভাইডি, রাগ কইরেন না প্লিজ! মিষ্টি পেম, পেম কবিতা ভালু লাগলো!
.....বন্ধুব্লগে আপনারে সুস্বাগতম । ধুমাইয়া লেখতে থাকেন । শুভেচ্ছা নিরন্তর।
এমন প্রীতি সম্ভাষণে
এসো কাছে ক্ষণে ক্ষণে
ইচ্ছে হলে দিতেও পার গালি
ভেবো না তাতে তোমায় করব চোখের বালি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ছোট্ট টাইপো আছে ভাইডি ঠিক করে নেবেন দয়া করে.'.সূর্য '
আভাষ(মুখবন্ধ) আভাস(ইঙ্গিত)
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না দন্ত্য স এর জায়গায় মূর্ধন্য ষ হল কী করে। এতবার চেক করলাম! আমার কপালই খারাপ! মনটাও খারাপ হয়ে গেল। তবে একটা জিনিস ভালো লাগছে ইচ্ছেমতো বানান লিখে এখানে ছাড় পাওয়া যাবে না।
ওরে আমার আঙ্গুল! বেইমানি করো না কেমন!
বাতিঘর বাতিটি নিভিয়ে ফেলবেন না যেন!
ভাল লাগোলও।
জানলার লগে লাগানো বিছানা নাকি?? তাইলে তো বৃষ্টি আইলে বিছানা ভিজ্জা যাইবে
একটু ভিত্রে নিতে বলেন :davie:
কবিতা ভাল্লাগ্ছে।
ভাইরে, ঐ পর্যন্ত যেতে পারলে কি আর এই কবিতা লিখতাম। বিছানা জানালার কাছে না দূরে জানতে পারলে ঠাকুর দাদুর মতো লিখতাম "কেন যামিনী না যেতে জাগালে না. . . "
দোয়া রাখবেন যাতে মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
ধন্যবাদ!
বাহ.....সুন্দর। বেশ ভাল লাগছে। পলকবিহীন চোখেই পড়লাম।
এখানে আপনাকে স্বাগতম
আপনাকে লাল-গোলাপ শুভেচ্ছা!
আমি সেই কোবতে গুলাই পড়ি যেগুলা মাথায় ঢুকে। বলা বাহুল্য এটা মাথায় ঢুকছে।
কিন্তু মাথায় ঢুকবে কি না তা পড়ার আগে কীভাবে বোঝেন? সিস্টেমটা জানার প্রয়োজন আছে। বহু সময় বেঁচে যেত। হা হা হা. . .
ভালো লাগছে এই ভেবে যে একজন পাঠক আমার কনফার্ম হল। কারণ আমি কঠিন কোন কিছু লিখতে পারি না। হা হা হা. . .
আমার কনফার্ম পাঠককে শুভেচ্ছা . . .
পুরাই রুমান্টিক দেখি-
কিন্তু রোমান্টিক লেখায় তো কাজ হচ্ছে না। এখনকার সবকিছুইতো আবার উত্তরাধুনিক। উত্তরাধুনিক কবিদের রাজত্বে আমাদের ভাত নাই।
এটুকুই বলতে পারি, যতক্ষণ না ‘উত্তরাধুনিক’ ভিন্ননামে ‘অধুনান্তিক’ কবিতা একটা নিজস্ব শক্তিমান ফর্ম অর্জন করতে পারছে ততক্ষণ সে আধুনিকের কাছে অসহায়।
আরিফ ভাই... স্বাগতম...
কবিতা ভালো লাগছে
ধন্যবাদ!
খুবই ভালো লাগলো
এই কবিতাটা সুন্দর একটা গানও হয়ে উঠতে পারে
ভাগ্য খুব খারাপ না হলে এ বছরের মধ্যেই অ্যালবাম বেরিয়ে যাবে। আশা করছি সবাই সাথে থাকবেন।
বাহ। কবিতাটা খুব ভালো লাগলো। স্বাগতম আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
কবিতা কম আর গান বেশি লাগলো। মিষ্টি
আপনার সাথে একমত না হয়ে উপায় নেই। কারণ সত্যি কথাই বলেছেন। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
বুলবুল,
তোমার এ কবিতাটি বহুবার পড়েছি। যতবার পড়ি ততবারই আমার পলকবিহীন দুই নয়ন!
মন্তব্য করুন