"শুনাও তোমার অমৃত বাণী!"
"- আর কিছু বলবে?"
এপাশ থেকে জানতে চাইলো পুরুষকন্ঠ।
"- বলবো বলেই তো ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু যা বলতে চাই, সেটা ঠিক এই মুহূর্তে ভুলে গেছি যে!"
হড়বড় করে কথা বলতে থাকা নারীকন্ঠে আক্ষেপ ঝরে পড়লো।
"- থাক তবে। যখন মনে পড়ে তখন বলো।
"- সেই মনে পড়াটা যদি তোমার গভীররাতে হয়?"
প্রশ্রয়ে উৎফুল্ল নারীকন্ঠ।
"- ক্ষতি কী! ..ঘুম কী তুমি আমার নতুন ভাঙাবে?"
খিলখিল শব্দে আহ্লাদ প্রকাশ করে ওপাশের নারীকন্ঠ।
.......তেমন গুরুত্বপূর্ণ কথা্ই নয়, যা মেয়েটা এই মুহূর্তে মনে করতে পারছে না। কিন্ত প্রতিদিনই এভাবে সে কিছু না কিছু বলতে ভুলে যায়।
পরবর্তীতে ঘুম ভেঙে ছেলেটাকে শুনতে হয়। "পদ্মপিসির ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়ে গ্লাসভর্তি পানি ফেলে দিয়েছিলো বিল্টু। আর সেই পানিতে পা-পিছলে পড়ে গেছেন মেয়ের বাবা। হিহিহি....."
এজাতীয় কথা কেবল চুপচাপ শুনে গেলেই চলে না। রীতিমত শব্দে কিংবা হেসে উঠে জানান দিতে হয় শ্রোতা হিসেবে সে কতোটাই মনযোগী। তেমনটা না ঘটলে এই সকাল সকাল ফোন দেবার মত ঘটনা ঘটে।
"-গুড মর্নিং! কেনো ফোন দিয়েছি জানো?"
নরম গলায় ছেলেটা বলে, "-না, বলে ফেললেই জানা হয়ে যাবে।"
"-ঝগড়া করবো বলেই সকাল সকাল ফোন দেয়া।" সোজা সাপ্টা জবাব মেয়েটার।
উদগত রাগে ফোঁস ফোঁস করছে কোমল একটা মুখ। এই চিত্রকল্পটি ছেলেটা খুব যত্নকরে মনের চোখে আঁটকে রাখে। আলতো করে জানতে চায়:
"- নাস্তা করেছো? নাকি বিছানাই ছাড়া হয়নি এখনো?"
"- রাখো তোমার নাস্তা! আগে বলো, কাল পদ্মপিসির গল্প শুনে কোনো সাড়া শব্দই করলে না কেনো? সেটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমার মাথা গরম হয়ে গেছে। তুমি ভারী কিপ্টে! এত্তো গমোড় কিসের তোমার?"
...একনাগারে কতো কিছু বলে যাচ্ছে মেয়েটা.......। ছেলেটা মাত্রই রাতের খাবার খেয়ে, রাতের জন্য নির্ধারিত বিড়িতে আগুন দিয়েছিলো। তখনই মেয়েটার ফোন। এখন সেই বিড়িতে লম্বা টান দিয়ে ধোঁয়ার রিং বানিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়তে থাকে। রোজই ফোনে কথা বলে, এই দু'জন ছেলে-মেয়ে। এতো কথা যেন ফুরাবারই নয়! কিন্তু কেউ কাউকে আজও বলেনি সবচে' গুরুত্বপূর্ণ কথাটিই। অথচ পৃথিবীর দুইপ্রান্তে বসবাসকারী এই দু'জনের মন ব্যাকুল থাকে সে কথা শোনার জন্য। কী এক রহস্যময় কারণে দুনিয়ার যাবতীয় হাবিজাবি কথা উগলে দিতে পারলেও কাঙ্ক্ষিত বাক্যব্যয়ে তাদের মুখে কুলুপ!
ওদের সময় বয়ে যায়। সেদিকে কারোই তেমন একটা ভ্রক্ষেপ নাই। কথা বলে যাওয়ার আনন্দে এই ছেলে-মেয়ে দুটি এমন ডুবে থাকে যে সময় গড়িয়ে যাওয়াটা সেভাবে নজরেই আসে না।
এভাবেই অনেক সময় মনের আসল কথাটি আর বলা হয়ে ওঠে না। বড্ড অবহেলায় আমরা জীবনের জন্য সবচে' গুরুত্বপূর্ণ কথাটিকে অবহেলা করি। হয়তবা, ভেবে নেই মানুষটি জানেই তো মনের কথা। বুঝেই তো! তবুও জীবন প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ উন্মুখ হয়ে থাকে। সূর্যমুখীর মতো
অপার প্রতিক্ষায় থাকে কখন শুনবে সে অমৃত বাণী! সময় গেলে সাধনার ধনও যে হাত গলিয়ে
চলে যেতে পারে নাগালের বাইরে, সেকথা আমরা অনেকেই বুঝি অনেকটা দেরী করে। টেলিফোনে কথপোকথনে মগ্ন এই ভাবুক ছেলে-মেয়ে দুটি কী একে অন্যকে শোনাতে পারবে সেই অমৃত কথন? ভাবালুতা কাটিয়ে তারা কী মুখ ফুটে একে অন্যকে বলবে পৃথিবীর সবচে' সুন্দরতম শব্দাবলী, "ভালোবাসি!"
পুরা উড়াধুরা একখান পুষ্ট দিলাম
সব্বাই লেখে, আমার বুঝি লেখতে ইচ্ছে করেনা! কিন্তু লেখবার সে ক্ষমতাই নাই লেখবো কী! দিলাম একখান চ্রম শিক্ষামূলক পুষ্ট। রোজ কেয়ামতের আর দেরী নাই কলাম। তাই আজই মনের কথা প্রকাশ করুন। মুখ ফুটে বলেই ফেলুন যার যা বলার আছে
এই পুষ্ট পইড়া কারো সময় নষ্ট হইলে বাতিঘর দায়ী নহেন
......শিরোনামের কথাটি একটি গানের। সবার জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা। শুভ ব্লগিং 
লেখাটা পড়ে বহুকাল আগের একটা কথা মনে পড়লো, সেই ছাত্রজীবনের। এরাম কথা শুনতে ইচ্ছে করে সেরাম একজনরে জিজ্ঞেস করছিলাম, সে কাউকে এরাম কিছু ফিলটিল করে কিনা...মানে তাকে ইঙ্গিতে সুযোগ দিলাম আমাকে তার সেরাম কিছু বলার ইচ্ছে আছে কিনা......কিন্তু সেতো সুযোগ নিলোই না, বরং, উল্টা আমারে যা শুনাইলো তা থাক আর কইলাম না এখানে.....
গল্পটা ভালো লেগেছে। তবে চ্রম শিক্ষামূলক কেনু??

নীড়ুদা, এই লেখাটা যদি তখন নাজিল হইতো তাইলে আপনি কখনোই ঐ চ্রম ভুলটা করতেইনা! ভাবেবাচ্যের কোনোই স্হান নাই এইসব ব্যাপারে, এক্কেবারে ডাইরেক্ট একশনে যাইতে হয়। প্রেম দিলে পরে কেউ যদি কলসির কানা মারে সেইটা তার সমস্যা আপনের না গো মিয়াভাই। আমি তাই বুঝি, বুঝচ্ছেন! দেখেনদি কত্তো শিক্ষামূলক পুষ্ট, বুকার মতো তাও জিগান কেনু?
পুষ্ট পড়বার জন্য ব্যাপক ধইন্যা। বন্ধুব্লগের সাথেই থাকুন। এর পাতায় চোখ রাখুন ডিং ডং 
কথা সত্য। তয় সেই চ্রম ভুলের কারণে সেও ভালো আছে, আমিও

'ভালো আছি' বড্ড শক্তিধর শব্দ। তারপরও ভালো আছি'র পাতে একটু আফসোস কী মুখরোচক আচারের মতোই নীড়ুদা?
বাতিঘর মানেই শিক্ষাদীক্ষা। তা সে পোষ্টই হোক কিংবা মন্তব্যই হোক।
নীড়দার অভিজ্ঞতা শুনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। নীড়দা বাকিটা শুনতে চাইইইই
জ্ঞানীগুনী লুকদের আমি ভালা পাই। তাই তাদেরকে আমার কাছ থেকে নিরাপদ রাখতে যতটা সম্ভব দুরত্ব রাখতে চেষ্টা করি
না গো বইন শিক্ষা দীক্ষার তেমন আর হইলো কই
পোষ্ট পড়বার জন্য ব্যাপক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
বেশ ভালো লাগলো গল্পটা
এইটা গল্প না গো মিয়াভাই! এক বন্ধুর রিয়েল লাইফ ড্রামার টুকরা টাকরা আর কি
ভালো থাকবেন।
পড়বার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এতো অনিয়মিত কেন আপনি? আপনাদের আরো বেশি বেশি ব্লগে দেখতে চাই। আপনার পরী দুটির জন্য অনেক আদর
আরে এইটা কেডায়! আমরার কবি মুকুল না? কিরাম আছেন? সবিনয় অনুরোধ থাকলো ব্লগে নিয়মিত হউন
পোষ্ট পড়বার জন্য ব্যাপক ধইন্যা। শুভেচ্ছা নিরন্তর 
গল্পটা আগাইতে পারত।
আড়ি পেতে এর বেশি তো শুনতারি না
( আগাইবার জন্য যে মেধা লাগে আমার থাকলে না ভুজুং ভাজুং দিতারতাম
পড়বার জন্য কৃতজ্ঞতা ভাইটি। ভালো থাকা হোক।
ফুন নম্বরটা দেন, বইলা ফেলি।
নেন, লিখেন ফুন নম্বর: ৯১১
ফুন করে ওপাশের জনরে মনের কথা খোলাখুলি বলতে খিচখিচানা মাত
পুষ্ট পড়বার জন্য ব্যাপক ধইন্যা
ভালো থাকা হোক।
এইবার বুঝলেন যে ক্যান আপনার নিয়মিত লেখালেখি করা উচিত?
ধইন্যা
ভাইটি ধইন্যা না আমি দিবো আপনেরে পুষ্ট পড়বার জন্ন

ভালো থাকা হোক
গল্প ভালো লাগছে
স্বকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ আপুনি
নিরন্তর ভালো থাকা হোক 
আপনি কইছেন তো? নাকি এখনো কইতে পারেন নাই?
কেম্মত কি ঘনায়া আসছে নাকি? আহারে জীবনের কত কি বাকী।
এরাম পোষ্ট প্রত্যেকদিন দিয়েন।
আবার জিগায়
হ প্রতিদিন নিয়ম করে এরাম শিক্ষামূলক এবং পেমময় পুষ্ট দিপো অখন থেকে 
ঘুম ভেঙ্গেই আজকে পড়ছিলাম এই পোষ্ট, যখন এক্টাও কমেন্ট পড়ে নাই... আওফাও নানান কাজে ছিলাম আজকে, কিন্তু সারাক্ষন মনে হইছে এটার কথা... লেখাটা পড়ে এই গানটার কথা মনে পড়েছে... http://www.amrabondhu.com/jabin/1101
আরো শিক্ষনীয় লেখা দিয়া বাত্তি জ্বালাইতে থাকেন এই আশায় রইলাম...
এইটা কুনু কথা হইলো? দুনিয়ার সব কাজ বাদ দিয়া আগে আপনার এই পুষ্টে মন্তব্য করা উচিৎ ছিলো কিনা কন
ঠিকাছে মাফ দিলাম, মন জুড়িয়ে দেয়া গানটার জন্য 
ব্যাপক ধইন্যা বইনটি। ভালো থাকেন নিরন্তর।
আমি না হাসার কারণটা চিন্তা করে বের করছি
আছাড় খেয়ে পড়ার ঘটনাটা দেখলে যেরকম রিএকশন হবে, শুনলে একই রিএকশন হবে না। এই কারণে আপনার হাসি পায় নাই, কিন্তু ফোনের অপরপ্রান্তের উনি যেহেতু দেখছে...উনি বুঝতে পারতাছে না যে এতে না হাসার কি আছে

:bigsmile:জট্টিল বিশ্লেষণ ভাইটি! তবে এইটা বুঝবার মত ঘিলু কেন জানি মাইয়াগুলান মাথাত এট্টু কমই থাকেন
পোষ্ট পড়বার জন্য ব্যাপক ধইন্যা। ভালো থাকা হোক 
হ ! আপনেও এখনই কইয়া ফেলান,ব্লগে এইভাবে আকুলি বিকুলি না কইরা !
হা হা হা

মিয়াভাই কওনের কিছু বাকী রাখছিনি
পোষ্ট পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন
আমি তো জানতাম আজকাল পোলামাইয়ারা দিনের মধ্যে ১২৮ বলে, জান আমি তোমারে কত্ত ভালোবাসি.।
আপনার বন্ধুর জন্য তো বিরাট আফসুস!!!!
বাহ্!
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেলো মনে সে কথা আজি যেন বলা যায়...
কারে কইতে চাইছিলেন কয়া ফালান।
গেলেন কই?
মন্তব্য করুন