ভাগশেষ - ১
ঔ
রোজার ঈদের সময় দশ-এগারোটা ঈদ সংখ্যা কেনার পর বই কেনার উপর বউ সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারী করল। প্রায় শুক্রবারই বেইলী রোড যাই, আমি হাঁসফাঁস করি সাগর পাবলিশার্সে ঢোকার জন্য, কিন্তু বউ বলে আমি নাকি বাসাকেই ছোটখাটো সাগর পাবলিশার্স বানায়ে ফেলছি। সেটা শুনেও অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করি, কিন্তু যখন বলে আমি তো কোন ঈদ সংখ্যাই পুরা পড়া শেষ করি নাই, তখন আর কিছু বলার থাকে না।
ও
হঠাৎ করে একদিন পত্রিকায় দেখলাম হেমন্তের বইমেলা হচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরীতে। ভাবলাম বউকে বলি যাওয়ার কথা। বউ দেখি আমার থেকে একধাপ এগিয়ে, বলে হুমায়ুন আহমেদের একক বইমেলা হচ্ছে ওইটাতে যাই। আমি ভাবলাম তথাস্তু, এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। অনেকদিন পর ইউনিভার্সিটি এলাকায় গেলাম, এখানে সেখানে পরিচিত লোকদের সাথে দেখা হল। ভালই লাগল। ইউনিভার্সিটি ছাড়লেও ইউনিভার্সিটির মায়া মনে হয় এরা কাটায়ে উঠতে পারে নাই।
মেলায় যেয়ে হুমায়ুন আহমেদের 'এলেবেলে ১ এবং ২', 'তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে', 'রঙপেন্সিল', 'স্টোরি অব ফিল্ম মেকিং' আর শাহাদুজ্জামান ভাইয়ের 'আমস্টারডামের ডায়েরী ও অন্যান্য' কিনলাম।
ঐ
গত সপ্তাহে ঝটিকা সফরে গেলাম চট্টগ্রাম। ঘটনা শুনলে অনেকেই ভ্রু কুঁচকাবেন, তেলাপোকাও পাখি, হাইকুও কবিতা। বিশদ বাংলা-র আলম খোরশেদ ভাইয়ের সাথে যখন পরিচয় তখনই বলে রেখেছিলেন আমাকে ডাকবেন একবার উনার ওখানে কবিতা পড়তে। যাব যাব করেও ব্যস্ততার কারণে যাওয়া হচ্ছিল না, কিন্তু ভাবলাম ডিসেম্বরে যেহেতু পাকিস্তান সিরিজ আর সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, এর আগেই 'ঝামেলা' সেরে আসি। আলম ভাইও বললেন চলে আস। গেলাম।
বিশদ বাংলা-র যে অংশটাতে বই বিক্রি হয়, ওই দিকটায় গেলে আমি খুব ঝামেলায় পড়ি। সব কিনে ফেলতে ইচ্ছা করে। সবচেয়ে যেটা ভালো লাগে সেটা হল ওদের আত্মজীবনীমূলক বইয়ের সংগ্রহ। এখান থেকে কিনলাম হোর্হে লুইস বোর্হেসের আত্মজীবনী (রাজু আলাউদ্দিন আর রফিক-উম-মুনীর ভাইয়ের অনুবাদ করা), শংকরের 'জনঅরণ্য', আসাদ চৌধুরীর 'এ ভ্রমণ আর কিছু নয়', তানভীর মোকাম্মেলের 'ভিনদেশে', আহমদ ছফার 'গ্যেটের দেশে', সমরেশ বসুর 'প্রজাপতি' আর হামীম কামরুল হক ভাইয়ের 'গোপনীয়তার মালিকানা'।
এ
বিশদ বাঙলাতে আমার বই নিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে আমার পুরানো কলিগ প্লাস বন্ধু মখদুমাকে আলম ভাই বললেন আমার আর আমার বই নিয়ে কিছু বলতে। মখদুমা সবাইকে বলল ২৫ নম্বর পাতা দেখতে। দেখলেই নাকি বুঝা যাবে আমি আমার বউকে কত্তো ভালোবাসি। আফসুস, সবাই বুঝল, যার বুঝার সে বুঝল না (
ওই পাতায় যেই হাইকুটা ছিল সেটা হল "taking class notes/writing her name/again and again"
বইয়ের শুরুতেই কায়সার স্যার বলে দিছেন আমি ঠিকমত ক্লাস করতাম না। ভাবছিলাম বউ স্যারকে কোট করে বলবে 'এ তো ক্লাসই করত না, ক্লাসনোট নিবে কেমনে?' ভাগ্যিস বলে নাই
*******
অনেকদিন ধরেই এবিতে লিখব লিখব করতেছিলাম, কিন্তু লেখা হচ্ছিল না। কিন্তু তানবীরা আপু তো প্যাঁচে ফেলে দিছেন, ভাবলাম আর দেরী না করি। রাসেল ভাই আর জাবীন আফা অনেক গুতাইছে লেখার জন্য, তাই প্রথম পোস্টটা এই দুইজনকেই উৎসর্গ করলাম
at long last..
হুমম, এট লং লাস্ট
এত্ত বই!
একরাশ হিংসে!!
হিংসা করা খুব খ্রাপ
আপনি পোষ্ট দিতে পারেন? সত্যি????????
এইবার পোষ্ট পড়ে আসি।
না মিথ্যা
বউভক্ত পোলাটার এত্ত ব্ই! আমরাও কবিতা শুনতে চাই।
পোষ্ট ভাল্লাগছে খুব। প্রতি সপ্তাহে একটা। ওকিজ?
ভাল্লাগছে শুইনা খোশ হইলাম
সপ্তাহে একটা? আপনি আগে শুরু করেন 
চোখে ভুল দেখতেছি না তো???

কবিদেরই তো একমাত্র মাঝে মাঝে ভুল দেখার লাইসেন্স আছে
এক পোস্ট দুইজনকে উৎসর্গ করা যাবে না। এইটা নীতিমালায় নতুন যোগ হইসে।
তিনজনকে যাবে? আপনি কি তিন নম্বর হইতে আগ্রহী?
ঠিকাছে তিন নম্বর করেন। কিন্তু এটাতে না। আর একটা পোস্ট দেন। ঐটাতে তিনজনকে করেন।
এ দেখি পুরাই বউ পাগলা পু্লা। ফারহাকেও মেম্বার বানাও।


==============
নিজের নাম উৎসর্গে দেখলে খুব ভালো লাগে।এখন দ্বিগুন উৎসাহে গুঁতাবো তয় জেবীনের নামের বানান ভুল করার জন্য এক্সট্রা গুঁতা যে খাবা সেই জন্য রেডী থাকো।
আপনি কিন্তু একটা রেকর্ড করেছেন। ৩০২ টা কমেন্ট এবং একটি পোস্ট নিয়ে আপনি রীতিমত ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বাংলাব্লগে আপনার এই রেকর্ড মনে হয় না কেউ ভাঙতে পারবে। রেজিস্টার্ড কোন ব্লগার এত দীর্ঘদিন পোস্ট বিহীন থাকেনা।
এবার পোস্ট প্রসঙ্গে আসি। লেখা স্বাদু। আপনার হাইকুগুলো বাংলায় অনুবাদ করে ব্লগে দিতে পারেন। সাহিত্যের মধ্যে আত্মজীবনী আমার সবচেয়ে পছন্দের সাবজেক্ট। বোর্হেসের আত্মজীবনী পড়িনি। প্রজাপতি এত দেরীতে কিনলেন
এইটা আমরা ছোটবেলায় পড়ে শেষ করেছি।
অনুবাদ বড়ই কঠিন কাজ
প্রজাপতি আমিও স্কুলে থাকতেই পড়ছি, আমার বউ এর পড়া ছিল না আর কি।
হাইকু দেখি দারুন মজার!
আহা! খোটাটা দেয়া নাই কারন বঊ মনে হয় দেখেও না দেখার ভান করছে! 
লীনা'পুর প্রস্তাবের সাথে সহমত জানাইলাম, এমনি মজার করেই বাংলাটা করে ফেলেন।
আহারে, ছেলেটা স্বরবর্ন দেখি প্রথমগুলো ভুলেই বসে আছে!
অ-আ থেকে শুরু হয় যেটা তা কেন ও-ঔ দিয়ে করা হলো?!
আর নামের বানান ভুল কইরা উৎসর্গ!
তাও মন্দের ভালো, কারন পোষ্টতো দেয়া শুরু করেছেন! এর পরে হাইকু নিয়ে লেখা চাই। 
অ আ কবে আসবে? মজা লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ। বিশদ বাংলায় গেলে আমারো সেরকম দশা হয়।
অ আ কবে আসবে জানি না ভাই
আপনি দেখি চট্টগ্রামে থাকেন। আগে জানলে আপনাকেও যেতে বলতাম
বাহ! আপনার দেখি বই ও বউ দুইই আছে! ভাগ্যবান
হেহে
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ 
নতুন বিয়ে নাকি? পোষ্ট দেখি পুরাই বউময়
নাহ, দেড় বছর তো হয়ে গেল প্রায়
ছেলেটা বই আর বউ নিয়েই আছে ।
তবে আত্মজীবনী পড়তে ভালো লাগে না আমার । এখন কিছুই পড়তে ভালো লাগেনা অবশ্য।
কেন ভাই আপনি আবার বই-রাগী হয়ে গেলেন কেন?
আগে বউ চাই, তারপরে বই।
মন্তব্য করুন