এলোমেলো
পাশের ফ্ল্যাট একদল হস্তি ভাড়া নিসে মনে হয়, সারাদিন দুপদাপ আওয়াজ লেগেই থাকে, দরজা খুল্লেও ধড়াম করে শব্দ, সিঁড়ি দিয়ে নামলে কি হয়, তা আর না বলি।
ঘুমটা ঠিক মত হলোনা, ঘরের পরেই সিঁড়ি, হস্তির নেমে যাওয়ার শব্দে কাঁথার নিচ থেকে উকি মারলাম “নাস্তা বানাও মা, আজকে সকাল সকাল খাব", মা একবার তাকিয়েই বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। কাহিনী কি বুঝলাম না কিছুই।
এত বয়স হলো, চা বানাতে শিখতে পারলাম না, যতবার ভাবি শিখবো, ততবার মনে হয় পাত্তি আগে দেয় না চিনি? দোকানে মামারা কত সহজেই না বানায়, আমি কেন পারব না তাহলে? নীল পরীকে যতবারই এটা বলছি নগদে ধমক “তোমাকে দিয়ে হইছে আজ পর্যন্ত কিছু?” ...... বলার মত কিছু নাই, কথা সত্য/মিথ্যা যাচাই করার সময় ওইটা না, নীল পরীর সামনে কথার পিঠে কথা বলা মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
জোরে বৃষ্টির শব্দ আসছে, জানালা খুলেই অন্ধকার। তারমানে ইফতারি করে কখন ঘুমাইসি টেরই পাইনি, মা’র ওইভাবে চলে যাওয়ার কারণ পরিস্কার হলো। জ্বর আসছে আবার, ইদানিং একটু বেশীই হচ্ছে। ম্যাক বলে তোর বাচ্চাদের মত জ্বর লাইগা থাকে কেন অল টাইম? ডক দেখা তাড়াতাড়ি। খেক করে একটা হাসি দেই আমি।
চায়ের তৃষ্ণা বেড়েই চলছে , মাকে বললে করে দিবে, সারাদিন রোজা করে হয়তো এখন শুয়ে আছে, ডাকতে ইচ্ছা করছে না। বাসার পেছনে চা বানায় এক মামা, ওখানে যেতে হবে।
সবকিছুতেই আলসামি চলে আসছে, একটা সময় ছিল সারাদিন ছবি তুলতে ইচ্ছে করতো, মাথায় কনসেপ্ট ঘুর ঘুর করতো, এখন কিছুই আসে না, বিরক্ত লাগে। কাউরে বললে চোখ সরু করে বলে “মজা নেন ভাই”। আজব একটা ব্যাপার কেউ বিশ্বাস করতে
আজব একটা ব্যাপার কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। সব থেকে বেশী মজা করে ম্যাক, এরে কিছু বললেই হইসে কাজ, সাথে সাথে গালি দিয়ে কথা শুরু করে, বাকিটা বলার যোগ্য না। রাশেদ কে কিছু বললে এক কথা তার “মুখ খারাপ করাইসনা দোস্ত, অফ যা”। নীল পরীকে কিছু বললে “তুমি এত বেশী কথা কেন বলো? বয়সের সাথে সাথে কি তোমার কথা বলার রোগে পাইসে?” এরা কেউ বুঝে না, আগের মত মাথা আমার আর কাজ করে না ।
অনেক হইসে, এইবার উঠতেই হবে.........
আপনার বিয়া করা দরকার দ্রুত - এটাই বুঝলাম।
এবি তে স্বাগতম।
নীল পরী কে বলেন ওটা
ধন্যবাদ ভাই
পরী বিয়া করা কি ঠিক হবে? মানুষই বিয়ে করেন আর পরীর ফটু তুলেন। সবদিক বজায় থাকবে। হবির সাথে জীবন মিশান ঠিক না
ধন্যবাদ
আমার যা ছবি সবই নীল পরীর, প্রত্যেকটা কনসেপ্ট তৈরির আগে ওর চেহারা মনে করি, আর ফটোগ্রাফি এখন আমার রক্ত, পরী বিয়া না করে উপায় আসে?
কলপনা বাসতব হয়ে গেলে পানসে হয়ে যাবে
আমার কল্পনা কখনই বাস্তব হয়না
আপনে কি এবি ফটোগ্রাফী ক্লাবের সেই বিখ্যাত পাপী।
লেখা ভাল লাগছে। বিশেষকরে প্রথম লাইন।
কোন পাপীর কথা বলছেন? হায় হায় কিছুই তো দেখি জানি না মনে হচ্ছ।
আমি লেখালেখি কোনদিন করি নাই, টুটুল ভাই,সাইদ ভাইদের কাছে শুনে, জেনে এইখানে আসা, ধন্যবাদ অনেক
যে পাপীর কথা বলছিলাম সে আপনিরে ভাই.।
সত্যি কিছুই বুঝলাম না আমি আবার কি পাপ করলাম?
নীল পরী শব্দটা পছন্দ হইছে...
এবিতে স্বাগতম।নিযমিত লিখবেন,তাইলে নীল পরী বিবাহ করতে পারবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধইন্ন্যা
যাক আসলেন শেষ পর্যন্ত? ভাল হইছে...
এইবার চলুক আড্ডাবাজী... ... কথাকথি... খুনোসুটি... আমাগো এই একটা জায়গা... যেইটা নিয়েই আমরা পইরা আছি ... ম্যাক ভাইডিরে নিয়া আসেন এইবার
ভাল থাইকেন বস..
হ বস আইয়া পরলাম, কিন্তু আপনাকে তো আগের মত দেখি না কোথাও? থাইল্যান্ড থেকে আসার পরে কি হইছে আপনার?
ম্যাক রে পারলে আপনিই আনতে পারবেন
আরে আমি তো ফেসবুকে আপনের বহুত ছবি দেখছি।
এখন এবি'তেও আপনারে দেইখা খুব ভালো লাগলো
অনেক ধইন্যা
খুশি খশি লাগতাসে
এতোদিন আপনার তোলা ছবি দেখে অবাক হইসি আজকে লেখা পড়েও ভাল লাগলো! লাস্টে স্বাগতম
এবি তে সুস্বাগত!
ভাল লেগেছে আপনার লেখা।
নীলপরী জীবন জুড়ে আপনার আকাশ হয়ে থাকুক।
আপনাদের দুজনের জন্য ভালোবাসা আর অনেক শুভকামনা।
মন্তব্য করুন