আমি, তুমি, সে
২০০৬ সালের শুরুতে যখন রইন্যা আমরা বন্ধু তে ঢুকালো, তখন ভাবতেই পারিনি আমার জীবনের মোড় কোনদিকে যাবে কিনবা আমার জীবনটা আদৌ আমার থাকবে কিনা। আমরা বন্ধু তে ঢুকতেই এক চরম ফাউল লোক আমারে স্বাগতম জানালো। যাইহোক তখন আমার স্নাতক পরীক্ষা শেষ। হাতে অফুরন্ত সময়।সারা দিনরাত নেটেই পইরা থাকি। এখানে অইখানে উকিঝুকি মারি আর এবির হাজার হাজার মেইল পড়ি। খুব অল্প সময়েই নিজেকে মানিয়ে নিলাম এবির হাজারো মেইলের সাথে, আমি এবির স্বর্ন যুগের কথা বলছি।ধীরে ধীরে অনেকের সম্পর্কে জানতে পারি, কার মন খারাপ, কার পেট খারাপ, কে জ্ঞানী কিনবা কে মুর্খ আর কে কবি, কেইবা ভালো ছবি তুলে কিনবা সংগ্রহ করে। এই হাজারো মেইল এর ভিড়ে সেই ফাউল লোকটা আমার সাথে চরম ফাউলামি করে,টাংকিও মারে আবার অবাক হয়ে দেখি জ্ঞানী জ্ঞানী মেইল লিখে, কিন্তু সেগুলো বুঝতে আমার একটুও সমস্যা হয়না,কেননা সেগুলো সহজ ভাষায় অনেক মজা করে লিখা, মনে হয় যেন সামনে দাড়ায়ে কথা বলতেছে। আমি লোকটার লিখার খুব পাংখা হইলাম, কিন্তুক তার টাংকিবাজি আর স্বভাব এর কারনে তারে ঠিক পছন্দ হইলনা। তার নামটা বুড়া বুড়া,তাই ভাব্লাম সে নিশ্চয়ই ৪০-৫০ এর কম হইবোনা।
যাইহোক হঠাত কইরা দেখলাম এবির লুকজন প্রায়ই এখানে সেখানে আড্ডা দেয়,আমারেও জয় ভাই আর টুটুল ভাই কইল যাইতে।অনেক্ষন ভাব্লাম যামু কি যামু না,পরে ভাব্লাম যাই দেখি যা আছে কপালে।সেই ফাউল লোকের বাসায় হবে আড্ডা,গেলাম,দেখলাম,এবি আমার মন জয় কইরা নিল।আমরা বন্ধুর বন্ধুরা এত আন্তরিক সবার সাথেই বন্ধুত্ত হতে সময় লাগ্লোনা।আর সেই ফাউল লোকটা,তারে দেইখা ত আমি পুরা টাশকি।পিচ্চি ১টা পোলার লাহান দেখা যায়,টাইনা টুইনা আমার গলা পর্যন্ত আসে।আর দেখি সেই ফাউল লোকটা একাই পুরা আড্ডা জমায়ে রাখার ক্ষমতা রাখে,গান গায়,নাচে আর এবির সব মাইয়াগো লগে টাংকি মারে।
এবির সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। আর সবার সাথে বন্ধুত্ত বাড়ে। অনেকের সাথে জানাশোনা হয়, আড্ডা মারি বেশি বেশি। ফাউল লোক্টার সাথে অবশ্য বেশি কথা হয়না। হঠাত এক ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে যাই। তাকে বুঝা শুরু করি, অবাক হয়ে দেখি খারাপ ভালোর পাশাপাশি সহাবস্থান। অবশ্য কারো খারাপ অন্যের কাছে খারাপ নাও হতে পারে। সেই ফাউল লোকটার কিছি জিনিশ আমার খুব ভাল লাগলো।তার মানসিকতা।তার জানার পরিমান দেখে অবাক লাগে,আরো অবাক লাগে সে সারাটা জীবন নিজের মত যাপন করছে,এইরকম জীবন অনেকে সাধনা কইরাও যাপন করতে পারেনা, তারে আমি এই কারনে হিংসাই। তারে বিশ্বাস করে সব কথা বলা যায়।
সময় যখন এলো জীবনসংগী বেছে নেয়ার তখন অজানা অচেনা কারো সাথে জীবন কাটানোর চে একজন বন্ধুর সাথে জীবনযাপন করাটাই বেছে নিলাম। হ্যা নানা হাংগামার মধ্যে দিয়ে তার হলাম। এখন সেই ফাউল লোক্টার সাথেই আমার সংসার, আমার অভিমান, আমার খুশি।
আমাদের দুইজনের নতুন সংসারে একটা নতুন প্রান যখন এল,আমার পুরো জীবন বদলে গেল।
নানা শারীরিক সমস্যার ভেতর দিয়ে তাকে অনুভব করা শুরু করলাম। আমার হাটাচলা সব বন্ধ হয়ে গেল, এক স্থবির জীবন। আমার শরীরের ভেতর আরেকটা মানুষ বড় হচ্ছে এ এক অদ্ভুত অনুভুতি। অপেক্ষা সারাক্ষন অই তুলতুলে ছোট্ট মানুষ্টার জন্যে। সেই ফাউল লোকটা আমাকে সারাক্ষন আগলে আগলে রাখতো।আমার নাওয়া খাওয়া সব তার উপর নির্ভরশীল ছিল। এক সময় আমাদের দুইজনের অপেক্ষা শেষ হল । সময়ের অনেক আগেই এক ভেজা সকালে সে আমার কোলে আলো করে এলো। এক্টা ছোট্ট পরী যেন স্বর্গ থেকে আমার জীবনে নেমে এল।
এই পরীটার সাথে আমি আমি খেলি,সে আমার চোখের সামনে বড় হয়,বসতে হাটতে,কথা বলতে, গান গাইতে, নাচতে, ছড়া বলতে শিখে।আমাকে আদর করে,শাষন করে,জেদ-অভিমান,চাওয়া সব আমার সাথেই। অনেক অপ্রিপুর্নতার মাঝে সে আমাদের জীবন ভরিয়ে রাখে। তাকে নিয়ে আমাদের পরিপুর্ন জীবন।
আজ আমার পরীটার জন্মদিন। সবাই ওর জন্যে দোয়া কোরো।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা পিচ্চিকে
ধন্যবাদ
নিধি মামনিকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা আর অনেক অনেক আদর
ধন্যবাদ
দোয়া রইলো মামাটার জন্য.।।শুভ জন্মদিন.।.।।
আরেকটা কথা এবি তো দেখছি একবারে ঘটক পাখী ভাই ।ইস রে আমারে নিয়া কবে যে কেও এমনে লিখবো?কেও কি লিখতে চান??? তাইলে হাত তুলেন।
ধন্যবাদ
কয়জন হাত তুললো?
এই দুনিয়া আর সেই দুনিয়া নাই।আপনাদের মতো দিল আলা মহামতী এখন খুজে পাওয়া মুশকিল।।
শুভ জন্মদিন
ধন্যবাদ
শুভ জন্মদিন নিধি মামনিটাকে
অনেক অনেক বড় হও
না, ও ছোটই থাকুক
আপনাকে ধন্যবাদ
অনেক অনেক শুভকামনা নিধি মামনিটাকে। আজীবন তোমাদের দুজনকে ধরে রাখুক মামনিটা।
জন্মদিনে নিধিকে কি দিবা?
ভাই বা বোন চাচ্ছে না তো আবার?
মাসুম ভাইয়ের মন্তব্যে জাঝা
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
এই নিয়া দুইটা বুড়া লোকের কাহিনী জানলাম।
আগে যদি জানতাম বুড়া হইয়া জন্ম নিতাম। আগামী জনমে চেষ্টা করা হবে বুড়া হয়ে জন্ম নিতে এবং কলিজা কাঁপানোর বাকী মালমশলা গুলা টুকে নিলাম।
এইরকম একটা পরীভাগ্যের জন্য বুড়াখুকী দুজনকেই অভিনন্দন। নিধি মামনিকে অনেক অনেক আদর!!!
আপনি এখনো বুড়া হন নাই!
নিধির জন্য অনেক অনেক আদর ।
ও হ্যা, তোমার লেখা জোশ হইছে ।
ধন্যবাদ
আহারে... মাইনষে যে ক্যান আম্রারে আগে থেইকা পিচ্চি কইয়া জানে???

ইস... দুনিয়ার বুইড়ারাই দেখি এইখানে...
যাউক্গা... নজু ভাই'র গামছাটা দেখি ব্যাপক। পছন্দ হইছে। আমিও একটা কিন্নালামু ভাবতাছি...
আর, নিধির কথা তো বলার অপেক্ষা নেই। এই পিচ্চিটা সবাইকেই পছন্দ করে। সবাইকেই আপন করে নেয়। তয়, কি এক বিচিত্র কারণে, সে গেল আড্ডায় আর কাউরে না দিয়ে আমারে চকলেট দিছিলো।

কি আনন্দ আকাশে-বাতাসে।
ধইন্যাপাতা নিধি।
অনেক অনেক আদর। ভালোবাসা।
শুভ জন্মদিন। <:
ধন্যবাদ
শুভ জন্মদিন, নিধি।
ধন্যবাদ আপু
শুভজন্মদিন নিধি। নিধি মামনিকে অনেক অনেক আদর।
তোমাকেও অনেক অনেক আদর আর ধন্যবাদ
নিধি, মানুষের মত মানুষ হ- মামনী... শুভ ভুমিষ্ঠ দিবস...
ধন্যবাদ
প্রথম ছবিটা সেরাম জোস...আর যাই হোক, কাউরেই বুড়া লাগতাছে না
সুতরাং আম্রারে ভুং-ভাং বুঝ দিয়া লাভ নাই
আমরা তো বুড়া না, নজু ফাউল। আমি ভালো
নিধির জন্য শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ
শুভজন্মদিন নিধি ......
নিধি মামনিকে অনেক অনেক আদর।
ধন্যবাদ
একজন কইলো বুইড়া ভামের গল্প আরেকজন ফাউল লোকের....................
ক্যান যে ফাউল হইলাম না , বুইড়া যে কবে হমু ...............
যাই হোক , নিধি মামনি কে অনেক আদর , শুভ জন্মদিন মামনি। অনেক শুভেচ্ছা মামনি কে আর তার বাবা - মা কে।
আসলেই ........ বাজার তো বুইড়া আর ফাউল লোকেই দখল কইরা ফালাইলো ...........
বুইড়ার মত ফাউল লোকটার মেইল পইড়াও বহুত মজা পাইতাম
নিধি মামনিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ
জ্যাকেট নিয়া ঘুরতে হবে
এখনতো জ্যাকেটের অফ সিজন, অন্য বুদ্ধি দেন
ছাতা লইয়া ঘুরলে হইবো ???
নিধির জন্মতিথিতে একরাশ শুভেচ্ছা!!
ধন্যবাদ
মামোনি .। শুভো জোননমোডিন
বাংলা লিকহি নাহ টোোো কি জেনো হোচছে
ধন্যবাদ
কয়দিন প্রাক্টিস করলে দেখবা ঠিকঠাক লেখতে পারছো। চালিয়ে যাও
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শুভকামণা থাকল।
ধন্যবাদ
মামনিকে জন্মদিনের শুভেচছা..। আর মনে বড়ই দুঃখ কিসের জন্য জীবনে ফাউল, ভাদাইম্যা আর বুইড়া হইলাম না.।.। কেন, কেন? কেউ গামছা ওয়ালা আবার কেউ জ্যাকেট। বুঝতেছি না। পরবর্তি আকর্ষন কি হইব?
পরবর্তী আকর্ষণ আছে তো আরো, তারা লিখলেই হয়
শুভ কামনা! শুভ জন্মদিন!
ধন্যবাদ
ভালো লাগল!
ধন্যবাদ
শুভ জন্মদিন !
বড় হও, অনেক বড়...
ধন্যবাদ
অনেক অনেক আদর মা মনিটার জন্য
ধন্যবাদ
চার জন হলে শিরোনাম কি হবে ভাবতাছি ।
নিধি মামনিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
আমি, তুমি, তাহারা
ধন্যবাদ
এই পোস্ট পডার আগেই আমি বুঝতে পারছি কি লিখতে পারো তুমি
কারণ আমি তো সব ঘটনার সাক্ষী 

ভাল লাগলো. আল্লাহ তোমাদের সুখী রাখুক
হ... এগুলা তো তোমার জানাই
তবু ধন্যবাদ
সাঈদঃ একজন কইলো বুইড়া ভামের গল্প আরেকজন ফাউল লোকের............. ক্যান যে ফাউল হইলাম না , বুইড়া যে কবে হমু ............... আপসুস।

অনেক অনেক শুভেছা নিধির জন্য।
ফাউল হয়ে যান, এই কামনায়
ধন্যবাদ
নিধিরে হ্যাপী বার্থডে
নিধির বাপকে শুভেচ্ছা
নিধির বাপকে শুভেচ্ছা পৌছে দেয়া হৈপে।
মায়ে কি দোষ করলো??
মায়েদের শুভেচছা লাগে না.।কারন তারা হচ্ছে মা..জননী।।
মায়ে কি দোষ করলো??
জন্মদিনের শুভেচ্ছা
পোষ্ট পৈড়া বুঝলাম বাপ-মায়ে ছোট বেলায় ভুল শিখাইছে, কৈছে যেনো ফাউল না হই। ফাউল হৈলেও লাভ হয় দেখা যায়। হে হে.....
নিধি মামনিকে জন্মদিনের দিরং শুভেচ্ছা..... অনেক বড় হও মামনি, অনেক বড়....
দাওয়াত-টাওয়াত দিলেন না। দু:খ পাইলাম।
দু:খ পাওয়ার কিছু নাই।
তারমানে শিগ্গির দাওয়াত করবেন??

আশায় রইলাম।
নিধি-পরিবার কে শুভেচ্ছা
~
মুক্ত বয়ানের সাথে এক মত। দাওয়াত কই। খাওয়া দাওয়া শেষে নিধির মা'কে একটা ধন্যবাদ দেয়া যাইতে পারে। আর নিধির বাপ কেও। কারন বাজার না করলে তো আর খাওয়া রান্না হবে না। মুক্ত বয়ান তুমি এগিয়ে চলো। আমরা আছি তোমার পিছে।
শুভ জন্মদিন নিধি ......
অনেক অনেক আদর।
হায় হায় আমি কি দেরি কইরা আইলাম। পুতুল আপু আর নজু ভাইয়ুকে অভিনন্দন তাদের নিধি আর একটি জন্মদিনের মাইলষ্টোন পাড়ি দিল। প্রেম কাহিনীটা আরও বড় হইতে পারিত। নজু ভাইয়ের নিজের ঢোল নিজে বাজানোর একটু বাতিক আছে মনে লয়, তাই নজু ভাই নতুন আঙ্গিকে একটি প্রেম কাহিনীর পুষ্ট দিতে পারেন। অথবা পুতুল আপু এই নজু-পুতুলের পেরেম নিয়ে সতন্ত্র পুষ্ট দিতে পারেন যার টাইটেল হইতে পারে
"একটি গামছা পড়া চেলে পাগল করেচে"।
যাউগ্গা যা কইতে চাইছিলাম... নিধি মামনিরে অনেক অনেক আদর, দোয়া ও শুভাশিষ।
হ্যাপি বার্থডে নিধি মামনি।
হ্যাপি বার্থডে (দিরং হয়া গেছে)।
নিধি আরো এক বছর এর বড় হলো। সময় কতো দ্রুত যায়। ভালোবাসা মাটাকে।
অস্থির প্রেম কাহিনী----ফডু গুলা জোশ......লেখা ভালো লাগছে খুব...
নিধি মামুনিরে এইখানে হেপি বাড্ডে দিতে দেরী হৈয়া গেলো...
মন্তব্য করুন