খুচরা পোস্ট ৪ : টিম ও নেলা'র উপহার
জোনাল প্রোবলেম
মৌসুমের বাসা সারাদিনব্যাপি আড্ডা দিয়া রাতের বেলা বারাইলাম। অন্যরা যার যার মত চইলা গেল আমি আর বিলাই হাটা ধরলাম একসাথে। আমাদের দুইজনের বাসা একইদিকে। হাটতেছি আর ভাবতেছি কেমনে যামু। আমাদের ঐদিকে যাওয়ার জন্য সাধারণত কিছু পাওয়া যায় না। কয়টা রিক্সা দেইখা বিলাই জিগাইল। একজন উত্তর দিল 'আমি ঐদিকে যাই না।' আরেকজন বলল ভাল্লাগতেছেনা। আমি বিলাইরে বললাম, দেখছ জোনের বাইরে থাকার প্রোবলেম? পরে কপালগুনে সিএনজি পেয়ে আসতে আসতে আমরা একমত হইলাম যে পরের আড্ডা বেইলি রোড থিকা রামপুরা পর্যন্ত জোনের মধ্যে করা উচিত।
টিম ও নেলা
ও হেনরির দ্যা গিফ্ট ওফ ম্যাজাইয়ে জিম ও ডেলা একজন অপরজনকে যে উপহার দেয় তা জিম বা ডেলা কারোই ব্যাবহারিক কোন কাজে লাগেনা। গল্প পড়ে আমাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে। কিন্তু টিম ও নেলার গল্পটা আনন্দের। টিম যখন নেলার জন্মদিনে দেয়ার জন্য দামী নোকিয়া ফোন কিনছিল তখন আমি সেখানে ছিলাম। ভালবাসার মানুষকে খুশি করার এই চেষ্টা দেখে ভাল লাগছিল খুব।
টিমের একটা ডিএসএল ক্যামেরার শখ ছিল। টিমের বন্ধুদের অনেকের ক্যামেরা আছে। পিকনিক বা ফটো ওয়াকে বন্ধুদের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলেছে। নেলা জানে ছবি তুলতে সে পছন্দ করে কিন্তু নিজের জন্য এত টাকা দিয়ে ক্যামেরা কিনবেনা।
টিমের জন্মদিনের সপ্তাখানেক আগে নেলা আমাকে জানায় টিমের জন্য ক্যামেরা কিনবে। আমি যেন তার সাথে গিয়ে সাহায্য করি কেনার ব্যাপারে। কিন্তু জন্মদিনের আগে পর্যন্ত জিনিসটা গোপন রাখতে হবে। সাথে সাথে আমার জিম ও ডেলার কথা মনে পরল। মনটা ভরে গেল। ভালবাসার মানুষ কে খুশি করতে এই যে দুইজনের প্রচেষ্টা তার সাথে কি কোনো কিছুর তূলনা হয়!
টিমতো হয়েই আছি এখন খালি নেলার অপেক্ষায়।

সিলেটের দিকে খুঁজো।
ঐ এলাকা তো আমার জোনের মধ্যে না।

আমি জোনের বাইরের লুক।
এরম একজন যদি পাইতাম, এত্ত ভালোবাসবে, আবার ক্যামেরা ও দিবে। আহারে কেউ নাই। আফসুস।
তোমার কষ্টে ইচ্ছা করতেছে আমার্টা তোমারে দিয়া দেই।
এই জীবনে কেউ কুনুদিন আমার কষ্ট বুঝলো না। কবে দিবেন কন।কত যে ভালুবাসি বঝলেন না তো!
রায়হানভাই, ক্যাম্রা নেয়ার লাইনে আমিও আছি কি্ন্তু,
একটা কেমেরা দুইজনরে দেই কেমনে। থাউক তাইলে।
আপনার মনে এই ছিলো রায়হান ভাই? আবারো জেবীন প্যাঁচ লাগাইলো। জীবনে আমার কিছুই হইলো না। আফসুস।
এরম একজন যদি পাইতাম, এত্ত ভালোবাসবে, আবার ক্যামেরা ও দিবে। আহারে কেউ নাই। আফসুস।

সমবেদানা। এরম জীবন রাইখা কি লাভ?
থাক টিস্যু দিয়া আর নাক মুইছেন না। আমগো ঋহানের কাছে শিখেন কেমনে টিসু দিয়া মুখ মুছতে হয়।
টিম আর নেলা কি ব্লগের কেউ নাকি?
তোমারে এই ব্লগ থেকে বহিষ্কার করা উচিত।

এরম ঝাড়ি দিলেন? ডরাইব তো!
কেন ভাই আমি কি করলাম
হ তুমি কিছু করো নাই!!!
সেই কবে থেকে পোস্ট দিবা তার একটা মুলা ঝুলায় রাখছো।আবার এখন ব্লগের টিম আর নেলারে চিনো না।তোমার এইজীবন রেখে লাভ আছে? তুমিই কও?
আছো তো খালি ঈদের দিন লায়ক সেজে পোজ দেয়ার বেলায়। তা শাহাদত হইতে মুন চায় নাকি?
না ভাই আমি লম্বা ও না, ফর্সা ও না
আপ্নেগো জোনে কবে আড্ডা?
টিম আর লেলা'রে ভালা পাই
ঐ জোনে আরো কিছু বলগার পাইলে দাবী শক্ত হইত। গৌতম আছে আমাদের জোনে। এই জোনে সাঈদ বা মৌসুমের মত কেউরে খুজতেছি।
এখন থেকে আমরা বন্ধুর যাবতীয় আড্ডা হবে বেইলি রোড, বাসাবো, রামপুরা ইত্যাদি এলাকা বা কাছাকাছি। নির্দেশনা আজ থেকে কার্যকর হবে।
ঠিকাছে। কবে দাওয়াত দিবেন কইয়া ফেলেন।
বেশির ভাগ নেলারা কি পছন্দ করে তার পাশের লোক সেটা জানেই না। উলটা বিরক্ত হয়, তোমারতো পছন্দের শেষ নাই, কতো মনে রাখবো।
অল্পকিছু নেলারাই লাকি
তুমি কী দিছো দিম ভাইরে?
বাহ!!!
সুন্দরতো ঃ)
দারুন না?
টিম
নেলার কান্ডকারখানা অনেক পছন্দের! . 

আপ্নেদের ঐদিকের জোনে পাব্লিক কেম্নে যাইবো এত্তোদূরে, আর আপ্নের অফিসও তো আড্ডার জোনেই!
পাব্লিকের চিন্তা পাবলিক্করবো। আড্ডা দিয়া ফির্তে আম্রা যখন কষ্ট করি তখন পাব্লিকরা আরামে বাসায় যায়।
সিলেটি নেলারা যে এরম আগে যদি জানতাম
আফসুসের ইমো কোনটা?
পোলার আসল নাম 'ডালিম' আর মাইয়ার আসল নাম 'গীতি' হইলে খবরই ছিলো
এই ভোরবেলায় মৌসুম ব্লগে! ভূত না তো! লা ইলাহা......
আল্লাহর রহমতে রুটিন ঠিকঠাক কইরা ফেলছি, এখন রাইত ৩টায় ঘুমাইতে যাই, সকাল ৯.৩০টায় উঠি।
মাশাল্লাহ। এই উপলক্ষে আজ একটা ছুটু মিলাদ দেন্।
আইসা পড়েন, আইস টি খাওয়ামু
খালি টি? টির সাথে জিলাপী ছাড়া কুনু কিছু নাই?
জিলাপি তো শেষ! তবে সেইটা বড় সমস্যা না, টুটুল ভাইরে জানাইলেই হবে। আমার টেবিলে আছে বিস্কিট। আর ফ্রিজ দেইখা আইলাম, কয়টা কলমী শাক, কয়টা মরিচ, একটা টমাটো আর অর্ধেকটা লাউ আছে। আর আছে পাউরুটি আর জ্যাম। এমনিতে একটু পর বাজার করতে বাইর হমু, তার মানে আরো অনেক জিনিষ আসিতেছে
আপনেরে বাসাটা কুনু কিছু দিয়া টাইনা আরেকটু কাছে আনেন, তাইলে রায়হান ভাই যাইব কইছে আইস টি খাইতে।
ফ্রিজে তো মেলা জিনিস আছে।
আমার বাসা তো কাছেই! আর গাড়িওয়ালাদের আবার এতো ঢং কিসের। গাড়ি লইয়া ক্যাম্পাস যাইয়া আপনেরে নিয়া সোজা নিকেতন
ও আচ্ছা, দুই রায়হান গুলাইছি
কুনু গাড়িওয়ালারে তো দেখতাছি না, তাইলে আজ দুপুরে রানতে হইতো না।:D
আইসা পড়েন, আমি চা বানান শুরু কইরা দিলাম।
রায়হান ভাই চুপ কইরা তসবী পড়তাছে। একলা তো আইতে পারিনা। আমার ফ্রিজেও নানান জিনিস আছে।
তসবি পড়ে ক্যান? ফোন দিতে থাকেন, ধ্যানে ব্যাঘাত ঘটান। আপনের ফ্রিজের জিনিষপাতি নিয়া রওনা দ্যান।
Hasan Raihan: gum dorse
(
দেখছেন? খোচাইতেই আছি। মনে হয়, বাসায় ও রান্না হবে না, দুপুরে খাওয়াও হপে না আমার
আমার বাসায় আইসা ঘুমাইতে কন। আর আপনে একটা সিএনজি ধইরা আইসা পড়েন। নিউ মার্কেটের সামনে তো পাওয়ার কথা।
আড্ডাবাজি করে জীবনটা পার হলে তো ভালোই হতো!
তাই তো করার প্ল্যান
মাইনষের কত সুখ! হিংসা লাগে।
আপনের আইস টি টা জোশ লাগছে।
কয়দিন ধরে কেমন অস্থিরতায় দিন কাটাইতেছি। অস্থির অস্থির লাগে সারাক্ষণ, কেমন যেনো হু হু করা একটা অনুভূতি.... তাই এমন ঘুইরা বেড়াইলাম, জ্বালাইলাম লুকজনরে।
আপনাদের জোনে আড্ডা দিয়ে বাড়ী ফেরা ব্যাপক কষ্টের। অনেক হেঁটে মেইন রোডে আসলাম, অনেকক্ষণ দাঁড়ায়ে থেকে রিক্সা, তারপর সি এন জি, তারপর আবার রিক্সা।:((
রায়হান ভাই মগবাজার ওভারব্রীজের নীচে নেমে গেলো।:D
এইটা ক্যানো হয় বুঝতেছিনা, আমিতো যাই ক্যাম্পাস সিএনজি নিয়া। আড়ং-এর গেইটে গেছিলেন? ঐখানে তো সিএনজি থাকে!
আমরা তো আড়ং ই পাই নাই খুঁজে। দুনিয়া ঘুরে মেইন রাস্তায় আসলাম।
টিম - নেলা কি নতুন ক্যামেরা নিয়া ঘুরতে বের হইসে নাকি?
নোপ! টিম্নেলার মধ্যে এখন রাগ অনুরাগ পরব চলিতেছে।
আমিও এবার পেয়েছি একটা হিউজ গিফট
কী?
হাহা, বিশেষ কিছু না, খাট। তাওতো এটা বড় গিফটের ক্যটেগরীতেই পড়বে, তাই না?
খাট গিফট পাইছেন! কাহিনিটা বিস্তারিত শুনি।
বিবাহের সময় পুলারা শ্বশুর বাড়ি থেকে খাট গিফট পায় না? মনে কষ্ট পাইলাম যে, দাওয়াত পাইলাম না।
মীর আমাদেরকে দাওয়াত না দিয়া বিয়ে করে ফেলছে! দিক্কার।
দিক্কার দিয়া আর কি করবেন? আপনের এরমই বন্ধু।খাট পাইছে সেইটা শুনায় যাতে আমরা বুঝে নেই। আমাদের দোয়াও নিলো না। নিঠুর বন্ধু আপনের। আপনের মত।:P
মীর, দেখলেন আপনেরে জয়িতা কি ট্যাগিঙ করলো, সুযোগ মতো আমারেও দিলো
কেনু? আপনি কি কইতে চান আপনের বন্ধু মীর নিঠুর না? কয়দিন পর পর যে হাওয়া হয়ে যায়, আমরা কি খুঁজে পাই তারে? আর আপনি কি নিঠুর না? কর দেখি সাহস কইরা!
আমি নিঠুর হৈলেও হৈতে পারি
মীর নিঠুর না
সে আত্মগোপন টাইমে বিয়া করছে, বিয়া করা ফরজ কাম।
আর বিয়া কইরা বন্ধুদের না জানানো কেমন কাজ?
আপনে কেন নিঠুর হবেন? নিষ্টুর হবে পুলারা। আল্লায় তাদের দয়ামায়া দেয় নাই।
ওহ! আমি তাইলে নিঠুর না! আল্লাহ এই যাত্রা বাঁচাইছে
আপনাগো নিঠুর বন্ধু মুনে লয় খাট পাইছে এখন তোষক চায়!!!
বাপ আমার পুরান পাশি'ভাঙ্গা খাট বিদায় করে নতুন খাট-তোষক-বিছানা দিছে। আর কোনো বিষয় নাই।

লীনা আপু কেমন আছেন? আপনারে কতদিন পর দেখলাম। আসেন চক্কর দেই
ঠিকাছে। আপনের বন্ধুরে ডাইকা আইনা দিলাম আর দুইজনে চক্কর খান, আমরা দুধভাত!
হাহাহা, আপনে এই ভরসন্ধ্যাবেলা ব্লগে কি করেন? বাসায় কুনু কাজ নাই? নাকি উদাস হৈসেন সন্ধ্যা নামা দেইখা?
@মীর, এইবার একটা দাও নিয়া খাট টা মাঝখান থিকা কাটার অভিনয় করেন, আর চিল চিল্যান দিয়া বলেন, এতবড় খাট দিয়া কী হইব...
জ্বি না আমার এতসুন্দর খাট আমি কাটতে চাই না। বাপে খাট দেওনের সময় কৈসে- গ্রামদেশ থিকা তোর মামা-চাচারা আসলে শোয়ার জায়গা নিয়া টানাটানি লাগে, তাই এইবার বড় খাট বানায় দিলাম।
মন্তব্য করুন