একটা আলোচনা: বাঙালি মুসলমানের বিজাতীয় নাম
গতকাল বন্ধু ফোন করলে কথায় কথায় জিজ্ঞাস করলাম ছেলের নাম কী রেখেছে। একটা আরবি নাম বলল আর ডাক নাম আরাব। আমি বললাম একেবারে সৌদি আরব ই রাখতি। এই বিষয়ে আমি মনে হয় একটু বেশি জাতীয়তাবাদি। বাঙালি মুসলমান এমনে বাংলা নিয়া জান কোরবান করে ফেলে। কিন্তু নাম রাখার বিষয়ে জাতিগত অহম মোটেও কাজ করেনা। সেই সময় জাতীয়তা ফেলে ধর্মীয় পরিচয়টাই তার কাছে আসল। সোমালিয়া, ইয়েমেন, সৌদি নাম থেকে তারে আলাদা করা যায় না।
আমি ভাবি নিজের ভাষা নিয়া গর্ব করার বোধ বাঙালির কেন করে না। হাজার হাজার বছর পরাধীন গোলাম থাকার জন্যই কি নিজের ভাষা কে হেয় করে বিজাতীয় ভাষা মহান করার মানসিকতা গড়ে উঠেছে। ইরান পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার আধিকারী। সেজন্য দেখি মুসলমান হওয়ার পর নামে আরবির সাথে ফার্সি শব্দ আছে। বাংলাদেশে একজন খেলোয়াড় খেলে গেছে নাম রহিমভ। ধর্মে মুসলমান কিন্তু জতীয়তাও বিসর্জন দেয় নাই। কিন্তু আমাদের আব্দুল, কুদ্দুছ, মোতালেব এইসবে কি বোঝা যায় কোন জাতির?
আগে তো তাও নকল(ডাক) নাম বাংলা রাখার চল ছিল। কিন্তু ইদানিং সেইটাও বাদ। এমন এক ধর্মীয় জিগির যেন উঠেছে ডাক নাম ও বাংলা রাখা যেন হারাম। রাইয়ান, পারিসা, দিহানা দখল করেছে রাতুল, অর্পি, আনিন্দ্যর জায়গা। রুমার মেয়ের নাম সুমাইয়া।
এই বিষয়টা আমাকে কেন জানি বিচলিত করে প্রায়ই। আজ এইটা নিয়েই ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এবং সেটার উপর বেশ আলোচনা হয়েছে। বিমা মুকুলের পরামর্শ মত বিষয়টার আরো আলোচবার নিমিত্তে পোস্ট দিলাম। নিচে ফেইসবুকের আলোচনাটাও দিলাম
------------------------------------------------------------------------------
Hasan Raihan শুনলাম বন্ধুর ছেলের নাম রাখছে আরাব। সবাই কেন পোলাপানের জন্য বিজাতীয় নাম রাখাতে পাগল হইল বুঝে আসেনা। বন্ধুর ছেলেরে এইজন্য দেখতে যাইতেও ইচ্ছা করতেছেনা। বিজাতীয় নামে আমার মিজাজ এরম খারাপ হয় কেন! আর কারো তো কোনো প্রোবলেম দেখিনা। সমস্যা মনে হয় আমারই।
3 ঘণ্টা আগে · মন্তব্য · ভালো লেগেছেভালো লাগেনি
Saifur Saki, Haseeb Mahmud, Tutul Chowdhury সহ অন্যান্য 2 জন এটি পছন্দ করেছেন।
Murad Hafiz : জাতিগত ভাবেই আমরা ভোদাই মার্কা মুসুল্লি।
Tutul Chowdhury : ho
Mahfuza Khanam Jyoti: ekmot
Shahidul Islam Mukul : মুরাদ হাফিজ, মাহফুজ খানম, হাসান রায়হান - এগিলি কি বাংলা ?
Hasan Raihan : keu koise agili bangla?
Murad Hafiz :'তারিক আজিজ' নামটা কি ইসলামি ?
Shahidul Islam Mukul : আমি বরঞ্চ নাম দেয়ার বাংলাদেশী স্বাধীনতা উপভোগ করি। যার যেমন ইচ্ছা রাখুক। চাইনিজ হৈলে তো "চিং মিং" টাইপ নামের বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকতো না।
Hasan Raihan : হ বাংলাদেশি স্বাধীনতটা সবাই উপভোগ করে। খালি সমস্যাটা আমার, আগেই বলছি। আরবি, উর্দু , ইড়াণি যা খুশি রাখো কিন্তু বাংলা রাখতে গেলেই বেহেস্ত ছুইটা যাওনের ভয়।
Shahidul Islam Mukul : বাংলা নাম রাখলে বেহেস্ত ছুইটা যাইবো, এই ডরেই কেউ কেউ বাংলায় রাস রাখেনা- এই ধারণা আপনার কেন হৈলো ? আপনার বন্ধু কি তার মনের কথা প্রকাশ করছে ?
Hasan Raihan : তা না হইলে সবাই কী কারণে বাংলা নাম রাখতে চায় না বইলা তুমি মনে করো?
মুক্ত বয়ান mukto boyan : http://www.sachalayatan.com/ragib/31074
এই রুল ফলো করতে পারেন।
Shahidul Islam Mukul : সবার কথা কৈতারুম না। আমার পরিবারে সব মিক্সড হৈয়া গেছে। প্রথাগত মুসলিম পরিবারে নাম রাখার প্রচলিত ধারার সাথে - পিয়েতা, নভেরা, অন্তর, অন্বেষা, অনন্যা..... এই টাইপের নামও দেয়া হচ্ছে।
Mahfuza Khanam Jyoti : Nam rakhar khetre asole meaning ta joruri.namer ortho ta ki?namer ortho sundor hole jekono nam rakha jai.
Hasan Raihan :- পিয়েতা, নভেরা, অন্তর, অন্বেষা, অনন্যা..... এই টাইপের নামও দেয়া হচ্ছে।
-------------------------------
এগিলি নিশ্চয়ই নকল নামের বেলায়
Shahidul Islam Mukul : বাই দ্য ওয়ে, আমাগো জৈতার পুলা হৈলে তার নাম যদি "আরাব" রাখা হয়, আপনি দেখতে যাইবেন না। - এইটা জাইনা দু:খ পাইলাম।
(জৈতা এইটা পৈড়ো না। )
Hasan Raihan :এইটাতো তোমার ফতোয়া। ঐদিন ইয়াযিদ ভাই বললো না যে মুসলামানদের আরবি নাম রাখা ফরয।@ বেলি
Shahidul Islam Mukul :পিয়েতা, নভেরা, অন্তর, অন্বেষা, অনন্যা..... এই টাইপের নামও দেয়া হচ্ছে।
-------------------------------
এগিলি নিশ্চয়ই নকল নামের বেলায়
================
আসল নাম কি জানিনা। এগিলি সব ভাইগ্না ভাগ্নী। আসল নাম মনে থাকেনা। তবে আসল নাম প্রথাগত মুসলিম পরিবারে যেরকম হয় সেরকম হওয়াই স্বাভাবিক। এইটা হচ্ছে ঐতিহ্য। এইটার সাথে বেহেস্ত পাওয়া না পাওয়ার সম্পর্ক আছে বৈলা মনে হয় না। মানুষ স্বভাবতই তার পারিবারিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক - সব ধরনের ঐতিহ্যের সাথেই নৈকট্য অনুভব করে। নাম রাখার কোনটারে বেশি প্রাধান্য দিবে সেটা তার ব্যক্তিগত অভিরুচি।
Hasan Raihan : তোমার কেমনে মনে হইল বেহেস্তের সাথে সম্পর্ক নাই। তুমি তো আর রাখ নাই কিংবা জিগাও নাই। তুমি বলছ আন্দাজে। আমি কিন্তু মেসবাহ ভাইরে জিগাইছিলাম। আর এইখানে বাঙালি মুসলমানদের নাম রাখার নিয়া আলোচনা করতেছি ব্যক্তিগত অভিরুচি টুচি নিয়া না।
Sohel কাজী : আইজ শেক্সপিয়ার আঙ্কেল জীবিত থাকলে আত্ম হত্যা করার টেরাই লইতেন।
Hasan Raihan : Kan kaji?
Shahidul Islam Mukul: মেসবাহ ভাই যদি বৈলা থাকে- তাইলে ভিন্ন কথা। সেটা তার অভিরুচি। কিন্তু বাঙালি মুসলমান নাম দেয়ার ক্ষেত্রে তার ধর্মীয় ঐতিহ্যরে গুরুত্ব দেয়াটাই স্বাভাবিক। সে বেহেস্ত লোভী না হৈতেও পারে, নাও পারে। আবার যেমন বাঙালি হিন্দু আরবী/ফার্সী/হিব্রু নাম কখনোই দিবে না। তার ধর্মীয় ঐতিহ্যের সাথে ঐটা যায় না।
এখন এটা কি স্বাভাবিক না ?
প্রায় এক ঘন্টা আগে ·
Hasan Raihan : আবার যেমন বাঙালি হিন্দু আরবী/ফার্সী/হিব্রু নাম কখনোই দিবে না। তার ধর্মীয় ঐতিহ্যের সাথে ঐটা যায় না।
-------------------------------------------------------------------
চউক্খে পানি আয়া পড়ল হাসতে হাসতে। বাঙালি বাংলা নাম থুইয়া অন্য নাম রাখব ক্যান?
Shahidul Islam Mukul : আপনার কথা শুইনা মনে হৈতেছে বাংলা একটা ভার্জিন ভাষা। এইটাতে কোন বিদেশী শব্দ নাই!
Hasan Raihan : কিন্তু বাঙালি মুসলমান নাম দেয়ার ক্ষেত্রে তার ধর্মীয় ঐতিহ্যরে গুরুত্ব দেয়াটাই স্বাভাবিক।
-------------------------------------------------
ধর্মীয় ঐতিহ্যরেই খালি গুরুত্ব দিয়া বিজাতীয় নাম রাখুক। জাতিগত ঐতিহ্য বইলা কিছু নাই । ঐটা নিয়া চিন্তা করারও দরকার নাই
Shahidul Islam Mukul :ধর্মীয় ঐতিহ্যরেই খালি গুরুত্ব দিয়া বিজাতীয় নাম রাখুক। জাতিগত ঐতিহ্য বইলা কিছু নাই । ঐটা নিয়া চিন্তা করারও দরকার নাই
=- = =
অবশ্যই আছে। অনেকে রাখতেছেও। আপনি নিশ্চয়ই রাখছেন/ রাখবেন। এইরাম আরো লোক নিশ্চয়ই আছে। এখন এইটা যার যার স্বাধীনতা মানি আমি। কেউ যদি আফ্রিকান কোন অপ্রচলিত নাম পছন্দ কৈরা রাখতে চায়, তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। এইসব ব্যাপারে আমি আসলে একেবারেই রক্ষণশীল থাকতে চাই না।
Murad Hafiz : নাম নিয়া কিন্তু ম্যালা ফতোয়া আছে মুক্লা।
"রোজ হাশরে বেহেস্তের দরজায় মরিয়ম বলে যখন ডাক দেয়া হবে তখন লাখ লাখ মরিয়ম বেহেস্তের দিকে রওনা দিবে। এর মধ্যে অনেকে মুমিন অনেকে পাপী , কিন্তু মরিয়ম নাম থাকার কারনে পাপীদের অনেকে বেহেস্তে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যাবে" (জোড়সে বলেন সুবহানাল্লা)
(এইটা কিন্তু হাদিস, তবে বোখারী নাকি কার সেইটা এই মুহূর্তে কইতারুম্না)
Shahidul Islam Mukul : হা হা হা। এই হাদীস তুমি কৈ পাইলাম বিমা? আমি কিন্তু এইটা প্রথম শুনলাম। কসম।
Hasan Raihan : আরে মিয়া আমি তো প্রথমেই বলছি এই যে জাতিগত অহম বোধের বিষয়টা লৈয়া নিরানব্বই ভাগ লোকের তোমার মতই অবস্থা। কারো এইটা নিয়া সমস্যা নাই ।
Hasan Raihan
আমি কী বেহেসতে যাইতারমু মোচলমান নাম লয়া @বিমা
Shahidul Islam Mukul : রায়হান ভাই একবার কো এক চ্যাটে মনে হয় বলছিলেন যে "বাঙালি মিশ্র জাতি"। সেই কারণেই হয়তো জাতিগত অহমের বিষয়টা তীব্র না!
আইচ্ছা, এই নিয়া ফেসবুকের হিট না বাড়ায়া আমরাবন্ধুতে একটা পোস্ট দিলে আরো ভালো হৈতোনা ? লুগ্জনও জমায়া ফেলতো।
Murad Hafiz : এইটা কোথায় যেন পড়ছিলাম। এইটা আসলে রুপক হাদিস (আমার মনে হইছে) 'মরিয়ম' দিয়া ইসলামি নামকরন বুঝানো হইছে। আরেকা হাদিস আছে -
'পাপী এবং মুমিন যখন আলাদা করে ফেলা হবে তখন নবী মুহাম্মদের উ্ম্মতদের মধ্যে পাপী বান্দা যারা থাকবে যাদের যাদের কোন উপায়েই বেহেস্তে যাওয়া সম্ভব না তখন তাদের নাম এর সোয়াবে তারা বেহেস্তে যাবার সুযোগ পাবে '
প্রায় এক ঘন্টা আগে ·
Hasan Raihan : কমকইরা হইলেও শতকরা নব্বই ভাগ বাঙালি মুসলমান এরম হাদিস ফলো কইরা নাম রাখে। আর আমগো মুকুল সুফি মুসলমানের থিওরি দিয়া এইটা চিন্টা করতাছে
Sohel কাজী : আঙ্কেল বলেছিলেন নামে কি আসে যায়।
------------------------------------
আমার বক্তব্য উলটা, আমি মনে করি নাম রাখা উচিত নান্দনিক।
আর নামের আগে মুঃ ও শেষে ইসলাম সচেতন ভাবে পরিত্যাগ করা উচিত।
এই দুইটা অংশের জন্য বিশ্বের অনেক দেশে হুদাই লাঞ্ছনার শিকার হৈতে হয়।... আরো দেখুন
যেহেতু দেশের অবস্থা দিন দিন করুণ হইতেছে সেহেতু আমার সন্তান বড় হইয়া বৈদেশে গিয়া সেটেল হইবে/পড়ালেখা করবে সেই দৃষ্টিভঙ্গীতে নাম রাখা উচিত। শুধু মাত্র নামের কারণে সন্তান লাঞ্ছিত হবে সেটা বাবামার খেয়াল রাখা উচিত।
প্রায় এক ঘন্টা আগে ·
Hasan Raihan :Ok mukul post ditasi. Aita lekhte lekhte current gelo. Allah mone hoy heavy khepse amar Upre.
Murad Hafiz : রায়হান ভাই একটা পুস্ট দিয়ালান .... তাইলে নথীপত্রে থাকবো
Shahidul Islam Mukul : আরেকটা কথা, "সোনামনিদের বাংলা নাম" - এইরকম একটা বইয়ের প্রয়োজন হৈয়া পড়ছে খুব। রহিম, করিম, হাসান, হোসেন- এগিলিরে বেশির ভাগ মাইনষে এখন বাংলা মনে করে। তাই আলাদা করা দরকার।
আমাগো আমলে বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলমান বাপ-মায় আরবী নামে আস্থাশীল ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী কালে এইরম একটা সিদ্ধান্ত উদ্ভটই লাগে। যেই জাতি বাঙালি জাতীয়তাবাদের ঝান্ডা আকাশে বাতাসে উড়াইয়া দেওনের চেতনায় যুদ্ধ বাধাইয়া ফেলছিলো সেই জাতির মুসলিম মানুষেরা নাম রাখনের বেলায় আরবী ছাড়া আর কোন ভাষার কথা ভাবতে পারতো না!? তয় ডাকনামে বাঙালিত্ব রাখনের সেই পুরাতন চলটা ছিলো তখনো। তয় জামায়াতিরা রাজনীতি করনের পারমিশন করনের পর দেখা গেলো উল্টাটা। পুরা নব্বই দশক জুইড়াই চললো বাংলা নামের ফ্যাশন। ৭০'এর প্রজন্ম তাগো পোলাপাইনের সার্টিফিকেট নামে বাংলা ব্যবহার করতে শুরু করলো এই সময়ে। যাগো নামে মুসলিমত্ব বলকাইয়া উঠতো তারা নিজেগো নাম পাল্টাইয়া ডাকনামের বাংলা অংশ সামনে আইনা পরিচয় তৈরী করতো। ফেইসবুকে ঐ প্রজন্মের আইডি দেখলেই টের পাইবেন।
কিন্তু হঠাৎ কইরাই এই একবিংশ শতকে ফিরা আসলো আবার সেই ইসলামী নামকরণের এক বিশেষ ফান্ডা। এখন দেখি আমার প্রগ্রেসিভ অনেক বন্ধু বান্ধবও তাগো পোলা মাইয়ার মুসলিম নাম রাখে। ডাকনামেও তাগো মুসলিমত্ব ফুটে অনেক তেজ নিয়া।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ নিয়া আমরা যখন এতো ফালাফালি করি তখন আমাগো আরবীয় ঘোড়ার জাতীয়তাবাদ রীতিমতো দৌড়ায়। সেই দিনের তর্কে আমিও ছিলাম। ধর্মমতেও যে বাংলা নামের কোন বাধা নাই সেই তত্ত্ব দেওনে আমাগো প্রগ্রেসিভ সেক্যুলার বন্ধুরাও যেমনে রিয়্যাক্ট করলো তাতে আমি ভয় পাইছি...
হাজার বছরের জাতীয়তাবাদ আজ যবনগো দৌরাত্মে দৌড়ায়...
ইমরান, পারিসা, দিহানা, রুহামা এইগুলি রিমঝিমের স্কুলের সহপাঠিদের নাম। রিয়াসাত ডাকনাম রাখছে আমার কলিগ তার ছেলের। কলিগের নাম সুবর্না ইসলাম।
আমার পরিচিত একজন তার ছেলের জন্য কমন একটা ইংরেজী নাম রেখেছে, কারন তারা নাকি সেইরাম কোন দেশে বসবাসের পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে বিদেশীরা যাতে সহজে নাম ধরে ডাকতে পারে সেজন্য বাংলা নামের পরিবর্তে ইংরেজী নাম..যুক্তিটা মন্দ না, কি বলেন?
এই পোষ্ট পইড়া হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। মুকুলরে কই, আমার পোলার কি নাম রাখব তা জানি না। রায়হান ভাই, দেখতে যাবে না এইটাও বিশ্বাস করি না। তবে আমি বিশ্বাস করি নাম যাই হোক তা যেনো সুন্দর হয়, অর্থ ভালো হয়।নাম ডাকতে যেন ভালো লাগে।
বিমার এই হাদিস আমিও শুনছি। ওয়াজে এই হাদিসের সাথে সুবহানাল্লাহ পড়তেও শুনছি। তবে হাদীস এর উপড় খুব বিশ্বাস নাই। অনেক কিছুতে দ্বিমত আছে, অনেক কিছুতে কোন মত নাই। আমার বাবা বলে এসবে যেন যুক্তি না খুঁজি। তাই খুব মাথা ঘামাই না।।আমি বিশ্বাস করি কোরআন।সৃষ্টিকর্তায় পুরো বিশ্বাস আমার। তবে নাম নিয়া ফতোয়ায় কোন ফিলিংস নাই। নাম হবে সুন্ন্দর। অর্থ হবে সহজ , সুন্দর।
জৈতা, তোমার উদাহরণটা ইচ্ছা কৈরাই দিছি। কারণ তোমারে সবাই ভালা পায়। তোমার পোলার নাম আরবী দিলে রায়হান ভাই দেখতে যাইবো, এইটা কোন হিসাবে বললা ? উনি কিন্তু ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলছেন যে, উনার বন্ধুর পোলারে এই কারণে এখনো দেখতে যায় নাই।
মেসবাহ ভাই এর ছেলের নাম কিন্তু আরবী এবং কি যে নাম অলরেডি ভুলে গেছি। এখন মনে আছে সমুদ্দুর। মেসবাহ ভাই এর ছেলেকে কিন্তু রায়হান ভাই দেখতে গেছে এবং ২ কেজি মিষ্টি একা খাইছে।অতএব আমার পোলা(সে কই?) রে দেখতে যাবে না এইটা আমি বিশ্বাস করি না। মনের টান বলে কথা।নাম যাই থাক। সে আমার অংশ সেটাই বড় কথা।
নাম বাংলা রাখাই যায়, কেউ আরবী রাখলেও ক্ষতি কি? একই ব্যাপার, সাহাবীদের নাম রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। এটা প্যাশন থেকে বা ভালোবাসা থেকে। মনে হয়না ধর্মান্ধতা থেকে,
আমার নিজের নামটা পিওর আরবী না! এটার ইন্ডিয়ান অরিজিন আছে, কেউ বুঝবে? এটা পার্সিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে একটা স্পষ্ট শব্দ জোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কীয়। সর্বোপরি এটা একটা এরাবিক শব্দও। আমার বিশ্বাসী বাবা -মা একজন প্রখ্যাত সাহাবীর নাম থেকেই রেখেছেন। যেখানে আমার মায়ের নামও বাংলা শব্দ। জাতীয়তাবাদের চেয়ে বিশ্বাস বড় কিনা, নাম রাখার সময় এতোটা হয়তো ভেবে দেখেন না সব বাবা-মা। খুব রিলেটিভ ব্যাপার মনে হয় আমার কাছে, বল্টু পল্টুর চেয়ে একটা আরবী শব্দ থেকে নাম রাখাটা বেটার মনে হয়। কুরয়ানের ভাষা তাই প্যাশন আরো কাজ করে। খুব একটা কি বিতর্কের বিষয় ? আমার ব্যক্তিগত মতে না আর কি
আমার কাছে বিশাল বিত্র্তর্কের বিষয়।
আমার নাম রুধীণ মানে হইলো "বক্ষ ভেদ করিয়া"। পোলার নাম রখছি "অনন্য"। আরবী নাম অনেকেই রাখে ধর্মীয় অনুভূতির কারণে। আমার বাংলা নামই পছন্দ।
আপনারে ধন্যবাদ।
এই নাম ধইরা টান দিলে মনেহয় নামের সাথে আরো অনেক কিছুই আসে অচিন দা।
।
আমরা কি বাঙালী হিসেবে গর্বিত বাদ দেন আমরা বাঙালী কিনা সেইটাই একটা প্রশ্ন - যে আমরা বাংলা নাম রাখবো?আমরা এক মহা দোদুল্যমান জাতিসত্ত্বা; আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ বাঙালী নাকি মুসলিম বাংলাদেশী সেই প্রশ্নের উত্তরো খুইজা পাইনা।একদল হাজার বছরের বাঙালী ঐতিহ্য সঙ্স্কৃতিরে আপন ভাবে আরেক দল ঐটারে হিদুয়ানি বইলা মুছে ফেলতে চায় (শহীদ মিনারে ফুল দেয়া ; বাণী চিরন্তনী এইগুলা শিরক এইজাতিয় কথা স্বাধীনতার এত বছর পরেও শুনতে হয়; আর ব্লগগুলার কথাতো বাদই দিলাম)। আমরা এমনি হীনমন্যজাতি যে আমাগো স্কুল লেভেলের ইতিহাস পাঠ্যবইতে প্রীতিলতা-সূর্য্যসেন এর নাম আছিলো না বাঙালী বীর হিসেবে (এখন আছে কিনা জানিনা), আমাগো জাতিয় বীর আছিলো বখতিরা খিলজী; (এইটা নিয়াতো আপনার পুরা সিরিজ আছে)।সো বাঙালী নাম না রাখাটাই স্বাভাবিক না।
অনেকেই কিন্তু ধর্মান্তরিত মুসলমান যাদের পূর্বপুরুষের বাস এই অবিভক্ত ভারতেই ছিলো এইটা ভাবতে সচ্ছন্দ না বরং আরব থেকে আসা সৈয়দ বা খোন্দকার হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করে বা গর্বিত অনুভব করে। তাদের কাছে আরবদেশীয় সব কিছুই আভিজাত্যের প্রতিক সেইটা সচেতনে বা অবচেতনে অন্যদের মাঝেও কাজ করে।এইভাবেই হয়তো আরবী নাম রাখার কালচারটা শুরু হইছে।
অতীত কালে মানুষের সভ্যতা-সঙ্স্কৃতি ধর্মরে কেন্দ্র কইরা আগাইতো; সো এই উপমহাদেশেও তাই হইছে; বাঙালী নাম বলেন বা সংস্কৃত নাম সেগুলার বেশ বড় একটা অংশ হিন্দু পুরাণের নামের সাথে মিলে যায় স্বাভাবিক সে কারনেও হয়তো অনেকে এসব নাম রাখতে চায় না। মোঃ কৃষ্ণ শুনতে কেমন লাগে কন; আমার এক পরিচিত জনের নাম আসলেই মোঃ কৃষ্ণ, তার নাম কওয়ার পর ৯০% মানুষ তারে জিগাইতো তার মা-বাবা কেউ হিন্দু কিনা? এই জাতিয় যণ্ত্রনার জন্যও মনে হয় কেউ ঐদিকে যায় না।
সৈয়দ বা খোন্দকারের মতো কিন্তু চৌধুরী বংশ নিয়াও অনেক গর্ব করতে দেখছি...(আমার মায়ের দিক চৌধুরী, একটু গর্ব করলাম )
একমত সম্পূর্ণ। প্রায় একশ বছর আগে সংবাদপত্রে লেখা হইছিল 'এইসব লোকেরা সিলেটে , বরিশালের বা অন্য কোনো গ্রামে বেড়ার ঘরে শুয়ে এখনো বোগদাদ আরবের স্বপ্ন দেখে।' সেই অবস্থা এখনো আছে।
নিজের নামের অর্থ জানি না...তবে নাম বলতে সহজ আর সুন্দর হলে আরবি কিংবা ইংরেজি-বাংলা যেটাই হোক ব্যাপার না।
আমার কাছে ব্যাপার।
কাজে আটকা পড়ছিলাম .... সময় মত বিতর্কে থাকতে পারলাম না ,,,, ধুর।
আজকেই প্রথম আলো'র ৬ নাম্বার পৃষ্ঠার ৬ নাম্বার কলামে দেখলাম এক জন্মদিনের খুশির বিজ্ঞাপন, এক পিচ্চির দুইটা ফটু দিছে, সাথে লেখছে -
সামিন
দিন, মাস, ঘুরে, জন্মদিন এলো
আবার ফিরে। আব্বি, আম্মি,
আচ্চুকে নিয়ে এবার চকলেট
নয়- কেক, খাও মজা করে।
কামনায়- দাদা, দাদুমণি,
ফুফিরা, ফুফারা,
মাসদি ভাইয়া, ঢাকা।
ব্যাপারটা পুরাটা বুঝতে পারলাম না, এইবাব চকলেট না খাইয়া কেক খাইতে কইছে মজা কইরা , সামনের বার মনে হয় চকলেট খাইবো।
ফুপা-ফুপু কে ফুফা ফুফি ডাকার নমুনা দেখলেই বোঝা যায় ডাল ম্যায় কুচ কালা হ্যায়। এগুলা কোন সমস্যা না ... আমার কাছে যে জিনিসটা চোখে লেগেছে সেটা হলো বাবা-মা'র মত এত মধুর একটা ডাক ভারতীয়/পাকিস্তানিদের মত আব্বি আম্মি বলে ডাকাইতাছে। যে সব বাঙালী বাপ মা নিজের পোলাপানগো আব্বিআম্মি ডাক শিখায় তাগোরে ধইরা থাবড়াইতে পারলে মনে হয় শান্তি পাইতাম।
দেখো এইটা কিন্তু বেশির ভাগ মানুষের কাছে কোনো বিষয়ই না। ওরা আবার মহৎ, বলবে যার যা খুশি ডাকুক! দেখোনা অনেকে বলল, এই যে নিজের ভাষা রে হেয় করার সংস্কৃতি এইটা নাকি আলোচনার কোনো বিষয়ই না।
নাম রাখার ক্ষেত্রে বড় বিবেচনার পরিচয় দিছে আমার বাপ-মা। নাম রাখছে মাসুম। এক্কেবারে স্বার্থক। নাককরণের স্বার্থকতা জানতে হইলে আমারে উদাহরণ দিলেই চলে।
একদম ঠিক বলছেন। আমিও ভাবি কেমনে এমন নাম পাইলেন?মাসুম। বিলাই কাইত করে আর যাই করেন আপনি মাসুম।
@বকলম ভাই, ধর্মিয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কথাগুলো খারাপ লাগবে ভাই। তাই একটু উপরে উঠে চিন্তা করবেন আশা করি।
ধর্ম বিষয়ে আমার অব্জারভেশন "ধর্ম যদি আমার জাতীয়তাবাদকে আড়াল করে দিয়ে আমাকে নতুন কোন লাইনে এনে দাঁড় করায় আমি তবে সেই বাহুল্য ঝেড়ে ফেলার পক্ষে।"
নাম বিষয়ক একটা ছোট ঘটনা বলি, আমি আর বন্ধু মুমিন বিকেলের ভ্রমনে বেড়িয়েছি।
কিছুদুর যাওয়ার পরই সামনে পড়লেন মোল্লা সাহেব। উনি প্রথমেই আমাদের নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন।
তার পর জনতে চাইলেন জোহরের নামাজ পড়েছি কি না। আমরা বললাম না পড়িনাই।
উনি আমার বন্ধুর দিকে লাল চোখে বললেন "নামাজ পড়েনা এক ওক্ত নাম থুইছে মমিন"।
[তবে আমি কিন্তু প্রায়শই নামাজ পড়ি ]
বিদেশ গিয়ে লাঞ্ছিত হব, এই ভয়ে মুঃ অধবা ইসলাম নাম না রাখা আর ধর্মের আলগা ভয়ে আরবি নাম রাখা-দুইটাই এক্সট্রিমিজম, খালি ভিন্ন দুই দিকে।
আমরা বাঙ্গালি, ঐজন্য বাংলা নাম ভাল লাগবে। আরবি নাম রাখলে জন্মায়াই অশেষ নেকী হাসিল হবে -এ ভাবনাটাই অযৌক্তিক। তাই বলে আমেরিকায় পুলিশ ধরবে ঐ ভয়ে নাম এর মুঃ কিংবা ইসলাম ছেঁটে ফেলা তো নিজেরে বাঙ্গালি কিংবা মুসলমান হিসেবে আরেক ধাপ নিচে নামানো!
ভাঙ্গা পেন্সিল ভাইয়ের লগে এক্মত।
মুকুল ভাই, ব্লগে আযান দেন নামাজ পড়ে বাঙ্গালী মুসল্মান হই।
বৈদেশীক ঝামেলা ভুক্তভোগীরাই জানে।
ভাঙ্গা@ বাঙ্গালীর নামের আগে মুঃ আর শেষে ইসলাম নাই।
পাকিস্তান ইম্পোর্টেড এইটা। আরবেও নাই
নামের ফর্ম্যাটিং কোথাকার ইম্পোর্টেড কিংবা আরবে আছে কি নাই সেটা আমার প্রসংগ না। আমি আমার নাম যেটাই রাখি না কেন...সেটা কোন এক দেশে গিয়া সুখে থাকতে সমস্যা হবে ভাইবা পাল্টায় ফেলবো- এমন ভাবনাটাই নীচতা!
হ! নিচ হইতে রাজী। ধর্মের বোঝা সন্তানের কান্ধে দিতে রাজি না। নাম্পাল্টানোর না রাখার কথা হচ্ছে
একই কারণে সন্তানের নাম রাখার সময়ও বিবেচনায় আনবো না যে জন নাকি ডেভিড - কোনটা রাখলে আম্রিকাতে সুবিধা হবে।
নান্দনিকের সাথে আমিও একমত, খালি সচেতনভাবে যেটা করতে চান ঐটার সাথে একমত না।
আপনি আমারে এইটা বলেন, আম্রিকাতে ডেভিড-জন মার্কা নাম রাখলে সুবিধা আর অন্য নামে সমস্যা হইলে কি আপনি সন্তানের নাম বাংলা নামও দিবেন না?
আচ্ছা, বাঙালি মধ্যবিত্ত শহুরে হৈলেই নান্দনিক হৈয়া উঠতে চায় কেন? এর মাজেজাটা কী? গেরামে গঞ্জে যারা থাকে কালা, ধলা, হ্যাঞ্জা - টাইপ অনান্দনিক নাম যারা ধারণ করে, তাগো কোন জাত নাই ? নাম নান্দনিক না হৈলে কেউ জাতে উঠতে পারবো না ?
আপ্নে কি আপনার পোলার নাম খেদা রাখবেন?
সবাই কিছু পরিমানে আমিত্বময়, এইটা আমার কাছে বেশি একটা খারাপ লাগে না। নিজের একটা সুন্দর নাম সবার ভাল লাগে। আমি নিজের ডাক নাম কিংবা আসল নামের শেষ অংশের জন্য খুব খুশি, কিন্তু আসল নামের প্রথম অংশের জন্য বিরক্ত লাগে।
ভাঙা পেন্সিল ভাই,
আমার পোলার নাম "খেদা" রাখলে কি সে নীচু জাতের হৈয়া যাইবো ?
জনগণ তারে আর সম্মান করবো না?
ব্যাপারটা ঐরকম না, আপনার ছেলের নিজেরই ভাল্লাগবে না। এটা শুধুই ভাল লাগা কিংবা ডাকলে সুন্দর শোনায়-এইটাইপ ব্যাপার।
নামে কিইবা আসে যাবে!
ধর্ম এর সংস্কৃতি এই দু'য়ের মাঝখানে প্যাচে পইড়া বাঙালী মুসলিম আজ দ্বিধা বিভক্ত। আর চামে একদিকে ধর্মান্ধ আর জামাতীরা অন্যদিকে ধর্ম উন্নাসিক আর তথাকথিত বাঙালী সংস্কৃতির ধারকরা এই প্যাচটারে আরও ল্যাজে গোবরে কইরা ফেলছে।
১। বাঙালী মুসলিম তাই নিজের পোলামাইয়াগো আরবী/বাংলা নাম কেউ বুইঝা রাখে কেউ না বুইঝা রাখে। ২।কেউ সংস্কৃতি বুইঝা করে কেউ না বুইঝা করে।
(১। নাম সে যেই ভাষাতেই হোক, এর একটা সুন্দর অর্থ থাকবে, এটাই আসলে বিবেচ্য বিষয়।
২। আর বিশ্বাসের জায়গা থেকে যেহেতু আমি ইসলাম মাইনা চলি, সেহেতু ধর্ম আর সংস্কৃতির সাংঘর্ষিক অংশটুকু আমাকে ত্যাগ করতে হবে, যেই দিন আমার পূর্বপুরুষ অন্যধর্ম থেকে ইসলামকে গ্রহণ করেছে তারা এটা স্বীকার করেই করেছে অথবা কোন আরব বা ইয়েমেনী মুসলিমের রক্ত যেদিন বাঙালীর সাথে মিশেছে সেদিনও এই ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যালেন্সকে মেনে নিয়েই করেছে। )
তাই ঈদে নামাজ পড়ে কোলাকুলিটা করাটা যেমন আজ আমার সংস্কৃতি তেমনি একুশে শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জাননোটাও আমার সংস্কৃতি।
ইসলাম ধর্ম আর আমাদের গ্রামবাংলার মানুষের সংস্কৃতির মধ্যে কোন সাংঘর্ষ বা দন্দ্ব কিন্তু আমি দেখতে পাইনা।
সংঘর্ষ বা দন্দ্ব বাধে কিন্তু চাপিয়ে দেয়া বাঙালী সংস্কৃতির সাথে। অনেকে হয়তো রে রে করে তেড়ে আসবেন যদি বলী নাঁচ আমাদের বাঙালী হিন্দু সংস্কৃতির অংশ, বাঙলা মুসলমান সংস্কৃতির নয়। কপালে টিপ দেয়া আমার বাঙালী হিন্দু সংস্কৃতির অংশ, বাঙলা মুসলিম সংস্কৃতির নয়। কিন্তু পালাগানের সাথে বাঙালী মুসলিম সংস্কৃতির কোন দন্দ্ব নাই। বৈশাখের গ্রাম বাংলার পিঠা পায়েস, ধান কাটার গান, ধান ভাঙ্গার গান, বৈশাখী মেলার সাথে বাঙালী মুসলিম সংস্কৃতির কোন সমস্যা নেই বরং এগুলোয় বাঙালী মুসলমানের আসল সংস্কৃতি। হিন্দুয়ানী নাচ নয়, কপালে টিপ দেয়া নয়, রবীন্দ্র সঙ্গীতকে ইবাদত বা ইবাদতের সমতূল্য বলা নয়।
হিন্দু বাঙালী এবং মুসলমান বাঙালী আমরা একই বাংলারই সন্তান। আমরা পরস্পরের সাথে হাজার বছর ধরে ধর্মীয় সম্প্রীতির সাথে বাস করে আসছি। তার পূজার প্রসাদ আমি খুশি মনে গ্রহন করছি তাদের বাড়ী বাড়ী বেড়িয়ে তাদের প্রতিমা দেখে বেড়িয়েছি সেও ঈদে আমার বাড়ীতে ঈদের সেমাই খেয়ে গেছে । বিভিন্ন পালা পার্বন আমরা কাধে হাত রেখে ঘুরে বেড়িয়েছি। বিশ্বাস না হয় জিজ্ঞেস করুন বাংলার গ গ্রামে গিয়ে আপনার বয়োজোষ্ঠদের, আপনার বাবা-মা'দের।
শাহ আব্দুল করিমের "গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু মুসলমান মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম" গানের কথাতেই তার প্রমান মেলে।
উপরের কথাগুলো যা বোঝাতে চাইছি তা হলো। প্রকৃত ইসলাম আর প্রকৃত বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে কোন দ্ন্দ্ব নাই। দ্বন্দ্ব আছে ধর্মীয় গোড়ামী আর সংস্কৃতিক গোড়ামির মধ্যে।
একজন বাঙালী হিসেবে আমি আপনি আমরা কেউই চাই না সাংস্কৃতিক গোড়ামি বা ধর্মীয় গোড়ামীকে লালন পালন বা উৎসাহ দিতে।
ভাল থাকবেন।
দ্বিমত নাই দেশে তিন্দিস্তা নাম্রাখেন সমস্যা নাই,একই নামের জন্য লাগেজে বোমা খুঁজে
চোরের ভয়ে মানুষ মাটিতে থাকে না। মাথা ব্যাথা হলে মাথা কাটা সমাধান নয়। আমি নিজেই প্রবাসী। সবুজ পার্সপোর্টের কারনে যে ভোগান্তী আমার আপনার পোহাতে হয় তার জন্য কি নিজের বাঙালী বা বাংলাদেশী হওয়াটাকে দোষী করবেন? অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বাঙালীত্বকে মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন? কবি মাইকেল মধুসুধন দত্ত করেছিলেন, তার শেষটাও জানেন। কাক হয়ে ময়ূরপূচ্ছ লাগানোর গল্পটা ও নিশ্চই শুনেছেন।
ধর্মের ব্যাপারে কথা কৈতে গিয়া আপ্নেতো আমারে অবাঙ্গালীই বানাইয়া দিলেন। তয় কার্লেইগ্যা তর্ক করি?
কি আর কমু, আমার নামের আগা গোড়া সব বিজাতীয় , দাদা ভালোবেসে ছোটবেলায় আমাকে পাহাড়ী বলে ডাকতেন, উনি কি করে বুঝেছিলেন সেই ছোট বেলায় আমি পাহাড়ের মত হবো , আমি আজো বুঝিনা।
বিশাল আলোচনা পড়লাম মন্তব্য সহ। এবং খেই হারাইয়া ফেললাম কিছু কইতে গিয়া। তবে অনেকাংশে মুকুল ভাইয়ের লগে একমত। যদিও ১০০ ভাগ না। যাই হোক আলোচনা দেইখা ভাল্লাগছে। চিন্তার বিষয় আসলেই।
এই গুরু গম্ভীর জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় কি মন্তব্য করব বুঝতেছি না। শিশুকাল হইতেই নাম নিয়া নানান চক্রান্তের শিকার হইছি। কি ভাইবা জানি না দাদাজান নাম রাখছিলেন রঞ্জন, যে শুনে তার মধ্যেই আমার ধর্ম নিয়া সন্দেহ দেখা দেয়। এই ডাক নাম খানার জন্য শেষটাই না দোজখে যাইতে হয় :(। বাপ-মা আকিকা দিয়া একখানা পোশাকি নাম রাখছিল, ইশতিয়াক আকবর, মানে কি আল্লা-মাবুদ জানেন। এস.এস.সি. পরীক্ষার সময় নাম রেজিষ্ট্রেশনের আগে দেখা গেল আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ আমার পরকাল নিয়া বড়ই চিন্তিত। তারা আকিকা দেওয়া নামখানার আগে একখানা মোহাম্মদ লাগাইয়া দিছেন। দিবি তো ভালমতন দে, তা না লাগাইছে ভাঙ্গা মোহাম্মদ অর্থাৎ MD. আজকাল বিদেশ বিভূঁই-এ এই MD নিয়া বড়ই বিপদে থাকি। সবাই খালি জানতে চায় আমি কোন কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর
কইয়া দিবেন, আমি বাপের হোটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আছিলাম, এখন নিজেই হোটেল খুলছি। লেকিন রাঁধুনী নাই
আপনার তো খালি MD. আর আমার হইল নামের আগে একগাদা এ বি সি ডি ... শখ কইরা সবাই মিলা বিশাল নাম রাখছে, তারপরে সেইটারে এ বি সি ডি হিসাবে ঝুলায় রাখতে হইসে। বাইরে আসার পর থেকে পদে পদে ঝামেলায় পড়ছি এই নামের কারণে ... কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না যে কারও ফার্স্ট নেম কয়েকটা বিচ্ছিন্ন অক্ষর হইতে পারে ... কেমনে বুঝাই কন ...
আমি এক বাঙালী পোলারে চিন্তাম ,,,, তারে বিদেশিরা সবাই এম্ডি ডাকে
লেখা আর কমেন্টগুলো দারুণ হয়েছে। মানুরটা পড়ে হাহাপগে।
আমারো একই কাহানী। ল্যাবে পয়লা দিন প্রেজেন্টেশন দিতে উঠছি।পয়লা স্লাইডে খুব আহ্লাদ করে নাম লিখছি MD. ASHRAF HOSSAIN আমার প্রফেসর কিছু কওয়ার আগেই কয় তুমি আগে কোন কোম্পানীর এমডি ছিলা????? বলে ল্যাবের সবাই মিলে একচোট হাসলো।
আর আমি ভ্যাবাচাকা খেয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলাম।
ভাঙ্গা পেন্সিলের জবার পুরাটা আসেনাই তাই নিচে টেরাই
উপরের কথাগুলা ফেসবুকে বলছিলাম যা মূল পোষ্টে সংযোজন হইছে।
বোল্ড করা অংশটা দেখলেই বুঝবেন জন নাকি ডেভিড নাম রাখন যায়।
আপত্তি ছিলো শুধু অতি ইসলামিপণা দেখাইতে গিয়া নামের বারোটা বাজানো অংশে।
মুল কথা যা সংক্ষেপে কইতে চাইছিলাম তা না বুঝার কারণে বিস্তারিত বলি।
প্রসংগ আম্রিকা ছিলোনা তার্পরো যখন আম্রিকা আন্তাছেন তখন আম্রিকার কথাই শুনেন।
আপ্নে যখন আম্রিকা এয়ারপোর্টে খাড়ায়া আপনার নামের সাথে ইসলাম বলেন তখন আপ্নেরে আর বাঙ্গালী কইয়া কেউ গুনে না। আপনে তখন ইসলামি সন্দেহ ভাজন। একজন আফগানী বা পাকি চরম্পন্থি আর আপনের মাঝখানের বর্ডার তখন মুইচ্ছা যায়। আপ্নে চিল্লায়া গলা ফাইড়া ফালাইলেও আপনের বাঙ্গালী পরিচয় আর থাকেনা। সো আপনে যদি নামের সাথেই সাইনবোর্ড লাগাইয়া ঘুরেন যে, দেখেন ভাই আমি ইস্লামি লুক আমি ইস্লামি লুক তখন আর আপনে আপনার বাঙ্গালী পরিচয় আপনেই মুইচ্ছা দিলেন। যেইটা হয়তো আপনার গার্জিয়ানরা রাখছে।
আমি বলতে চাইছিলাম যে আমি আমার সন্তানের নামের ভিত্রে ইসলাম ঢুকাইয়া তারে অহেতুক হয়রানীতে ফালাইতে চাইনা। কারন যদি সে পড়ালেখার জন্য হোক আর অন্য কোন কারনে হোক দেশের বাইরে যাইতে চায় আমি বাধা দিব না। আর তার নামের আগে মুঃ আর শেষে ইসলাম রাখলে তখন যতোবার সে তার নাম উচ্চারন করবে ততোবার আশেপাশের লুকজন তার দিকে চৌক্ষু বড়বড় কইরা তাকাইবে। সেইটা অবশ্যই বাঙ্গালী নামের জন্য না, ইসলামী নামের জন্য।
আর যদি সন্তানের নাম ইসলামী ভাব ধারায় না রাখি তয় তার দিকে কেউ চৌখ ঘুরাইয়া তাকাইবে না।
জন বা ডেভিড বাঙ্গালী নাম না। আমাদের বাংলা ভাষায় অনেক নান্দনিক আর শ্রুতিমধুর নাম রইয়া গেছে।
সো আপনে যাই বলেনা কেন, সন্তানের নাম রাখার সময় গাড়ীর বাম্পারের মত আগে পিছে মোহাম্মদ আর ইসলাম লাগাইয়া সন্তানের নামে ইসলামী সুরক্ষার বেষ্টনী দেওয়ার ফতোয়া আমি মানব না।
সহমত
উপ্রের মন্তব্যটা এই মন্তব্য না পইড়াই করছিলাম।
তবে পরের প্রশ্নটা এখনো রইলো
দুর্দান্ত কাজী। তুমি নামের থিকা মুহাম্মদ সরাইবা তাতেই জেহাদি ভাব আইসা গেল কিন্তু নামের ভিতর বাংলার লেশ নাই সেইটা নিয়া উনাগ মাথা ব্যাথা নাই।
পয়েন্ট কিন্তু ভুল বুঝছেন। আম্রিকাতে বাংলা নামের জন্য সমস্যা কইলেও কিন্তু এই জোশেই খাড়ামু। আমার তর্কের পয়েন্ট হইলো কোন এক দেশে সমস্যা হবে--এরকম চিন্তা কইরা সন্তানের নাম রাখার পক্ষাপাতী না। মুঃ কিংবা ইসলাম আমি না-ই রাখলাম, সমস্যা নাই। কিন্তু আম্রিকাতে যাইতে সুবিধা হবে মুঃ আর ইসলাম বাদ দিলে--এই ভাবনাটার বিরোধী।
ওরে ভাই আপনারে মেনশন করি নাই। ওভার অল কইছি আরকি।
কেন বিরোধী? মুঃ নাম যেহেতু কম্বোলসারি না এবং কেউ যদি পণ করে আমেরিকা বাচ্চা পাঠাইব তাইলে মুঃ নাম নামের লগে না জুইড়া দিলে অসুবিধা কী>
@ ভাঙ্গা পেন্সিল, আপনে কি বুঝাইতে চাইতেছেন সেইটা বুঝছি। খৃষ্টান নাম রাইখা ছেব্লামি করার কথা মোটেও কই নাই।
সুবিধা আর অসুবিধার মইধ্যে স্থুল পার্থক্য আছে।
যেমন মনে করেন বাইরে আম্লীগ আর বিম্পির মইধ্যে গোলাগুলী হইতেছে। তখন আমি কিন্তু আমার পোলারে বাইরে বাইরুতে দিমুনা। কারণ বাইরে বাইর হইলেই সে উটকো ঝামেলায় পড়তারে।
এইখানে সুবিধা ভোগ আর অসুবিধার কোন ব্যাপার নাই।
ব্যাপার ঝালেমা এড়ানোরের, আপনে তার্পরেও সুবিধা ভোগ করি কইলে কবি নিরব
কমেন্টে কি কি এসেছে সেটা জানিনা, তাই হয়ত যা বলব অনেকেই তা অলরেডি বলে ফেলেছে।
১.
বাংগালি জাতীয়তাবাদ আর মুসলিম পরিচয় এই দুইটার উথ্থান-পতন বাংগালিদের মননে প্রায় দেখা যায়। যখন যেটার উপর চাপ আসে তখন সেটাই জেদ করে (অনেক সময় অবচেতন মনে) লোকজন বেশি করে। তাই যেসময় পাকিস্তানিদের চাপ ছিল বাংলার উপর, সেসময় হয়ত দেখা যাবে বাংলা নামের হিরিক, আবার মধ্য ৭০-৮০র দশকেও জামাতিদের রাজনীতির অধিকার দেওয়া এবং এরপরে জাহানারা ঈমামের রাজাকার-বিরোধী আন্দোলনের সময়ও বাংলা নামের হিড়িক ছিল, অন্তত ডাকনামটা সুন্দর বাংলা নাম হত।
এখন মুসলমানরা টেররিস্ট নামে পরিচিত হওয়াতে তাদের ধর্মের উপর আঘাত আসতেছে বিভিন্নদিক থেকে। এতে তারা তাদের ধর্মকে আরো আঁকড়ে ধরবে এটাই স্বাভাবিক। নামের ক্ষেত্রেও হয়ত অবচেতন মনে এটাই হচ্ছে।
২.
তাছাড়া প্রত্যেক আমলে নামের ক্ষেত্রেও একটা ফ্যাশান চালু থাকে। এখন হয়ত আরবী নামের ফ্যাশান।
৩.
ইসলামে অর্থপূর্ণ নাম রাখতে বলা হয়েছে, আরবী নাম না। যেকোন ভাষার অর্থপূর্ণ নাম হলেই চলবে, সেটা বাংলা হোক বা আরবী হোক।
উল্লেখ্য যেসব সাহাবারা মুসলমান হয়েছিলেন তাদের আগের নামের পরিবর্তন হয়নি, আগের নামেই বহাল তবিয়তে ছিল। পশ্চিমে প্রচুর মুসলমানের ল্যাটিন, গ্রিক (যেমন জন, জোসেফ) এসব নাম আছে। ইউনিভার্সটি অফ কানসাসের প্রফেসর জেফরী ল্যাং বিখ্যাত ম্যাথেমেটিশিয়ান এবং রিভার্ট মুসলিম। তাঁর নাম এখনও একি আছে।
আমাদের দেশে অনেক আরবী নামের অর্থ খুবই বিদঘুটে, প্রচলন হয়ে যাওয়াতে মানুষ অর্থ নিয়ে মাথা না ঘামিয়েই নাম দিয়ে দেয়। এসব থেকে বাংলা অর্থপূর্ণ নাম অনেক বেশি ইসলামী। তবে এটা সত্যি যে আরবী নাম দিতে হবে, নাহয় বেহেস্ত পাওয়া যাবেনা এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে। সেটা ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে এবং অনেক কমজানা ওলামাদের ভুল বুঝানোর জন্য। কেউ কোরাণশরীফটাও ভালমতে পড়েনা, কিন্তু বিরাট ইসলামী চেতনামস্পন্ন হতে চায়, তাই ছেলেমেয়ের জবরদস্ত আরবী নাম দেয়, ওদিকে নামাজের খোঁজ নাই!!
৪.
পরিশেষে যার যা ইচ্ছে তার সেরকম নাম দেওয়ার অধিকার আছে। সেটা বাংলা হোক, আরবী হোক, হিব্রু হোক, চাইনিজ হোক। আমার মনে হয়না এটা কোন বড় ইস্যু। শুধু অর্থপূর্ণ হলেই ইসলামী নাম হয়ে যায়, আরবী হতে হবেনা। আবার আরবী নাম দিতেও নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই কেউ ইচ্ছে করে আরবী নাম দিলে সেটা তার স্বাধীনতা, কেউ বাংলা দিলে সেটাও তার স্বাধীনতা।
কথা ঠিক আছে, কিন্তু বাঙালী মুসলমানদের সিংহভাগ পরিবার সন্তানের 'ইসলামি নাম' রাখে বেহেস্তের আশায়। আরেকটা ব্যাপার হইলো আনকমন নাম রাখার প্রবৃত্তি, আধুনিক বাবা-মা'রা চায় তার সন্তানের নাম থাকবে দুনিয়ায় ইউনিক, অনলি ওয়ান পিস এদিকে ইসলামি নামও হইতে হবে.... তখনই সমস্যাটা দেখা দেয়
সবাই আসলে তার সন্তানকে ইউনিক ভাবে, সেটার শুরু নাম দেওয়ার সময় থেকে। "ইসলামী নামই হতে হবে" সেটা তো ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবহেতুই হয়, অনেকের কাছে হয়ত আরবী নাম শুনতে ভাল্লাগে। আমার কিছুদিন আগে জন্ম হওয়া এক ভাতিজার নাম দিছে "ইরাদ", আমি প্রথমে ইরাক মনে করছিলাম!! পরে জানি সেটার মানে নাকি ইচ্ছা। এখন ধর "ইচ্ছা" কারো নাম দিলে সেটা ভাল শুনায়না, কিন্তু ইরাদ ভালই শুনায়! হাহহাহাহা..........ইসলামী নাম নিয়ে সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে শুধু আরবী নামকেই ইসলামী নাম মনে করা। প্রিয়ংবদা, শকুন্তলা, সন্জিত, বিশ্বজিত এসব কিন্তু ইসলামিক নামই, যদিও অনেকেই হয়ত অবাক হবে, দেশে এসবকে হিন্দু নাম মনে করে। বাংলা নামকে হিন্দু নাম মনে করাটাও জ্ঞানের অভাব।
ছোটবেলার মজার কথা মনে পড়ছে। গ্রামের হুজুর অতি ইসলামভক্তিতে আন্ধা হইয়া কোরআন থেক পোলার নাম রাখবে ঠিক করছে। অর্থ না জাইনাই নাম রাখছে, খিঞ্জির
কমেন্ট পড়তে পড়তে আপনার ইরাদ নাম দেখে মনে হ'লো ইরাদের আরেক্টা খুব সুন্দর বাংলা মানে আছে। শুন্তেও ভালো লাগবে, শব্দটা হ'লো আকাঙ্খা...
আমি হইলে হত রাখতাম কোন বাংলার সাথে লাস্টনেইম এরাবিক। কিন্তু আমার কাজিনকে আমি যদ্দুর চিনি সে আমার থেকে অনেক বেশী বাংগালি। শুধু ছেলের নাম ইরাদ রেখেছে এজন্য আমি তাকে আমার চেয়ে কম বাংগালি বলবনা। সেটাই আমি বলতে চাচ্ছিলাম।
কোন ছেলের নাম আকাঙ্কা ভাল শুনাবে বলে মনে হচ্ছেনা, কঠিন নাম..... !!!
নারুদা'র লগে সহমত।
এক দুই তিন তক পরিচিত নারুরে পাইলাম। কিন্তু চার আইসা ধাক্কা লাগল। কাউর স্বাধীনতারে তো আমি হস্তক্ষেপ করি নাই। নাম দেইখা জাতি গত পরিচয় বোঝা যায় নাকি সেইটাই বলছি। বাঙালিগো আরবী , হিব্রু , চাইনিজ নাম রাখতে কইতাছ। ওরা কি অন্য ভাষার নাম রাখে? দেশি ঠাকুর থুইয়া বিদেশি কুত্তারে ধরে? চিন্তা করা যায় একজন রাশান, ফ্রেন্চ, বৃিটিশ , চাইনিজ বা জাপানি নিজের ভাষারে এরম হেলা করব? করব না কারণ ওরা নিজের ভাসারে অন্য ভাষার উপরে মর্যাদা দেয়। কিন্তু আমরা দেই না।
অচিনদা, না আপনি কারো স্বাধীনতাই হস্তক্ষেপ করেছেন সেটা বলিনি। আসলে শেষের প্যারাগ্রাফটা আপনার পোস্টকে উদ্দেশ্য করে না, যাস্ট ইন জেনারেল।
বাংলা ভাষায় নাম রাখার সাথে ইসলামের কোন দ্বন্ধ নাই সেটা তো বললামই। বাংগালি মুসলিমদের মধ্যে বাংলা নামকে হিন্দুয়ানি মনে করার পিছনে ইতিহাস ঘাটতে গেলে লম্বা পোস্ট হবে, সেখানে না যাই। যেটা বলতে চাইছিলাম সেটা হল যদিও আমি প্রেফার করব লোকজন বাংলা নাম রাখুক, কিন্তু কেউ যদি তার বাচ্চার নাম অন্যকোন ভাষায় রেখেও থাকে তাতে আমি তাকে আমার চেয়ে বাংলাকে কম পছন্দ করে সেটা বলবনা, হয়ত তার জানার ভুল থাকতে পারে, অথবা হয়ত তার দৃষ্টিভংগি ভিন্ন হতে পারে। সময়ের প্রয়োজনে বা সময়ের সাথে সাথে নাম রাখার ফ্যাশানে পরিবর্তন হয়, হয়ত আগামী ২০ বছর পর শুধু বাংলা নাম রাখার ধুম পড়ে যাবে, হয়ত এখন যে তার ছেলের ভিনদেশী-ভিনভাষী নাম রাখতেছে সে তখন তার নাতির নাম বাংলায় রাখবে।
এমেরিকান/ব্রিটিশরা কিন্তু নাম রাখার ক্ষেত্রে ইংরেজী অনুসরন করেনা। বরং তারা আমাদের থেকেও খারাপ। তারা যেসব জন, বিল, জোসেফ নাম রাখে এসব ল্যাটিন/গ্রীক নাম, এসবের রাখার কারন হচ্ছে বাইবেলে এসব আছে। তাদের নামগুলার বেশিরভাগের কোন অর্থই নেই। ফ্রেন্চদের মধ্যেও একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এরকম নামই রাখে। রাশানদের নামগুলাও বাইবেলভিত্তিক নামের রাশানিকরন হয়, যারা মুসলিম তারা আরবী নামের শেষে "ভ" লাগাই, কারন তাতে দুকুলই রক্ষা হল।
চাইনিজ বা জাপানিজরা তাদের নিজেদের ভাষাই নাম রাখে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তারা খুব তাদের ভাষাকে অতিরিক্ত প্রাধাণ্য দেয় অন্যভাষার উপর। ইনফ্যাক্ট আমি বাংগালিদের মত ওভারল নিজের ভাষাকে এত প্রাধান্য দিতে দেখিনি। যাইহোক, জাপানিজ/চাইনিজদের কথা বলছিলাম। তারা নামের ক্ষেত্রে নিজেদের ভাষায় নাম রাখলেও তাদের তরুনরা কিন্তু হলিউডের কালচারকেই সবচেয়ে "কুউল" মনে করে। তারা যখন পশ্চিমে আসে তখন তাদের নামও চেন্ঝ হয়ে যায়, চিং চেন হয়ে যায় চিং জন, এমেরিকান বিবলিকাল নামের কোনএকটা তারা নামের শেষে লাগিয়ে নেই। তার মানে নামের ক্ষেত্রে তারা যে শুদ্ধবাদী তা না।
যেসব কালচারে এখনও পশ্চিমা বাতাস লাগেনি সেভাবে সেখানে এখনও তাদের নিজস্ব ধারার নাম রাখা প্রচলন আছে, যেমন আফ্রিকার নেইটিভ কালচারগুলো। তবে দেখা যায় যেসব দেশে ইসলাম ধর্ম গিয়েছে সেসব দেশে আরবী নামই বেশি, শুধু টার্কিতে সেটা নাই, তার কারন কামাল আতার্তুকের ডিইসলামাইজেশান। এখন অবশ্য টার্কিরা আবার আরবী নাম রাখা শুরু করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশে কেউ আরবী নাম রাখলেই আমি তাকে কম বাংগালি বলবনা। পশ্চিমবংগের লোকজন বাংলায় নাম রাখে, কিন্তু ভাষার প্রতি তারা আমাদের থেকে অনেক বেশি উদাসীন, হিন্দীর ক্রমাগত বলাৎকারে তারা নিশ্চুপ হয়ে থাকে।
"বাঙালিগো আরবী , হিব্রু , চাইনিজ নাম রাখতে কইতাছ। ওরা কি অন্য ভাষার নাম রাখে? দেশি ঠাকুর থুইয়া বিদেশি কুত্তারে ধরে? "
আমি কিন্তু বাংগালিরে অন্য ভাষার নাম রাখতে বলতেছিনা অচিনদা। আমি বলছি আমি নিজে প্রেফার করব বাংলায় নাম রাখা, কিন্তু কেউ যদি অন্যভাষার নাম রাখেও আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব। তাকে আমার চেয়ে কম বাংগালি মনে করবনা, কারন নামের ফ্যাশানের পরিবর্তন হলে হয়ত সে পরবর্তীতে বাংলা নামকেই প্রেফার করবে, আমি সেটাই আশা করি। বিশেষ করে সে যদি দেশের বাইরে আসে তাহলে তো বাংলার প্রতি তার টান আরো বাড়বে।
এখন প্রসংগটা হচ্ছে আমরা বিদেশী ভাষা বা কালচারকে কতটুকু সহ্য করব। শুধুমাত্র নামের ক্ষেত্রেই কি আমাদের শুদ্ধবাদীতাটা খাটবে নাকি অন্যান্য ক্ষেত্রেও খাটবে? আমাদের অফিস-আদালত-কোর্ট-কাচারী-সামাজিকতা-শিক্ষাদীক্ষা সবকিছুই তো অন্য কালচারের চরম প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কালচারাল আইডেনটিটি কি গড়ে উঠেছে? পাকিস্তানিদের চাপে একটা একাত্বতা গড়ে উঠলেও সেটা পরিপূর্ণ রুপ পাইনি। নিজের ভাষা নিয়ে প্রাউড ফিল করা বা নিজের কালচারকে অন্য কালচার থেকে কম দামী মনে না করার জন্য প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে হবে, সেটা না হলে আমাদের ভিতরে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স যাবেনা আর আমরাও নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে কনফিডেন্ট ফিল করবনা।
শুধুমাত্র নামের ক্ষেত্রে ভাষার শুদ্ধবাদিতা আদতে তেমন কার্যকর কিছু হবেনা। বরং এটা সহজেই উৎরে যাওয়া সম্ভব যখন লোকজন বুঝবে যে বাংলায় নাম রাখা পরিপূর্ণ ইসলামিক। কিন্তু মনের গভীরে প্রোথিত ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স সেটা থেকে উত্তরণ চরম কঠিন ব্যাপার। ধূতি বা লুংগি পড়ে অফিসে গেলে কি সমস্যা, সেসব কি অফিসিয়াল ড্রেস হতে পারেনা? কেন আমাদের পুরুষ রাষ্ঠ্রনায়করা দেশীয় পোশাক পড়ে না? অটল বিহারী তো ঠিকই ধূতি পড়ত। কিন্তু আমার পশ্চিমাদের পোশাককেই অফিসিয়াল ড্রেস হিসেবে নিয়েছি, এখন তো বিয়েশাদীতে লোকজান পান্জাবী পড়েনা, পড়ে কোট-টাই, পশ্চিমাদের অন্ধ-অনুকরন। সমস্যাটা শুধু নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ না।
নরাধমের কমেন্ট ভালো হৈসে। এবার আমি ত্যানা প্যাচাই
১। যার যেমন নাম হোক সেটাকে সমমান করা উচিত। আমার নাম কািলর দোয়াত বা আলুবোখারা যাই হোক, সেটাই ডাকা উচিত।
২। বাংলা নাম হলেই হিন্দু হয় না, এটা বাংলাদেশের মুসলমানদের বোঝার সময় হয়েছে।
৩। সহজে বলা যায় এমন নাম রাখাটা দরকার। নাম ভুল বললে ভালো লাগে না। "আমহারাতুল কাওতাশান জাওয়া" মানে যতই ভালো হোক, যতই আনকমন হোক, সেটা বাচ্চা সারাজীবনেও বলতে পারবে কিনা সন্দেহ। নাম রাখার সময় এটা মনে রাখা উচিত।
৪। ইমিগ্রেশন ওয়ালাদের বোঝার সময় হয়েছে, কারো নাম মুহাম্মদ বা ইসলাম হলেই সে সন্ত্রাসী হয়না। যেমন সব আইনস্টাইনই সাইনটিস্ট না।
৫। আমার গ্রিক এ্যাডভাইজার বলতো, থাইরা আসার আগে ইউনিভারসিটিতে সবচেয়ে কঠিন নাম ছিলো গ্রিকদের, এখন থাইদের। আমার ট্রাফিক ইনজিনিয়ারিং এর ১টা কোর্সে টিএ ছিলো থাই- পান্জানিন মংকানরাত্তানোয়াং।
হা হা প গে
১মটা বানানো-আজকালতো এমন নামই রাখে।
২য়টা রিয়েল - আমরা খুব ভালো জানতাম।
এই তর্ক করতে করতে ক্লান্ত লাগে। যা নাম দিয়া আর নিয়াই বেহেস্তবাসী হতে থাক তোরা
আমার মেয়ের নাম যখন ওশিন রাখা হলো, আকীকার সময় হুজুর কিছুটা উষ্মার সাথে জিজ্ঞেস করলো, এইটা কি নাম, এইটার মানে কি? জাপানীজ নাম শুনলে ফতোয়া জারী হতে পারে ভেবে আমি বললাম, হুজুর এইটা আরব দেশের একটা বিখ্যাত ঝরনার নাম। অর্থ না বুঝলেও হুজুরকে মোটামুটি সন্তুষ্ট মনে হলো।
এই দেশে নাম রাখার সময় আরব দেশের সাথে একটা হাইপারলিংক সবসময় মাথায় রাখতে হয়।
@বকলম, এইখানে জবাব দিই আপনের উপরের কমেন্টের।
আমি এই কথাটাই পোস্টে কইছি। নিজের ভাষারে হেয় কইরা অন্য ভাষারে চুমাইয়া বাচ্চার নাম রাখা নিয়া বেশির ভাগ লোকের মাথা ব্যাথা নাই। আপনেরো নাই।
আছে । আপনের পরের লাইন গুলাতেই হিন্দুয়ানি নাচ, কপালে টিপ এইসব কথায়ই বোঝা যায় কেরম দ্বন্দ। আর গ্রাম বাংলার মানুষের সংস্কৃতির প্যাচাল এইখানে তুললেন কেন? কথা হইতেছে সংস্কৃতিরে যারা ডমিনেট করে সেই শ্রেনিরে লইয়া। ইসলামের লগে সংস্কৃতি মিলাইতে গিয়া কি বুঝাইতে চাইলেন বুঝলামনা। আপনের বুঝের সাথে আমার সংস্কৃতির সংজ্ঞা সম্পূর্ণ উল্টা।
আলোচনায় যারা অংশ নিলেন সবাইরে ধন্যবাদ। আমি এই কথাটাই বলতে চাইতেছি যে নাম রাখার সময় ধর্মীয় পরিচয় রাখতে গিয়া জাতিসত্বারে অস্বীকার করা কেন।
হাসান রায়হান
ডেভিড সুব্রত দাস
উৎপাল বড়ুয়া
প্রথম নামটা শুইনা সবাই বুঝব এইটা মুসলমান নাম। কিন্তু জাতিগত পরিচয় কী? সমালি, ইয়েমেন নাকি আরব বেদুইন?
দুই নম্বর নাম বাঙালি খ্রিস্টানের। তিন নম্বর বাঙালি বৌদ্ধের।
বাঙালি বোদ্ধ খ্রিস্টানের একসাথে বাঙালি ও বৌদ্ধ হইতে সমস্যা নাই সমস্যা হইল বাঙালি মুসলমানের।
এইটা গুল্লি হইছে রায়হান ভাই।
আমাদের এক টিচারের নাম অনিন্দ্য তাহসিন।
বাঙ্গালি মুসলমানের নামও বাঙ্গালি হয় কিন্তু। ইদানিং ব্যাতিক্রমী নাম রাখতে হবে দেইখাই বাংলা ভাষা আর চলতাছে না কারো... বিদেশী ভাষাতে হাত যখন দেয়াই লাগবে তখন ধর্মটাও একবারে কাভার করতে আরবি নাম রাখার চল শুরু হইছে।
ডেভিড সুব্রত দাস
উৎপাল বড়ুয়া
- এই নাম দুইটা দেখলেই ইউরোপ/আম্রিকার লুগ্জন বুঝবো এইটা বাঙালি নাম ?
এইগুলা তো হিন্দীভাষীরাও রাখে! অথবা ভারতীয় অন্যান্য ভাষাভাষীরাও রাখে।
একজন ইউরোপিয়ান/আম্রিকান.. এই নামগুলা শুনলে সর্বোচ্চ ধারণা করবো যে এগুলা ইন্ডিয়ান নাম। এর বেশি কিছু না।
আর হাসান রায়হান লিখ্যা গুগলিং করলাম। সব দেখি বাংলাদেশীই দেখায়।
মানুষ ইউরোপ আমেরিকা কি বুঝবো সেইটার জন্যই তাইলে নাম রাখে। চমেৎকার!
ওয়েল। আমি তো বাঙালি। আমি তো এই নামগুলা হিন্দী ভাষী অথবা অন্যান্য ভারতীয় ভাষাভাষীদেরও আছে দেখি। তাইলে ?
তাইলে ,,, খুরমা খেজুর দিয়া নাম রাখো। ধর্মপালনও হইলো সোয়াবও হইলো
কথার এইটা টোনটা ভালো লাগলো না দোস্ত।
স্যরি।
আরে !! তুমি দেখি সেন্টু খাইলা !!
আইচ্ছা আমি অফ গেলাম যাও
আরে অফ যাইবা ক্যান? বিতর্ক ভালৈ তো চলছিলো। খালি কইছি "খোরমা খেজুর" টাইপ উপমা দিলে তর্কের ছেদ পড়ে। তর্কের মুড থাকে না। ব্যাপার না। তোমারটা তুমি কৈবা, আমারটা আমি।
আরে মুক্লা এইটা একটা আলোচনা। তোমার মত তোমার কাছে অনয়ের মত অন্যের কাছে। লোকজন কইল দেখলানা এইটা সিরিয়াস কিছু না বিতর্কের জন্য। এই নিয়া এত মাইন্ড করলে হয়!
সব আমার দোষ। এইবার সকলে এট্টু হাসি দেন। তর্কে বিতর্কে মন কালাকালি করা চলপেনা।
আরে ধুর! সেইরাম কিছু না। শ্লার লোডশেডিং এর লাইগা কোন কিছু কন্টিনিউ করাও কঠিন হৈয়া গেছে।
ভাইরে, তোমারে এখন ভাষা নিয়া লেকচার দিতে পারুম না। হিন্দি আর বাংলা আইছে মানে উৎপত্তি হইছে এক যায়গার থন। তারপর আস্তে আস্তে ভাগ হইয়া গেছে দিনে দিনে। এই জন্য অনেক শব্দ দুই ভাষায়ই আছে। উড়িষ্যা, আসামের ভাষা শুনলে প্রথম প্রথম মনে হইব বাংলা শুনতাছ। কারণ ওরা এক মায়ের পেটের ভাই।
হাসান = Handsome
রায়হান = Sweet basil
বিমা সত্যি কইতেছি আমার নাম আমি রাখি নাই।
হাসান রায়হান= Handsome Sweet basil = নয়ানাভিরাম সুমিষ্ট তুলসী == kiU ki snaaas vi kavi bohu thi
সহমত
নাম নিযা একটা দারুণ পোষ্ট পাইলাম। আমার শুধু এটাই মনে হয় নামের অর্থ যেন সুন্দর হয়। নাম যেন নান্দনিক হয়। বলতে শুনতে যেন সুন্দর, নান্দনিক মনে হয়।রিমঝিম, প্রিয়ন্তি, রোদ্দুর,নিধি এই নামগুলা কি সুন্দর না? এর অর্থ কি ভালো না?তাইলে অন্র ভাষার নাম খুঁজার দরকার কি যার অর্থই খুঁজে পাব না!
বাংলাদেশী যে আরবী নামগুলো আছে সেগুলো কিন্তু আরবী হলেও শুধুমাত্রে বাংলাদেশেই দেখা যায়। আবুল বাশার বা আব্দুর রহিম অন্য কোথাও দেখা যায়না। এমনকি পাকিদের আরবী নামগুলোও ভিন্ন, বাংলাদেশীদের মত না।
আমার কাছে সুন্দর নাম হচ্ছে রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, অনিন্দ্য কায়সার, প্রবাল আহমেদ এরকমগুলা যেখানে তার ভাষাভিত্তিক পরিচয়ও প্রকাশ পাবে আবার ধর্মীয় পরিচয়ও প্রকাশ পাবে।
এই তো সোনার চান, এইটাই বলতে চাইছি পুরা পোস্ট জুইড়া।
অচিনদা, বাংগালি সংস্কৃতি বলতে আমরা কি বুঝব সেটা নিয়ে ব্যাপক কনফুশান আছে। আপনি এ বিষয়ে ভাল জানেন, তাই একটা পোস্ট দেন। আমরাও আলোচনার মাধ্যমে কনফিউসান দূর করি। আর ইসলাম ও বাংগালি হওয়ার মধ্যে কোন দৈততা আছে কিনা সেটাও আলোচনা করা যাবে। বাংগালিদের আত্মপরিচয়ে বেড়ে উঠার জন্যই আসলে এসব জিনিস সামনে আসা দরকার।
হ্যা পোস্ট দেয়াই যায়। তবে ব্যস্ত অনেক সময় করে উঠা কষ্ট।
এইটা নির্ভর করে ব্যক্তির উপরে। একেক জন ধর্মটারে একেক রকমে নেয়। এই যেমন তুমি বললা প্রবাল আহমেদ নিয়া তোমার সমস্যা নাই। কিন্তু এইটা বেশিরভাগ বাঙালি মুসলমানের সমস্যা হইব। এই নাম তোমার বাচ্চার রাখলে সবাই ওরে জিগাইব প্রবাল কেন হিন্দু নাকি ।
আরেকটা কথা অপ্রিয় হইলেও মুসলমানদের মধ্যে অন্য ধর্মের ভালো কিছু স্বীকার করা বা নেয়ার বিষয়ে উদারতা খুব কম। একবার স্মশানে বৌদ্ধ পোড়ানো দেখছিলাম। চিতার পাশেই বৌদ্ধরা ঢোল করতাল বাজিয়ে গান করছিল অন্ত্যষ্ঠি ক্রিয়া উপলক্ষে। অবাক ব্যপার! ওরা বৌদ্ধ ধর্মীয় গানের পাশাপাশি রবীন্দ্র নজরুলের গানও গাইল। ধর্মীয় আচারেও হিন্দু ও মুসলমান রচিত সংগীতে ওদের আচার নষ্ঠ হয় নাই।
এটা ঠিক যে প্রবাল আহমেদ নাম রাখলে সে হিন্দু নাকি জিগাইব, তখন যারা জিগাইবে তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে। এরকম করেই তো পরিবর্তন আসবে। আমার এক ছাত্রীর নাম "অদ্বিতি শামস", সে একবার কিছু মহিলাদের হাদিস-কোরান পাঠের আসরে গিয়েছিল, সেখানে তারা তার নাম পরিবর্তন করে অন্য "মুসলিম" (পড়েন আরবী) নাম রেখে দিতে চেয়েছিল। উল্লেখ্য মেয়েটা তখন ঢাবি'র ৩য় বর্ষের ছাত্রী!
"আরেকটা কথা অপ্রিয় হইলেও মুসলমানদের মধ্যে অন্য ধর্মের ভালো কিছু স্বীকার করা বা নেয়ার বিষয়ে উদারতা খুব কম।"
"ভালো" বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছেন সেটা পরিষ্কার না। সবধর্মের মূল শিক্ষাগুলো মোটামোটি কাছাকাছি, এমনকি স্ক্রিপচারগুলোর মুলবাণীও খুবই কাছাকাছি। তাই "ভালো" -গুলো সব ধর্মেই কমন।
সব ধর্মেই মৌলবাদী আছে, এবং সবধর্মে মৌলবাদীদের পার্সেন্টেইজ মোটামোটি সমান। ইসলাম তো যেখানেই গিয়েছে সেখানকার কালচারকে অস্বীকার করেনি, শুধু যেসব কালচার চরমভাবে ইসলামের মূলবিশ্বাসের সাথে যায়না, সেসবকেই মডিফাই করেছে। "মুসলমানদের মধ্যে অন্য ধর্মের ভাল কিছু স্বীকার করার উদারতা কম" সেটা সত্যি না। কিন্তু "অন্য ধর্মের ভাল কিছু নেয়ার বিষয়ে উদারতা কম" সেটা সত্যি। ইসলাম নিজেকে পরিপূর্ণ জীবন-বিধান হিসেবে দাবি করে, তাই সংজ্ঞা অনুসারেই সে অন্যকোন ধর্ম থেকে কিছু নিতে পারেনা, আর সে মনে করে অন্যসব ধর্মের সব ভাল তার মধ্যে আছে।
একটা কথা বলি নারু, সাধারণত মানুষ নিজেকে দিয়াই অন্যকে বিবেচনা করে। তুমি ধর্মপ্রান মুসলমান। সারা পৃথিবীতে ধর্ম প্রাণ মুসলমান শ শ কোটি আছে। কিন্তু কয়জন তোমার মত যুক্তি , জ্ঞানে ধর্মকে ধারণ করে? আমার ধারণা লাখে বড় জোর একজন। সুতরাং সমাজে সেইসম মানুষের ইমপ্যাক্টই বেশি। বিষয়টা অন্যদিকে যাচ্ছে। সেইজন্য এই নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছিনা। আশা করি বুঝাতে পেরেছি কী বলতে চেয়েছি।
হাসান ভাই, বাংলা ছাড়া অন্য ভাষায় নাম রাখলেই কি বাংলা ভাষা "হেয়" হইয়া যায়? এই পয়েন্ট টা নিয়া মনে হয় আপনার একটু ভাবা উচিৎ...
আমরা সব সময় ওভার ডিফেন্সিভ মোডে খেলি...ধর্ম নিয়া বেশি সেনসিটিভিটি যেমন ভাল্লাগেনা, অতি ডিফেনসিভ বাংগালিত্বও ভাল্লাগেনা...আমাদের টলারেন্স বাড়ানো দরকার...
একমত।
একটা বিষয় বইলা নেই, আমি কিন্তু পোস্টেই লিখছি যে এইটা আমার জাস্ট নিজস্ব চিন্তা। আর বলছি এইটা বেশিরভাগ লোকেরে স্পর্শ করেনা। কমেন্টে অনেকেও বলছে এইটা কোনো আলোচনার বিষয় না। আমি নিজেও পোস্টে স্বীকার করছি সমস্যাটা আমারই। আর ব্লগে পোস্ট দিয়া সমাজ পরিবর্তন বা ঐরকম বিপ্লবী কিছু হইব বইলা আমি মনে করিনা। নিজের কথা বলার একটা জায়গা সেই সুযোগে কিছু বলা, আর কিছুনা।
ভাবলাম। তারপর একটা কল্পনা করলাম। আমার মা কেমন আছে খবরই লইনা। তার লগে যোগাযোগই করিনা। কিন্তু আমার বন্ধুর মা, আমার চাচী শ্বাসুরী, পাতাইন্যা আন্টির গো সাথে নিয়মিত যোগযোগ রাখি দুইদিন পর পর উনাদের বাসায় ফলমুল পাঠাই। এখন প্রশ্ন হইল আমার কার্যকলাপে আমার দারা আমার মারে উপেক্ষা বা হেয় করা হইল?
আমি নিজেরে উদারনৈতিক ভাবধারার লোক ভাবতে পছন্দ করি। চেষ্টা করি সবসময় গোড়াঁমি, একমুখি চিন্তা ছাইড়া ফ্লেক্সিবল হইতে চেষ্টা করি। তারপরেও মহামানব না যেহেতু সেহেতু ত্রুটি বিচ্যুতি তো থাকবেই, এইটা তোমার যতই না ভাল্লাগুক।
তোমার এই অতি ডিফেনসিভ বাংগালিত্বও শুইনা মনে হইল চারিদিকে বাংলা নামের জয়জয়কার (পোস্টে টপিকানুযায়ি) চলতেছে। দুই একজন শখ কইরা অন্য ভাষার নাম টাম রাখছে বইলা উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হইয়া গেল গেল বইলা চিক্কুর দিতাছি। আচ্ছা তুমিই কওতো তুমি কি সত্যি বিশ্বাস কইরা এই কথা বলছ, যেখানে শতকরা পচানব্বই ভাগের বেশি লোক তার নিজের ভাষায় নাম রাখেনা, সেইটা নিয়া আলোচনা করা ডিফেন্সিভ বাংগালিত্বও ?
টলারেন্স আরো বাড়াইয়া কতদূর পর্যন্ত নেওন যাইব বইলা তুমি প্রস্তাব করতেছ? বাঙালিরা বাংলায়া নাম রাখা তো বাদ, এখন বাংলায় কথা বলাও বন্ধ( রেডিও টিভিতে শুরু হইয়া গেছে ইতিমধ্যে) পর্যন্ত?
আগেও কয়েকবার ঘুইরা গেছি .. ছালু তো আর আলোচনা চালায়া গেলো না
ওরে খাইছে... এতো কমেন্ট পড়ুম কবে? বাদ্দিলাম...
তবে আমার নিজের কথাটা জানায়ে রাখি। নামের সুন্নতী স্টাইল আমার নাপছন্দ। আমার নিজের নামের ভিতরে ইসলাম আছে। এই নামে আমি পরিচিত হইতে আগ্রহী না। কিন্তু সবাই চিনে গেছে এখন আর কী করা? মাঝে মধ্যে বাপের উপরে মেজাজ খারাপ করি।
আমার মেয়ের নাম 'আকাশলীনা নিধি'। নামের মধ্যে চর দখলের মতো ধর্মের সাইনবোর্ড গাড়তে আমি রাজী না।
কষ্ট হইলেও সবগুলো কমেন্ট পড়ছি। অচুদা থ্যাংকু দেন।
------
ইচ্ছা বা আকাঙক্ষা দুইটা নামই খুব সুন্দর। রেখে দিলে ডাকতে ডাকতে কানে সয়ে যাবে। তখন আর শ্রুতিকটু লাগবে না।
একটা বাচ্চা মেয়ের নাম পেয়েছিলাম পানকৌড়ি। বারবার ডাকতে ইচ্ছে করছিল।
আমার সন্তানদের নাম (ভবিষ্যতে) অবশ্যই বাংলায় হবে। মরুভূমির নামের মায়রে বাপ। দুটি শুদ্ধ বাংলা (বাংলায় হিজরত করা কোনো বিদেশী শব্দ না) শব্দ নিয়ে নাম হবে। তবে এ নিয়েও সমস্যায় আছি। পুত্র বা কন্যা যদি লেখক হয় তবে পাঠক তো হোঁচট খাবে। বলুন তো নীচের কোনটি লেখকের নাম আর উপন্যাসের নাম?
এ সমস্যা মিটিয়েই আমার সন্তানদের বাংলা নাম হবে।
সংগ্রাম মিন্টু আর সীমান্ত খোকন নামে দুইজন লোকরে চিনতাম বেইলি রোডে। একবার মনে হলো এরা যদি বাংলাদেশের বর্ডার ইসু্ নিয়ে কোনো উপন্যাস যৌথভাবে লিখে আর লেখকের নাম 'সীমান্ত সংগ্রাম' দেয় তাহলে কেমন হয়?
বাংলা শব্দে প্রচুর সুন্দর সুন্দর শব্দ আছে। কিন্তু নাম (ডাকনাম হিসেবে কিছু চলে) হিসেবে প্রচলিত না বলে এসব শব্দ বাছাই করছে না পিতামাতারা। এটা বন্ধ হলে ভালো হয়।
বিদেশী ভাষায় নাম শুনে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে হয় তার বাংলা মানে কী? এটা খুবই ফাউল লাগে আমার কাছে।
শুনতে সুন্দর এমন অনেক শব্দই বিদেশী ভাষায় পাওয়া যাবে। তাই বলে ওইগুলায় নাম হতে হবে এটা আমি মানি না।
আমার নামের সঙ্গের সৈয়দ-মোহাম্মদ সব ঝেটিয়ে বিদেয় করেছি। হাসান-ও চেয়েছিলাম কিন্তু এফিডেভিট করলে নাকি সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। তারপরও করতে চেয়েছিলাম কিন্তু বাপের অনুমতি পাই নাই। তখন বাপের অবাধ্য হলে হোটেল বন্ধ হয়ে যেত।
আপনার বিশ্বাসগত পরিবর্তনের জন্যই আপনি সৈয়দ-মুহম্মদ দূর করেছেন হয়ত, বাংলার প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসা থাকতে পারে, কিন্তু শুধু বাংলার প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসা দেখানোর জন্য কেউ মনে হয়না এফিডেভিট করে নাম বদল করতে চাইবে।
হ, আপনে ঠিকই বুচছেন
এহ, হজম হৈয়া গেলাম পোষ্টের পড়ে কমেন্ট পড়তে পড়তে....
কার কমেন্ট নিয়া কি কমু সেডাও ভুইলা গেলাম, কিন্তু এত ককষ্ট কৈরা একটা পোষ্টের পোষ্ট আর কমেন্ট পড়ছি, একটা ভালো টাইপ কমেন্ট না করলে বুঝানোও যাইতাছেনা......
আফসুস....কাইজ্যার শেষে আইসা মজা নাই, মাঝে খেলতা পরলে ভালোই লাগতো..
প্রাপ্ত বয়ষ্ক মাইনষের লগে কাইজ্জ্বা কইরাও লাভ নাই; কেউ তালগাছের দাবী ছাড়ে না
এইজন্যই তো কবি কৈছে, বেশিরভাগ কাইজ্যার লজিকাল সমাধান নাই....পুলাপাইন করলে, একজনে আপোষে মাইনা নেয়, যাহ, তোরটাই ঠিক....আমরা বুইড়ারা পারিনা....
কিন্তু আসলেই, তালগাছের কাহিনীডা না জানি কেডায় বাইর করছিলো? সে একটা পিস ছিলো....
এইবার ফ্রিতে একটা জোকস শুনেন। হিন্দি কমেডি ছবি হাঙ্গামাতে দেখছিলাম।
হোটেলে রুম বুক করার জন্য রিসেপশনিস্ট জনৈক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন- নাম ক্যায়া হ্যায?
''তুলসী দাস খান'' উত্তর।
''ইয়ে নাম হ্যায় অউর ইনডিয়া-পাকিস্তান কি সারহাদ?? (এটা নাম নাকি ইনডিয়া পাকিস্তানের বর্ডার???!!!!)
বাপরে, ডরাইছি! মানুষজন নাম নিয়া কত্তো সিরিয়াস!
প্রোপার নাউন অর্থহীন হলেও সমস্যা আছে বলে মনে করি না। ইংরেজি নামের কয়টার অর্থ থাকে! আমার পর্যবেক্ষণ হলো, বাংলা (হয়তো উর্দু-হিন্দিও), আরবি, ফারসি এইসব ভাষার নামের ক্ষেত্রে অর্থ নিয়ে প্রশ্ন আসে।
সেই আশির দশকে প্রতিবেশীর বাড়ীতে দু্ই বাচ্চার নাম রাখতে দেখছি এবং (ছেলে) আর সুতরাং (মেয়ে)। গত বইমেলায় শিশিরার্দ্র মামুন নামে কবির বই বের হতে দেখছি।
পোস্টে রহিমভের নাম দেখে মনে পড়লো, আমার এক কাজিন চীনের কুনমিং প্রদেশের মুসলমান পরিবারে বিয়ে করেছে, ওর শ্বাশুড়ির নাম খোদেজা ডং।
সে এক ভয়াবহ পোস্ট নুশেরা'পু। পড়তে পড়তে সেদ্ধ হয়ে গেলাম।
আমার কাছে যেসব ব্লগনিকগুলো ভাল্লাগে- বিষাক্ত মানুষ, ভাঙ্গা পেন্সিল, কাঠপুতুল, মেঘ, আরো আছে। এই শব্দগুলোর গঠন সুন্দর এবং ভাষা বাংলা।
আর আসল কথা নামে কিবা আসে যায়, তাই না?
নারুর প্রথম মন্তব্যের অনেকাংশের সঙ্গেই একমত ।
তবে, একটু সচেতন হয়ে বাংলা নাম রাখবার পক্ষেই আমার মত !
আরবী নামের সমস্যা আছে । অনেক নামেরই অথর্Aগত অসঙ্গতি আছে । আমাদের কাঠমোল্লারা এবং অভিভাকরা না জাইনাই
এইসব নাম রাখে ।
নাতিগো নাম আমার দাদাজান , কুরআন দেইখা রাখছেন । যেমন, 'আবদুর রাজ্জাক' 'রিজিকদাতার গোলাম বা 'রিজিকদাতার বান্ধা' !
রিজিকদাতার গোলাম হওয়াতে সমস্যা নাই, সমস্যা হইলো, নামটা আমার কাছে বুইড়া বুইড়া লাগে আমার ডাকনাম 'শিপন'টা আবার আমার দাদীজানের দেয়া । কোন এক অজানা শিপনের নাম শুইনা ওনার ভাল্লাগছিলো !
মন্তব্য করুন