ভোর ও স্বপ্ন কথন
ভোর বেলা লগিন করে দেখলাম একা ! হ্যা আমি আমরা বন্ধুতে নতুনই আসলাম । নিজেকে একা দেখে এক প্রকার ভালই লাগছে বলা যায় ! ভাবলাম ভোর বেলা কিছু ভোর কথন হয়ে যাক !
এখনও ভোর হয়নি।আলো ফোটেনি।শেষ রাতের আকাশে এখনও চাঁদ জেগে আছে।যেন অপলক চোখে চেয়ে আছে পৃথিবীর পানে । দারুন লাগছে ঐ নীরব কালো ভূতুরে আকাশটা। যেখানে বিন্দু বিন্দু তারা গুলো জ্বল জ্বল করে জলছে। হু হু করে বাতাস বইছে,স্নিগ্ধ ভেজা বাতাস,এক অদ্ভুত ভাল লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম !
দূর পূর্ব আকাশে সূর্যের রক্তিম আভা ফুটে উঠছে।সূর্য স্নাত হচ্ছে পৃথিবী।পাখিদের কিচির মিচির শব্দে চারিদিক সরব হয়ে উঠছে।জেগে উঠছে জনপদ। কী গভীর কোলাহলময় জনপদ। শুধু আমি বসে আছি পথ চেয়ে।একটু পরই ভেসে এল মেঘের ময়ূরপঙ্খী। একটা অদ্ভূত সুন্দর শুভ্রপরী হাত বাড়িয়ে দিল আমার দিকে। তার আহবানে সাড়া দিয়ে ভেসে চললাম কোন এক অচেনা নীল দেশে।কিংবা শ্বেত শুভ্র মেঘের দেশে ।
সেই শ্বেত শুভ্র মেঘের দেশে পরীর সাথে চলেছি স্বপ্নের মধ্য দিয়ে। ক্রমাগত একটা স্বপ্নকে পেছনে ফেলে আরও নতুন স্বপ্ন। আরও কত বিচিত্র অনুভূতি;আরও কত বিচিত্র স্বপ্ন!
মোহতা ভেঙ্গে গেলো। বাস্তবতার স্পর্শ পেলাম।প্রতিদিনের কর্মময় ব্যস্ত জীবনের জন্য প্রস্তুত হই।দিনের প্রথম প্রহর কেটে যায় প্রথম ব্যস্ততায়।দ্বিতীয় প্রহর কাটে প্রখর উত্তপ্ততায়। কপাল বেয়ে ঘাম ঝরে।বিকেল কেটে যায় কিছুটা উদাসীন আড্ডায় আবার কিছুটা ঢিলে বাস্তবতায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে।আস্তে আস্তে সব ব্যস্ততা ফুরাতে শুরু করে এবং এক সময় ফুরিয়ে যায়। রাত গভীর হবার আগেই নীড়ে ফিরে আসি। যেখানে ঘুমের ভেতর নিশ্চিন্তে স্বপ্ন দেখা যায়। জটিল স্বপ্ন,পুরনো স্বপ্ন,নতুন স্বপ্ন।ঘুমের ভেতর স্বপ্নের জটিলতা ভেদ করে আরও নতুন স্বপ্ন দেখি। একটা নতুন স্বপ্ন এবং রঙ্গীন স্বপ্ন। জাফরান রঙের স্বপ্ন!
ধূসর মেঘের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে এক নতুন রূপালী চাঁদ। হঠাৎ নিজেকে চাঁদের করোটির ভেতর আবিষ্কার করি;যেখানে নিজের অজান্তেই হাঁটা শুরু করেছি। আমার হাত জোৎস্নার আঁচল আর পা মাটির প্রান্ত ছোঁয়।জায়গাটা কেমন পাথুরে। একটা ছোট্ট টিলার ওপর দুপাশে হাত বাড়িয়ে দাঁড়ালাম। অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করছি।আকাশের তারাগুলো মেঘের ভেতর লুকিয়ে যায়। আবার হাঁটা শুরু করি!আজব!!কিসের আকর্ষনে যেন পা দুটো চলছে,নিজের অনিচ্ছা স্বত্বেও!
সামনে চেয়ে দেখি জোনাকীরা বসে আছে পথের ধারে আর প্রজাপতিরা মেলে ধরেছে তাদের রঙ্গীন ডানা,অদ্ভূত চাঁদের দেশে এরা কোথা থেকে এলো??মাথায় ঢুকছে না!মনে হচ্ছে তারা আমাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে!!পাখিরা তাদের কন্ঠে তুলেছে সুর। আজব!এখানে তো দেখছি পাখিও আছে!!আমার প্রচন্ড ইচ্ছে হল ওদের সাথে কথা বলার,যে কথাগুলো আমার মনের ভেতর কাফনে মোড়া অবিকৃত হয়ে জমে আছে।
চিন্তার সিঁড়ি একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করছে। স্বপ্ন দেখছি। অদ্ভুত সুন্দর স্বপ্ন। বুকের ভেতর হৃদপিন্ড টিক টিক করে বাজছে। যেন নিজের ভেতরের শূণ্যতাকে স্বর্গীয় সংকেতে সাজাতে চাচ্ছে,শতাব্দীর নিগূঢ় নিস্তব্ধতা শ্বেতজবার শুভ্রতায় ধরা দিতে চাচ্ছে।
রাত না যাওয়া ভোরে,আলো-আঁধারিতে,খোলা আকাশের নিচে,কুয়াশার চাদর জড়ানো ঝিরঝিরে বাতাসে-রাঙা রোদে,মেঘে-আকাশের শ্যামল চোখের ছায়ার পরে শূণ্যতা ভাসে.........
ভোরের কথন কইতে গিয়াতো দিন কথন, আইত কথন সপই কয়া ফালাইছ
এবিতে ওয়েল্কু।
ইয়েএএএএএএএ আমার পুত্তুম কমেন্ট পাইলাম

রাজসোহানকে এবিতে স্বাগতম। ভালো থাকুন।
টেংকু টেংকু আপি , আপনার নাম এত শুনেছি আজ কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগছে


লেখা নিয়া কিছু কৈলেন না
না, লেখা নিয়ে প্রথম পোস্টেই কিছু বলা ওস্তাদের বারণ। পরের পোস্ট থেকে বলবো
ওস্তাদ !
আমার পিঠে বস্তা বাধা 
এখানে দেখি নিজের লেখা নিজে পছন্দ করা যায় ?
খিক । ওহন ধুমায়া পছন্দ করো কিন্তুক একবারের বেশি করা যায় না এইটাও মনে রাইখো
রাজাসোহানকে এবিতে স্বাগতম।
লেখা চলুক।
টেংকু জাতীয় ফুল
রাজশোহানকে এবিতে স্বাগতম...
এইবার হাত পা খুইলা রাইখা কীবোর্ড দিয়ে লিখে যান
কিন্তু কিবোর্ডের ছাল চামরাই তো বাই নাই
অফ ট: শুনছি চাঁদের আয়তন দিন দিন কমতেছে। কাজেই যা হাঁটাহাঁটির এখনই করে ফেলেন, পরে আবার হাঁটার মতন জায়গা না ও পাইতারেন!!!
অন ট: এবি-তে স্বাগতম।
সবই বিবর্তনের খেয়াল
টেংকু
রাজসোহানকে এ বি তে সু স্বাগতম।ভালৌছে রোজার দিনে আসছেন, আপ্যায়ন করা লাগলো না।
কিন্তু আমি আজকে রোজা নাই
স্বাগতম ।
আগতম
ওয়েলকু ...
এইটা আবার কোন ক্যু ?
সোহান

ইও , এপুপু

পুত্তুম পিলাচের মাধ্যমে ওয়েল্কু !
ইও , টেংকু টেংকু
এবিতে স্বাগতম
টেংকু বই মানব
এবিতে স্বাগতম। সুন্দর লেখা।
এবি এর মীর
রাজসোহানের আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম।
স্বাগতম
এবিতে স্বাগতম
এমনি আরো লিখতে থাকুন
আপনাকেও আমার ব্লগে স্বাগতম
আপনাকে বন্ধুব্লগে স্বাগতম
অদ্ভূদ সুন্দর লেখা দিয়ে যাত্রা শুরু হলো আপনার। স্বাগতম
আপনার কমেন্ট দেরিতে চোখে পড়ার জন্য দু:খিত
মন্তব্য করুন