খুলনার খাবার দাবার
আমি মানুষটা খাদক টাইপের। আমি খেতে ভালোবাসি। কোথাও গেলে কি কিনবো আর কি খাবো আমার প্রথম চিন্তা হয়ে দাড়ায়। আমি থাকি খুলনাতে। তো এখানে কোথায় সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায় তার একটা বর্ননা দেয়ার খায়েশ হইলো। যারা কখনো খুলনা বেড়াতে আসবেন তারাও উপকার পাবেন আশাকরি। যদি ব্লগে খুলনায় অবস্হানকারী কেউ থাকেন তাইলে খুলনায় মজাদার খাবারের সন্ধান জানলে আওয়াজ দিবেন।
আমি থাকি নিরালাতে। খুলনার একটা আবাসিক এলাকা। এই এলাকা থেকেই শুরু হোক। নিরালার বাসার কনষ্ট্রাকশন যখন চলছিলো আমার মাথার মধ্যে খালি ঘুরপাক খাইতো কবে নিরালা বসবাস শুরু করব!
কারণ নিরালা ১ নং রোডের মাথায় পরাটা আর গরুর বট(ভুড়ি) রোল করে বিক্রি করে যা আমার খুবই পছন্দের।
খুলনা নিউমার্কেটের গেটে গরুর দুধের চা সর দিয়ে বানিয়ে দেয়। এর টেষ্ট না খাইলে কেউ বুঝতে পারবেনা। এর মাজেজা হইলো এই চা যেই খায় তার জিহবা পুড়বেই। প্রথম বার তো নিশ্চিত পুড়বে। আমার মনে হয় খুব কম লোকই আছে এই চা খাইতে গিয়ে জিহবা পোড়ায় নাই।
আমার অফিস জেলখাআনা ঘাটে। সরকারী বেশীরভাগ অফিস এদিকেই। খুলনা জর্জকোটের ভিতরে একটা হোটেল আছে যেটা "দত্তের হোটেল" নামে পরিচিত। যদিও কোন সাইনবোর্ড নাই। যদি কেউ ভাত মাছ মাংস খেতে চায় তাহলে এখানে আসতে পারে। এখানে হাস, মুরগী, কবুতর, খাসী, বিভিন্ন মাছ, সবজি এবং ভর্তা পাওয়া যায়। রান্না গুলো মজার হয়, কিন্তু শুক্র শনি বারে এটা বন্ধ থাকে অফিস ছুটির কারণে।
খুলনা থেকে সাতক্ষীরা যাবার পথে চুকনগর নামে একটা যায়গা হাইওয়ের পাশেই "আব্বাসের হোটেল" যেখানে পাওয়া যায় খাসীর মাংস। খুবই মজাদার রান্না।
ফালুদা জিনিসটা আমার খুব প্রিয়। আমি অনেক জায়গায় এই জিনিস খহাইছি কিন্তু খুলনার মত ফালুদা কোথাও খাইনি। এইটা ভালো পাওয়া যায় খুলনার একটা সুপার শপ "সেফ এন সেভ" এ। খুলনায় হালিম খুব একটা পাওয়া যায়না ভালো। তবে রোজার সময় তৈরী করে বিভিন্ন দোকানে। এমনিতে সবসময় ভালো হালিম পাওয়া যায় ডাকবংলার মোড়ে "লাভলু হোটেলে"।
ফুচকার দারুণ ভক্ত আমি কিন্তু দু:খের বিষয় এখানে চটপটি আর ফুচকা ভালো পাওয়া যায়না। অনেকেই মান্নান হোটেল এর চটপটি ফুচকা ভালো বলে কিন্তু আমার ভালো লাগেনা।
খুলনার বেশীরভাগ দোকানের মিষ্টই সুস্বাদু।
আর মনে আসতেছেনা। মনে আসলে আরো দিবো।
প্রথমেই মাইনাস দিয়া শুরু করি।
নেভি গেটের তৃপ্তি হোটেলের ছানার জীলাপীর নাম না বলায়।
নিউমার্কেটের মালাই চা দুনিয়ার বেস্ট মালাই চা।
নিউজপ্রিন্টের গেটে একটা দোকান ছিলো (এখন আছে কিনা জানি না) সেটায় সকাল বেলার নাস্তা হিসেবে দৈ-চিড়া দিতো। এখনো স্বাদ মুখে লেগে আছে।
মাড়োয়ারীগেটের ঐকহানে একটা ছাপড়া হোটেলে আনবিলিভেবল টেস্টের মোগলাই বানাতো। এখন আর নাই
নিউমার্কেটের মালাই চা দুনিয়ার বেস্ট মালাই চা। কথা সত্য।
নেভি গেটের ছানার জীলাপীর কথা জানতামনা। খাইতে হবে।
এখন কি আছে সেগুলার খবর দেন।
এখন কি আছে সেই খবরতো দেবেন আপনি। দুই-আড়াই বছর হৈলো খুলনা যাই না
আর আপনি তো নিউমার্কেটের এদিকে আইলেনই না। ঐদিকেই থাক্লেন। অবশ্য এদিকটা এখন আর অতটা বেঁচে নেই
খুধা লাইগা গেল
চক্ষু বন্ধ কইরা স্বপ্ন দেখা ছাড়া উপায় নাই ।
খুলনা অল্প সময়ের জন্য ছিলাম...সুন্দরবনে যাওয়ার সময়। তয় আমিও আপ্নার মতো মিষ্টি অথবা মশলাদার খানা পছন্দ করি। চটপটি, হালিম, ঝাল কইরা স্যুপ...অথবা যেকোনো পদের মিষ্টি(সন্দেশ ছাড়া)...ক্ষুদা লাইগা গেল
বেশী সময়ের জন্য চলে আসেন একসময়
গত পরশু দিন বিকেলে নিউমার্কেটের মালাই চা খাইতে গিয়া জিহ্বা পুড়ে গেল। গতকাল পর্যন্ত খুব কষ্ট পেলাম জিহ্বা নিয়া। এই নিয়া অবশ্য দুইদিন খাইলাম। প্রথম দিন জিহ্বা পুড়ে নাই। দ্বিতীয় দিন পুড়ছে।
চুকনগরের আব্বাস হোটেলে খাইতে গিয়াই ক্রিকেটার রানা বাইক এ্যাক্সিডেন্টে নিহত হইছিলো। আব্বাস হোটেলের খাশীর মাংশের রেজালা নাকি ভুবনবিখ্যাত?
আমি খাওয়া দাওয়া করতেছি শিল্প ব্যাংক ভবনের পেছনে ফারুক ভাইয়ের হোটেলে। সেই রকম ঝালসমৃদ্ধ রান্না। খাইতে দারুন।
আমারও একবার পুড়ছিলো। সময় করে চুকনগর গিয়ে খাসীর মাংস খেয়ে আস। দারুণ মজাদার!!
আপনার কথা শুনে আবার খুলনা যাইতে ইচছা করতেছে... আমি খাইতে পছন্দ করি কিনতু ডায়েটের কারনে খুব একটা খাওয়া হয়না.... খুলনা একবার গেছিলাম,ওখানকার চিংড়ি ও টেংরা মাছ খাইতে খুব মজা । খুলনার রাননা মজা তবে আমার রাননার চেয়ে না
খাওয়াইয়া তারপর কন ... নাইলে বুঝমু ক্যাম্নে যে চাপা মার্তাছেন্না
খাইতে হইলে খুলনা আসতে হইবে।
চলে আসেন।চিংড়ি,টেংরা,পারশে মাছও কহুব মজা। আপনার রান্না খাইতে হবে তো
চলে আসেন।চিংড়ি,টেংরা,পারশে মাছও কহুব মজা। আপনার রান্না খাইতে হবে তো
কবে আসবো?
যব দিল চাহে...........
রুধীন আপাআআআআআআআআআআ.............
খুলনার সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে পানি । যে এই পানি একবার পান করিবে তাহাকে আর জীবনেও ওরস্যলাইন খাইতে হইবে না । জীবনে প্রথমবার খুলনা গিয়া পানি মুখে দিয়া ত্রিশ সেকেন্ড তব্ধা খাওয়া ছিলাম।
পাঁচ-ছয় মাস আগে খুলনা গেছিলাম অফিসের কাজে। বিকালের মধ্যে কাজ শেষ করে ট্রলার ভাড়া করে রূপসা বিহারে বের হইছিলাম. সন্ধ্যা পর্যন্ত রূপসাবিহার করে হালিম খাইতে গেছিলাম পিকচার প্যালেসের উল্টোদিকে এক কাবাব-হালিমের দোকানে (দোকানের পাশে একটা বইয়ের দোকান আছে, সেখান থিকা একটা বইও কিনছিলাম 'বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব') .... সেই দোকানের কাবাবটা যেমনই হোক হালিম খেয়ে মন ভরে গেছিলো সেদিন। আহা ! দুই বাটি হালিম খাইছিলাম আমি।
আউলা এখানে থাকলে আরো ভালো বলতে পারতো।
পানি আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে অনেক দিন পর দেশের বাইরে থেকে আসার পর লবনাক্ত লাগছিলো।
এর পর আসলে আমাকে জানিও।
বিমার সাথে আউলারে মিসাইলাম এখানে।
দিদিদিদিদিদিদিদিদিদিদিদিদিদিদিদি, খাওন এর কথা বলে তো ক্ষুধা বাড়িয়ে দিলা। খুলনায় যাই নি কখনো। তবে যাব নিশ্চয়ই কখনো। তখন তোমার কাছে জেনে সব খেয়ে আসব।
তোমারে কইলাম ঘুইরা যাও। অনেক সুন্দর শহর। ছিমছাম।
পোষ্টের টাইটেলে "খুলনা" শব্দটা না থাকলে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য রসনা নিবারণের উপকরণ ওর তার স্থান কাল পাত্র নিয়া আলুচনা করা যাইত। চিটাগাং এর বদ্দা গ্রুপ আই মিন বাই ভোন'রা (ভাই-বোন'রা) আওয়াজ দেন প্লিজ।
চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য খাবার দিয়া একখান পুষ্ট দেন। রেসিপিও দিবেন। রান্না কইরা খামু।
কবে আসবো?
যখনই মন চাইবে.....
আপারে চিনছিইইইইইইইইইইইইইইইইইই!!!!!!!!!!!!!
আছেন কেমন ?
এতদিন পরে..............চিনলা....।
আমি ভালো।
হোটেল ডিলাক্সে আমাদের ফালুদা খাওয়ার শুরু যখন ফালুদা এত এভেলেবল ছিল না । গ্লাসে দিত , দই দিয়ে । বেশ তরল , আইসক্রীম নৈব নৈব। একদিন খেয়ে এসেন
পিকচার প্যালেসে আপ্যায়ণের মোগলাই ও অন্য খাবার খেয়ে আসতে পারেন
আর সৌরভ কস্তুরি দুটোর কাচ্চি ও চিকেন বিরিয়ানী আমার কাছে ঢাকার অনেক ডাকসাইটে দোকানের চেয়ে ভাল মনে হয়
লাস্ট বাট নট লিস্ট .....ইন্দ্রমোহনের সন্দেশ এইটা স্বর্গীয়
আর কোট চত্বরে 'খানের হোটেল' অনেক প্রশংসা শুনছি বাবার (এডভোকেট) কাছে। লিমিটেড আইটেম, লিমিটেড সেল তবে খুব ঘরোয়া আর মার্জিত না কি
অধুনা কোটের বাবুলের দোকানের সন্দেশও অনেকে বাইরে থেকে এসে কিনে নিয়ে যায়
আমি খুলনায় তেমন যাই নাই। একবার গেছিলাম এক হোটেলে থাইকা পরদিন সকালেই সুন্দরবন ট্রিপ। আরেকবার যাইতে হইবো। খুলনায় যদিও আমার পরিচিত অনেক মানুষ...
মন্তব্য করুন