"একটি খোলা চিঠি" জয়ীতাকে
প্রিয় বন্ধু আমার,
কেমন আছ তুমি? তোমার ভালো থাকার প্রত্যাশা নিয়ে লিখছি। তোমাকে লিখবো লিখবো করে দেরি করেই ফেললাম। আমি ভারাক্রান্ত মনে ফিরে এসেছি। আমার ব্যাথাতুর মন ব্যাথার ভারে আরো নূ্যে পড়েছিলো, যখন আমাদের দেখা হচ্ছেনা শুনে তোমার আবেগী কন্ঠে আকুলতা আর অনুযোগের সুর ধ্বনিত হলো।
আমারও ভীষন ইচ্ছে ছিলো, দীর্ঘ দিন যে মিষ্টি অবয়ব ছবিতে দেখেছি, রিনিঝিনি কাচের চুড়ির মত মধুর কন্ঠস্বরের কথামালা ফোনে শুনেছি সেই তোমাকে একটু দেখবো, পাশে বসে সময় কাটাবো । হলোনা!! এমন অনেক কিছুই হয়না যেমনটি আমারা চাই। মন খারাপ করোনা। চল, আরো অনেক বেশি প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করি দেখা হবার জন্য আগামী কোন এক দিনে।
ভালো থাক অনেক বেশি, ইচ্ছের ডানা মেলে।
দেখা হবে বন্ধু...............................
ইতি
রুধীণ
জয়িতা=জয়ীতা....
ভানাম বূল অইচে...
জয়িতা জয়িতা জয়িতা । আর ভুল হইতোনা।
খাইছে
কে কি খাইলো আবার!
খাইছে
ওহ এই তাহলে কথা।
কিন্তু দেখা কেনো হলো না? এখনতো শায়েস্তা খানের যুগ না, দেখা হওয়ার সমস্যা কি? ছবির হাটে এবির বৈঠক ডাকেন
যেই যুগই আসুক কিছু কিছু না পাওয়ার বেদনা থেকে মুক্তি নাই!!
দেখা হয়না ক্যান?
আমিওতো বলি দেখা হয়না ক্যান??
আমার মনে হয়তেছে এই চিঠি রুধীনদির একাউন্ট হ্যাক কইরা অন্য কেও লিকছে.।.।
ডাম মে কুছ কালা হ্যায়।।
হিংসুট্যা ভাতিজা।
রুধীণদি নিজেই লিখছে।
রুধীন, কেমন আছ দিদি তুমি?ফেনবুক নাই বলে আর দেখি না তোমাকে। বাসায় ইন্টারনেটও নেই। সকালে অফিসে এসে ব্লগ খুলেই দেখি খোলা চিঠি। সবাই তো জানে না, তাই বলছি, রুধীন যখন বাইরে থাকতো তখন রুধেনের সাথে আমাদের পরিচয় ব্লগে। তারপর রুধীন দেশে আসলো , দেথা হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু হয়নি। রুধীন খুলনায় থাকে তার রাজপুত্র অনন্য নিয়ে ঢকায় তেমন আসা হয় না। এই কদিন আসে এসেই ফোন করেছিলো, তখন বললাম যে ছবির হাটে আসো সবার সাথে দেখা হবে। কিন্তু ওর বরের জরুরী কাজ থাকায় ও কে খুলনায় চলে যেতে হলো বলে দেখা হলো না।
রুধীন দিদি, তুমি যেভাবে আমার কথা বললে আমি মুগ্ধ তো হলাম, লজ্জা পেয়ে বেগুণী হয়ে গেলাম। ব্লগে তোমাকে নিয়মিতই দেখতে চাই। ভাইগ্নাকে আদর দিও গো দিদি। ধেখা হবে নিশ্চয়ই কোন একদিন।
হু সকালে অফিসে ঢুকেই ব্লগ !! ছি ছি এই না হলে দেশের যুবকসমাজ !!!
এই মেয়ে!নজর দেও কেন? ফেসবুক বন্ধ। বাসায় ইন্টারনেট নাই দুদিন ধরে। ব্লগের জন্য মন পুড়ে আমার এইটা জানো না?
খুলনায় যাইবা? ছোট মানুষ কে? তমি? তুমারে নিয়া যাইতাম? আমি আবার কোথাও একলা যাইতে পারি না।
ইয়ে আপনি দেখি আল্টাস্রাফ এর পরশ পান নাই আমিতো এফবি ব্লক ভেঙেচুরে --------
কাহিনী খোলাসা কইরা কও। বুঝতাম চাই।
এইটা দিয়ে পুরা ফকফকা এফবি পাওয়া যায়
ইয়ে আমিও পাইছিলাম কিন্তু কিছু ছেড়াবেড়া লাগছে আর কি।
এইটাই ? এইটায় তো কোন গোলমাল নাই অন্য প্রক্সির মত
ভালো আছি বুজান। দেখা হবে কোন একদিন........
ভালো আছি বুজান। দেখা হবে কোন একদিন........
জবাব লেখি একখানে চইলা আসে আরেকখানে । বুঝতাছিনা! জয়িতাকে লিখছি।
জবাব আমার কাছেই আসছে কয়েকজনরে ডিঙ্গাইয়া।
খুলনা তো কাছেই একটা দাওয়াত দিয়ে দেন দিদি - জয়িতাপুকে নিয়ে চলে আসছি এখনি , ছোট মানুষ তো একা গেলে কি না কি হবে - তাই আমি নিয়া যাবোনে
ওক্কি ???
দেশে থাকলে আমিও যাইতাম।ইউনিতে কত বার প্লান করছি খুলনা যামু।মাইকো নিয়া সুন্দরবন যামু।
কিন্তু এখন মন খালি যাইতে চায়।
বেদেশ গেলে তখন সবার মন খালি দেশে এইখানে ওইখানে ঘুরে বেড়ায়। কই যাইতে চান, মেসবাহ ভাই এর সাথে যুগাযুগ করেন। ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
সবার কি না জানি না আমার হচ্ছে।।এদিকে ক্লাস নেয় প্রফেসর আর আমি সাইকেলে করে ঘুরে বেড়াই রাজশাহীর অলিগলিতে কলেজে পড়তে যেমন ঘুরে বেরাতাম।
মাঝে মাঝে দুলদুল এ চড়ে অনিকে চড়ে ঢাকার নিউমারকেট, ডাশ, মল চত্তর ঘুরে বেড়াই।মাঝে মাঝে আমার টংগীর বাসার ছাদে উঠে আকাশ দেখি।।
সত্যি কথা বলতে আমার দেশের চাইতে সুন্দর আর কোন দেশ নাই।সেটা যত পচা হোক বাড়ি ধসে বা আগুনে পুড়ে মানুষ মরুক।
হুমমম। আপনার ফিলিংসটা বুঝি। কি আর করা। তবে যা করতে গেলেন সেটা তো আনার জন্য ভালো কিছুই নিয়ে আসবে তাই না?
জানি না.।আমার মনে হয় আমি ভুল করে ফেলেছি।
আরে না। ভুল কেন হবে?
রাসেল ভাই কোথায় আছেন এখন ?
আমি ক্লাস সিক্সে থাকতে একবার গিয়েছিলাম , একবারই । লঞ্চে করে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে ঘুরেছিলাম । তবে বাঘ কুমীর তো দূর , বান্দর দুএকটা খালি দেখছি , আর ফরেস্ট অফিসারের বাংলোতে পোষা হরিণ
এপু ইয়ে মানে, তুমার তো বান্দর দেখার কি কথা ছিলো নাকি?
কিঊ ?
এমনেই কইলাম আর কি। বৃ্ষ্টি তো! মন উথাল পাথাল । তাই কি কইতে কি কই!
ইয়াপ ডরাইছে
থাকিরে ভাই হাংগুক দেশে।মনটা সারাদিন মায়ের জন্য মন কান্দে।।কোন সময় আস্তে কোন সময় হাউমাউ করে.।.। ( ( ( ( (
হাংগুক কি কোরিয়া না রাসেল ভাই ?
হ.।।।এতকিছু জানেন কেমতে.।।।??????
সামহোয়ারে কোথায় যেন দেখছিলাম , দ কোরিয়া হাংগুক আর উ কোরিয়া বুকহান টাইপ কিছু একটা
চলে আস যে কোন সময়।। জয়িতাকে অনেকবার বলছি। ইচ্ছের ডানাটা মেলে ধরলেই হয়।
চলে আস যে কোন সময়।। জয়িতাকে অনেকবার বলছি। ইচ্ছের ডানাটা মেলে ধরলেই হয়।
@ একলব্যের পুনর্জন্ম |
বুঝতে সময় লাগতেছে...
মাথারে দুইটা ঝাকানি দেন
আম্মো ভাবছিলাম ঐদিন দেখা হইব আপনার সাথে।
কি আর করা!! আবার ভাবা শুরু করি!!
রুধীন দেখি দিদি!!! ওমা!!!!
ধুর, আমিতো আরো মজা নিতে আসছিলাম.....ধুর ধুর, মাইনষের মজা মাইনষের সইহ্য হয়না....
শেষ পর্যন্ত বিলাই ধরা খাইলো।
ওপেন দাওয়াত পাইছি জয়িতাপু ----- মিস করা বোকামি হবে
ভালো থাকবেন , রুধীন দিদি । -----রুধীন মানে কি ?
মিস কইরো না। দাওয়াত কবুল করা কিন্তু ছওয়াব। কেডা জানি কইছিলো!মনে নাই।
তুমার কবিতা মিস করি গো কবিপা।
রুধীনদি'কে লগিন দেখতে পাইতেসি।
শুভেচ্ছা জানবেন দিদি।
মন্তব্য করুন