রেড প্ল্যানেটের পথে কিছু সুন্দর স্মৃতি
আমি স্টেশনের ধারে কাছেই ছিলাম। একটা ট্রেনের শেষের কামরাটায় বুলুকে দেখতে পেলাম, সাথে আরও দুটো ছেলে এবং কিছু ব্যাগ বোকচা সমেত ওরা বসে আছে। দেখেই বুঝতে পারলাম ওরা কোথায় যাচ্ছে।
আমি নিজে যে দুই এক বার ওখানে গিয়েছিলাম তার প্রতিটি অভিজ্ঞতাই বেশ চমকপ্রদ ছিল। খুব কম মানুষ সেখানে আর একগাদা বিশাল ফাঁকা ফাঁকা জায়গা। আর রেডিও টিভি ইলেক্ট্রনিক্স কিচ্ছু নেই। মানুষ কিভাবে টোস্ট বানায় সেখানে তাও বুঝতে পারলাম না।
আমার আগের জার্নিটায় একটা ছেলেকে বেশ ভালো লেগেছিল, ওর সাথে কথা বলতে বলতে ট্রেনের দরজায় ঝুলে পড়লাম। আরও কিছু শহুরে লোকও ছিল সে যাত্রায়। আমরা নিজেদের আবিষ্কার করলাম একটা রাস্তার ধারে, কিছু বাড়ী ঘর টাইপের স্ট্রাকচার যদিও ছিল, আমরা রাস্তার ধারেই সময় কাটাতে লাগলাম। মনে পড়ে আমি একটা ভাঙ্গা রেডিও নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম কিন্তু ঠিক মতো কাজ করছিলো না কিছুই। আমি কিছুদিন পরেই ফিরে আসি।
আজকের এই ট্রেনটা একটু অদ্ভুত দেখতে। বেশির ভাগ ট্রেন লাল রঙের হয়, এটাও তাই। তবু দেখে মনে হয় বেশ পুরনো আমলের গাড়ী। আরও অদ্ভুত যেটা ছিল সেটা হলো ট্রেন ছাড়ার ঘটনাটা। আমি বগির সামনেই দাঁড়িয়ে, কিন্তু ট্রেনটার সামনে ছিল ভাঙ্গা প্লাটফর্মটা, অর্থাৎ লাইন বদল না করে ট্রেন আগাতে পারবে না। কিন্তু আমি বুঝলাম না ট্রেনটা কেন ওই লাইনের চলা শুরু করলো এবং ঠিক কখন কিভাবে লাইন বদল করে ডানপাশের লাইনের চলে গেলো।
আমি উপায় না দেখে সেই ভাঙ্গা প্লাটফর্মটার উপর দিয়েই দৌড়ে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলাম। কপাল ভালো, সামনেই একটা ক্রসিং এবং ট্রেনটা দাঁড়িয়ে গ্যালো। আমি লাইন ক্রস করে ড্রাইভারের কামরাতেই উঠে পড়লাম। ড্রাইভার বেটি তখন ইন্টারকমে ব্যস্ত দেখে আমাকে গায় লাগালো না, আমি বলতে যাচ্ছিলাম, এটা কোনো ম্যানার হলো ট্রেন ছাড়ার? কিন্তু ইন্টারকমের ওপাশ থেকে ভেসে আসা একটা পরিচিত কণ্ঠ শুনে চুপ মেরে গেলাম। ওপাশ থেকে কথা কচ্ছিলো বুলু। টিকিট বা আইডেন্টিফিকেশন কিছু একটা নিয়ে। আমি কইলাম, হ্যাঁ ওদেরকে আমি চিনি।
ট্রেন ড্রাইভার তারপর আমারে কয়, তুমি যদি ঐদিকে যেতে চাও তাহলে ওদের সাথে টিকিট শেয়ার করতে পারো। আমি বললাম, সেটা ঠিক আছে। ড্রাইভার আসলে খুব একটা বয়স্ক ছিল না। সত্যি বলতে কি, কামরাটায় বেশি লোক জন্য না থাকায় এবং ড্রাইভার দেখতে সুন্দরী হওয়ায় আমি ভাবলাম এ যাত্রা এখানেই কাটিয়ে দিই। অন্তত বুলু আর বোকচাওয়ালা ছেলেদের কামরার বোটকা গন্ধের চেয়ে ভালো কিছু তো পাচ্ছি!
ট্রেন ড্রাইভারকে মেয়ে বলবো নাকি মহিলা- ঠিক করতে পারছি না। মাঝামাঝিই হবে। কিন্তু তার গায়ের রঙ দুধে আলতা এবং তারই সাথে একটু উজ্জ্বল হলদে আভা ঠিকরে বেরোচ্ছিল শরীরের অনাবৃত অঙ্গ থেকে। আর পরনে সুন্দর পাড়ওয়ালা নীলচে বেগুনী রঙের শাড়ি।
ক্রসিংটা পার করেই সে ট্রেনটাকে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে আমার সাথে দাঁড়িয়ে হাল্কা গল্প করতে শুরু করলো। নীল শাড়ি ব্লাউজের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা বাহুদুটো দেখে মনে হচ্ছিলো একটু ছুঁয়ে দেখা যেতেই পারে। আমি আমার খসখসে আঙুলগুলো জড়ালাম ওর কব্জির একটু উপরে। সত্যি বলতে কি, আমার ঊনআশিটা বছরে কত কিছুই না চেখে দেখলাম, কিন্তু এতো নিটোল আর কোমল কোন কিছুই ধরিনি কোনোদিন।
অন্যহাতটাও ধরে দেখি সেই একই ব্যাপার, খুব নরম আর মৃদু উষ্ণ। এই বয়সী নারীদের আমার একটু অসহায়ই লাগে, কেননা বয়স নব্বই কি পঁচানব্বই হবার আগেই তারা ডাক্তারের চেম্বারে লাইন দেওয়া শুরু করে, কিন্তু এঁকে দেখে মনে হচ্ছে আরও বছর বিশেকেও তার চামড়ায় ঘোঁচ পড়বে না। দারুণ অমলিন তার শরীর! আমি আর কি করবো, আরও বেশি আগ্রহ নিয়ে আলাপ চালিয়ে গেলাম এবং বলতে লাগলাম তার হাত দুটো আমার ভেতরে যেসব ভাবনা জাগিয়ে তুলছে সেসবের কথা।
আমার খসখসে আঙুলের অস্তিত্বে ও তেমন আপত্তি না করে আমার বুকে হাত বোলাতে শুরু করলো। আমিও ঠিক ঘাড় অব্দি ছেঁটে রাখা ওর ঘন চুলে হাতের তালু চালিয়ে দিলাম।
ও তখন বললো, দাঁড়াও, ট্রেনটাকে কিছু কমান্ড দিয়ে আসি। আমি ভেবেছিলাম একবার এই ফাঁকে বুলুর সাথে একটু দেখা করে আসি। কিন্তু কিছু একটা ভেবে ওর পাশেই বসে পড়লাম। ট্রেনটা ও কন্ট্রোল করে মেঝেতে বসে, চেয়ার বা চৌকি কিচ্ছু নেই এই কামরায়। কামরার পেছনের দিকে কিছু বুড়ো মানুষজনও ফ্লোরে বসেই ঝিমাচ্ছিলো। কমান্ড দেবার পর্ব শেষ হতেই একটানে ওর ঠোঁট দুটোকে নিয়ে এলাম আমার ঠোঁটের নিয়ন্ত্রণে।
মন্তব্য করুন