আর সকালবেলায়
স্টেশণ থেকে বের হতেই ঠান্ডায় শরীর কেঁপে উঠল। ট্রেণের ভিতরটা গরম ছিল আর মাটির নিচের স্টেশণটাতে ঠান্ডা পৌছায় নি। এখনও পুরোপুরি শীত শুরু হয় নি। আজ মেঘলা দিন। সূযর্ দেখা দিতে চাইলেও মেঘের দল তা হতে দিচ্ছে না। বার বার ঢেকে দিচ্ছে। স্কুলে যেতে ১৫ মিনিট হাটতে হবে। এক বোতল গরম চা কিনে হাঁটতে শুরু করলাম। প্রতিদিনের মতই সব। রাস্তায় গাড়ি ছুটে চলছে। সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা রাস্তাগুলো ভীষণ ব্যস্ত। সিগনাল লাল হলে তবেই না রাস্তা পার হব। ঐ যে, আনুমানিক ৭০ বছর বয়সী দাদীআম্মা প্রতিদিনের মত সাইকেল নিয়ে হাজির। কাজে যায় হয়ত। রাস্তা পার হতে হতে চারপাশে তাকাই। ঐ তো দুই বাচ্চাকে সাইকেলের সামনে আর পিছনে বসিয়ে মা'টা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে। হাত নাড়ল প্রায় ৯০ বছর বয়সের দাদীআম্মাটা। প্রতিদিন দেখা হয়। সকালে সেজেগুজে বসে থাকেন এখানে , বয়স্কদের দেখাশোনার লোকেরা এসে নিয়ে যাবে। সারাদিন থেকে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবে। আরেকটু সামনে যেতেই প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে নিয়ে মা যাচ্ছে। এবং প্রতিদিনের মতই সে ব্যাস্ত রাস্তায় লাল সিগনাল পরার আগেই রাস্তা পার হবে আর তার মা তাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। ঐ তো আমার স্কুল দেখা যাচ্ছে। আর মেয়েকে কোলে নিয়ে স্কুল বাসের জন্য অপেক্ষারত বাবাকে। প্রতিদিনের মত ছোট্ট মেয়েটা স্কুলে যাবে না বলে বাবার গলা শক্ত করে ধরে রেখেছে। বাবাও বুঝিয়ে যাচ্ছে। বাস চলে এসেছে। ওমা! আজ আর বাবা জোড় করে বাসে তুলে দিলেন না। বাস চলে যাচ্ছে মেয়েটা বাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। এজন্যই তো সে বাবাকে এত ভালবাসে। আমি স্কুলে ঢুকে পরলাম ৪ ঘন্টা বসে বসে বিরক্ত হওয়ার জন্য।
লিখতে থাকুন।
স্বাগতম টু আমরা বন্ধু ব্লগ।
মন্তব্য করুন