ইউজার লগইন

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল'এর ব্লগ

এটি কোন গল্প নয়

আতাহারের বউ পোয়াতি।পেট অনেক উঁচু হয়ে গেছে । বউকে দেখলে আতাহারের হাসি পায়। কিন্তু ভুলে ও বউয়ের সামনে হাসে না সে। এমনিতেই গতকাল রাতে পেটে ব্যাথা উঠেছে দেখে নীলা বলেছে
‘তোমার জন্যই তো এমন হল, তুমি তো বেশ আরামে আছ। এদিকে আমার প্রান যায় যায় অবস্থা’
কথাটা শুনে আতাহারের বেশ হাসি পায় । তারপর ও বহু কষ্টে হাসিটা চেপে যায়। পাছে নীলা কষ্ট পায়।বাচ্চার জন্য জেদ নীলা’ই ধরে ছিল । বাসাতে একা থাকতে ভালো লাগে না । একটা বাচ্চা থাকলে তাকে নিয়ে সময় কাটানো যেত।
নীলা দুইটি জিনিস খুব ভালোবাসে। এক রান্না করতে এবং বই পড়তে। রান্নায় যে সে অদ্বিতীয়া একথা বলার অপেক্ষা রাখে না । আতাহার মাঝে মাঝে বলে আমার আম্মা এর চেয়ে ভালো রাঁধত । আতাহারের কথা শুনে কেমন যেন একটা শুন্য দৃষ্টিতে তাকাবে নীলা । এরপর চট করে হাসি মুখে বলবে
‘ভাগ্যিস তিনি নেই , থাকলে তো আমাকে প্রতিযোগিতায় নামতে হত’
‘তা ঠিক বলেছ, তখন আমি বিপদে পড়ে যেতাম।কাকে বিজয়ী করব ভেবে’

বেঁচে আছি শুধু সে চাহনির জন্য

অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।কনক বেশ কয়েকদিন হল অফিসে আসছে না । আসবে কি করে? কনকের বাবা’র অসুখ , সেই কারণে কনক’কে বেশ খাটতে হচ্ছে।কনকের মিষ্টিমাখা মুখ বেশ কয়েকদিন হল দেখতে পারছি না । সকালে বাসায় নাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। পাউরুটি আর জেলিতে কয়দিন চলে।মা বলে এবার বউ নিয়ে আয়। সকাল সকাল বউয়ের হাতের বানানো নাস্তা খেয়ে অফিসে যাবি!
মা তো জানেনা , এখন কি আর আগের দিন আছে । মেয়েরা শুধু কিচেনে বসে বসে সকলের খাবার বানাবে? আমি নিজে ও জানিনা আমার কপালে কি আছে?সেদিন কনক’কে বিয়ের কথা বলাতে যে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল,ওরে বাবা!আজকালের মেয়ে গুল যেন কেমন?বিয়ের আগেই বলতে শুরু করবে আমার আলাদা ঘর চাই।বাবা মায়ের সাথে থাকা চলবে না । রান্নার জন্য কাজের মেয়ে লাগবে।এছাড়া আছে দামী দামী ফার্নিচারের বায়না।

বর্ণমালা

‘হাই, গ্র্যান্ড পা । হাউ আর ইউ’( বলে আজাদ সাহেবের একমাত্র নাতী ভেতরে চলে গেল )

আজাদ সাহেব স্থির হয়ে বসে রইলেন আরামদায়ক সোফায়। সময় কত দ্রুত গড়িয়ে যায়। এক সময় তিনি ও যুবক ছিলেন । সেই উম্মাতাল দিনে তিনি ও মুক্তির মিছিলে ছিলেন । যদিও আজ কেউ তাকে চিনে না । কেউ তার খবর রাখে না । নাতির রুম থেকে হিন্দি গানের সুর শুনা যাচ্ছে উচ্চ স্বরে ।“মুন্নি বদনাম…।“

পরিবারের সকলকে তিনি অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন । সেই স্বাধীনতার সুযোগে ছেলে , নাতি আজ যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে দেশের রাজনীতি বিদদের মত ।একসময় পাকিস্তানের হায়নাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি , বাঙ্গালী জাতি কে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন তিনি এবং সকল যুদ্ধারা । সেই স্বাধীনতার মানে যদি এমন হত তাহলে কি দেশ স্বাধীন হত ? প্রশ্নটা মাঝে মাঝে মনের গভীরে খোঁচা দেয় আজাদ সাহেবের ।

আহাজারী

ষ্টেশন রোডের জরাজীর্ণ পথের ধারে
খুপড়ি ঘরে বাস করে
এই দেশের জন্য জীবন বাজী রাখা
লড়াকু, এক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা।
তক্ত পোষের দুর্গন্ধ রাস্তা পর্যন্ত পৌছায়
নাক সিটকিয়ে পথিক জায়গাটুকু পার হয়।
কেউ অশ্রাব্য গালি দেয় আজন্মা বলে , কেউ হনহনিয়ে চলে
ক্ষুধার তাড়নায় অভুক্ত তখন পঙ্গু যোদ্ধা ।
গতকাল পর্যন্ত মেয়েটাই ছিল সব
কোন দুর্বিত্তের দল উঠিয়ে নিয়ে গেছে তারে
কপালে মৃদু মৃদু ঘাম,ঘুমোট দুর্গন্ধে চারপাশ
শুধায় পথিকের তরে "দেখেছো বাপ মোর জুলেখারে"
কেউ থমকে দাঁড়ায় বিস্ময় নিয়ে , কেউ দ্রুত
পথচলে আপদ ভেবে।
নিঃস্ব মুক্তিযোদ্ধা আহাজারি করে
ষ্টেশন রোডের জরাজীর্ণ পথের ধারে।

জীবন চক্র

গ্রীষ্মে
বৈশাখ মাসের রোদেলা দুপুর।আম গাছের নিচে পাতা মাচানে বসে পান চিবুচ্ছেন রহম আলী। সারাদিন কলা বাগানে খেটে এসেছেন। নিজের এক চিলতে জমিন। তার উপর ভরসা করে চলতে হয় পুরো বছর। কোন কোন বছর বেশ ভালো চলে । আর কোন কোন বছর অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। এসব সব উপরে ওয়ালার খেলা বলে মানেন রহম আলী।
বাপ মারা গেছে সেই ছোট বেলায়। মা জন্মের সময়। সেই থেকে ফুফুর বাড়ীতে মানুষ হতে হতে নিজের বাড়ী হয়ে গেছে অশ্বথতলা গ্রাম। গ্রামের এই নামের পেছনে ছোট একটা ইতিহাস আছে। গ্রামের ঠিক মাঝ খানে একটি অশ্বথ গাছ আছে । যার বয়স সঠিক কত তা কেউ জানে না । সকলে ধারনা করে এই গাছটির উপর ভিত্তি করে কেউ হয়ত এই গ্রামের নাম রেখেছে অশ্বথতলা । সেই কারনে প্রতি বছর বৈশাখী মেলা এই অশ্বথ গাছের তলায় হয়। বাড়ীর পাশে মেলা হলে ও সেখানে তেমন একটা যেতে পারেন না রহম আলী।

কষ্টের এক যুগ

সিগারেটের ধোঁয়া বেশ বিরক্তি লাগে জিতুর। তবু জিতু সিগারেট জ্বালিয়ে বসে আছে বাড়ির পেছনের মাঠে। সিগারেট কখনো পান করে না জিতু । প্রতিবছর এই দিনে একটি সিগারেট কিনে নেয় গ্রামের রহিম মিয়ার মুদি দোকান থেকে । রহিম মিয়া অবাক হয় কিন্তু কিছু বলে না । বছরের এই দিনটি বেশ কষ্টের । সিগারেট জ্বালিয়ে বুকের মাঝে চামড়ায় স্যাকা দেয় জিতু । বুঝতে চেষ্টা করে কতটা কষ্ট হত তার মায়ের ?আজ এক যুগ হল জিতুর মা মারা গেছে । ঠিক মারা গেছে ভুললে হবে , মেরে ফেলা হয়েছিল । আর তারপর আত্নহত্ন্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন জিতুর বয়স আট। আজ জিতুর বয়স কুড়ি।মায়ের চোখ বুঝে অত্যাচারের সে সব কষ্ট সহ্য করা জিতু দেখেছে নিজের চোখে কিন্তু অনুভব করতে পারেনি সেই সময়। তাই সে অনুভব করতে চায় মায়ের কষ্ট আর বেদনা গুলো।

" বিবর্ণ ঈদ "

সামনে কুরবানীর ঈদ। পাড়ায় ,পাড়ায় ব্যাস্ততা । ঘরের বৌ ঝি সকলে মিলে চাউলের গুড়ি ধুপছে ঢেঁকিতে। চাউলের গুঁড়োর রুটির সাথে ঈদের তাজা গরুর মাংস খেতে বেশ দারুন লাগে। দূ'জন কামলা লাকড়ী পাড়ছে উঠানের কোনায়। রুপকের ছোট বোন তার বান্ধবী রুকু'কে নিয়ে আমের চাটনি বানাচ্ছে।আমের চাটনি রুপকের একটা প্রিয় খাবার । গত কয়েক মাস শহর থেকে থেকে , গ্রামে কেমন যেন লাগছে। এর মাঝে রুপকের মা জননী কয়েকবার এসে জেনে গেল কিছু লাগবে কিনা। আগে যখন বাড়ীতে থাকত তখন এত খবর নিত না । আসলে রুপক এখন অনেক বড় হয়ে গেছে । সেই সাথে ভার্সিটিতে লেখা পড়া করে আলাদা একটা ব্যাপার আছে না। গ্রামে বেশ গরম পড়ছে।

স্বপ্নের ঘোরে

শুষ্ক বুকে দারুন খরা মরূদ্যানের মত
পাথরে জল সেচে মেঘমালা প্রানের নব সঞ্চার
দিন রাত অবিরত উম্মাতাল পারাবারের শব্দহীন গর্জন
প্রতীক্ষায় নতুন বীজ বুনি নিরাশার চরে।

ধূলির ঘূর্ণি ভেঙ্গে করে চূড় শিরা উপশিরা
বুকের পাঁজরে বেদনারা খেলা করে উল্লাসিত হয়ে
মস্তিষ্কের নিউরনে অচেনা কষ্টেরা উজ্জীবিত হয় পুনরায়।

রাতের আঁধারে ঘুমের শহরে সপ্নেরা উঁকি মারে
আমবশ্যার শশী বিহিন নিকষ আঁধারে
ডানে বামে হাতড়ে খুঁজি হারিয়ে যাওয়া
প্রিয়তমার উল্লাসিত মুখের কুৎসিত প্রতিচ্ছবি।

(২০.১০.২০১১ রিয়াদ ।সৌদি আরব)

বন্ধু এবং স্বপ্ন মালা

একটা সময় ছিল হাত বাড়ালেই তোর ছোঁয়া পেতাম
কত রাতদিন হাজারো স্বপ্নের বীজ বুনেছি রেলের সেই
পুলেরধারে বসে কিংবা আমাদের গায়ের মেঠো পথে ।
কত রাত কাটিয়েছি নির্ঘুম থেকে পাশাপাশি এক বিছানায়।

হেঁটেছি মাইলের পর মাইল হাতে রেখে হাত,অসহায় আর
দারিদ্রেরপাশে দাঁড়াব বলে চিরদিন।
আজ কোথায় বন্ধু তুই আর কোথায় আমি ।
আজ ও স্বপ্নের বীজ বুনি একাকী কেউ নেই সঙ্গী তোর মতন।

পাড়ার চায়ের দোকানে সস্তা চা সাথে টোস্ট বিস্কুট
আমার অনেক আছে তবে কেন আমি রোজ আসি এখানে,
জানিস শুধু তোর সৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।আমি
ফুটপাতের চটপটি আর খাইনা বন্ধু ,কারন তুই বারন করতি খুব।

মিছিল মিটিং রাজনীতি তোর প্রিয় ছিল , সাহসী ছিলি
ক্ষমতালোভীর বুলেট কেড়ে নিল তোর প্রান কোন এক মিছিলে।
তোকে হারিয়ে আমার ক্ষত আজ ও শুকায়নি ,কিভাবে শুকাবে
আজো অনেক রক্ত ঝরে রাজপথে,হাজার মায়ের বুক খালি হয়।

একজন শেলীর গল্প

প্রতিদিনের মত নয় আজকের দিনটা । সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। বর্ষার মাঝামাঝি সময়। গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হছে । সেই সকাল থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পায়ে ঝিম ধরে গেছে । শুভ আসবে বলেছিল সকাল আটটায় , এখন বেলা একটা বেজে গেছে । কখন আসবে তার কোন পাত্তা নাই।
সিদ্ধান্ত টা কি তাহলে ভুল ছিল। হবে হয়ত , জীবনের সব সিদ্ধান্ত কি নির্ভুল হয়? মনের মাঝে কেমন যেন লাগছে , কিন্তু সমস্যা টা বুঝা যাছে না । শ্রাবনের এই দিনে ও কেমন আসস্তি লাগছে। মনে হছে কি যেন ভুল করে ফেলেছি।
আজ কোন মুখ নিয়ে বাড়ী ফিরবে ভাবতেই শরীর শিউরে উঠছে বার বার । শুভ যদি আজ না আসে তাহলে যে কি হবে । না তা আর ভাবতে ইচ্ছে হয় না । শুভ তো এমন ছেলে নয় , যে কথা দিয়ে কথা রাখবে না । শুভর মোবাইলে এই নিয়ে হাজার বার হল কল করেছে । কি কারনে যেন বার বার বন্ধ বলছে ।

এসো হে ভালবাসা

পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ঠাই, দৃষ্টির দূর নীলিমায়
প্রবাহমান সাগরের সীমাহীন উম্মাতাল টেউয়ের দোলা
শীতের বৃষ্টি ধারার মত চুপসে যাওয়া শীতল বাহুতে
কৃষ্ণচূড়ায় লালে রাঙিয়ে খোঁপা, শ্বেত শুভ্র কাশফুলের
ছোঁয়ায় শাড়ীর আঁচল কুড়ায় ধরনীর মৃত্তিকা ।

গোলাপের কলির মত প্রস্ফুটিত জীবন রেখা শ্রাবন
বাঁশরির সুরের খেলায় এপাড়া ওপাড়া ঘুরে বেড়ায়
অনেকটা মুক্ত বিহঙ্গের মত। ক্লান্ত পথিক আমি পথের
পর পথ। মুগ্ধ নয়নে অপলক তাকিয়ে থাকি অন্যরকম
স্নিগ্ধতা নিয়ে , পিরামিডের দেশের নির্বাক মমির মত।

নীলনদ বল কিংবা পদ্মার ঢেউ ভাসিয়ে দিয়েছে
তার অনন্ত স্রোতের ধারায় , শুষ্ক বুকে জেগে উঠে
ভালবাসার সবুজ দূর্বাঘাস। এবার তাকাই নিজের পানে
আর কত অবজ্ঞায় ঠেলে দেব হে ভালোবাসা তোমায়
এস মোর শুষ্ক বুকে হিমেল শীতের উষ্ণতা নিয়ে।

ভালবাসাহীন

বুকের পাঁজরের উল্টো পাশে হৃদয় থাকে
মস্তিষ্কের অনুভূতির খোঁচা সেখানে বিঁধে যায় সহজে।
ভালোবাসাহীন অন্য মানুষ সবাই বলে আমায়
শুনি চুপ থাকি হাসি খোলা মনে , ভালবাসা কারে কয়
তারা ক'জনে জানে।আমার ছিল যা তা তো দিয়েছি
উজাড় করে কোন এক চন্দ্রিমা রাতে । যখন চাঁদ
রুপার চাদর বিছিয়ে ছিল ধরণীর বুকে।কেশে ভেসে আসা
বেলী ফুলের মিষ্টি সুভাসে অন্ধ মাতোয়ারা।

রাত দিন ক্লান্তিহীন সেই পথে রোজ ভাসাতাম ভেলা
চক্ষুর আড়াল হলে দগ্ধ আমার হৃদয় খুজে নিত তোমার
মায়াভরা অধরের হাসি। বৃষ্টির জলে কদম ফুল
দিতাম কুড়িয়ে , সহাস্য তোমায় মনে হত স্বর্গের অপ্সরী।
ঝিনুকের মালা গেঁথে হেসে যেতে আনমনে, দিনের শেষ প্রহরে।

গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে সব তছনচ, বিধবা লাবন্য ঘরহারা
ব্যাস্তসময় আর অসহায়ের আর্ত চিৎকার আমি ছুটে
যাই অসহায় গৃহহারাদের কাছে ।পাশে দাড়াই কাঁচা বাশের
কঞ্চি দিয়ে ঘর বানাই। নববধূর সহাস্য অধর দেখে

জাহিদ সাহেবের একদিন

সকালে অফিসে এসে যে কাজটা জাহিদ করেন , সেটা হল এক কাপ কড়া লিকারের চা পান করেন। এটা ধীরে ধীরে জাহিদ সাহেবের প্রাত্যহিক জীবনের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে । সেই যে কবে দেশ থেকে এসেছেন সেটা ভালমতো রোমন্থন না করলে মনে পড়তে চায় না । তখন তার বয়স ২৪ কি পঁচিশ ছিল। ইদানিংকার যোগে বয়সের হিসাব মেলানো কত সহজ । অথচ তাদের সময় তো এতশত সিস্টেম ছিল না ।কে কোথায় কখন জন্ম গ্রহন করেছে তার হিসাব রাখাটা তার বাবা মা যেমন জরুরী মনে করেনি । অন্য সবাই ও তেমন জরুরী মনে করত না ।

স্মরণ

(1)
খালি শরীরে দুলাল কে অনেকটা অ্যাথলেটদের মত লাগে । পাড়া গাঁয়ের ছেলে কিন্তু অনেক পেশীবহুল শরীর। টানটান বুক অনেক লম্বা গড়ন। সেই দুলাল কিন্তু একেবারে গরীব ঘরের ছেলে। দুবেলা খাবারের জন্য তাকে ছুটতে হয় নানা কাজে। কাজে ফাঁকি কি জিনিস তা দুলাল জানেনা। দুলাল ভাবে আমি কাজ করি মালিক তাতে আমাকে যা দেয় তা দিয়ে আমার বাবা মা খাবে আমি খাব তাই ফাঁকি দিলে সেই খাবার হালাল হবে না । সে কথা নাকি এক হুজুর তাকে বলেছে। সে কথার পর থেকে যেখানে কাজ করে অনেক মনোযোগ দিয়ে কাজ করার চেস্টা করে ।

জীবনের অনেক রঙ

thumb_16.jpg
জীবনে অনেক রঙের ছড়াছড়ি,সারাক্ষণ অভিনয়ে

বেলা হয় পার। কখনও দুষ্ট ছেলে কখনও যুবক

তরুণের পর একদিন পিতা, এরপর মায়ার সংসার

দিনের শেষে হাজারো ক্লান্তি ভরা একরাশ আঁধার।

পাড়ার চায়ের দোকান কিছু বখাটের দখলে

তাকিয়ে দেখি এ সমাজ ডুবে যায় অন্য গোধূলি বেলায়।

নেশার ছোবলে বাঁধা পড়া কিছু তরুন হেঁটে যায়

সভ্য সংস্কৃতি বহু আগেই পালিয়েছে শত লজ্জায়।

ভিনদেশী সভ্যতার চাপে আমি পরাজিত হই

চোখের নোনা জলে ভাসতে দেখি শিষ্টাচার।

তরুনী গুলো হেঁটে চলে উম্মাতাল বুক দুলিয়ে পাড়ায়

সম্ভ্রম লুকানোর বৃথা চেষ্টা করতে নাহি চায় ।

পরিবর্তনের ছোঁয়ায় সয়লাব সব, খালেক এখনো

দিনমজুরি করে সংসার চালায়। আলী কুঁজো পিঠে

আজও মোট বয়ে চলে। নিত্য নতুন গাড়ী হাকিয়ে