প্রিয় মুসা ভাই, আপনি বিষয়টা খোলাসা করুন।
প্রিয় মুসা ভাই,
মুসা ইব্রাহীম ভাই, আপনি আমাদের জাতীয় বীর। আপনার এভারেস্ট বিজয় আমাদের জাতিকে সারা জীবন অনুপ্রেরণা দিবে।
প্রিয় মুসা ভাই,
আপনি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন। আমি এর পূর্বেও আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়াছি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ব্লগ ও নিঊজ দেখে আমার কাছে মনে কেমন সন্দেহ জাগছে।
প্রিয় মুসা ভাই,
আজ ও একটা পেইজ দেখে এমন মনে হচ্ছে। আমরা লজ্জিত হয়ে পড়ছি।
http://www.thesun.co.uk/scotsol/homepage/news/3023595/Scottish-climber-rescues-two-on-Mount-Everest.html#comment-rig
স্টিফেন গ্রীন কি বলছেন। আপনি বরফে আটকা পড়েছিলেন, তারা আপনাদের হেল্প করেছেন। স্টিফেন গ্রীন ও এভারেস্ট জয় করতে পারে নাই। তিনি আপনাকে সেভ করেছেন নামার সময়। আপনার থেকে উপরে উঠেও কেন স্টিফেন গ্রীন এভারেস্ট জয় করতে পারেন নাই?
প্রিয় মুসা ভাই,
আপনাদের ক্যামেরার যদি ব্যাটারী শেষ হয়ে যায়, যদি আপনি এভারেস্ট চূঁড়ার বৌদ্ধ মুর্তির সাথে ছবি না তুলতে পারেন তবে কোথায় শেষ ছবি তুলেছেন তা দেখান। ছবি গুলো প্রকাশ করুন।
প্রিয় মুসা ভাই,
আপনি বিষয়টা খোলাসা করুন। আপনের কথাই আমরা বিশ্বাস করব।
আপনি কি সত্যি এভারেস্ট চূঁড়ার বৌদ্ধ ছুয়েছেন?
(আমরা বন্ধুগন, আমাকে ক্ষমা করবেন।)
আমরা বন্ধুর অনেকে আমাদের মুসা ইব্রাহীম কে চিনেন বলে জানি।
মাসুম ভাই, নজরুল ভাই, মেজবাহ ভাই - আপনারা কোথায় আছেন?
যদি কিছু যানেন জানান।
সবকিছুতে এত লজ্জা পাইলে তো সমস্যা ...
অতিথি ভাই, একটু সামনে আসুন। কেন লজ্জা পাব না তার ব্যাখা দিন। আমাকে বুঝান। সত্য কেনটা?
যতটুকু জানি মুসার সাথে গাইড ছিল। তারা কি মুসারে রাইখা ভাইগা গেছিল?
এক থিসেসে পড়লাম, মুসা নাকি কোন পাহাড়ের চিপায় পইরা বাঁচাও বাঁচাও কইরা চিল্লাইতাছিল। তখন সেই সময় বিশিষ্ট ছাগু বিশেষজ্ঞ ছাগলের পাল নিয়া নামতেছিল। দেইখা মায়া হইল। তখন তারে ছাগলের পিঠে চড়াইয়া জান বাঁচায়।
শেরপারা মুসাকে রেখে মোটেও ভেগে যায়নি!
মুসাকে দুই পর্বতারোহীর বাঁচানোর এই কাহিনীটা ভুলভাবে পরিবেশন করা হয়েছে।
মুসার সাথে একজন শেরপা (সম্ভবতঃ কৈলাস তামাং) সবসময়ই ছিলো। স্টিফেন গ্রীন তার ব্লগে লিখেছে, তারা মুসাকে পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকতে দেখেনি, তারা দেখেছে একজন শেরপা মুসাকে প্রায় বহন করতে করতে নিচে নামাচ্ছে।
উদরাজী ভাই, এই আর্টিকেলটা আসলে মুসার পর্বতারোহনকে সন্দেহ করার মতো কোন তথ্য দিচ্ছেনা।
স্টিফেন গ্রীন ৮৬৫০ মিটার পর্যন্ত গিয়ে ফিরে এসেছিলেন ঠিকই, এবং নামার পথেই মুসাকে সাহায্য করেছেন সেটাও ঠিক -- কিন্তু তার মানে এই না যে মুসা পর্বতশীর্ষে ওঠেননি। মুসা যে শীর্ষে উঠার পর তখন নিচে নামার পথে ছিলেন সেটাও তো হতে পারে।
স্টিফেন গ্রীন ৮৬৫০ মিটার উপরে উঠেও চুড়া পর্যন্ত যেতে পারেননি পুরোপুরো দু্র্ভাগ্যের কারণে। এভারেস্টে ৮৩০০ মিটার উচ্চতায় ক্যাম্প-৩ নামক একটা জায়গা আছে যেখানে শেষ বিশ্রাম নিয়ে আরোহীরা ফাইনাল আরোহন শুরু করেন, এটাকে বলে সামিট পুশ। সামিট পুশের সময় তাঁরা সাধারনত তিনটা অক্সিজেনের সিলিন্ডার সাথে নেন, স্টিফেনও তাই নিয়েছিলেন। কিন্তু অক্সিজেন বাতাসের মতোই হাল্কা হওয়ায় হাতে ওজন করে বোঝার উপায় থাকেনা যে সিলিন্ডারে অক্সিজেন আছে কি নেই। স্টিফেনের বেলায় তিনটা সিলিন্ডারের দুটোতেই অক্সিজেন ছিলোনা!! চিন্তা করেন বেচারার কপাল কত খারাপ। তা না হলে তিনি সহজেই এভারেস্টের চুড়া জয় করে আসতেন। তাঁর সাথে কোন শেরপাও ছিলোনা।
বরং স্টিফেন গ্রীনের কাহিনী মুসার পর্বতারোহনের পক্ষে কথা বলে। স্টিফেন বলেছেন যে ক্যাম্প-৩ থেকে উপরে ওঠার পথে স্টেপ ওয়ান নামক এক জায়গার কাছে মুসাকে তিনি একজন শেরপাসহ দেখতে পান, শেরপা মুসাকে প্রায় বহন করেই নামাচ্ছিলেন। কারণ মুসার অক্সিজের পাইপে ফুটো হয়ে যাওয়ায় তিনি আর অক্সিজেন পাচ্ছিলেননা, দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন। স্টিফেনের দলের আরেকজন ব্রেনডান সেই পাইপকে টেপ মুড়ে দিয়ে ঠিক করে দেন, স্টিফেন মুসাকে এনার্জি জেল খাওয়ান। তিনজন মিলে মুসাকে ধরে ধরে অনেকটা পথ নামান, পথে একটা মৃতদেহ দেখিয়ে মুসাকে যখন তার শেরপা বলে যে নিজে নিজে হাঁটতে না পারলে মুসার অবস্থাও ঐ মৃতদেহের মতো হবে, তখন হঠাৎ মুসার মোটিভেশন ম্যাক্সিমামে চলে যায়, তিনি হাঁটা শুরু করেন।
এই বর্ণনাটা স্টিফেন গ্রীনের হোমপেজে দেয়া আছে। ইন্টারনেটে স্টিফেন গ্রীন, ব্লগ লিখে সার্চ দিলেই পাবার কথা।
স্টিফেন গ্রীনের বর্ণনায় আমরা নিশ্চিত যে ২৩ শে মে সকালের কোন এক সময় মুসা ৮৫০০ মিটারের বেশী উঁচুতে ছিলেন। সেদিন সকালে আবহাওয়াও ভালো ছিলো, অনেক পর্বতারোহী সামিটে পোঁছেছেন। অত উঁচুতে যাবার পর অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে বা অন্য কোন অঘটনা না ঘটলে চুড়া পর্যন্ত না গিয়ে ফিরে আসার কথা না। চুড়ায় ওঠার বা না ওঠার সিদ্ধান্ত সাধারণত শেরপারা ৮৩০০ মিটার উঁচুর ক্যাম্প-৩ তে(ডেথ জোনও বলা হয়) নিয়ে থাকেন।
http://musaoneverest.blogspot.com/
উপরের লিংকের ব্লগের শেষ পোস্টের আগের দুটি পোস্টে মুসার ছবি, আর মুসার তোলা এভারেস্ট চুড়ার ছায়ার ছবি দেয়া আছে। মুসার ছবিটিতে মুসার বাঁপাশে একটি শৃঙ্গের চুড়া দেখা যায়, যেটা এভারেস্ট চুড়া থেকে তোলা অনেক ছবিতে দেখবেন, এর নাম কোমো-লোনজো।
আমি কনভিন্সড মুসা শীর্ষজয় করেছেন। আমার এই মতামত টলাতে হলে অকাট্য প্রমাণ লাগবে। এখনও তেমন কিছু পাইনি।
প্রিয় বাদশা ভাই,
আপনার কথা গুলো পড়ে মনের ছিন্তা দূর হচ্ছে।
এমন তো হতেই পারে না।
আমাদের প্রিয় মুসা কেন মিথ্যা বলবেন।
অন্য এক ব্লগে দেখলাম একজন মুসাকে প্রতারক বানানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে।
মাহবুব সুমন ভাই, আমাদের চেষ্টা যারা ভূল বলছেন, তাদের মূখ বন্ধ করা।
আমরা তাদের উচিত ব্যাখা দিতে চাই। বাদশা ভাইয়ের উত্তর থেকে অনেক কিছু জানলাম।
আমি কিন্তু এখনও নিশ্চিত করে বলছিনা মুসা উঠেছেই, কারণ আমি তার সাথে ছিলামনা ;)।
অবশ্যই হিমুর লেখায় যদি অকাট্য কোন প্রমাণ হাজির হয় মুসার না ওঠার পক্ষে আমি কনভিন্সড হবো যে মুসা ওঠেনি।
বাদশা ভাই, এগেইন কনফুউসান!
"বরং স্টিফেন গ্রীনের কাহিনী মুসার পর্বতারোহনের পক্ষে কথা বলে। স্টিফেন বলেছেন যে ক্যাম্প-৩ থেকে উপরে ওঠার পথে স্টেপ ওয়ান নামক এক জায়গার কাছে মুসাকে তিনি একজন শেরপাসহ দেখতে পান, শেরপা মুসাকে প্রায় বহন করেই নামাচ্ছিলেন।"
আপনি এটা কোথায় পেলেন যে স্টিফেন ওঠার সময় মুসাকে দেখে? স্টিফেন ওখানে দেঢ় ঘন্টা বসে ছিল। সে মুসাকে উঠতে দেখলোনা, অথচ নামতে দেখল? একটু আজব না ব্যাপারটা?
সবাই মুর্তির সাথে ছবি দেয় খালি মুসা ভাই দেয়না। কেন মুসা ভাই, মুর্তির সাথে ছবিটার কি এতই দাম যে আমাদের দেখানো যাবেনা? পত্রিকায় তো আসছিলো যে মুর্তির সাথে আপনার ছবি াছে?
দুঃখিত, আমার বর্ণনাটা ভুল বোঝাবোঝির সৃষ্টি করেছে
আপনি ঠিক। স্টিফেন গ্রীন ৮৬৫০ মিটার পর্যন্ত উঠে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে আর উঠবেননা, তখন নামার পথে মুসাকে দেখেন।
আমার বর্ণনায় স্টেপ ওয়ান নামক জায়গাটা ক্যাম্প-৩(৮৩০০ মিটার) থেকে উপরে এটা বোঝানোর জন্য স্টেপ ওয়ানকে
"ক্যাম্প-৩ থেকে উপরে ওঠার পথে স্টেপ ওয়ান নামক এক জায়গা"
বলে বর্ণনা করেছি।
এখন আপনার মন্তব্যের পর দেখলাম বর্ণনাটা আসলে মিসইন্টারপ্রিটেড হতে পারে।
ক্যাম্প-৩ থেকে স্টিফেনদের সামিট পুশের শুরু রাত সাড়ে দশটায়, চুড়ায় পৌঁছানোর কথা পরদিন সকাল আটটায়। আর মুসারা ক্যাম্প-৩ থেকে সামিট পুশ শুরু করে রাত আটটায়, পৌঁছায় সকাল পাঁচটায়। কাজেই ওঠার পথে মুসার সাথে স্টিফেনের দেখা হবার কোন কারণ নেই।
আরেকটা ব্যাপার, আপনি স্টিফেনের ব্লগটা পড়লে বা মুসার ব্লগটা পড়লেও বুঝবেন যে যখন তাঁরা উপরে উঠছিলেন তখন যারা নেমে আসছে তাদের সবাইকে ওভাবে লক্ষ্য করা সম্ভবও না, উপরে উঠতে থাকা সবাই তখন নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। কাজেই উপর থেকে মুসা যখন নিচে নেমে আসছেন, তখন মুসাকে স্টিফেন নাও খেয়াল করে থাকতে পারেন। বিশেষ করে সেসময়টুকু স্টিফেন নতুন অক্সিজেন ট্যাংকের অপেক্ষায় খুব অস্থির সময় কাটাচ্ছিলেন।
মুসার ছবিতে বৌদ্ধমূর্তি পরিস্কার দেখা যাচ্ছেনা ঠিকই, কিন্তু কোমো-লোনজো চুড়া সম্পর্কে আপনি কি বলবেন? ফটোশপ জোড়া দিয়ে লাগানো?
চোমো লংজোর ব্যাপারটা বেশ শক্ত। তারচেয়েও বড় হচ্ছে রঙিন কাপড়গুলো। ওগুলো অনেক গ্রহণযোগ্য। পাহাড়ের একটা ব্যাপার আছে তা হচ্ছে দ্বিমাত্রিক ছবিতে দূরত্ব বোঝা কঠিন। সে হিসেবে সুবিধাজনক জায়গা থেকে চোমো নংঝোর ছবি আসতেও পারে। কিন্তু রঙিন কাপড়গুলো তো সামিটিই থাকে। সে হিসেবে মুসা উঠেছে বলেই মনে হয়।
এবছর সামিট করেছে এমন কয়জনের ছবি আছে মূর্তির সাথে? লিংক দিতে পারবেন? আমি এখনও একজনেরও দেখিনি
একটা জিনিষ বুঝলাম না, মুসাকে কেন ব্লগে ব্লগে জবাবদিহি করতে হবে। আজব!
মুসা একটা কৃতিত্ব অর্জন করে ফেলেছে। মাথা কুটে মরলেও সেই কৃতিত্ব (প্রথম হওয়ার) অন্য কারো অর্জন করা সম্ভব নয়। স্পন্সরদের আগ্রহও ছিল প্রথম হওয়া ব্যক্তির প্রতি। এখন যেহেতু প্রথম হওয়া যাবে না, স্পন্সরও তাই স্বাভাবিকভাবেই পাওয়া যাবে না। আর স্পন্সর না পেলে অনেকের এভারেস্টের মতো ব্যয়বহুল সামিটে যেতে কষ্ট হবে। সব মিলিয়ে একদল মানুষ এটা নিয়ে ব্যাপক কষ্টে আছে- কোনোমতে মুসাকে মিথ্যুক প্রমাণ করতে পারলে তাদের একটা গতি হয়। আর আরেকদল যাদের গতি হওয়ার কোনো ব্যাপার নাই, তারা এটা নিয়ে একটু মাঠ গরম করতে চাচ্ছে- এই আর কী!
আর সজল খালেদ যে ধরনের মানুষ, তাতে মুসার সামিট সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে দ্বিতীয় ইমেইলে মুসাকে অভিনন্দন জানাতেন না।
মাসুম ভাই, রেগে যাবেন না। কোথায় যেন একটা ফাক থেকে যাছে। আমরা সে ফাক থাকতে দিব কেন? আমি আজ সকালে আমাদের ব্রজেন দাস এবং এভারেস্ট বিজয়ী এডমন্ড হিলারি 'র ইনফর্মেশন দেখছিলাম। টেকনোলজি এত না থাকলেও তাদের বিজয় নিয়ে একজনও ২য় মতের লোক পৃথিবীতে পাবেন না।
আমাদের ব্রজেন দাস, সাতাঁর শেষ করার পর।
হিলারীর তোলা ছবি, পতাকা হাতে এভারেস্টের চুড়ায় তেনজিং, ২৯ মার্চ ১৯৫৩ ইং।
আরো বিস্তারিত দেখতে পারেন এই লিঙ্ক গুলোতে -
http://en.wikipedia.org/wiki/Brojen_Das
http://en.wikipedia.org/wiki/Edmund_Hillary
সেদিন সামু'তে ঘুরতে ঘুরতে লেখাটা চোখে পড়েছিলো। অনেকেই লেখাটা আগে দেখেছেন জানি।
সাহাদাত ভাই কিন্তু লেখাটা একটু দেখে আসতে পারেন চাইলে। তবে আমার মনে হয়, মুসা সম্পর্কে শেষ কথা হচ্ছে আরিফ জেবতিকের ওই বিখ্যাত স্ট্যাটাস। ভাই সেখানে মূল কথাটা অদ্ভূতভাবে বলে দিয়েছেন।
মীর ভাই,
না এ লেখাটা আমি আগে দেখি নাই। এ মাত্র পড়লাম। হা কেমন জানি ঘোলা পানি! আমাদের মুসা ভাই কেন এত পেছ দিয়ে কথা বলছেন?মুসা ভাই সোজা কথা কেন বলছেন না?
ব্লগার তো পরিস্কার আমার কাছে - দুরন্ত স্বপ্নচারী তো মিথ্যা বলছেন না। যা বলছেন প্রমান দিয়ে লিখেছেন।
"আমার কাছে সবচেয়ে বেশি খটকা লেগেছে তার এড়িয়ে যাওয়া। মুসা বর্তমানে একজন সেলিব্রেটি। তিনি তার মূল্যবান সময় ব্যয় করে যখন আমার মেসেজের জবাব দিলেনই, তখন কেন তিনি স্পষ্ট কিছু বললেন না? তিনি তো এক বাক্যেই জবাব দিতে পারতেন।"
মীর ভাই, কি আর বলবো! আপনার লিঙ্ক এর জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের এ বিষয়ে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। আল্লাহ মালুম - না জানি কবে সরকার আবার তদন্ত টীম গঠন করে ফেলে!
আরে দাদা, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। আমি-আপনি এইসব নিয়ে তর্ক করে কোন লাভ আছে? আমাদের দেশের একজন মানুষ এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। দেশের মর্যাদা উঁচু করে তোলায় ভূমিকা রাখার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
এইটা তর্কের জন্য স্বাস্থ্যকর টপিক না। তর্ক শুধুই ভেদাভেদ বাড়ায়। আমরা বরং অর্জনের খাতার হিসেবটা মিলাই আসুন।
আর একটা কথা। মুসার ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অবস্থানটা পরিস্কার করি। মুসা প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এভারেস্টে উঠেছেন ভালো করেছেন। আমি সুযোগ পেলে আমিও উঠবো। স্পন্সর-ফন্সরের ধার ধারি না। ইচ্ছে হলে স্পন্সর ছাড়াই উঠে যাবো। উঠে আমি ছবি তুলতেও পারি, নাও তুলতে পারি। তবে ছবি তোলার ইচ্ছেটা মনে হয় করবে। তো আমি ছবি তুলবো। সেইগুলো নিশ্চই আমার কাছের মানুষদের দেখাবোও। কিন্তু এভারেস্টে উঠছি না কি উঠি নাই, এইটা নিয়ে দুইন্যার মানুষরে কৈফিয়ত দিতে আমিও রাজি না।
আমি মীরের সাথে পুরাই একমত।
মাসুম ভাই, ব্যাপারটা খোলাসা করে দিলে কি অসুবিধা?
রাগ করবেন না প্লীজ। অকারন বির্তক জিইয়ে রাখার দরকার কি?
তাতাপু@কিছু মানুষ এর উপর গবেষনা করতেছে এটা দেখতে ভালো লাগতেছে।বেচারাদের কিছু করে খেতে দেন।আর তাদের মতে বৌদ্ধমন্দিরের ছবি এখন দেখালে বলবে ওটা এডিট করে বানাইছে।
আমি একটা জিনিস বুঝি না যে হিমালয়ে এখন ১৩ বছরের বালক থেকে শূরু করে ৭৬ বছরের বুড়া উঠছে সেখানে মুসা উঠেছে তাতে কি এমন হয়ছে?প্রথম বাংলাদেশী বলে?আসলেই আমরা একটা আজব জাতি?????কাক ও নাকি কাকের মাংস খায় না আর আমরা.।.।.।
ভাতিজা রাসেল আশরাফ, এভাবে কথা বলা ঠিক না। ভাবছিলাম এ ব্যাপারে আর কিছু কমু না। না কইয়া পারলাম না। ভাতিজা, মনে কর তুমি ৮০০ মিটার হাটা'র প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করছ। টার্গটের ১ মিটার দূরে থাকতে পড়ে গেলে, টার্গেট ছুতে পার নাই, তবে কি তুমি ৮০০ মিটার পাড়ি দিলে বলবে!
পেয়ারে ভাতিজা, বুঝের হলে বুঝে নাও। মুসা আমার ভাই। মুসার অপমান মানে আমার অপমান। তোমার ভাই যদি মিথ্যা বলে তুমি যদি বুঝ সে মিথ্যা বলছে, তুমি কি তাকে ফিরাবে না?
আমি বলছি না যে আমাদের ভাই মুসা মিথ্যা বলছে - কিন্তু সে এমন পেছ মারছে ক্যান? সে তো আমাদের আইডল!
এটা ভুলে গেলে চলবে না, মনে রেখ - ইতিহাস একদিন কথা বলবে।
(আমাদের মান্নান ভূইয়া এখন মিত্যু পথযাত্রী। সিংগাপুরে যাবার আগে মুন্নী সাহা'কে বলে দিয়েছেন - রাজনীতির জ়ীবনের ভুল গুলো। আমি এটিএন এ দেখেছি।)
সত্য কঠিন তবে সুন্দর! আমরা সুন্দরের পুজারী।
ভাতিজা, বির্তকের জন্য নয় আস সত্য জানি।
কাকা@মুসা হিমালয় উঠেছে এর জন্য একটা সার্টিফিকেট পেয়েছে?না পায় নি?এটা আমারে জানান।আর যদি পেয়ে থাকে তাইলে তাদের বলেন মুসা চিট করেছে।এভাবে ব্লগে পিএইচডি করে লাভ কি?
পেয়ারে রাসেল,
ভাল লাগলো। ভাল কথা বলছেন! অতিব খাটি কথা!
সব আলোচনার জন্যই ব্লগ নয়! আর তাতে যদি আপনার মত ভাতিজারা থাকে!
এই কথাটা বুঝি নাই কাকা।একটু বুঝায় দিবেন।
ভাতিজা, ভাল না লাগলে চুপ থাকা ভাল। কাউকে কিছু বলার আগে একটু ভেবে বলা উচিত। মুসা ভাই'র বিষয়টা জাতীয় ইসু।
এ ব্লগে অনেক লিঙ্ক দিয়েছেন অনেকে, পড়লে বুঝা যায়।
কাকা@ আপনার পরামর্শে চুপ করে গেলাম।কিন্তু.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।।
ভালা ভাতিজা।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা থাকলো।
একদিন সবই জানা যাবে।
হ কাকা।।যারা মনে করতো ১৯৭১ সালে দেশে গন্ডোগোল হয়ছিলো তারা যেমন আজ এসে জান্তেছে ওটা গন্ডোগোল না মুক্তিযুদ্ধই ছিলো তেমনি এটাও একদিন জানা যাবে আসলে সেদিন কি হয়ছিলো???????
অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা আপনাকেও।

হা হা.. ভাতিজা, বেশ ভাল উদাহরন!
মুসা ভাইর বিরুদ্দে যারা কিছু কইছে, তাদেরও একদিন বিচার হইব!
রাসেল, কিছু মানুষ গবেষনা করবেই তাতে কিছু আসে যায় না। তারা সর্বকালে সর্বযুগে ছিল। কিন্তু বেশি মানুষের কথা ভেবে আমি বল্লাম
বোন তানবীরা, আপনার সাথে সহমত।
সময়ের কাছে ব্যাপারটা চলে যাচ্ছে! একদিন সময় আমাদের বলে দিবে, আমরা কি করেছিলাম।
এ বিষয়ে আর কিছু না বলাই ভাল। ধন্যবাদ।
মুসা ভাই আপনার মঙ্গল কামনা করি। আমরা জেনেছি আপনার আরো ৩টি স্বপ্ন আছে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করবেন। তিনটি স্বপ্ন হলো -
১। চন্দ্রাভিযান
২। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন সাঁতার কাটা
৩। একজন মহিলাকে এভারেস্ট বিজয়ী করা
সুত্রঃ
http://www.dhakanews24.com
শুভ কামনা থাকলো।
"If I target or wish something to do, mind it- I will do it by any means"
Mission 2010 :: Vision Everest
এই যেকোনো উপায়ে জয় করবার বিষয়টা কি রকম? মুখের কথায় এভারেস্ট জয়?
মুসার কথোপকথন পড়ে বিরক্ত হলাম শুধু।
রাসেল ভাই,
আমাদের কস্ট টা এখানেই।
বুঝার জন্য ধন্যবাদ।
@রাসেল,
আপনার এই মন্তব্যটা পড়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিরক্ত হলাম...
মেসবাহ ভাই, আপনার জন্য শুভ কামনা। প্লিজ, রেগে গিয়ে বিরক্ত হবেন না।
মুসা ইব্রাহীম সোজাসুজি বলে দিলেই পারেন। তাহলেই হয়। সেটা নিয়ে এত তেনা প্যাঁচানোর কিছু নেই।
আমি বিশ্বাস করি, মুসা ইব্রাহীম বাঙালি হিসেবে প্রথম এভারেস্ট জয় করেছেন। এই বিশ্বাস নষ্ট হলে খুব দু:খজনক হবে সেটা।
ধন্যবাদ মুক্ত বয়ান ভাই, ভাল বয়ান দিয়েছেন।
সাহাদাত ভাই, মুসা সম্পর্কে কোনো আপডেট বা নতুন তথ্য পেলে জানাবেন
মীর ভাই, আপনার লিঙ্ক টা বেশ ভাল ইনফর্মেশন দিয়েছে।
সচলায়তনের একটা লিঙ্ক দিলাম, পড়ে দেখতে পারেন।
মুস্তাফিজ সাহেবের লিখা, নানা কমেন্ট ভরপুর।
এই ব্লগগুলো পড়ে যতোটা না বিরক্ত হই, তার থেকে বেশি বিরক্ত হই মুসা ভাইয়ের প্যাঁচালো স্বভাবে। উনি পরিষ্কার করে কিছুই বলেন না, চেষ্টা করছেন নিজেকে একজন রহস্যমানবের মতো করে রাখতে। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত কিন্তু মনে হচ্ছে তিনি আমাদের নিয়ে একটু খেলা করছেন। তা খেলা তো করতেই পারেন, হাজার হোক অতবড় সেলিব্রিটি! আমরা বিশ্বাস করি তিনি এভারেষ্ট জয় করেছিলেন তবে তার উচিত বিতর্কগুলো একটু তথ্য দিয়ে নিরসন করা। মুসা ভাই দীর্ঘজীবি হোন।
আজ মুসা'র এভারেস্ট বিজয় নিয়ে সচলায়তনে মুস্তাফিজ সাহেবের একটা লিখা পড়লাম।
আপনারা পড়ে দেখতে পারেন। বেশ মজাদার বিশ্লেষন আছে।
এখানে কিল্কিক(!) করুন।
মুসা জাতির গৌরব ওকে নিয়ে এগুলা ভালো লাগে না। যারা সনদ দেয় তারা যাচাই করবে মুসা যা করেছে তা সত্য কিনা, আমরা কে মুসাকে ছোট করবার? যারা মুসাকে নিয়ে এমন প্রশ্ন করে তারাই জীবনের সব পরীক্ষায় এর ওর দেখে পাশ করে এসেছে.........ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন যে দেশে গুনের সমাদর নাই সেখানে গুনী জন্মাতে পারে না । মুসার সমস্যা হলো সে বাংলাদেশে জন্মেছে........................।
রসুল আশফার ভাই, আপনি ভাল কথা বলছেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।
সাহাদাত উদরাজী , আপনাকে ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন