৪৬ হাজার টাকার বৌ
জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রামের দিনমজুর অমৃত রায়। ঘরে সুন্দরী বৌ। যিনি আবার শিল্পীও। লোকজ গান করেন। দিনমজুর হলে কি ঘরে সুন্দরী বৌ থাকতে পারেনা ? অবশ্যই পারে। তিনি কি গান গাইতে পারেন না ? তাও পারেন। তাহলে সমস্যাটা কী ?
সমস্যা হচ্ছে- অমৃত রায়ের অভাব। অভাবে পড়ে তিনি প্রতিবেশি জহির উদ্দিনের কাছ থেকে টাকা ধার করেছেন। ধার তিনি করতেই পারেন। যদিও টাকার অংক নেহায়েত কম নয়। ৪৬ হাজার টাকা। তবে এ টাকা অমৃত বাবু একবারে নেননি। বিভিন্ন সময়ে নিয়েছেন। কিন্তু অমৃত বাবু অভাবের তাড়নায় জহির উদ্দিনের টাকা আর ফেরৎ দিতে পারছেন না।
টাকা ফেরৎ চাইতে বা টাকা ফেরৎ চাইবার বাহানায় অমৃত রায়ের বাড়িতে জহির উদ্দিনের আসা যাওয়াটা একটু বেড়ে যায়। এবং যা ঘটার তাই ঘটে। অমৃত বাবুর সুন্দরী স্ত্রী জহির উদ্দিনের প্রেমে পড়েন। আর এটা তো জানা কথাই- প্রেমের ক্ষেত্রে জাত-কূল-বয়স কোনো ব্যাপার না। অমৃত দিনমজুর হলে কী হবে ? বিষয়টি তার নজরে পড়ে। মেনে নেয়া ছাড়া কী করতে পারে বেচারা অমৃত।
টাকা পরিশোধে ব্যর্থ অমৃত এক সময় জহির উদ্দিনকে ডেকে তার সুন্দরী, সু-কন্ঠী স্ত্রীকে নিয়ে যাবার প্রস্তাব দেয়। জহির উদ্দিন প্রস্তাবে রাজী হয়। মনে মনে অমৃত রায়ের স্ত্রীও খুশি। অবশেষে গত ২৩ মে রীতিমত রেজিস্ট্রি করে অমৃত তার বৌকে দিয়ে দেয় জহির উদ্দিনকে। অতপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে কীনা তা আর জানা যায়নি...
তথ্য সূত্র: আজকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনো এক দৈনিক
পড়লাম। শানে নুযুল কন এখন?
পুরা কাহিনী কওনের পরও কৈতাছেন- শানে নযুল কৈতে ?
তব্দা খাইলাম শখত মামা
কাউরে টাকা ধার দিছেন?
হ, এই লৈয়া টেনশনে আছি মামা ! যদি বেটা টাকা না দিয়ে বৌ দিয়া দিতে চায় !
দুইখান বৌ.... 
কোমরের জোর কেমুন?
আসতাগফিরুল্লাহ !
যাই অজু কৈরা আসি। এশার নামাজের সময় হৈলো...
উত্তর সহজ

পগছি।

তুমি পগলে কী আর পড়লেই বা কী !

এইসব তুমি বুঝবানা...
১০১ নং পোষ্টে বউ নিয়া কথাবার্তা! আদ্দিকালে না ১০১ টাকা দেনমোহর হইতো?
সবগুলা খুশির ইমো দিতাছেন, তাই বাকিগুলা দিয়া গেলাম!
কিন্তু ফুর্তির মাজেজা কি?
টাকা জমানো শুরু করা লাগে... :দ
~
ক্যান ?
নাকী লোন পরিশোধ করবেন ? 
লোন দিবেন,
এত তারাতারি মিল হইলো!!
তাইতো দেখছি
হুমমমম
দুই খান বউ মানে !
দুই খান বৌ মানে, ২ খান বৌ !!

সবাই সব বুঝলো আমি তো কিছুই বুঝলাম না
জীবনে সব কিছু বুঝতে হয় না... কম বুঝলেই মঙ্গল
দিনমজুরকে ঐ পয়সাওয়ালার চেয়ে বেশি ভালো লাগলো।
ক্যান? বউ দিয়া ঋন শোধ করছে বলে? ইনডিসেন্ট প্রোপোজাল? এরকম বহুত ঘটনা আছে পৌরনিক কালের। জুয়ায় বউকে বাজি ধরা তারপর হেরে গিয়ে বউকে দিয়ে দেয়া। শাতরাঞ্জ কি খিলাড়ি নামে একটা সিনেমা আছে না, ফারুক শেখ, নাসিরুদ্দিন শাহ আর শাবানা আজমীর এই ঘটনার ওপরে?
আমারও
বৌয়ের সাথে পাওনাদারের একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। অমৃত রায় বললেই হলো, বৌ ইচ্ছে করলে বেঁকে বসতে পারতো ! আইনের আশ্রয় নিতে পারত। তা সে করেনি। বরং ঝটনার প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে, খুশি মনেই যেতে রাজি হয়েছে...
সুতরাং এক্ষেত্রে আমি মীরের সাথে শতভাগ একমত পোষন করছি @তানবীরা
বোধশক্তি লাভের শুরু থেকে শুরু করে
আজ পর্যন্ত বঞ্চিতের সঙ্গেই আছি...
ঘটনা মজার হইলেও একখান প্রশ্ন অমৃতের বউ কি সত্যিই মজেছিল জহির উদ্দিনের প্রেমের। এখানে একটি বড় কিন্তু আছে। জহিরের বউ এর কথা কিন্তু এখানে নাই। থাক আর না বলি। মনরে ওরে মন তুই বড় বোকা নিজের ভুল বুঝলি না খায়া গেলি ধোকা।
জহির উদ্দিন বিবাহিত, এ কথা কোথাও লেখা নেই কিন্তু
অসুবিধা কী, অমৃতের খরচ কমলো। বউ পালতে গিয়েই তাকে ধার করতে হয়েছে না? সব হিসেব করেই অমৃত মেনে নিয়েছে। বউ নিশ্চয়ই স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এটা মেনে নিয়েছে .. আহারে! বউটার কত কষ্ট হয়েছে এতদিনের স্বামীকে ছেড়ে যেতে। কেউ বুঝলো না, নিষ্ঠুর পৃথিবী !
(
আর কতো কিছু পরুম......
ভাই কিরামাছেন? দুইটা ছেলে কিরাম আছে?
আছি বালাই।
ছেলে দুইডা আর তাগো মা মাশাল্লাহ বালাই আছে
আপ্নে একটা ভয়ংকর। আমি ছেলেদের মাএর কথা আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করবো বলে রেখে দিয়েছিলাম। এখন একটা উল্টো ধরা খেলাম।
এই পোষ্টে লুকজন এত্ত খুশী কেন কিছুই বুঝতাছিনা।
মন্তব্য করুন