বন্ধুদের ফেসবুক স্ট্যাটাস
পোলাপাইনের ফেইস বুক স্ট্যাটাস দেখে ভাবি। কীসব আজব ধরণের স্ট্যাটাস যে দেয়! গতকাল এবং আজকে আমাদের দুই বন্ধু যেই স্ট্যাটাস দিসে- তা নিয়ে দুই চাইর কথা না বললেই নয়।
গতকাল বন্ধু নওরোজ ইমতিয়াজ স্ট্যাটাস দিলো-
ফারহানা আলম একজন লক্ষী মেয়ে...
এই স্ট্যাটাসের মাজেজা বলার আগে আসেন নওরোজ ইমতিয়াজের পোস্টমর্টেম করি। সে অনেকদিন আগের কথা। নওরোজ তখন প্রথম আলোতে লেখে। পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওর ক্লাসমেট হচ্ছে মুসা ইব্রাহীম। মুসাও তখন প্রথম আলোতে লেখে। তো আজকের বিষয় মুসা না বলে আমরা সেদিকে আর গেলাম না। লেখতে লেখতে একদিন নওরোজের চাকরী হয়ে যায় প্রথম আলোতে। তারও অনেকদিন পরে কলেজ পড়ুয়া একটা মেয়ে প্রথম আলোতে লেখা শুরু করে। ভদ্র আর শান্তশিষ্ঠ স্বভাবের কারনে আমরা সবাই তাকে খুব পছন্দ করতাম। তার নাম স্বর্ণা। মেয়েটার সাথে কী করে জানি নওরোজের প্রেম-টেম হয়ে যায়। দুজনে চুটিয়ে প্রেম করে ২/৩ বছর। তারপর একদিন পারিবারিকভাবে ওদের বিয়ে হয়। আমরাও ব্যাপক খুশি হই। সবাই যাই ওদের বিয়েতে। সেই স্বর্ণারই আসল নাম ফারহানা আলম। তো, বিয়ের পরে একদিন নওরোজ প্রথম আলো ছেড়ে যোগ দেয় যায় যায় দিন পত্রিকায়। যাযাদি প্রকাশের বছর খানেকের মধ্যে নওরোজ সেটা ছেড়ে যায় সিএসবি টিভিতে। সেটাও কিছুদিন চলার পর সরকারের রোষানলে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর নওরোজের স্থান হয় এবিসি রেডিওতে। ভালোই কাটছিলো তার দিন। হঠাৎ একদিন শুনি নওরোজ এবিসি ছেড়ে দিয়েছে। কোথায় ? জানলাম এটিএন নিউজ-এ। সেখানে সামান্য কমাস চাকরী করে এবার যোগ দিলো সময় টেলিভিশনে। সময় শুরু হল। শুরুর আগেই নওরোজ আবার অফিস পাল্টালো। সম্প্রতি জানলাম নওরোজ এখন আপ কামিং টিভি ৭১ এ...।
আমাদের জানা মতে নওরোজ স্বর্ণা বেশ ভালোই আছে। তাহলে হঠাৎ করে নওরোজের এ স্ট্যাটাস দেবার মানে কী ? নওরোজের দুষ্ট বন্ধুরা (এক্ষেত্রে আশীফ এন্তাজ রবি, সিমু নাসের, মুসা ইব্রাহীম গং) বলে এত্ত এত্ত চাকরী পাল্টানোর কারনে সম্প্রতি নাকী স্বর্ণা নওরোজরে বিশেষ দাবড়ানীর উপর রাখছে। আর স্বর্ণারে খুশি করার জন্যেই নাকী নওরোজ এই ধরণের স্ট্যাটাস দিছে। কিন্তু বিধিবাম ! এই স্ট্যাটাস দেখে স্বর্না তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে। তার জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে নওরোজের দুষ্ট বন্ধুরা...। আসেন, আমরা সবাই নওরোজের জন্য দোয়া করি...
আজকে স্ট্যাটাস দিছে আমগো আরেক বন্ধু শাওন তিন। তার স্ট্যাটাসের ভাষা দেখেন:
"তোমার বাগানে আমি ভেড়া হয়ে ঘাস খাই
ল্যাম্প পোস্ট ধরে বলি ডার্লিং"
আচ্ছা এ কবিতাটির মানে কি?
আমাদের বন্ধুদের মধ্যে শাওন ৩ জন। একজন মহাকাশ শাওন, একজন ডাক্তার শাওন আর অন্যজন শাওন তিন। তো এই শাওন তিন বড় ভাল ছেলে। আমরা তারে খুব পছন্দ করি। একটা সফটওয়ার কোম্পানিতে কাজ করতো। সেসময় প্রেম হয় তৃষা নামের জনৈক বালিকার সাথে। বিয়ের আগে যদ্দুর জানতাম- সে বালিকার একটাই সমস্যা ছিল। যখন তখন শাওনের অফিসে এসে বসে থাকতো। অফিসে আসা মানে শাওনকে তার সাথে অবশ্যই বাইরে যেতে হবে। এবং টাকা থাকুক বা না থাকুক ভালো হোটেলে গিয়ে খেতে (আসলে খাওয়াইতে) হবে। সবসময় যেমন টাকা থাকতো না, তেমনি অনেক সময় অফিস থেকে বাইরে যাওয়াটাও সম্ভব হতো না। তবু শাওনকে যেতে হত। আর এভাবে অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে একদিন সেই অফিসের চাকরীটা ছেড়ে চলে যেতে হয় শাওনকে। তাতে তৃষার কিছুই এলো- গেলো না। কিন্তু শাওনের অনেক কিছু এলো- গেলো। আরেকটা নতুন চাকরী যোগাড় করতে প্রায় ৬ মাস লেগে গেলো। এর মধ্যেও তৃষাকে নিয়ে বাইরে খাওয়া বন্ধ হলোনা মানে তৃষা বন্ধ হতে দিলোনা। শাওন এত টাকা পাবে কোথায় ? এর ওর কাছে হাত পেতে প্রেমিকার খাবারের টাকা যোগাড় করতে লাগলো। বিষয়টা নিয়ে আমরা শাওনের সাথে বসলাম। কোনো লাভ হলো না। শাওন কোনো কিছুতেই রাজি হলো না। অবশেষে নতুন চাকরী পাবার পর শাওন একদিন এসে বললো- ও বিয়ে করবে। খুব ভালো কথা। মেয়ে কে ? কেনো তৃষা ! এটা শুনে আমরা কেউই আর উৎসাহ পেলাম না। তারপরও আমাদের মধ্যে অতি উৎসাহী ২/১ জন উদ্যোগ নিয়ে শাওন আর তৃষার বিয়ে দিয়ে দিলো। তারপর থেকে শাওনের সাথে আমাদের দেখা হতো কালে ভদ্রে। এর মধ্যে শাওন আবার চাকরী ছাড়লো। জয়েন করলো- বিডি নিউজে। সেটাও একদিন ছাড়লো। চাকরী নিলো বাংলা নিউজ এ। সম্প্রতি জেনেছি, তৃষা নিজে একটা খাবারের দোকান দিয়েছে। দৃক গ্যালারির পাশে কোথায় যেনো। আরও জেনেছি, তৃষা দেখতে এখন সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন লেখা ট্রাকের মতন...। বেচারা শাওন...
আপনে তো বন্ধুপত্নীদের খোঁজখবর ভালোই রাখেন দেখা যায়। আছেন কিরাম বলেন?
আর আছি ? আপনে মিয়া থাকেন কৈ, কনতো ?



কতদিন আপনের সেরাম গল্প পড়িনা
আপনে হারাইয়া যাওনের কারনে কাইলকা আপনের পুরানো সব লেখা আবার পড়ছি
আছেন কিরাম ? যলদি নতুন লেখা দেন। সবতে আপনের উর্পে ক্ষেইপা আছে
স-বগুলান লেখা পড়সেন? এইটা একটা কথা? কি পরিমাণ টাইম নষ্ট। মনে রাইখেন অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর মানুষজন ক্ষেপলো কেমনে? আপ্নের তো সবাইরে বুঝায়ে-শুনায়ে রাখার কথা ছিলো।
মীর....... এই নামটা কি সত্যি দেখতিসি??

আপনি কোথায় ছিলেন ভাই??
আপনের জন্যও
.. আছেন কেমন?
আপনার চোখ ঢুলু ঢুলু হয়ে গেল কেন? এইটা তো নর্মল কোক!
মীর দেখি পার্ট লয়

মেজবাহ ভাই, মীররে একশোটা দোররা মারেন
পারুমনা লীনা, ওরে আমি বালা পাই
মেজবাহ ভাই রাখেন আপনার বালা পাওয়া, মীররে দোররা না মারলে শান্তি নাই, মাইর ওর প্রাপ্য
এইডা ঠিক কৈছো, মাইর ওর প্রাপ্য। তাই বৈলা দোররা...


দোররাতো মারে অন্য কারনে, সেরাম কিছু কি মীর করছে ?
ও মীর, কতা কওনা ক্যান ?
না আমি সেইরাম কিছু ক্রি নাই। এই হুজুরের ফতোয়া শরীয়তি হয় নাই।
মেজবাহ ভাই, দোররা ক্যান মারে

মীর কই লুকায়া আছিল সেসব সবিস্তারে কউক, তারপর বিবেচনা করা হবে
মীর, এই সুযোগ আপনের। এত দিন কৈ আছিলেন, তাড়াতাড়ি একটা কৈফিয়ত দিয়া ফেলান। হাঁছামিছা যাই হোক ... এই যাত্রা মনে লয় বাঁইচা গেলেন...
হ খুবই অসুখ করছিলো। কিন্তু কি যে অসুখ সেইটা কেউ ধরতে পারলো না। পরে মেজাজ বেশি গরম হওয়াতে নিজে নিজেই ভালো হয়ে গেলাম।
মীররে খালি দোররা?! মাটিতে হাফ পুইতা ইষ্টক বর্ষন করা কি হইবেক? তবে তার হাতে যেন কিচ্ছু না হয়, তাইলে এই অজুহাতে লেখা দিব না আবার!
তোমরা ইরাম ধমকাইলেতো শেষে মীর আবার পলাইবো
পোষ্ট পড়ার আগে মীরকে একটা ঝাড়ি মারি, কী হৈছে আপনার
দেও দেও ভালো কৈরা ঝাড়ি দেও... পোলাটা বুঝেনা, ওরে আমরা কত্ত লাইক করি
ঝাড়ি খেয়ে আমি ইন্নালিল্লাহামাস্ সাবরিন।
ফাইজলামী কৈরেন্না মিয়া। লীনার কাছে মাফ চান
বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নিয়ম নাই। (তবে মাথা চুলকানোর ইমো হবে)
তবে রিপ্লাইগুলো না দেয়ার জন্য স্যরি আছি সবার কাছেই।
আরে কিয়ের ক্ষমা চাওয়া

মীররে আমরা সবাই মিস করছি, এইটা যদি সে বুঝে থাকে তাইলে আর কোন কথা নাই
সেইটা তো মীর বুঝছেই। আর সেও যে সবাইকে ভীষণ মিস করসে, সেইটা কি মানুষ জানে?
না কইলে মানুষ জানপে কেমনে

বিশ্বাস করি না
সবাই কত ডাকলো, মীর উদাস বসে রইলো... এইটা খুব খারাপ হৈছিল, আর কখনো এরম কইরেন্না 
মীর হৈতে মঞ্চায়
মেসবাহ ভাইয়ের লেখায় যেমন মজা পেলাম,
তেম্নি মীরকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আজ সকালে মীরের ব্লগ বাড়িতে ঘুরছিলাম,আর ভাবছিলাম. একটা বিজ্ঞপ্তি দেই...."মীর নতুন নতুন লেখা নিয়ে ফিরে এসো। তোমার লেখা অনেক মিস করছি।"
তাও যদি মীরের হুশ হৈতো
আমাদের ছোট স্বর্ণা বিয়ে করেছে, সংসার করছে! দেখতে ভালোই লাগে। নওরোজকে মিটুন দা বলতেন, নওরোজ নামটা শুনলে কেমন যেন পিঁয়াজ পিঁয়াজ লাগে
হ, সেই স্বর্ণারে নিয়া নওরোজ মানে পিঁয়াজ মিয়া স্ট্যাটাস দেয়- ফারহানা আলম একজন লক্ষী মেয়ে... ভাবো একবার
স্বর্ণা লক্ষী মেয়েই বটে। কথা বলে বাচ্চাদের মতো করে। নওরোজ স্বর্ণার মতো মেয়ে পাইছে, সে লাকী
পিঁয়াজ বল আর যাই বল, নওরোজও কিন্তু ভাল ছেলে
আমার জীবনে একজন অনুজ আছে, যার হাত ধরে আমার ব্লগে আসা। মেয়েটার কাছে থেকে শিখেছি অনেক। ও যখন আগে ব্লগে লিখত, তখন ব্লগে ওর তুমুল জনপ্রিয়তা। সবার মন্তব্য ওর বাড়িতে থাকতই। ওর নাম রুখসানা তাজিন।
মেয়েটা বলতে গেলে আর লিখেই না, আমার খুব কষ্ট লাগে। ওর লেখালেখি এবং মানুষটাকে খুব মিস করি।
তেমনি মীর। মীরের সাথে আমার হার্ডলি ব্লগে কথা হয়েছে ১ দিন বা দুদিন, ওকে আমি ব্লগ ছাড়া অন্য কোনাভাবেই চিনিনা। তবুও ওর লেখার আমি ভিষন ভিষন ভক্ত। গত দু/তিন দিন ব্লগে ঘুরতে গিয়ে দেখলাম, সবাই মীরের জন্য অনেক অনেক অপেক্ষা করছে... মীর তুমি সবার জন্য ফিরে এসো আর অনেক অনেক ভালো থাকো।
শাপলা'পু কেমন আছেন? আপনি কিন্তু প্রচুর পরিমাণ লজ্জা দিচ্ছেন। খুবই আনফেয়ার হচ্ছে বিষয়টা। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর। নতুন লেখা চাই তাড়াতাড়ি। রম্যরচনা, কবিতা যা খুশি..
তাজীনের সাথে সর্বশেষ দেখা হয়েছে তাও প্রায় দুই বছর হবে। ওর বর সহ। তখন ও থাকতো জাপানে। এখন ম্যালাদিন যোগাযোগ নেই... ব্যস্ত মনে হয় @ শাপলা
ওরে, মীর দেখি পিছলায় ! মীর, জয়িতা আইলে কৈলাম খবর আছে আপনের
মেসবাহ ভাই যে কি কয়! দুনিয়াটা বদলাইছে, কাউরে ভালা পাইলে আজকাল সে এসব পাত্তা দেয় না, বুঝে কিনা তাই বা কে জানে! তাই কাউরে কিছু কই না আর। তবে প্রিয় মানুষদের উপস্থিতি আমামাদের ভালো রাখে। কথাটা আপনাকেও বললাম।
আসলেই দুনিয়াটা বদলাইসে। কাউকে ভালোবাসলে সেইটা সে অনেক সময় বুঝতেও ব্যর্থ হয়।

যাক্ জয়িতা'পুকে লক্ষ কোটি ধইন্যাপাতা...
সব অত্যাচার সহ্য হয়, কিন্তু ভালোবাসার অত্যাচার আজকাল সহ্যসীমার বাইরে চলে যাচ্ছে...
মেসবাহ ভাই, তাজিন এখন অস্ট্রেলিয়াতে পিএইচডি করছে, ওর বর একটা খুব ভালো জব করছে ওখানে। ওরা বেশ ভালো আছে।
গত বছর জাপানে ওরা দুজনেই পালা করে বেরিয়ে গেছে আমার বাড়ি থেকে। মানে তাজিন একা আগে এসেছিল একটা কনফারেন্সে জাপানে, তারপর আমার বাড়িতে। তাজিনকে আমি শুধু একবেলা আমার বাড়িতে খাওয়াতে পেরেছি, ওর সময়ই ছিল না। সবার ওকে নিয়ে সে কি টানাটানি...... মেয়েটা অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েও খুব জমিয়ে আছে। আমাকে শুধু একটুখানি ভুলে গেছে.।
তাজীন ভয়ানক ভালো মেয়ে। দেখা হলে ওকে বলবেন, খুব মিস করি তাকে। ও যখন শাবিপ্রবিতে ছাত্রী আবার মাস্টারও- সে সময়কার কত শত স্মৃতি আমাদের। গেলো বছর দেখা হবার পরও মনে হলো, ও আগের মতই আছে। একটুও বদলায়নি...। প্রাণবন্ত আর হাসি খুশি মেয়েটা ভালো থাকুক সব সময়... আপনিও ভালো থাকুন।
মেসবাহ ভাই, আপনার লেখাটা পড়ে, অনেক দিন পর তাজীনের জন্য কাঁদলাম। ও আসলেই অসম্ভব একটা ভালো মেয়ে। ওর সাথে আমার স্মৃতিও নেহাত কম নয়, প্রায় চার বছর আমরা এক সাথে খুব কাছাকাছি ছিলাম। ও যখন সত্যি সত্যি চলে যায়, তখনও এরকম কাঁদিনি। ও আমার জীবনের বড় একটা জায়গা জুড়ে আছে। হ্যাঁ ও আগের মতই আছে।
তাজীনকে কি চোখে দেখি যেমন বলা হয়ে ওঠনো, তেমনি অনুজদের মধ্যে এবিতে অনেকের মত মীরকেও আমি খুব পছন্দ করি। আজ ওর জন্য সারাদিন বেশ মন খারাপ ছিল। ভয় হচ্ছিল, ও আবার তাজিনের মত লেখা ছেড়ে দেবে নাতো!
তাজিন হইলো আমার ছোটাপ্পি। আগে ভাল ছিল। লিখতো। এখন আর লেখা পাই না। তবে এইখানে তার একটা একাউন্ট আছে মনে হয়। ছোটাপ্পি লেখা দেন।
আজ ঈদ এবির পোস্টে পোস্টে আনন্দ!!!!!!!!!এবির রাজকুমার মীর সাহেব ফেরত এসেছেন।তারে লাল সেলাম।অবশ্য আমার মতো উজবুকের সেলামে তার কিছু যায় আসে না সেটা ভালোমতোই জানি কারন তার প্রমান সে পদে পদে প্রমান করে দিসে।
ভালো থাইকেন রাজকুমার মীর।
রাসেল হোসেন আশরাফ কুন তোমারেও কিন্তু মীরের মতই ভালা পাই। তুমি নিজেকে উজবুক বললে তো মানবো না।
রাসেল ভাইও ভালো থাকবেন। ভালোবাসা নেবেন। উজবুক শব্দচয়ন যথার্থ হয় নি। আপনাকে আরেকটা শব্দ চয়নের সুযোগ দেয়া হলো।
লেখায় পেলাচ
মীর অনেকদিন ছোটগল্প দেয় না বইলা তারে মাইনাচ
একই অফ্রাধে লীনা আপুরেও মাইনাচ 
একমত একমত
ফারহানা আলম যে লক্ষী মেয়ে এটাতো সত্যি কথা।
এটা যেমন সত্যি তেমনি আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে-
আজকের রস+আলোতে সিমুর গাড়ি বিষয়ক আশীফ এন্তাজ রবি'র একটা লেখা পড়লাম। চেতন বা অবচেতনে সিমুর গাড়ির ঘটনার সাথে কোথায় যেনো আপনার একটা যোগাযোগ মনে হলো আমার... মে আই রং অর রাইট ব্রাদার
সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন কইলেন, আবার খাবারের দোকান আছে...কেমন যেন কন্ট্রাডিক্টরি। দোকান চলে?
দোকান কি গাড়ি যে, চলবে ?

দোকানের ব্যবসা চলুক আর নাই চলুক, তৃষার খাবার কিন্তু চলছেই...
মেসবাহ ভাই আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে গেল।
পোষ্টের মন্তব্যে অনেক কথা হয়েছে কিন্তু মীরকে মাপ করা চলবে না, মীরের কোন মাপ নাই তাকে কাফফারা দিতে বাধ্য করা হোক।
মীররে মাফ না কৈরা আর উপায় আছে ? আইসাইতো পোস্ট দিছে... যাই, পইড়া আসি
১. নওরোজ-মুসা-সিমু-রবি এরা সবাই বদ। এদের মধ্যে একমাত্র ভালো হৈলেম গিয়া আমি।
২. নওরোজ নামে পিঁয়াজ পিঁয়াজ গন্ধ থাকলে পোলাটা কিন্তু আসলেই ভালা। সে যে মাঝে মাঝে সত্যিই পিঁয়াজ খায় সেই সত্যি কথা লাখ টাকা দিলেও আমি কখনোই তার বউকে বলবো না (তবে হাজার পঞ্চাশেক দিলে বলে দিতে পারি)।
৩. নওরোজরে ভালা পাই আরেকটা কারণে। সে টেবিল থাপড়ায়া সুন্দর করে 'দয়াল বাবা কেবলা কাবা...' বৈলা চিল্লাইতে পারে। তার নেতৃত্বে ক্যান্টিনে আমরা চিল্লায়া স্যারদের আসা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
৪. তবে যতো যাই বলি, একবার সে এক ফ্যাশন ডিজাইনারের ইন্টারভিউ আনতে গিয়েছিল এবং ফ্যাশন ডিজাইনার তাকে রুমাল দিয়ে স্মার্ট বানিয়ে দিয়েছিল, সেই হৃদয়বিদারক মজার ঘটনা আমি নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর কমু। ঠিকাছে?
৫. কম্পিউটার ল্যাবে আমি একবার সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলাম। মিনিট দশেকের মধ্যে এক স্যার আমাকে মৃত ঘোষণা প্রায় করেই ফেলেছিলেন। রবি-নওরোজরা আমাকে তাড়াতাড়ি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছিল। আমি সেই দিনই বুঝেছিলাম নওরোজ বড় হলে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাজ করবে। কীভাবে বুঝছিলাম সেটা জানতে হলে উপরের পঞ্চাশের সাথে আরো হাজার পঞ্চাশ যোগ করতে হবে।
৬. ঢাকা মেডিক্যালে বেডে অজ্ঞান থাকা অবস্থাতে আমি কীভাবে এক নারীবন্ধুর কোলে মাথা দিয়ে ঘুমালাম, সেটা তো আমার জানার কথা না! কিন্তু হিংসা, রাগ, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতর ইত্যাদি নানাসব ছোটলোকি কারণে ওরা সেদিন আমাকে হাসপাতালের বেডে রেখে মিনিটখানেকের জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডকক্ষ ওয়াকআউট করেছিল। এক বন্ধু নাকি ঘোষণা দিয়েছিল- নারীবন্ধুর কোলে মাথা রাখার গ্যারান্টি দিলে সেও কম্পিউটার ল্যাবে জ্ঞান হারাবে। ...আজকের এই রবিই ছিল সেই ওয়াকআউটের নাটের গরু। গ-এর পরে হৃস্ব-উকার লাগায়ে পড়েন।
৭. রবি যে একটা বদ তার আরেক প্রমাণ হচ্ছে সেদিন সে আরেক বন্ধুকে নিয়ে আমার বাসায় এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই রোগীর প্রতি একটা কর্তব্য থাকে। আমি ভেবেছিলাম রবি একটা বর্ণহীন তরলভরা কাচের বোতল নিয়ে আসবে যেটা খেলে নানা ধরনের বর্ণ ভাসে চোখের সামনে। কিন্তু সে এসে নতুন কেনা চানাচুরের প্যাকেট, কয়েক পোটলা মিষ্টি, চা, চিনি, ডানো, বিস্কুট, ইত্যাদি সব সাবাড় করে দিয়ে গেছে। এই হচ্ছে রবির রোগী দেখার নমুনা।
৮.সিমুর যে গাড়িটা নিয়ে রবি লেখা দিল, সেই গাড়িটার সাথে আমারও একটু ইতিহাস আছে। কদিন আগেই বিসিএসের প্রিলিমিনারি হয়ে গেল। বউকে বদরুন্নেসায় দিয়ে ভাবলাম টিএসসি থেকে ঘুরে আসি। গিয়ে দেখি সিমু বসে আছে। আমাকে বললো তারও বউ আর কে কে যেন পরীক্ষা দিচ্ছে সদরঘাট ইশকুলে, যাওয়ার সময় আমাকে নামিয়ে দিয়ে যাবে। আমিও মহানন্দে পরীক্ষা শেষ হওয়ার মাত্র ১০ মিনিট আগে সিমুর সাথে গাড়িতে চড়ে বদরুন্নেসাতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম- এমন সময় দেখি ড্রাইভিঙ সিটে সিমু নিজেই বসতে যাচ্ছে। আমি কোনোমতে 'এদিক দিয়ে ঘুরে গেলে আপনার দেরি হবে', 'এদিকের রাস্তা চিপা', 'একবার জ্যাম লাগলে আপনার দাড়ি পুনরায় চুল হয়ে যাবে' ইত্যাদি নানা বাহানা দিয়ে সটকে পড়ে সেদিনের মতো জানটা বাঁচিয়েছিলাম।
৯. মুসার কথা আর না-ই বললাম। মানুষের স্বাভাবিক হাঁটার গতি ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্টের উচ্চতা ৮.৮ কিলোমিটার। এটুকু পথ যেতে যেখানে ঐকিক নিয়মানুযায়ী ২ ঘণ্টাও লাগার কথা না; মুসার সেখানে লাগলো ৪৫ দিন। তাও প্রায় বছর পাঁচেক প্রস্তুতি নেয়ার পর। চিন্তা করেন কতো বড় আইলসা!
১০. সুতরাং আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন, মেজবাহ ভাই যাদের নাম নিলেন তাদের সবটি বদ। আর এদের চেয়ে বয়সে সিনিয়র মেজবাহ ভাই। কী একটা লেখা লিখে পুরানা কথা মনে করায়া দিলেন! আপনেরা সবাই বদ।
আপ্নে নওরোজের বন্ধু! আপ্নেতো তাইলে পিচ্চি! ধ্যুর, আপ্নে আপ্নে আর করুম না
কমেন্ট টা পুরা একটা উমদা পোষ্ট হৈছে, আরো নয়া নয়া গল্প নিয়ে এই লেখাটা পোষ্ট আকারে আসুক।
এতোদিন ধৈরা আপ্নে আপ্নে করনের লাইগ্যা আমারে তিন দিন কাচ্চি বিরানি খাওয়ায়া দিয়েন।
নওরোজ-মুসা-সিমু-রবি.... এই গ্রুপের একজন আপনেও ?


জানতামনা
তাইলে আপনে যে কেমন, সেইটা আর বলার আবশ্যকতা দেখছি না...
কাকতালীয়ভাবে গতকাল বিকালে টুটুল আর নওরোজ আসছিলো আমার কর্মক্ষেত্রে। প্রসঙ্গক্রমে নওরোজরে নিয়ে এবি,র লেখাটা দেখলাম ওকে। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন কথা হচ্ছিল...। এর মধ্যে হঠাৎ নওরোজ আমার ল্যাপটপে ফেসবুকে গিয়ে দ্রুত একটা স্ট্যাটাস দিয়ে দিলো...। তারপর দেখলাম সে স্ট্যাটাস হচ্ছে....
@লীনা
এথেকে প্রতিয়মান হয় যে, নওরোজ গংরা কতটা বদ ...
দেখলেন তো, আমি এদের সবার চে ভালু।
গৌতমদার কমেন্টে পিলাচচচচচচচচচচ।
@ গৌতম মন্তব্য তোফা তোফা--
এইটা তো বাঁশের চাইতে কঞ্চি বড় হয়ে গেল!!!

পোস্ট তো এমনিতেই রসালো, গৌতম দা'র কমেন্ট পরে তো পিছলে পরেই গেলাম!!!
আপনে কতো সহজে বন্ধুর বউয়ের ফিগার নিয়া ভাবতে পারেন। আপনারে দেখলে বা পড়লে হিংসা লাগে... :ডি
মন্তব্যে পুরাই "বিপ্লব"!!!

মুক্ত, আসো কাইজ্জা করি
সীমুর গাড়ি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য তীব্র ধিক্কার
কারে ? রবি আর গৌতমরে ??

হ, তেব্র দিক্কার ইরাম গাড়িওয়ালাগো
ফেসবুক স্ট্যাটাস পোস্টমর্টেমের সাথে গৌতমদার কমেন্ট মিলে কডিন ককটেল হইছে ।
আরে চাঙ্কু মিয়া নাকি ?

আছেন কিরাম জনাব !
হেপি জন্মদিন
বাহ!
খাইছে!!
আরে বিলাই ম্যাঁও যে !!

মনু ভাবী যেদিন ব্লগিং শুরু করবো, এই পোষ্টের জন্য তিনটা বেলুনের বাড়ি খাইবেন জাইন্যা রাইখেন। নিজের বউ কি রঙের শাড়ি পড়ছে তার খবর নাই অন্যের বউ নিয়া রিসার্চ পেপার রেডি
আইচ্ছা, দুইটা সিম্পল কোশ্চেন জিগাই ?
১) দুলাভাই কি ব্লগিং করে ?
২) আপনের বাসায় কি বেলুন আছে
আমার বাসায় বেলুন আছে তবে দুলাভাই বন্ধুর বউ নিয়ে ব্লগিং করেন না
তারমানে দুলাভাইয়ের বৌ অন্যের জামাইরে নিয়া ব্লগিং করে
১। গৌতমের কমেন্টটা পড়ার পর এই পোস্ট নিয়া একটু উৎসাহ বোধ করতেছি। লেখক হিসেবে আশীফ এন্তাজ রবিরে এতদিন অনেক উপরে রাখতাম। এখন থেকে সে দুই নম্বরে। ১ নম্বরে গৌতম।
২। যারা যারা নেগেটিভ কমেন্ট দিসেন, তাদের চিনা রাখতেছি। রোজহাশরে বিচার দিব।
ঠিকাছে। সব বাৎচিৎ হবে। এইবার ঝট কৈরা রেজিস্ট্রেশনটা কৈরা লন। তারপরে রবি, গৌতমসহ (২ জনই এইখানের মেম্বার) সব খারাপ লোকেগো রোজহাশরে না, এই দুনিয়াতেই বিচার করুম। হক মাওলা
গৌতমের এই কমেন্ট আমি আমার ফেসবুকে অ্যাড করতে চাই। ক্যামনে করুম?
ইতিমধ্যে যেমনে কৈরা ফালাইছেন
মন্তব্য করুন