পুরান গপ
বাংলা সিনেমার একটা ভয়াবহ হিট গান আছে রুনা লায়লার। যদ্দুর মনে অয় সিনেমাতে অঞ্জু ঘোষ (সিওর না, মাসুম ভাই কৈতারবো) এই গানের লগে লিপসিং করছিলো। গানটার কতা এই রকম আছিলো-
এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেওনা.... একটু কর করুনা । এই খানে গীতিকার ক্যান যে করুনা শব্দটা ব্যবহার করছে- সেই জানে ! আমারো আইজকাল ক্যান জানিনা, লোকজনরে করুনা করতে ইচ্ছা করতাছে
সুন্দরবন ট্যুরে গেছিলাম প্রথমবার ২০০১ সালের ডিসেম্বরে। সেই খানে গিয়া একটা গপ শুনছিলাম। সইত্য মিথ্যা জানিনা। বাঘ হরিনরে ধরনের লাইগা যখন দৌড়ানি দেয়- তখন হরিন বেচারা জানের ভয়ে দৌড়াইতে থাকে। বাঘ এক লাফে যাইতে পারে ২২ হাত আর হরিন যাইতে পারে ২৩ হাত। ফলে হরিন সব সময় ১ হাত সামনে থাকে। কিন্তু হরিনের শক্তির চাইতে বাঘের শক্তি বেশি বইলা একসময় হরিন আর দৌড়াইতে পারেনা। জঙ্গলের কাছে গিয়া হরিন তার মাথাটা জঙ্গলে ঢুকাইয়া পাছাটা বাইর কৈরা রাখে। মনে মনে ভাবে, সে যেহেতু বাঘরে দেখতে পায়না, বাঘ্ও তারে দেখেনা... বাঘ একসময় আইসা হরিনের পেছনে থাবা দেয় এবং পরিণতিতে হরিনের করুন মৃত্যু। বাঘ আনন্দের সাথে হরিনের গোশত খায়...। গপটা শুননের পর থেইকা বেচারা হরিনের জন্য করুনাই হয়।
বেসম্ভব ফাজিল এক পোলা। কোনো কারন ছাড়াই সবতের লগে কাইজ্জা করতো। এরে ওরে খোঁচা মারতো। তার এহেন আচরনের কারনে সবতে তারে অনেক কৈরা বুঝাইলো। কিন্তু সে বুঝলেতো ! কারো কতাই শুনতো না ফাজিল পোলাটা। একবার সবতে মিল্যা ঠিক করলো- ওরে একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার। সেই মোতাবেক প্ল্যান কৈরা বন্ধুগো একজন তার লগে ঝগড়া লাগাইলো। চ্যালেঞ্জ দিলো- সেই পোলার লগে কুস্তি লড়বো। তো পোলাতো আর এই সব জানতো না। সেও আনন্দ মনে রাজী হৈলো। কুস্তি শুরু হৈলো। মাঠে প্রচুর দর্শক। সবাইর একটাই উদ্দেশ্য- আইজকা ফাজিল টারে একটা শিক্ষা দিবো। কিছু সময় কুস্তি করার পর ফাজিল পোলারে নিচে ফালাইয়া আইচ্ছামতন ডলা দেওন শুরু করলো। একসময় কুস্তি শেষ হৈলো। সবাই ভাবলো, এইবার যদি সে একটু ভদ্র হয় ! কিন্তু সেই ফাজিল পোলায় কী আর এত সহজে নরম হয় ? গায়ের ময়লা ঝাড়তে ঝাড়তে জোরে চিক্কুর দিয়া ফাজিলে কৈলো- আপনেরা সবাই কুস্তি দেখলেন। এইবার কনতো, রইদে খাইছে কারে ??
আরেকটা ফাজিল পোলার গপ শুনাই। সব সময় ফিট বাবু হৈয়া চলতো সে। ইস্ত্রি করা জামা-কাপড় ছাড়া তার চলতো না। তার একটাই সমস্যা আছিলো- যে কেউ তারে ৫ টাকা দিবো কৈলেই সে নতুন ইস্ত্রি করা জামা-কাপড় পৈরা মাটিতে এক গড়ান দিয়া জামা-কাপড়ে আইচ্ছা মতন ময়লা লাগাইতো। একদিন সবতে তারে জিগাইলো, এই যে তুমি মাত্র ৫ টাকার জন্য জামা-কাপড় পৈরা মাটিতে গড়ান দেও- এই জামা-কাপড় ধোয়া আর ইস্ত্রি করতেতো তারচেয়ে বেশি টেকা লাগে! তাইলে তোমার লাভ কী ? ক্যান তুমি এই কাম কর ?
আরে বুঝলেন না, নগদ ৫ টাকাতো আমি পাই। আর জামা-কাপড় ধোয়া আর ইস্ত্রিতো আমার বাপের টাকায় করি... উত্তর দিলো ফাজিল পোলাটায়
অসাধারণ পোস্ট।
আমি সাধারণ পোস্ট লেখিনা
কোথায় লোকজন কে করুনা করতে ইচ্ছা করছে আর কোথায় হরিণ কে করুনা
পুরা এন্টিনার উপর দিয়া গেল।
তবে আমি জানি কাক খারার নিয়ে চোখ বন্ধ করে লুকায়। পরে আর খুঁজে পায় না।
এন্টিনাটা এট্টু নামাইয়া নেন
যাক বাংলা সিনেমার রেশ ধরে তাহলে গল্পও বের হয়?!
তাইতো দেখতাছি
হাসান রায়হান বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন : আমি সাধারণ পোস্ট লেখিনা
টুটুল বলেছেন: হাসান রায়হান বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
পোস্টে উল্লেখিত কোন গপটির সাথে নিজের মিল খুঁজে পাও তুমি ?
গাধা টাইপের হরিণের গল্পটার লগে
বৃত্তবন্দী বলেছেনঃ টুটুল বলেছেন: হাসান রায়হান বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
কিরাম আছো জেবীন ?
দাদা ভাই হরিণ বানান কি?


জেবীন বলেছেনঃ বৃত্তবন্দী বলেছেনঃ টুটুল বলেছেন: হাসান রায়হান বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
ভুল লেখিতে ভূল লেখিওনা বৎস !
এইখানে কি হৈবো না, কৈবো কী
কত অজানারে.।.।।।

মেসবাহ ভাইয়ের করুনা দেখে আমার কেন জানি করুণা হচ্ছে।
করুণা পাবার মত মানুষদের করুণা না করা গুনাহ
এন্টিনাটা একটু নামায়া আসি।
নামাইছেন ?
রাসেল আশরাফ বলেছেনঃ জেবীন বলেছেনঃ বৃত্তবন্দী বলেছেনঃ টুটুল বলেছেন: হাসান রায়হান বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

জ্বী জনাব থ্যাংকু। এত্তগুলান মানূষতো আর মিছা কতা কৈতে পারেনা
চিন্তার বিপার।
কঠিন চিন্তার বিষয়
কি লেখা যায়? একটা চূড়ান্ত পোস্ট। এছাড়া তো আর কিছু লেখার আছে বলে দেখি না।
আপনিই যদি কিছু না দেখেন তাইলে এই নাদান আর কী দেখবো !
সামনে রমজান মাস। এখন থেকে সংযমী হতে হবে। দেখাদেখি বন।
একটা টার্ম আছে চোখের রোজা। এটা সম্পর্কে আপনে নিশ্চই অবগত..
রাসেল আশরাফ বলেছেনঃ জেবীন বলেছেনঃ বৃত্তবন্দী বলেছেনঃ টুটুল বলেছেন: হাসান রায়হান বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
রাজনের কমেন্ট কপি করছেন আর বেচারারে বাদ দিসেন।খুব খারাপ খুব খারাপ।

এর থেকে বেশি ট্যাকি জ্ঞান আমার নাই। মাইন্ডে ভিটামিন আছে, খাইলে খারাপ না
মেসবাহ ভাইয়ের সকল অসাধারণ পোস্টের মধ্যেও এই লেখাটারে অন্যরকম লাগলো...
তয় মেসবাহ ভাইয়ের করুণা তত্ত্ব নিয়া খানিকটা ভাবিত হইলাম। হরিণ বিষয়ক গল্পে না হয় বুদ্ধি কম বইলা হরিণের প্রতি করুণাবোধ তৈরী হইলো (ইতিহাসে সামাজিক এলিটরা এমনে কইরাই নিম্নবর্গের মানুষের প্রতি করুণাবোধ করে), কিন্তু বেশি বুদ্ধির কাইজ্জাবাদি ফাজিল পোলাটার প্রতি কি করুণা তৈরী হয়? কিম্বা আরো বেশি বুদ্ধির বাপের টাকায় চলা ফাজিল পোলাটার প্রতি?
অনেকেই বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট
(এর উত্তরে মেজবাহ ভাই কি বলছেন, সেটা আমরা জানি!)
আমি যে কিছুই বুঝিলাম না তাহা স্বীকার করিলাম।
সত্যবাদীকে আল্লাহ সবসময় পছন্দ করেন
অসাধারন পোষ্ট
আমি সাধারণ পোস্ট লেখিনা

আপ্নের না আমারে য়াম খাওয়ানের কথা ছিল?
কবে খাওয়াইবেন য়াম? 
কথা ছিল কি ? তাইলে নিশ্চয়ই য়াম খাওয়ামু। এই বার না হোক পরেরবার

তা য়াপনে কী য়াম লাইক করেন ?
অসাধারন পোষ্ট
আমি সাধারণ পোস্ট লেখিনা

য়াজাদ ভাই কি সব অশ্লীল গানের কথা বলে,
এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না গানটার করুণাটা একেবারে শাররীক, চারপাশের পরিবেশ, প্রকৃতি মিলায়া কাতর নায়িকা বলছে যদি মন থেকে ভালোবাসা নাও থাকে তারপরও করুণা কইরা কিছু একটা কইরা বৃষ্টিতে বাইরাও, ইয়াযাদ ভাইয়ের তেমন করুণা দরকার হইবো ক্যান? তারে তো লোকজন এমনি মোবাইল নাম্বার দেয়
অশ্লীলভাবে অসাধারণ!
সাধারন পোষ্ট
মন্তব্য করুন