আজাইরা দিনপঞ্জী... ১৯
কতোগুলো মুখোশ আছে আমার? অনেক, অসংখ্য? নাকি একটাও না? মাঝে মাঝে খুব সহজ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুব গুলিয়ে যায়... মুখোশ থাকাটা কি দরকারী খুব? তা না হলে আছে কেন? কিন্তু আবার দরতার কিংবা অদরকারে কিইবা আসে যায়? এইয়ে এখন বেশ ভাবুক ফিলসফিক্যাল মুখোশ পড়ার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছি এর কোন মানে আছে কি? আশেপাশের মুখোশ স্রোতে সত্যি মিথ্যে যখন সব গুলিয়ে যায়, তখন মনে হয় প্রতি মুহূর্তের বিন্দু বিন্দু অনুভূতির চেয়ে সত্যি কোন কিছু আলাদা করে তো দাঁড়ায় না কোনখানে। প্রতি মুহূর্তে দিক পাল্টাতে পারে যদিও, কিন্তু তাই বলে আগের মুহূর্তের অনুভূতির সত্যতা তাতে কমে তো যাবেনা, কিন্তু পুরনো অনুভূতিও কি স্মৃতির মোড়কে ঢুকে গিয়ে মানে পাল্টে ফেলে না?
আমার এইসব অগোছালো আত্মকথন ণিখে রাখার কোন মানে নাই, তবু কেন যেন কাউকে জানাতে ইচ্ছে করে। সেই কেউটা এখন আর কোন নির্দিষ্ট মানুষে সীমাবদ্ধ নাই... কিংবা আসলে কোন বিশেষ কাউকেও নয়। কাল্পনিক কোন মনগড়া কোন সত্ত্বা হয়তোবা। যদিও চিঠি'র গন্তব্যেরা দেয়ালের ওপাশে মিলিয়ে গেছে ভোজবাজীর মতো। একটা ধোঁয়াশামতো লিখবার ইচ্ছেটা শুধু আছে কোথাও লুকিয়ে। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে চিঠি পৌঁছে দেবার একটা ঠিকানা যদি থেকে যেতো কোথাও, পুরনো ছিঁড়ে যাওয়া কোন সম্পর্কের সুতো ধরে... আবার ভাবি, এই বেশ! নিশ্চিন্তের জীবন, দরোজার ওপাশে প্রতীক্ষায় থাকার কেউ নেই আমার। অথচ আমি ঠিক প্রেমও চাইনি কখনো... কি চেয়েছি আজকাল বেশ গুলিয়ে গেছে যদিও। মাঝে মাঝে মনে হয় নিশিপাওয়া রাতে আমার যখন ঘুম আসছে না কিছুতেই... কোথাও থাকতো এমন সুহৃদ যার কাছে চাইলেই দুছত্র লিখে ফেলা যায়। কিংবা হয়তো এরকম আমি চাইনি মোটেই, চেয়েছিলাম একদম অন্য কোন জীবন... সন্তানে, গৃহে আটকে থাকা গার্হস্থ্য কোন জীবন। বুকের উপরে একটা তুলতুলে নিজের শিশু! আমি আজকাল একদম নিশ্চিত করে বলতে পারিনা কি চেয়েছিলাম এ্যাতোদিন ধরে। আবছা মতো মনে পড়ে- জীবনে প্রথম নিজের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করার মতো কাউকে খুঁজে পেয়েছিলাম... কিন্তু সেইটে কখনো প্রেম ছিলোনা, এমনকি সেই তরফে বিশ্বাসভংগের আশ্বাসও ছিলোনা... শুধু মন চাইলে আমি চিঠি লিখতাম রাত-বিরেতে... আজকালের এই এস.এম.এস কিংবা ফেসবুক মেসেজের দিনেও। সেই ভরসাটুকুও যখন চলে গেসলো আমার কেমন কষ্ট কষ্ট হয়েছিলো... ঈশ্বরকে মনে হয়েছিলো প্রস্তরময়। এখন ঠিকানা হারিয়ে গিয়েও চিঠির জন্য নিশপিশ করে আমার আংগুল। আমি বড়ো বেশি ছেলেমানুষী আবেগে ভরে থাকা মানুষ, এজন্যেই এরকম অর্থহীন রোমান্টিকতার চশমায় মুড়ে দুনিয়া দেখি।
ভেবেচিন্তেও আমি আজকাল নিজের মধ্যে কোন দুঃখবোধ খুঁজে পাইনা, আর হাস্যকর হলেও আমি মনে হয় নিজের দুঃখবোধটারে মিসও করি। এইটা কি বাংগালি স্বভাব? নাকি এই স্বভাবও কোন ইনডাকশান এর ফল? মানে আমি দুঃখবোধ এনজয় করি, এই ভাবনাটা নিজের তৈরী করে নেওয়া একটা আজাইরা রোমান্টিকতা?





লেখা টা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কেন এমন হয়!
ঠিক মন খারাপ মুডে লিখতে চাইনাই... উদাস উদাস হবার কথা ছিলো, অভ্যাসে বিষাদময়তা এসে গেছে মনে হয়।
শেষ প্যারাটা খুব ভাল লাগছে
টাইপো গুলো ঠিক করে দিলে পুরো পোস্টটা আরো বেশি ভালো লাগত
আইলসামীতে পাইসে.. ঠিক করুম নে... ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
বিষন্ন কেন?
লীনাপু'কে দেয়া্ জবাবটা দেখেন মাসুম ভাই।
ভাব ধরা বাদ দিয়া ১৭ই জুনের কথা ভাবতে থাক বইসা বইসা। বেটি।
ভাব ধরা বাদ দিয়া ভাবতে হবে কেন? ভাব ধরার সাথে সাথে ভাবতে নিষেধ আছে নাকি?
এই লাইনটা তো অসাধারণ হয়েছে!
তাই নাকি?
আমিও মাঝে মাঝে ভাবি, কি জন্য বিষন্ন হই, কি জন্যে আনন্দিত হই, কি জন্যে মন খারাপ হয়। যে কারণে আজকে খুব আনন্দিত হই, তিন মাস পরে দেখি তাতে আনন্দিত হবার তেমন কিছু ছিল না। যে কারণে আজ কাঁদি পরে ভাবি কাঁদার মতো কিছু ছিল না তাই সবই ........................আপেক্ষিকরে। কি চাই কেনো চাই বোঝা খুব শক্ত।
বুঝলাম, তোমারেও আমার মতো ভাবুক ভাইরাসে আক্রমণ করসে...
ঠিকাছে
কুনটা?
উদাসীনতা ভালো লাগল! কয়েকটা লাইন আছে কোট করার মতো। প্রথম দু'টো লাইন এবং মীর ভাইয়ের উল্লেখিত লাইনগুলো বিশেষ করে
খাইসে...
তোমাদের ১৭ জুনের কথা মনে করে আমারই কান্দন আসতেসে এখন, আর তুমি বিষণ্ণ ভাব ধরো? এইসব ঠিক?
হে হে! মাঝে মাঝে ভাব ধরতে মজা!
এত বিষণ্নতা, এত বিষাদময়তা - কোনো কমেন্ট করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ালো...
করেই তো ফেল্লেন... আপনারে অভিনন্দন... মুশকিল আসান করায়।
মন্তব্য করুন