কুসংস্কার লইয়া ভাবনা চিন্তা-৩
কুসংস্কার লইয়া সিরিজ লেখনের চেষ্টা চালাইছিলাম বহুদ্দিনাগে। হের্পর আমার অইন্নান্ন স্বভাবের লাহান ভুইলাও গেস্লাম। আইজকা হটাস মন্টায় চাইলো আবার্ফির কিছু লিখি। পইলা পুস্টে নাজ আফায় কয়েকটা কুসংস্কারের কথা কইছিলেন। সেগ্লার গ্রহনযোগ্য কুনু ব্যাখ্যা পাইনাই। মানে নিজের কাছেই জুইতের লাগে নাই আর কি। তাই সেগ্লার সবগুলার ব্যাখ্যায় না গিয়া, যেইটার ব্যাখ্যা নিজের কাছে জুইতের লাগছে সেইটা দিয়াই আইজকার পুস্ট শ্রু কর্লাম।
কুসংস্কারঃ- গর্ভবতী অবস্থায় বাইরে গেলে সাথে একটা রসুন, এক বক্স দেয়াশলাই.. ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে
সাম্ভাব্য ব্যাখ্যাঃ- রসুনের ঔষধি গুন অনেক। উইকিতে কইতেছে রসুনের অনেক এন্টিব্যক্টেরিয়াল, এন্টিভাইরাল, এন্টিফাংগাল নেচার রইছে। পয়লা বিশ্বযুদ্দে রসুন এন্টিবায়োটিক হিসাবে ইউজ হইতো যাতে যোদ্ধাগো গ্যাংগ্রীন না হয়। রসুন ডিসিনফেক্ট্যান্ট হিসাবেও ইউজ হইয়া আসতেছে অনেক আগে থিকাই। এক্সপেক্টিং মায়ের ইঙ্কেস যদি কুনু বিফদাফদ হইয়া যায়। ধরেন এমুন একযায়গায় গিয়া ওয়াটার ব্রেক হইয়া গেলো সেইখানে কুনু ডাক্তার ফার্মেসি ইত্যাদি নাই (আসলে কুসংস্কার গুলা চালুই হইছে এরম টাইমে যখন ডাক্তারের সহজলইভ্যতা আছিলোনা, হাতের কাছে ফার্মেসি-টার্মেসি আছিলোনা), এরম টাইমে রসুন আর দেশ্লাই ভর্সা (এই ভর্সা কইলাম সেই ভর্সা না যেইটা ভিজলেও জ্বলে )। বাইচ্চা পয়দা হইবার জইন্যে ডিসিনফেক্ট্যান্ট রসুন আর পানি গ্রমের লাইগা দেশ্লাই লগে থাকলে সুবিদাই সুবিদা। [কে জানে, ব্যাখ্যা লাইক হইল কিনা কারো :/]
বৈদ্যাসি তানবীরা আফায় একটা কুসংস্কারের কতা কইছিলেন
কুসংস্কারঃ- স্বামীর নাম ধইরা ডাকা ঠিক না
সাম্ভাব্য ব্যাখ্যাঃ- জনাব স্বামী, স্ত্রীর তুলনায় কিসুটা/অনেক্টা মুরুব্বী হইতো এবং হয় (মুরব্বাও হইতারে)। সের লাইগা জনাবের প্রতি সন্মান বোধ থিকাই স্বামীর নাম ধইরা ডাক্তে হয় না কথাডি মে বি চালু হইছে। সাথে এরমও হইতে পারে, যে নাম ধইরা ডাকাডাকি কর্লে দুইজনের ভিত্রে ঘনিষ্ঠতা বাইড়া যাইবো, একটা টাইমে আইসা যৌথ পরিবারে থাকা মুরুব্বীগো সাম্নেও তারা কুনু ঘনিষ্ঠ আচরন কইরা ফেল্বো। যেইটা তাগোর সামনে করা উচিত্না ;)। লগে স্বামী আর স্ত্রীর ভিত্রে এক বিছানায় শুয়া সত্ত্বেও একটা যে দুরত্ব থাকনের দর্কার সেইটাও মনে করায়া দেওনের তরিকা হইতে পারে এই কুসংস্কারটা।
ho koiche apnere!apne besi janen!shami ke nam dhore dakle kathin gunah hoi.shami ke dakte hoi babur baba.babu na thakle ogo,ha go,moyna,tiya ja e daken na keno!
ঝাড়ি দিলেন্নি কোনো
দিলে দিসেন, কি আসে জেবনে 
স্বামীর নাম মুখে আনতে কে নিষেধ করছে জানিনা, তয় একটা জিনিস দেখি-
বউ আমার সম্পর্কে বলার সময় বলে, 'ও'
বুয়া তার স্বামী সম্পর্কে বলার সময় বলে, 'হে'
কে কৈছে আম্মো জানিনা, তয় আমি যে কৈনাই এডি সিউর
ভালো হইছে!
কেডা ভালো হৈলো?
ব্যাখ্যা গুলা মানতেই হইব।
আমি ভালা পাইসি...
তাইলে তো মুটামুটি যুক্তি দিতার্ছি মনে হইতেসে
আমি টাশকি।

আপ্নে নাম চেইঞ্জাইয়া টাশকি রাকবেন?
ম্যাচ-রসুনেরটা কুসংস্কারে এওটা বলতো যে, বাইরে গেলে যেন ভূত-পেত্নীর আসর না পড়ে তাই! আগুন আর রসুনের গন্ধ যে ভূত তাড়ায় ব্রিটিশগো সেই মতবাদ গ্রামে কেম্নে গেলো সেটাই আচানক কারবার!
নাম ধরার ব্যাপারটা কেন জানি যুইতের লাগে নাই!
আগুন্তো যুগে যুগে কালে কালে ভুত্তাড়ানির অস্ত্র হিসাবে ব্যভার হয়। সারা ওয়াল্ড জুইড়াই। রসুনের কতা কৈতারেন ড্রাকুলা তাড়ানি বুদ্দি কৈত্থিকা গ্রামদেশে আইলো।
নামধরাডি জুইতের লাগেনাই কেনু? কেনু কেনু কেনু????????????????
আমার জুইতের লাগছে।
আর নিজের নাম ঐখানে দেইখ্যা টাশকি আমি
হে হে। আপ্নেদের সেবায় নিয়োজিতো আছি আর্কি। মানে আপ্নেরা যখন বৈদ্যাস থাকেন আর্কি

আফা, দুলাভাইরে কি ডাকেন, ও মেঘের বাপ!?
নাকি ডাকেন অগো শুঞ্চো
তুমি কি আফাও নাকি!!!!!!!
না মেঘ বাপ বললে ভাবে বকা দিয়েছি। ঐ যে বলি না, তুই খাবি না তোর বাপ খাবে, তাই।
কি সমিস্যা! তবে তো নাম ধরেই বলতে হয় আপ্নারে! আহারে সংস্কার আর রইলো নাহ!
খুবই ভালু পুষ্ট! তবে লেখা পুড়তে আমার খবর হইয়া গেছে একটুর থেকে জিব্বাতে গিট লাগে নাইক্কা।
তবে স্বামীর নাম ধরে ডাকলে একটু বেদ্দপ বেদ্দপ লাগে এই জন্য মুরুব্বি বুইড়া মাইনষের নাম ধরে না ডাকাই ভালো
শেষেরটা পড়ে মিরাক্কেলের একটা জোক্স মনে পইড়া গেল ।

নতুন বৌমারে তার শাশুরি বলতেছে " দ্যাখো বৌমা, আজকে থেকে আমরাই তোমার মা বাবা আর তোমার দেবর ননদ হৈল তোমার ভাইবোন" । তো বৌমা সন্ধায় যখন তার বর বাড়ি ফিরল, তখন শাশুরিকে ডেকে বলল, "মা দাদা অফিস থেকে এসেছে!!"
কুসংস্কার ভালো না কিন্তু আমি নিজেও কিছু কিছ মানি
সবাই-ই মনে হয় কুসংস্কার মানে...............।

এস এস সি-র সব কয়টা এক্সাম হলে আমি একই প্যান্ট পইরা গেসি,
প্রথম এক্সাম-টা ভালো হইসিলো বইলা।
গ্রিফিন্ডর কেমুনাচেন?
হিহি! পোস্টের আইডিয়াটা তো দারুণ!
========================
মজা পাইলাম।
মন্তব্য করুন